![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট বেলার বন্ধু নাম রুবেল। আমরা মজা করে ওকে উপনাম বাঙাল বলতাম। আর আমার তো ছোটমিয়া টাইটেল সবসময়ই আছে!
মামুন ওতো পিঠাপিঠি বন্ধু কতদিন ওর বাসায় গিয়েছি! কতবেলা যে খেয়েছি! তারতো কোন হিসেবই নেই। আমরা তিনজনই চটপটে।
রুবেল আর মামুন আমার ক্লাসমেট। দীর্ঘদিন আমাদের পথচলা এবং সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া একেক জন একেক দিকে!
সময়ের টানে তিনজনারই দেখা হলো আবার একসাথে।
শোয়েব কে দেখলাম হঠাৎ! শোয়েবকে নিয়ে কিছু বলি, খুবই নাজুক প্রকৃতির একটি ছেলে। আমার সাথে শোয়েবের সম্পর্ক হায় হ্যালো মানে দুর থেকে ভালো একটা সম্পর্ক, কেমন আছো কি করো? কই যাও?এমন।
কথার ফাঁকে আসলো খাওয়া দাওয়ার পালা কই যাই?
আমাদের গন্তব্য আর কোথায় সেই চায়ের দোকান!
শেয়েবকে নিয়ে বসলাম দোকানে রুবেল আর মামুন দুজনে বিল দেবে আর আমরা চা খাবো সেটা ঠিক হলো।
বন্ধুত্বের একটা ব্যাপার এমনও থাকে যে চা কে কাড়াকাড়ি করে খেতে পারে!? বা এমনও হতে পারে যে দশ/পনের টাকার চা নিয়ে বিন্দু বিন্দু মেপে তিনজনে শেষ করা!
পাঠক নিশ্চই এমন অনুভূতি সবার জীবনেই থাকে কম বা বেশি! আমি একশ কাপ চায়ের পরিবর্তে হলেও সেই চা তিনজনে মিলে খেতে চাই এখনও এবং সবসময়। সত্যিই বন্ধুত্বের এই মুহুর্ত গুলো খুবই ভালোলাগা আর ভালোবাসার।
আমার পকেটতো ছিলো মরুভূমি!
কারন ঘড় থেকে টাকা ছাড়াই বের হয়েছি। আর ওদের সাথেও দেখা হলো। যাক ওদের মাথায় হাড়ি ভেঙে আজতো একটা চম্পট হবে।
ওরা আমাকে আর শোয়েবকে চা খাওয়ানোর জন্য বসিয়ে দিলো।
আমিও চটপট এ সুযোগ কি হাতছাড়া করা যায়? সাথেতো বিস্কিট চাইই চাই! বিস্কিট ছাড়া কি চা চলে?!
ওই দুটা আমাদের চা খাওয়া দেখছে আর মিটিমিটি হাসছে।
আমরাও চলেছি খেয়ে হঠাৎ ওরা দুটা হাওয়া গেলো! বিল কিভাবে দিবো এ চিন্তা করছি কারন পকেটতো গড়ের মাঠ! যাক খাওয়ার সময় এতই বা চিন্তা কিসের?
ও দুটা আবার আসলো আর দাম দেয়ার অনাগ্রহ প্রকাশ করলো আর উচ্চস্বরে হো হো হো! মনে হলো বিশ্বজয় হয়ে গেছে, স্বাধীন করছে কোন ভূমি! হো হো হো যে আজকে সেরকম জব্দ করেছে আমায়।
বদের হাড্ডিগুলা আমার দিকে তাকায় আর হাসে দোকানির দিকেও তাকায়।
চা শেষ বিল দেয়ার পালা ওরাতো আনন্দে সেই রকম ভাবে আছে।
আমি উঠলাম আর দোকানিকে বললাম ভাইয়া বিলটা পরে দিয়ো যাবোক্ষণ। দোকানিও মুচকি হাসি(আমি ওদের চায়ের দাওয়াত শুনেই পকেটের দিক লক্ষ্য রেখে এমন দোকানে এসেছি যারা আমাকে বাকি দিলেও গর্বিত হবে) তখন আমারো সেরকম হাসি ওই বদের হাড্ডিদুইটা সাথে সাথে কুপোকাত! আর আমারো হাসি মু হা হা হা হা কেমন জব্দ হলে।
তখন মামুন এসে বলে দেখ দেখ, কেমন ছেচরারে একটু চা খেয়ে বিলটাও বাকি রাখে!
আর অমনি মানিব্যাগ বের করে কচকচে বিল দিয়ে দিলো।
আর আমি তখন বিশ্বজয়ে নিঃস্ব কবি।
[স্মৃতির ডায়রী থেকে, কিছু ভুলও হতে পারে কারন এক্সাক্ট মনে নেই]।
কিছু কিছু সময় ভালোলাগা আর ভালোবাসায়। ছোটছোট খুঁনসুটিগুলো জীবনকে পূর্ণতায় ভরিয়ে দেয়। সত্যিই একটি আবেগি শব্দলাই
"ছোট্ট ছোট্ট এই সব স্মৃতি মনে পড়ে যায়!
ফিরিয়ে নিতে চায় ফেলে আসা সময়ে!"।
তখন আমাদের বন্ধুত্ব আল্লাহর জন্য ছিলোনা কেননা আমরা তখন বুঝতামনা বা আমাদের জ্ঞানেও ছিলোনা আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব কাকে বলে?! ইশশ ওদের যদি এখন পাই তবে মহান রবের জন্য একটুতো বন্ধুত্ব করি তোদের সাথে; আয় তোরা আয়।
হা তবে যে বন্ধুত্ব এক আল্লাহর জন্য হবে একে অপরকে আল্লাহর জন্য মুহাব্বাত করবে ইনশাআল্লাহ সেই বন্ধুত্ব নাজাতের উসিলা হয়ে যাবে।
কবুল করো ইয়া রব্ব আমিন |
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৩
আওণ বলেছেন: হা হা হা দারুন বলেছেন!
আড্ডার মজা সেকি লেখায় ফোঁটানো সম্ভব?!
শুভেচ্ছা সতত ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২২
আল ইমরান বলেছেন: আড্ডার মজা কেবল আড্ডাবাজরাই বুঝে। শুভকামনা থাকল।