নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাইলাতুল কদর সম্পর্কে আমাদের যে ভুল ধারনা

০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১


শবে কদর কে আরবিতে লাইলাতুল কদর বলে। এর অর্থ অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। লাইলাতুন অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং কদর শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। তাছাড়াও এর অন্য অর্থ হলো ভাগ্য, পরিমাণ এবং তাকদির নির্ধারণ করা। এ রাতে মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই এই রাত অত্যন্ত পুণ্যময় এবং মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত। কুরানের বর্ননা অনুসারে আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর উপাসনা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। প্রতিবছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর মুসলিমদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে ।

ইতিহাস পড়ে যতদূর জানা যায় ৬১০ হিজরীতে শবে কদরের রাতে মক্কার নূর পর্বতের হেরা গুহায় ধ্যানরত নবী মুহাম্মদ (সাঃ)এর নিকট সর্বপ্রথম কোরআন নাজিল হয়। কোন কোন মুসলমানের ধারণা তার নিকট প্রথম সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাজিল হয়। অনেকের মতে এই রাতে ফেরেশতা জীবরাইল এর নিকট সম্পূর্ন কোরআন অবতীর্ন হয় যা পরবর্তিতে ২৩ বছর ধরে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) নিকট তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট আয়াত আকারে নাজিল করা হয়।
তবে মুসলমানদের জন্য এই রাতটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি রাত ।এই রাত সর্ম্পকে হাদিস শরীফে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। এমনকি আল কোরআনে সূরা ক্বদর নামেও একটি পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে। এই সুরায় শবে কদরের রাত্রিকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মুহাম্মদ (সাঃ)এর পূর্ববর্তী নবী এবং তাদের উম্মতগণ দীর্ঘায়ু লাভ করার কারনে বহু বছর আল্লাহর ইবাদাত করার সুযোগ পেতেন। কোরান ও হাদীসের বর্ননায় জানা যায় ইসলামের চার জন নবী যথা আইয়ুব, জাকরিয়া , হিযকীল ও ইউশা ইবনে নূন প্রত্যেকেই আশি বছর স্রষ্টার উপাসনা করেন এবং তারা তাদের জীবনে কোন প্রকার পাপ কাজ করেননি। কিন্তু মুহাম্মদ থেকে শুরু করে তার পরবর্তী অনুসারীগণের আয়ু অনেক কম হওয়ায় তাদের পক্ষে স্রষ্টার আরাধনা করে পূর্ববর্তীতের সমকক্ষ হওয়া কিছুতেই সম্ভপর নয় বলে তাদের মাঝে আক্ষেপের সৃষ্টি হয়। তাদের এই আক্ষেপের প্রেক্ষিতে তাদের চিন্তা দুর করার জন্য সুরা ক্বদর নাজিল করা হয় বলে হাদিসের বর্ননায় জানা যায়

লাইলাতুল কদর রাত্রীর গুরুত্ব
মুসলমানদের কাছে শবে কদর এমন মহিমান্বিত বরকতময় এবং বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এই জন্য যে এ রজনীতে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেনঃ

নিশ্চয়ই আমি তা কোরআন অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি বিরাজ করে উষার আবির্ভাব পর্যন্ত। (সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)


কদরের রাত্রের যাবতীয় কাজের ইঙ্গিত দিয়ে এই রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের অন্যত্র ঘোষণা করেছেনঃ

হা-মীম! শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি তা কোরআন এক মুবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। (সূরা আদ-দুখান, আয়াত: ১-৪)

ইসলাম ধর্ম মতে শবে কদরের রাতে ফেরেশতারা ও তাঁদের নেতা জিবরাঈল পৃথিবীতে অবতরণ করে উপাসনারত সব মানুষের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতে থাকেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, শবে কদরে হজরত জিবরাঈল (আ.) ফেরেশতাদের বিরাট একদল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামাজরত অথবা জিকিরে মশগুল থাকে তাঁদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (মাযহারি)

