নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুল এবং ভুল!!

আওণ

ভুল এবং ভুল!

আওণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো লাগা ১০টি বই

০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ৯:৩২





'বাইতুল্লাহর মুসাফির' - আবু তাহের মিসবাহ্



আলহামদুলিল্লাহ এ বইটি পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে, প্রথম যখন বইটি পড়তে চেয়েছি প্রচন্ড কেঁদেছি প্রতিটি শব্দ যেনো নূরের ছটাক্, যা আমার হৃদয়কে আলোকিত করে হৃদয়কে কাঁদিয়ে দেয় ভাসিয়ে দেয় আধ্যাত্মিকতার সমুদ্রে।



আবেগের তাড়নায় আমি যেনো আগাতে পারিনা আর।



বইটা খুললেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠি, অঝোড়ে অশ্রু ঝরে আমারি আখি হতে।



আমার জীবনে যত বই পড়েছি সর্বশ্রেষ্ঠ বই এটি।



এক আল্লাহর বান্দার হজ্বের সফর নিয়ে বইটি, যে সফরটি হয়েছিলো হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) এর সাথে।



বইটি পড়ে আমি হজ্জ্ব এর বীজ বুনেছি দোয়া চাই এ বীজ যেনো ফলদায়ক গাছে অংকুরিত হয়।



আমার ধারনা বইটি পড়লে কোন পাথর হৃদয়ের মানুষেরও মন গলে যাবে এবং সে অবশ্যই বায়তুল্লাহর মুসাফির হওয়ার নিয়ত করবেন এবং ফিরে আসবেন আলোর পথে।



মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ্ যার সাহিত্য কথা মানুষকে রবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ঃ'বাইতুল্লাহর মুসাফির' - আবু তাহের মিসবাহ্



আলহামদুলিল্লাহ এ বইটি পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে, প্রথম যখন বইটি পড়তে চেয়েছি প্রচন্ড কেঁদেছি প্রতিটি শব্দ যেনো নূরের ছটাক্, যা আমার হৃদয়কে আলোকিত করে হৃদয়কে কাঁদিয়ে দেয় ভাসিয়ে দেয় আধ্যাত্মিকতার সমুদ্রে।



আবেগের তাড়নায় আমি যেনো আগাতে পারিনা আর।



বইটা খুললেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠি, অঝোড়ে অশ্রু ঝরে আমারি আখি হতে।



আমার জীবনে যত বই পড়েছি সর্বশ্রেষ্ঠ বই এটি।



এক আল্লাহর বান্দার হজ্বের সফর নিয়ে বইটি, যে সফরটি হয়েছিলো হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) এর সাথে।



বইটি পড়ে আমি হজ্জ্ব এর বীজ বুনেছি দোয়া চাই এ বীজ যেনো ফলদায়ক গাছে অংকুরিত হয়।



আমার ধারনা বইটি পড়লে কোন পাথর হৃদয়ের মানুষেরও মন গলে যাবে এবং সে অবশ্যই বায়তুল্লাহর মুসাফির হওয়ার নিয়ত করবেন এবং ফিরে আসবেন আলোর পথে।



মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ্ যার সাহিত্য কথা মানুষকে রবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ঃ



-"হৃদয় যদি স্রস্টার ডাকে সাড়া দিতে পারে, হৃদয় যদি সৃস্টির সৌন্দর্যের বাণী শ্রবণ করতে পারে তাহলে তোমার সামনে পরম সত্যের প্রকাশ এবং সুপ্ত রহস্যের উদ্ভাস ঘটবে। তখন তোমার কলম জীবন্ত হবে, সৃজনশীল হবে।"



বই থেকে আমার ভালোলাগা কিছু শব্দমালাঃ



"আল্লাহকে বান্দা আর কী দিতে পারে দু'ফোঁটা অশ্রু ছাড়া!"



আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক শুধু আবদিয়াত ও দাসত্বের নয়; বরং প্রেম ও ভালোবাসা এবং ইশক ও মুহাব্বাতেরও সম্পর্ক।



- - - - - - - - - - - - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -



”যখন তোমার কোন ঠিকানা থাকেনা, নামাযকে বানাও তোমার ঠিকানা। যখন তোমার কোন আশ্রয় থাকে না তখন নামাযের আশ্রয় ভুলে যেয়ো না। নামাযের মাধ্যমে যাকে ডাকবে তিনিই তোমাকে দেবেন নিশ্চিত আশ্রয় ও ঠিকানা।"



- - - - - - - - - - - - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -



কিতাবের হাজার পাতার চেয়ে আল্লাহর কোন নেক বান্দার ক্ষণিকের ছোহবত অনেক বেশী উপকারী।



কিতাব হয়তো জ্ঞান দান করে, কিন্তু ছোহবত দান করে অন্তর্জ্ঞান। অধ্যয়ন যদি হয় প্রদীপ, সান্নিধ্য হলো হৃদয়ে সেই প্রদীপের প্রজ্বলন।





- - - - - - - - - - - - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -- - - - - - - - - -



"কেউ তা প্রকাশ করে ছন্দের ভাষায়, কেউ শুধু অশ্রুর ভাষায়, আর কারো বুকের ঢেউ শুধু বুকেই দোলা দেয়। দিন-রাত সে তার স্বপ্নের জগতে থাকে আত্মসমাহিত!"



“একজন বিদগ্ধ পাঠকের মন্তব্যঃ(১)



পরম করুনাময় মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি। একটি সাদা কাগজে লেখকের কলমের আচড়ে কিছু দাগ কেটে যাওয়া । কিছু অক্ষর, কিছু শব্দের ব্যবহার । নির্দিষ্ট ভাষাভাষীদের জন্য তা বোধগম্য হয়। কিছু বই শুধু পড়ার জন্যই পড়া, কিছু বই আনন্দ লাভের উদ্দেশ্য, কিছু আবার জানার পরিধিকে করে সমৃদ্ধ। বাইতুল্লাহর মুসাফির !!! সুবহান আল্লাহ ! এ বইটিকে নিয়ে রিভিউ লিখার দুঃসাহস আমার নেই। শুধুমাত্র নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেই আমি ক্ষান্ত হয়ে যাবো। একজন লেখকের ভ্রমন এর বিবরণ কতটা জীবন্ত, ফুরফুরে আর হৃদয়গ্রাহী হওয়া যায় “বাইতুল্লাহর মুসাফির” না পড়লে বুঝানো যাবে না । হে পাঠক আপনি যদি বাংলা সাহিত্যের অমৃত স্বাদ পেতে চান তাহলে কেন “বাইতুল্লাহর মুসাফির” পাঠ করছেন না ? হে পাঠক আপনি যদি সাহিত্য দিয়ে আপনার হৃদয়কে ঘায়েল করতে চান তাহলে কেন “বাইতুল্লাহর মুসাফির” পাঠ করছেন না ? হে পাঠক আপনার জন্য করজোরে মিনতি রইলো রবের নিকট একবার হলেও যেনো মহান রব আপনাকে এই বইটি পড়ার সৌভাগ্য দান করেন । (১)”







'কায়সার ও কিসরা' - নসীম হিজাযী



-ইসলামিক সাহিত্যে নসীম হিজাযীকে আমার থেকে বেশি ভালো আপনারাই জানেন।



বইটি আমার সর্বোচ্চ ভালোলাগার মধ্যে একটি,



আইয়ামে জাহেলিয়াত এর আসেম নামে একজন যুবকের সংগ্রামী জীবনকাহিনী।



অনেক বড় বই সবার জন্য সুখপাঠ্য হবে।



কিছু কথা(২)



“আদী ও তার ছেলেরা ওমরকে খুঁজতে বেরিয়েছে এক প্রহর আগে । প্রদীপের ক্ষীণ আলোয় বসে আছে সামিরা । তার ডাগর আঁখিতে বেদনার ছাপ । সামিরা দুহাত উপরে তুলে দরদমাথা কণ্ঠে প্রার্থণা করছিলো : "ওগো মানাত! প্রথিবীর কোন কিছুই তো তোমার কাছে গোপন নেই । ভাইজান কোথায় আছে তা তুমিই জানো..."



