নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মো: আওয়াল হোসেন টুটুল

টুটুল

সৎকাজে ১০০% বিশ্বাসী।

টুটুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাঙন

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১



পদ্মা ও যমুনার দু’তীরে চলছে অবিরাম ভাঙন
প্রখর ধারায়। তবে কি এ জনপদ ব্যাবিলন
বা মোহেঞ্জোদারো-হরপ্পা হয়ে যাবে একদিন!
দুপারের লোকগুলো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় নিদ্রাহীন
রাত্রি যাপন করে। সবশেষ সম্বল ভিটেটুকু তার
প্রবল জলের তোড়ে ভেসে যায় কখন আবার
প্রমত্ত-পদ্মার আজন্ম-ক্ষুধার্ত সলিলরাশিতে
নিমেষেই চোখের পলকে, ক্ষুরধার-স্রোতে।
ভেসে যায় গাছপালা, বসতি, বাজার ও হাট,
মসজিদ, মন্দির, পাঠশালা, ফসল-ভরা মাঠ
বিভীষণ পদ্মা অনায়াসে সব করিতেছে গ্রাস
এ পারে ভেঙে তীর ওপারে লোকের নিবাস
গড়িছে আশ্রয়হীনের। সকল হারায়ে কারো
দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ললাটে। তারপরও
বাঁচবার স্বপ্ন দেখে তারা নয়নের কোণে।
জানেনা জলধি শেষে আশ্রয় দেবে কোন্‌খানে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩০

এখওয়ানআখী বলেছেন: পোস্টের ছবিগুলো আমার হৃদয়টাকে মুচড়িয়ে মুচড়িয়ে আখের ছোবড়া বানালো। বাস্তব চিত্রায়ণ ও কবিতায় সমবেদনা রইল।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: নদী ভাঙ্গন রোধ নিজেদেরই করতে হবে।বড়দের আশায় বসে থাকা একটা পাগলামি।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫০

ঢাকার লোক বলেছেন: একটা সচ্ছল এমনকি ধনাঢ্য পরিবারও কিভাবে সম্পূর্ণ পথের ভিখারীতে পরিণত হতে পারে নদীর ভাঙ্গনের এ দৃশ্য দেখলে বুঝা যায় ! এদের পুনর্বাসনে সহায়তার জন্য সরকারের বিশেষ বিভাগ ও তহবিল থাকা জরুরি !

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫০

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: খুব কষ্টের ।

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৫

শুভ্র বিকেল বলেছেন: দুঃখজনক, যে কেউ, যে কোন সময় নিঃস্ব হতে পারে। শুভ কামনা।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: প্রতি বছর একই ঘটনা।
নদী ভাঙ্গন।
স্বাধীনতার এত বছর পরও কেউ নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নিল না।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার এ কবিতাটির গঠনপ্রণালি দেখে আমি মুগ্ধ। এটি যে-ছন্দে লিখেছেন, এর নাম সমিল মুক্তক অক্ষরবৃত্ত। এ ছন্দের কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা হলো- সুনীলের 'আমি কীরকমভাবে বেঁচে আছি', রবীন্দ্রনাথের 'শেষের কবিতা -কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও।' 'আনিলাম পরিচিতের নাম ধরণিতে পরিচিত জনতার সরণিতে---'। এ ছন্দের কবিতা সুনীলের পড়েছি সবচাইতে বেশি। 'করিতেছে', 'গড়িছে', 'নয়নের কোণে' পালটে অন্য শব্দ দেয়া যায় কিনা ভেবে দেখুন। এগুলোর ফলে আমার মতে কবিতার সাবলীলতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

কবিতার প্রথম কিছু অংশ প্লেইন টেক্সটের মতো মনে হয়েছে, যেন খবরের কাগজের কোনো প্রতিবেদন পড়ছি। প্রথম ৭/৮ লাইন আপনি একটা অনুচ্ছেদ আকারে লিখে পড়ে দেখুন কী মনে হয়।

নদী ভাঙনে মানুষের করুণ পরিণতির দিকটা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

এমন ছন্দে আপনার দক্ষতা প্রমাণ করে কবিতার ছন্দ ও কবিতার উপর ভালো জ্ঞান আছে। তবুও একটা লিংক দিলাম, সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন। বাংলা কবিতার ছন্দ : প্রাথমিক ধারণা

শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.