নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃহত্তম সুলায়মানি মসজিদ এর ইতিহাস

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩


সুলায়মানি মসজিদ তুরস্কের ইস্তানবুল শহরের সর্ব বৃহত্তম একটি মসজিদ। মসজিদটি উসমানীয় স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি নিদর্শন। রাজা প্রথম সুলাইমান এটি নির্মাণের আদেশ দেন এবং তার নামেই এর নামকরণ করা হয়েছে। মসজিদটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের শৌর্য বীর্যের প্রতীক হিসেবে নির্মাণ করা হয়। ১৬শ শতকের প্রথমার্ধে সুলায়মানের অধীনে উসমানীয় সাম্রাজ্য উন্নতির শিখরে পৌঁছে।
উসমানীয়রা ছিল মধ্য এশিয়ার যাযাবর জাতির লোক। তারা ১৪৫৩ সালে খ্রিস্টান নগরী কোন্সতান্তিনোপল দখল করেন এবং তার নাম বদলে ইস্তানবুল রাখেন। তারা শহরটিকে একটি ইসলামী শক্তিকেন্দ্রে পরিণত করেন। সুলায়মান তার সাম্রাজ্যের গৌরব প্রকাশার্থে শহরের কাছের পাহাড়ে একটি বিরাট মসজিদ নির্মাণের আদেশ দেন।

মসজিদের ভেতর থেকে দৃশ্যমান মূল গম্বুজ
মসজিদটির বিরাট গম্বুজ এবং দীর্ঘ মিনারগুলি ইস্তানবুল শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে দৃশ্যমান। উসমানীয় সাম্রাজ্যের শুরুর দিকের শ্রেষ্ঠ স্থপতি সিনান এই মসজিদটি নকশা করেন। সুলায়মানি মদজিদটি শুরুতে আরো বড় একটি ভবনব্যবস্থার কেন্দ্রীয় অংশ ছিল যাতে ছিল মাদ্রাসা, গণরান্নাঘর বা ইমারেত ও হাসপাতাল এবং গ্রন্থাগার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে ভবনব্যবস্থার অন্যান্য ভবনগুলি ঐসব কাজে ব্যবহৃত না হলেও মসজিদটি এখনো প্রার্থনার কাজেই ব্যবহার করা হয়। মিনারের লাউডস্পিকারগুলি দিয়ে এখনও মুসল্লীদের নামাজ পড়ার আহ্বান জানানো হয়।

মসজিদের অভ্যন্তরভাগ
একটি জমকালো প্রবেশদ্বার বহিরাগতকে অভ্যন্তরভাগের উঠানে প্রবেশের অভ্যর্থনা জানায়। বিশাল দ্বারটির নকশা মসজিদের অভ্যন্তরের মিহরাব অথবা প্রার্থনার স্থানটির আদলে তৈরি এবং এটি মক্কার দিকে নির্দেশ করছে। দরজাটির আকার এবং আকৃতি অভ্যন্তরের বিশালতাকে নির্দেশ করছে।

ঐতিহাসিকভাবে মসজিদে মাত্র একটি মিনার থাকতো যেখান থেকে মুয়াজ্জিনেরা আজান দিতেন। সুলায়মানি মসজিদে প্রথমবারের মত চারটি মিনার ব্যবহার করা হয়। চারটি মিনার নির্দেশ করে যে প্রথম সুলায়মান ছিলেন ইস্তানবুলের চতুর্থ সুলতান। আর দশটি ব্যালকনি নির্দেশ করে তিনি ছিলের রাজা প্রথম উসমান থেকে শুরু করে সমগ্র উসমানীয় রাজবংশের ১০ম সুলতান। মূল গম্বুজের কাছে অবস্থিত লম্বা মিনারগুলি ৭৬ মিটার উঁচু আর ছোট মিনারগুলি ৫৬ মিটার উঁচু। সুলয়মানি মসজিদের উঠানটিতে নামাজের সময় অতিরিক্ত মানুষ ধারণের কাজে এবং কবর দেয়ার আগে মৃতের শেষকৃত্যের কাজে ব্যবহৃত হয়। উঠানটির মেঝে উৎকৃষ্ট শ্বেত মর্মর পাথরে নির্মিত এবং এর কেন্দ্রস্থলে একটি ঝর্ণা আছে।

মসজিদের চত্বর
মসজিদের অভ্যন্তর একটি বিরাট উন্মুক্ত জায়গা। এই উন্মুক্ত চত্বরে মুসল্লিরা একত্রে নামাজ পড়তে পারেন। ইসলামের ইতিহাসের শুরুতেই মসজিদের স্থাপত্যের ধারণাগুলি গড়ে উঠেছিল। মদিনাতে মুহম্মদ সঃ এর সাদাসিধে বাড়িতে যেভাবে নামাজ পড়া হতো আধুনিক মসজিদগুলিতে সেই একই ধারণাগুলি অনুসরণ করার চেষ্টা করা হয়। সব মসজিদেই একটি সান বা উঠান থাকে এবং পাশে থাকে কিছু ছায়া আচ্ছাদিত জায়গা ও প্রার্থনার জন্য একটি দালান। সুলায়মানি মসজিদে মিশরের কায়রো এবং তুরস্কের উসাক শহর থেকে আনা বিশাল কার্পেট দিয়ে মেঝে ঢাকা হয়েছে। কার্পেটের নকশাগুলি মক্কার দিকে নির্দেশ করছে। সম্মানের প্রতীক হিসেবেই মসজিদের মেঝেগুলি কার্পেটে আবৃত করা হয় । আর এ দ্বারা বোঝানো হয় যে কার্পেটের নিচের ভূমি আল্লাহর প্রতি উৎসর্গীকৃত। ছাদের কাছে বিশেষভাবে নির্মিত থালা ঝুলানো আছে যেগুলি মিম্বার থেকে ইমামদের কন্ঠ সারা মসজিদে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। মসজিদের বহু জানালা দিয়ে প্রাকৃতিক আলো প্রবেশ করে এবং উন্মুক্ততার অনুভূতি সৃষ্টি করে যা ঐশ্বরিক চিন্তাভাবনায় সহায়ক।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
অনেক কিছু জানলাম।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ।

২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

রাশেদ বিন জাফর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভালো লাগল..............

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আপনাদের ভাল লাগায় লেখায় উৎসাহ পাই ভাই । ধন্যবাদ ।

৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১১

শরাফত বলেছেন: এই মসজিদটির ইতিহাস জানা থাকলেও মিনার এবং ব্যালকনির এই ক্যালকুলেশন জানা ছিলোনা।
অনেক ধন্যবাদ ।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য ।

৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ধন্যবাদ।অনেক কিছু জানতে পারলাম। শুভেচ্ছা।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য ।

৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

সায়ান তানভি বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।
+++++

৭| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

আমি মিন্টু বলেছেন: অসাধারন ভালো পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মিন্টু ভাইয়া।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: Value share

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.