..আসেম ভেবেছিলো ওমরকে পৌঁছে দিয়েই ফিরে যাবে সে । শান্তির দিনগুলো শেষ না হলেও আওসের কারো পক্ষে বনু খাজরাজের সীমায় পা রাখা নি:সন্দেহে অবাঞ্চিত ঘটনা...



....ইউসিবার প্রশ্নের জবাবে ইরজকে বিস্তারিত বলতে হলো, "মিসর থেকে সংবাদ পেয়েছি, আসেমের খোজ পাওয়া যাচ্ছেনা..." ইউসিবা চমকে তার দিকে তাকালো.. কিন্তু ইউসিবাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই বেড়িয়ে গেলো ইরজ । ....



নীলনদের উপত্যকা বেয়ে দক্ষিণ দিকে চলছিলো ইরানী লশকর......



বিস্তারিত ভাবে চমৎকার রিভঊ পড়ুন লিংক থেকেঃ(২)





গুলিস্তা - শেখ সাদী (রহ.)



অনেকেই অবাক হতে পারেন যে, এ বইটি কেনো ৩ নংএ আসলো,



সত্য এটা যে, গুলিস্তার সম্পূর্ণ বইটি পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি, আল-কাউসার প্রকাশনী থেকে স্বল্পপরিসরে বের হওয়া একটি ছোট্ট বই পড়েছি মাত্র।



গুলিস্তার শিক্ষাগুলো জীবনে কাজে লাগানোর মত।







'পথের পাঁচালি' - বিভূতিভূষণ বন্দ্রোপাধ্যায়



- বাংলা সাহিত্যের অমর একটি বই, জীবন্ত সাহিত্য।



সাহিত্য জীবনের কথা কয়, এ বইটি না পড়লে বুঝতে পারতাম না। গরীব হিন্দু ব্রাক্ষণ পরিবারের বাবা মা এবং ছোট দুই ভাইবোন এর অভাবের সংসারের চিত্র নিয়ে বইটি।







শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।



শ্রীকান্তর চারটি পার্ট এর মধ্যে প্রথম দুটি পার্ট পড়া হয়েছে তৃতীয় এবং চতুর্থ পার্ট পড়া হয়নি, কিন্তু সেটা পড়ার জন্য আমার মন ছটফট করছে, বারবার পড়ার মত বইটি।



ইন্দ্র, রাজলক্ষ্মী দুটো চরিত্র প্রথম পার্ট দুটিকে অসাধারণ ভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছে। আমাকে ইন্দ্র চরিত্রটি বেশ আকর্ষণ করেছে। আমরা স্কুলে "নতুন দা" নামে একটি গদ্য এর পার্ট পড়েছি সেটা শ্রীকান্ত থেকেই নেয়া।



বই থেকে আমার ভালোলাগা কিছু শব্দমালাঃ



"আকাশ কুসুম আকাশেই শুকাইয়া গেলো"





"মড়ার কি জাত থাকে রে?"





"বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না- ইহা দূরেও ঠেলিয়া ফেলে"









দীপু নাম্বার টু - ড. জাফর ইকবাল



(৩) সংসারে দুজন ব্যক্তি - আব্বা ও দীপু। দীপু জানে ওর মা বেঁচে নেই। দীপুর বাবার খুব অদ্ভুত স্বভাব, কোনো জায়গাতেই বাবার তিন-চার মাসের বেশি থাকতে ভালো লাগে না। প্রতি বছর-ই দীপুর বাবা পোস্টিং নিয়ে নতুন নতুন জায়গায় যান; খুব স্বাভাবিক ভাবেই দীপুকেও বাবার সাথে ঘুরতে হয়। প্রতি বছর-ই সে ভর্তি হয় নতুন স্কুলে। এরই ধারাবাহিকতায় সে ক্লাস এইটে ভর্তি হয় নতুন স্কুলে। ভর্তির প্রথম দিনেই দীপুর ভালো লেগে যায় এই নতুন স্কুল। তারিক ছাড়া প্রায় সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। ঘটনাপ্রবাহে তারিক হয়ে ওঠে দীপুর ঘনিষ্ঠতম বন্ধু। এক পর্যায়ে দীপু জানতে পারে ওর মায়ের কথা। জানতে পারে, বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বহুদিন আগে আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন। দেশে এসেছেন কয়েক দিনের জন্য। ছেলেকে দেখতে চেয়ে বাবাকে চিঠি লিখেছেন। দীপু একা একাই মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকায় যায়। মাকে পেয়ে দীপুর মধ্যে অদ্ভুত এক অনুভূতি জেগে ওঠে। তারপরও সে আবার ফিরে আসে বাবার কাছে। মা ফিরে যান আমেরিকায়। এদিকে দীপু জানতে পারে তারিকের অপ্রকৃতিস্থ মায়ের কথা। তারিকের স্বপ্ন টাকা আয় করে ওর মায়ের চিকিৎসা করাবে। এরপর শুরু হয় দুঃসাহসিক অভিযান। বুদ্ধি আর সাহস খাটিয়ে দীপু, তারিক আর ওদের বন্ধুরা দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মূর্তি পাচারকারী চক্রকে ধরিয়ে দেয়।(৩)







বলপয়েন্ট - হুমায়ুন আহমেদ।



- আত্মজীবনীমূলক বই পড়তে খুব ভালো লাগে,



একটি বই পড়ে যদি বিভিন্ন মজা পাওয়া যায় তবে লোভনীয়।



হুমায়ুন আহমেদ এমন একজন লেখক যার কোন একটি বই পড়লে বোঝার জন্য কোন লাইন দুইবার পড়তে হয়না।



এ বইটি পড়ে ওনার জীবনের বিভিন্ন ক্ষুদ্র অংশ জেনেছি, অকপটে বলেছেন তিনি "টাকার জন্যই লেখেন" মানে টাকা কামাই করাই তার লেখার উদ্দেশ্য।



বইটিতে অতিপ্রাকৃতিক দিক নিয়ে ওনার দৃষ্টিভঙ্গী, এবং ওনার ব্যাক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক লেখক তুলে এনেছেন।



এক কথায় অনবদ্য একটি বই।





বাক্সের বাইরে - শরিফ আবু হায়াত অপু।



-বইটি না প্রবন্ধ না গল্প তবে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা একটা ডায়রী। সহজ কথায় একেকটা লেখা একেকটা ব্লগ।



বইটি পড়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন হয়েছে। সম্পূর্ণ বইটি গবেষণামূলক এবং এতে বিভিন্ন ধরনের লেখা আছে।







আত্মার ব্যাধি ও তার প্রতিকার - হাকিম মুহাম্মাদ আখতার সাহেব



- নজরের হেফাজত করার জন্য অসাধারণ একটি বই,



এ বইটি বারবার পড়ার মত, এখানে এমন সব কৌশল দেয়া আছে যাতে একজন মানুষ তার নজরের ব্যাবহার এবং আত্মিক কলুষতা দূর করতে পারবেন। কেউ যদি প্রেম নামক অবৈধ এবং ধ্বংসকর রোগে আক্রান্ত হয় তাকে এ বইটি যদি পড়তে দেয়া হয় এবং সে বইটি মন দিয়ে পড়ে ইনশাআল্লাহ এ ধ্বংসকর রোগ থেকে সে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ। আর যাদের এমর রোগ নেই এরপড়ও বইটি পড়লে মহান রব্বুল কারীমের সাথে তাআল্লুক হবে ইনশাআল্লাহ। বইটি পরীক্ষীত।





