নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট গড়ে ওঠার ইতিহাস

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২



ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট সংক্ষেপে আইসিল ইরাক এবং সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকারী একটি সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী । এছাড়াও তারা লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল মিশরের সিনাই উপদ্বীপ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা তাছাড়াও দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় আছেন । আরবিতে এর নাম আদ দাওলাহ আল ইসলামিয়া ফি আল ইরাক ওয়াশ শাম । তাছাড়াও এই দল ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড সিরিয়া বা ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড আল শাম সংক্ষেপে আইসিস নামেও পরিচিত বলে জানা যায় । ২০১৪ সালের জুনে দলটি তাদের নাম বদলে ইসলামিক স্টেট আইএস রাখে । তবে মুসলিম বিশ্বে এই নতুন নাম ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় । জাতিসংঘ আইসিলকে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী করেছে ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের বিরুদ্ধে জাতিগত হত্যাকান্ডের অভিযোগ আরোপ করেছেন । জাতিসংঘ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, ভারত এবং রাশিয়া আইসিলকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছে । আইসিলের বিরুদ্ধে ৬০টির বেশি দেশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুদ্ধরত । ১৯৯৯ সালে এই গোষ্ঠী জামাত আল তাওহিদ ওয়াল জিহাদ নামে আত্মপ্রকাশ করে পরে ২০০৪ সালে তা তানজিম কাইদাত আল জিহাদ ফি বিলাদ আল রাফিদাইন বা সাধারণভাবে আল কায়েদা ইরাক একিউআই নামে নাম বদল করে । এসময় তারা আল কায়েদার সাথে তাদের মৈত্রী জানায় । ২০০৩ ইরাক আক্রমণের পর তারা যুদ্ধে অংশ নেয় । ২০০৬ সালে আইসিল আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী মুজাহিদিন শুরা কাউন্সিলের সাথে যোগ দেয় এবং পরে তারা ইসলামিক স্টেট অব ইরাক আইএসআই নামক ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দেন । আইএসআই ইরাকের আল আনবার, নিনেভেহ, কিরকুক এবং অন্যান্য স্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান লাভ করেন । তবে ২০০৮ সাল নাগাদ তাদের আত্মঘাতি হামলাসহ অন্যান্য সহিংসতার কারণে সুন্নি ইরাকি ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে তাদের নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টির হয় । এই দল আবু বকর আল বাগদাদীর নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণভাবে বেড়ে উঠেন । সিরিয়ান গৃহযুদ্ধে অংশ নেয়ার পর তারা সিরিয়ার সুন্নি অধ্যুষিত বিরাট অংশে তাদের আধিপত্য কায়েম করেন । সিরিয়ায় সম্প্রসারণের পর ২০১৩ সালের এপ্রিলে দলের নাম বদলে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট রাখা হয় । এসময় আল বাগদাদী সিরিয়া ভিত্তিক গোষ্ঠী আল নুসরা ফ্রন্টের সাথে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেন । ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আল কায়েদার সাথে আইসিলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তবে আট মাস ক্ষমতাকেন্দ্রিক লড়াইয়ের পর আল কায়েদা তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে । ২০১৪ সালের ২৯ জুন আইসিল খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন । এবং আবু বকর আল বাগদাদীকে খলিফা ঘোষণা করা হয় । খিলাফত ঘোষণার পর তারা বিশ্বব্যপী মুসলিমদের উপর ধর্মীয়, রাজনৈতিক এবং সামরিক কর্তৃত্ব দাবি করেন । আইসিল ঘোষিত খিলাফত ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন । এসব কাজের মধ্যে রয়েছে বিনাবিচারে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ হত্যা, শিরচ্ছেদ ও আগুনে পুড়িয়ে প্রতিপক্ষ এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা দৃশ্যের ভিডিও প্রকাশ, প্রাচীন পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন ধ্বংস ইত্যাদি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.