![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই চৈত্রে দেখা দিয়েছিলে!
বোশেখেও এসেছিলে দু একবার।
তোমার তো আসার কথা ছিলো আষাঢ়ে-শ্রাবণে।
জ্যৈষ্ঠ আমার কাটলো খরতাপে,
আষাঢ় গেলো তোমার পথপানে চেয়ে,
শ্রাবণের শুষ্ক ধূলো তোমার পদস্পর্শ মাগে।
আদিগন্ত-বিস্তৃত পতিত-জমিন
প্রতীক্ষার পথ চেয়ে আছে তোমার আগমনী বারতার।
তুমি আসবে, ভরবে তার শূন্য বুক
সবুজ ফসলে।
কচি পাতা নিয়ে ধাকন্যারা
নাচবে দখিন হাওয়ায়।
তোমায় কাছে পেয়ে,
সলজ্জ-লজ্জায়, মেকী-অভিমানে
প্রেমিক-সূর্য মুখ লুকাবে
তোমার সঘন কালো মেঘ-কুন্তলে।
সুদীর্ঘ বিরহের অবসানে
অঝোর ধারায় সুখের কান্না কাঁদবে
শ্রাবণের অভিমানী আকাশ।
কেঁদেকেটে কমাবে তার বুকে জমে থাকা
বেদনায় ভারি মেঘের সম্ভার।
আনন্দ-হিল্লোলে বৃষ্টির পায়ে পায়ে
বেজে উঠবে চঞ্চল নুপূরের সুললিত নিক্বণ।
তোমার হাত ধরে অঝোর-বাদল-জলে
ভিজবে ডুমুরের ফুল, চোখ মেলে তাকাবে
বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল।
হাঁসেদের সাথে দল বেঁধে সাঁতরে বেড়াবে
লাল সাদা শাপলা ফুলের সখিগণ।
ডিঙি নায়ে পাল তুলে দুর-গ্রামে পাড়ি দেবে
রাঙা-নববধূ।
তোমার আগমনে ঝরণাধারারা
কলকল ছলছল চঞ্চল-নৃত্যে
মুখর করে তুলবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা
অচল পাহাড়েদের গ্রাম।
মরা-নদীর পরিত্যাক্ত কঙ্কালে কঙ্কালে
রক্ত-মাংসের ছোঁয়া লেগে যৌবনবতী
হয়ে উঠবে ষোড়শী কিশোরীর মতো;
দেহের ভাঁজে ভাঁজে জমে উঠবে তার
রূপের পসরা, ছুটবে উদ্ভ্রান্ত-যৌবনধারা।
শুধু পথ চেয়ে থাকি।
এখোনো এ পথে বাজলো না তোমার পদধ্বনি,
চলে যায় শ্রাবণ, কাটে না তবু প্রহর প্রতীক্ষার।
অনন্ত-জ্বলমান সূর্যের মতো
আমি শুধু তোমার প্রতীক্ষায় চেয়ে থকি, বর্ষা।
২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৮
টুটুল বলেছেন: সবচেয়ে ভালো লাগলো ভুলগুলো ধরিয়ে দিলেন বলে। আবার এটাও ঠিক, বর্ষা মানে নাগরিক জীবনে দুর্ভোগ। ভালো থাকবেন।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৪
স্রাঞ্জি সে বলেছেন: বর্ষা আজকাল খুব অভিমানী হয়ে বসে থাকে।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: কারো জন্য অপেক্ষা করা ঠিক না। ঞ্জেকে যোগ করে তুলতে পারলে আর কারো জন্যে অপেক্ষা করে থাকতে হবে না। তখন মানুষ আপনার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকবে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৬
টুটুল বলেছেন: আমি বর্ষাকে ঋতু হিসেবে বিবেচনা করেছি, 'বর্ষা' নামের কোনো তরুণী হিসেবে নয়। সুতরাং, কোনো মানুষের জন্য অপেক্ষার প্রশ্নই আসেনা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০১
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কচিপাতা নিয়ে 'ধাবকন্যারা' কি 'ধানকন্যারা' হবে ? পদদ্ধনি - পদধ্বনি।
।
বর্ষার আহ্বানে খুব সুন্দর প্রকৃতির বর্ণনা দিয়েছেন। " হাঁসেদের সাথে দল বেঁধে সাঁতরে বেড়াবে লাল সাদা শাপলা ফুলের সখিগণ" এই লাইনটা তো খুবই সুন্দর। আরও অনেক লাইন আছে সুন্দর। এককথায় খুব সুন্দর লিখেছেন কবিতা। তবে শহরে যাদের বসবাস তারা বৃষ্টি এলে যে ভয়ানক বিড়ম্বনায় পড়ে তাদের কাছে বর্ষাকে হয়তো একটা মারাত্মক আপদই মনে হয়