রবিনসন ক্রুসো –



বাড়ি পালিয়ে জাহাজের সফরে যাওয়া এবং বিভিন্ন পথ পাড়ি দিয়ে সমুদ্র দূর্ঘটনায় নির্জন জঙ্গলে একাকী অলৌকিক ভাবে বেঁচে যেয়ে আটকা পড়া এক ব্যাক্তির সংগ্রামী জীবনকথা। তার বেঁচে থাকার লড়াই এবং সেই সমুদ্রের বন জঙ্গল থেকে ছাড়া পাওয়া ........



এ্যাডভেঞ্চার এ ভরপুর একটি বই।



(৪)”ক্রুসো ১৬৫১ সালের আগস্ট মাসে হালের (Hull) কুইন্স ডক থেকে সমুদ্র যাত্রা শুরু করে। এটি সে করে তার মাতা-পিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, তারা চেয়েছিলো যে ক্রুসো কোন পেশায় নিযুক্ত হোক, সম্ভবত আইন পেশা। প্রথম যাত্রায় ঝড়ের কবলে পড়ে তার জাহাজ ধ্বংস হয়, তা সত্ত্বেও তার সমুদ্র যাত্রার আকাঙ্ক্ষা আগের মতই শক্তিশালী থাকে যার ফলশ্রুতিতে সে আবারও সমুদ্র যাত্রা করে। তার এই যাত্রাও দূর্যোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয় কারণ তার জাহাজটি স্যালি (Salé) জলদস্যুরা তাদের নিজেদের অধিকারে নিয়ে নেয় এবং ক্রুসো একজন মুরের দাসে পরিণত হয়। দুই বছর পরে ক্রুসো একটি নৌকা নিয়ে জুরি নামের এক বালককে নিয়ে সেখান থেকে পালায়। পর্তূগীজ জাহাজের একজন ক্যাপ্টেন ক্রুসো এবং ঐ বালককে উদ্ধার করেন যে কিনা আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের দূরে ছিলেন। ঐ জাহাজটি ব্রাজিল যাচ্ছিলো। ক্যাপ্টেনের সাহায্যে ক্রুসো সেখানে গিয়ে আবাদ করার সুযোগ পায়।