লাইলাতুল কদরে পরবর্তী এক বছরের অবধারিত বিধিলিপি ব্যবস্থাপক ও প্রয়োগকারী ফেরেশতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিজিক, সবকিছুর পরিমাণ নির্দিষ্ট ফেরেশতাদেরকে লিখে দেয়া হয়, এমনকি কে হজ্জ করবে, তা ও লিখে দেয়া হয়। মুসলমানদের কাছে কদরের রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কোরআনের সুরা কদরে উল্লেখ আছে, হাজার মাস উপাসনায় যে পূন্য হয়, কদরের এক রাতের উপাসনা তার চেয়ে উত্তম।লাইলাতুল কদরের রাতে সৎ এবং ধার্মিক মুসলমানদের ওপর আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। লাইলাতুল কদরে মুসলিমরা আল্লাহর কাছে মাগফিরাত, নাজাত ও ক্ষমা পাওয়ার পরম সুযোগ লাভ করে। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে ইসলামের মহানবী বলেন, যে ব্যক্তি এ রাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করবে, আল্লাহ তাঁর পূর্বেকৃত সব গুনাহখাতা মাফ করে দেবেন। (বুখারি)

হাদীসের বর্ননা অনুযায়ী, লাইলাতুল কদরের রজনীতে যে বা যারা আল্লাহর আরাধনায় মুহ্যমান থাকবে, স্রষ্টা তাঁর ওপর থেকে দোজখের আগুন হারাম করে দেবেন। এ সম্পর্কিত হাদীসটি হল, সমস্ত রজনী আল্লাহ তাআলা লাইলাতুল কদর দ্বারাই সৌন্দর্য ও মোহনীয় করে দিয়েছেন, অতএব তোমরা এ বরকতময় রজনীতে বেশি বেশি তাসবিহ-তাহলিল ও ইবাদত বন্দেগিতে রত থাকো। অন্য হাদিসে তিনি বলেছেন, তোমরা তোমাদের কবরকে আলোকিত পেতে চাইলে মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর রাতে জেগে রাতব্যাপী ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দাও।

হাদিস অনুযায়ী ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজান দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। আয়েশা থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ আছে, মুহাম্মদ রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতে শবে কদর সন্ধান করো। (বুখারি ও মুসলিম) আরেকটি হাদিসে মুহাম্মদ বলেছেন, মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে তোমরা শবে কদর সন্ধান করো। (সহীহ বুখারী)।
মহানবী (সাঃ)কে তার স্ত্রী আয়েশা শবে কদর সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে রাসুলুল্লাহ! আমি যদি লাইলাতুল কদর পাই তখন কী করব? তখন নবী মত দেন, তুমি বলবে, হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করে দিতে ভালোবাসেন অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। (তিরমিযি) লাইলাতুল কদর গোটা মানবজাতির জন্য অত্যন্ত পুণ্যময় রজনী এবং এই রাত বিশ্ববাসীর জন্য স্রষ্টার অশেষ রহমত, বরকত ও ক্ষমা লাভের অপার সুযোগ এনে দেয়। এ রাতে কোরান শরীফ নাজিল হয় যার অনুপম শিক্ষাই ইসলামের অনুসারীদের সার্বিক কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি, ইহকালীন শান্তি ও পারলৌকিক মুক্তির পথ দেখায়।

সব শেষে শিরোনামের বিষয়টি হলো আমরা অনেকেই মনে করি রমজান মাসের ২৬শে রমজান দিন পার হয়ে যে রাত্রী আছে
সেটা লাইলাতুল কাদিরে রাত্রী ।আসলে এ ধারনাটি আমাদের ভুল । মূল বিষয় হচ্ছে রমজানের শেষ দশ ভাগের বা শেষের দশদিনের ভিতরে যে কোন একটি বেজোড়া রাত্রীতে এই লাইলাতুল কাদিরের দিন হতে পারে । আর ২৬শে রমজান রাত্রীতে আমাদের দেশের মসজিদগুতে কুরআন খতম দেয়া হয় তাই এই রাত্রীতে প্রতিটি মসজিদে বিশেষ দোআর আয়োজন করা হয় । তাই বলে এটাই যে লাইলাতুল কদরের রাত্রী সেটাও পরিপূর্ণ বলা যাবে না । হয়ত ধারনা করা যেতে পারে ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