কয়েক বছর পরে ক্রুসো আফ্রিকা থেকে দাস আনার জন্য একটি অভিযানে যান কিন্তু পথিমধ্যে ঝড়ের কবলে পরে তাদের জাহাজ বিধ্বস্ত হয় এবং তিনি সমুদ্র থেকে ৪০ মাইল দূরে একটি দ্বীপে আশ্রয় নেন যেটি অরিনোকো নদীর মুখের কাছেই অবস্থিত। ক্রুসো দ্বীপটিকে আইল্যান্ড অফ ডেসপেয়ার (Island of Despair) নামে ডাকেন। ক্রুসোর বর্ণনাকৃত দ্বীপটি সম্ভবত টোবাগোর ক্যারিবিয়ান দ্বীপের উপর ভিত্তি করে বলা, যেহেতু ত্রিনিদাদ থেকে ঐ দ্বীপটি অল্প উত্তরে ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছে অরিনোকো নদীমুখের কাছে অবস্থিত। সে উত্তর অক্ষাংশ ৯ ডিগ্রী ২২ মিনিট পর্যবেক্ষণ করেন। সে ঐ দ্বীপে পেঙ্গুইন এবং সীল দেখেন। সে ছাড়া বাকী আর তিনটি প্রাণী ঐ দ্বীপে তার সাথে জীবিত রয়েছে- একটি হচ্ছে ক্যাপ্টেনের কুকুর এবং অন্য দুইটি বিড়াল। ক্রুসো তার হতাশাকে জয় করে ভাঙ্গা জাহাজ থেকে অস্ত্র, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য দরকারী জিনিস নিয়ে আসেন এটি ডুবে যাওয়ার পূর্বে। সে একটি গুহার কাছে বেড়া দিয়ে তার বাসস্থান তৈরি করে। কাঠের ক্রসের উপর চিহ্ন দিয়ে সে ক্যালন্ডার তৈরি করেন। যেসব যন্ত্রপাতি সে জাহাজ থেকে উদ্ধার করেছিলো সেগুলো এবং কিছু সে নিজে লোহাকাঠ দিয়ে তৈরি করেছিলো সেগুলি দিয়ে সে শিকার শুরু করে, বার্লি এবং ধান উৎপাদন করেন, আঙ্গুর থেকে কিসমিস, মাটির জিনিস পত্র তৈরির কৌশল রপ্ত করেন এবং ছাগল পালন করেন। সে একটি তোতা পাখিও পুষেন। সে বাইবেল পড়তে শুরু করে এবং ধার্মিক হয়। সে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেয় সব কিছু পাবার জন্য যদিও সে মানব সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন।



আরও কিছু বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরে ক্রুসো স্থানীয় নরখাদকের দেখা পায়, যারা মাঝেমধ্যে এই দ্বীপে আসে বন্দীদের হত্যা করে খাওয়ার জন্য। সে প্রথমে পরিকল্পনা করে যে সে তাদেরকে হত্যা করবে এই ধরণের জঘন্য কাজ করার জন্য। কিন্তু পরে সে বুঝে যে তাদেরকে হত্যা করার কোন অধিকার তার নেই যেহেতু তারা জেনে এই কাজ গুলো করছে না। সে কল্পনা করে যে, একজন অথবা দুইজন বন্দী নরখাদকদের কাছ থেকে উদ্ধার করে তার চাকর বানাতে। যখন সে দেখে যে একজন বন্দী তাদের কাছ থেকে পালিয়েছে, সে ঐ পলায়নকৃত লোককে সাহায্য করে এবং নরখাদকদের কাছ থেকে উদ্ধার করে। ক্রুসো তাকে শুক্রবারে পায় বলে তার নাম রাখে ফ্রাইডে। ক্রুসো তারপর তাকে ইংরেজি শেখায় এবং খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করেন। পরবর্তীতে যখন আরও স্থানীয় নরখাদক তাদের ঐ ভোজ উৎসব করতে আসে তখন ক্রুসো এবং ফ্রাইডে দুইজন মিলে নরখাদকদের বেশিরভাগকে হত্যা করে এবং আরও দুইজন বন্দীকে রক্ষা করে। তাদের একজন ফ্রাইডের বাবা এবং অপরজন একজন স্পেনীয় নাবিক, যিনি ক্রুসোকে জানান যে আরও একটি স্পেনীয় জাহাজ প্রধান ভুমিতে বিধ্বস্ত হয়েছে। তার পর তারা একটি পরিকল্পনা করেন এইভাবে যে, স্পেনীয় নাবিক এবং ক্রুসোর বাবা জাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঐ প্রধানভূমিতে যাবে এবং অন্য যারা আছে তাদের ফেরত এনে একটি জাহাজ তৈরি করে তারা সবাই মিলে স্পেন বন্দরের দিকে রওনা করবে।



স্পেনীয়রা (যাদেরকে আনতে যাওয়া হয়েছে) ফিরে আসার পূর্বেই একটি ইংরেজ জাহাজ আবির্ভাব হয়; এই জাহাজের বিদ্রোহীরা ঐ জাহাজটিকে নির্দেশ দিয়ে চাল্লাচ্ছে এবং বিদ্রোহীরা অভিপ্রায় করে যে তারা তাদের ক্যাপ্টেনকে এই দ্বীপে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রেখে যাবে ফলে পুরো জাহাজ তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ক্রুসো এবং ঐ ইংরেজ ক্যাপ্টেন তার জাহাজের নিয়ন্ত্রণ তার হাতে ফিরে পাবার জন্য একটি চুক্তি করে। তারপর ক্রুসো, ক্যাপ্টেন এবং ঐ ইংরেজ জাহাজের বিশ্বস্ত নাবিকেরা মিলে জাহাজটি তাদের আয়ত্তে নিয়ে আসেন এবং দুষ্ট ঐ বিদ্রোহীদের দ্বীপে রেখে যায়। ইংল্যান্ডে ফিরে যাবার পূর্বে ক্রুসো বিদ্রোহী নাবিকদের দেখান যে কিভাবে সে একাকী এই দ্বীপে টিকে ছিলো এবং বলে যান যে, আরও লোক এই দ্বীপে আসতে থাকবে। ক্রুসো ১৯শে ডিসেম্বর ১৬৮৬ সালে তার দ্বীপ ত্যাগ করেন এবং ১১ই জুন ১৬৮৭ সালে ইংল্যান্ডে পৌছায়। সে ফিরে এসে জানতে পারে যে তার পরিবার মনে করেছে যে সে মারা গেছে। ফলে তার বাবা উইলে তার জন্য কিছুই রেখে যাননি। ক্রুসো তারপর লিসবনে যান ব্রাজিলে তার এস্টেটের মুনাফা ফিরে পেতে এবং সেখান থেকে সে প্রচুর সম্পদ লাভ করেন। অবশেষে সে তার সম্পদ নিয়ে স্থল পথে আসেন সমুদ্র পরিহার করার জন্য। ফ্রাইডে তার সাথে ছিলো এবং পথিমধ্যে তারা ক্ষুধার্ত নেকড়ের সাথে শেষ একটি দুঃসাহসিক যুদ্ধের সম্মুখীন হয় যখন তারা পায়ারনিস (Pyrenees) পার হচ্ছিলো।“ (৪)



একটি কথা আমি এ পোষ্টটি লিখেছি শুধুমাত্র লিখা ভালো লাগায়।



এ ব্লগে অনেক রাজপড়ুয়া আছেন বিশেষ কোন নাম উল্লেখ করলাম না তবে অনেকেই আছেন যাদের হাজার হাজার বই পড়া আছে। আমার হাজার হাজার বই পড়া না থাকলেও অল্প কিছু বই ঠিকই পড়েছি আলহামদুলিল্লাহ।



আমি পড়তে ভালোবাসি।



আপনাদের কাছে আমার এটাই চাওয়া যে, আপনাদের ভালো লাগা কিছু বইয়ের নাম বলবেন, ইনশাআল্লাহ সে বইটি আমার লাইব্রেরী আলোকিত করবে ।





যখন আপনার দেয়া নামের বইটি আমার লাইব্রেরীতে দেখবো ঠিক তখন আপনার কথা মনে পরে যাবে।



(১)http://www.rokomari.com/book/7521



(২)http://www.somewhereinblog.net/blog/shornoblog/29200955



- কৃতজ্ঞতাঃ ব্লগার স্বর্ণলতা



(৩)http://bn.wikipedia.org/wiki/দীপু_নাম্বার_টু_(উপন্যাস)



(৪) Click This Link



(উৎসর্গঃ সাদিয়া আপু, যিনি রাজপড়ুয়া, ব্লগিং এর একজন নক্ষত্র ব্লগিং শুরু করার পর থেকে আপুর কাছে আমি বিভিন্নভাবে কৃতজ্ঞ।



আল্লাহ আপুকে দ্বীনের খাদিমাহ হিসেবে কবুল করুন আমিন)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.