কল্লোল পথিক বলেছেন:



সুন্দর পোস্ট।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ভাই ।
প্রতিবছর আমিও গননার চেষ্টা করি যদি ভাগ্যে পেয়ে যাই । আপনিও ভাই চেষ্টা করুন । আল্লাহু আমাদের উপর রহমত করুক ।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

খোলা মনের কথা বলেছেন: হেডিং এর সাথে লেখা মিল রাখা উচিৎ। ভাল লিখেছেন তবে আপনার হেডিং এর সাথে কোন মিল খুজে পেলাম না।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজান দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। আয়েশা থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ আছে, মুহাম্মদ রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতে শবে কদর সন্ধান করো। (বুখারি ও মুসলিম) আরেকটি হাদিসে মুহাম্মদ বলেছেন, মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে তোমরা শবে কদর সন্ধান করো। (সহীহ বুখারী)।

আমি এটাই বলতে চেয়েছি যে আসলে আমরা অনেকেই মনে করে শুধু আজকেই লাইলাতুল কদর আর সে জন্য আজকে আমরা লাইলাতুল কদর পালন করবো । কিন্তু আসলে রমজানে শেষের দশরাত্রীর ভিতর যে কোন একটি রাত্রীতেই হতে পারে ।
তাই আমাদের রমজান মাসের ১৯ রমজানের পরে রমজানের শেষের ১১দিন লাইলাতুল কদর গনণা করা উচিৎ ।

ধন্যবাদ আশা করি বুঝতেই পারছেন ।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

অশ্রুকারিগর বলেছেন: পোস্ট পড়ে কমেন্ট করতে এসে দেখলাম খোলা মনের কথা খোলা মনে আমার মনের কথাই বলে গেছেন। পোস্টের শিরোনামের সাথে বিষয়বস্তুর কোন মিল পেলাম না। তাছাড়া শবে কদর নিয়ে তো মানুষের মনে কোন ভুল ধারণা নেই, শবে বরাত নিয়ে অনেক ভ্রান্তি আছে। তাহলে ?

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজান দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। আয়েশা থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ আছে, মুহাম্মদ রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতে শবে কদর সন্ধান করো। (বুখারি ও মুসলিম) আরেকটি হাদিসে মুহাম্মদ বলেছেন, মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে তোমরা শবে কদর সন্ধান করো। (সহীহ বুখারী)।

আমি এটাই বলতে চেয়েছি যে আসলে আমরা অনেকেই মনে করে শুধু আজকেই লাইলাতুল কদর আর সে জন্য আজকে আমরা লাইলাতুল কদর পালন করবো । কিন্তু আসলে রমজানে শেষের দশরাত্রীর ভিতর যে কোন একটি রাত্রীতেই হতে পারে ।
তাই আমাদের রমজান মাসের ১৯ রমজানের পরে রমজানের শেষের ১১দিন লাইলাতুল কদর গনণা করা উচিৎ ।

ধন্যবাদ আশা করি বুঝতেই পারছেন ।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

আহলান বলেছেন: ভুল ধারনা কি সেটাই তো খুইজ্যা হয়রাণ হইলাম ... :(

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বুঝার চেষ্টা করুন আশা করি বুঝতে পারবেন ।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

সিগনেচার নসিব বলেছেন: পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার শেয়ার ।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

বাংলা অল নিউজ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল ।

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

সুমন কর বলেছেন: পড়ে গেলাম।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ইসলাম কিংডম বলেছেন: আয়েশা রাযি. বলেন,‘ আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি লায়লাতুল কদর পাই তবে কি দুআ করব? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলো,‘ اللهم إنك عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُ الْعَفْوَ، فاعْفُ عَنِّي অর্থাৎ হে আল্লাহ, আপনি অতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু, আপনি ক্ষমা করাকে পছন্দ করেন, তাই আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

হাকিম৩ বলেছেন: হুম বুঝতে পারছি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.