নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ জেনগুয়ো বৌদ্ধ মন্দিরের সাথে পিরিচিত হওয়া যাক

২২ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩


জেনগুয়ো মন্দির চীনের পিংইয়াও থেকে প্রায় ১০ কি.মি. দূরে চানশি প্রদেশের হাদংসুন গ্রামে অবস্থিত একটি বৌদ্ধ মন্দির। ওয়াংফো হল নামে পরিচিত মন্দিরটির সবচেয়ে পুরাতন কক্ষটি ৯৬৩ সালে উত্তরাঞ্চলীয় হান রাজবংশের রাজত্বকালে নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি কক্ষের বিমগুলোর জন্য প্রসিদ্ধ যা কক্ষের ছাদ এবং এর ঝুলে থাকা প্রলম্বিত অংশকে ধরে রাখে। কক্ষের ভিতরের কারুকার্যগুলো চীনের ১০ম শতাব্দীর বৌদ্ধ কারুশিল্পের সীমিত নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম।৯৬৩ সালে ওয়াংফো হল নির্মাণের মধ্য দিয়ে মন্দিরটির ইতিহাসের সূচনা ঘটে। হলস্থিত একটি বিমের উপর নির্মাণের তারিখটি খোদাই করা রয়েছে। ১৯ শতকে লিখিত পিংইয়াও প্রদেশের একটি আঞ্চলিক কাহিনী থেকেও এই তারিখটি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ১৮১৯ সালে লিখিত একটি প্রস্তরলিপি থেকে এর সত্যতা পাওয়া যায়। জেনগুয়ো মন্দিরের সবচেয়ে পুরাতন কুঠি হল এই ওয়াংফো হল। এটি ক্ষণস্থায়ী উত্তরাঞ্চলীয় হান রাজবংশের একমাত্র স্থাপনা যা এখনও টিকে আছে। মন্দিরটির ইতিহাস সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। প্রস্তরলিপি অনুসারে ১৫৪০সালে এবং ১৮১৬ সালে এটি সংস্কার করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে পার্শ্ববর্তী পিংইয়াও শহর এবং শুয়াংলিন মন্দিরের সাথে এই মন্দিরটিও পিংইয়াও এর প্রাচীন শহর নামে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জেনগুয়ো মন্দিরের ওয়াংফো হল। ছাদটি টালিকৃত ছোট ছোট ড্রাগনে সুসজ্জিত। দরজাটি ইট নির্মিত চত্বরের দিকে উন্মুক্ত।
মন্দিরে মোট ৩টি ভবন এদের মধ্যস্থিত ২টি চত্বর ও ২টি হলঘর এবং একটি প্রধান ফটক রয়েছে। সম্পূর্ণ প্রাঙ্গণটি দেয়ালবেষ্টিত। মন্দিরটি দক্ষিণে উন্মুক্ত। তিয়ানওয়াং হলটি মন্দিরের দরজা হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তী হলটি উত্তরে অবস্থিত যার নাম ওয়াংফো হল। শেষ হলঘরটির নাম সানফো হল যা কিং রাজবংশের সাক্ষী। উত্তরের চত্বরটিতে পূর্ব আর পশ্চিমে যথাক্রমে গুয়ানইন ও দিজাং নামে আরও ২টি ছোট হলঘর আছে যেগুলো মিং রাজবংশের সাক্ষ্য বহন করে। তিয়ানওয়াং হলের দুই দিকে ২টি বেল টাওয়ারও রয়েছে। এটি তিয়ানওয়াং হলের চিত্র
এটি ওয়াংফো হলের চিত্র
এটি দিজাং হলের ছবি
এটি গুয়ানইন হলের দৃশ্য
এটি সানফো হলের দৃশ্য
মন্দিরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলঘরটি হল ওয়াংফো হল যা চীনের সবচেয়ে পুরনো কাঠের ভবনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি প্রায় বর্গাকার যার দৈর্ঘ্য ১১.৬ মি. এবং উচ্চতা ৮.৮ মি.। আকারে ছোট এবং হলের মত আকৃতি হওয়া সত্ত্বেও এর গঠনশৈলী অত্যন্ত জটিল। যেমন স্তম্ভগুলো পাথরের বেদীতে না বসিয়ে সরাসরি মেঝেতে গেঁথে দেওয়া হয়েছে । হলঘরটির সামনে এবং পিছনে দরজা রয়েছে। তাছাড়াও হলের সামনের দরজার দুই দিকে ২টি জানালা রয়েছে। সম্পূর্ণ কাঠামোটি ১২টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে। কোণ আর ছাদকে ধরে রাখা স্তম্ভশীর্ষস্থ বন্ধনীগুলো ৭ ডিগ্রি কোণ করে আছে যা উইংযাও ফাশির মতে সবথেকে জটিল আর বড়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই বন্ধনীগুলো প্রায় ২.৫ মি. উঁচু, স্তম্ভগুলোর উচ্চতার প্রায় ৭০ শতাংশ। পাশাপাশি ২টি স্তম্ভের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা স্তম্ভ মধ্যস্থ বন্ধনীগুলো ৫ ডিগ্রি করে ঝুলে রয়েছে। হলঘরটির কোন ছাদ নেই এবং ঊর্ধ্বস্থ এবং নিম্নস্থ বরগাগুলো উন্মুক্ত। ন্যান্সি স্টেইনহার্ডের মতে ভবনের বন্ধনীগুলো উত্তরাঞ্চলের হান শাসকদের সীমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিস্ময়কর গঠনশৈলী নির্মাণের প্রচেষ্টামাত্র।হলঘরটিতে উত্তরাঞ্চলীয় হান শাসনামলের ১১টি ভাস্কর্য বিদ্যমান।মোগাও কু এর বাইরে চীনের একমাত্র ভাস্কর্য হল এগুলো যা এখনও টিকে আছে। বোধিসত্ত্বের ভিত্তিস্বরূপ শাক্যমুনি তথা স্বর্গীয় রাজার একটি ভাস্কর্যেরও জায়গা হয়েছে এখানে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

কল্লোল পথিক বলেছেন:







সুন্দর পোস্ট।
অনেক কিছু জানলাম।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ভাই । নিরঅন্তর ভালোবাসা থাকল ।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

লেখা পাগলা বলেছেন: সুন্দর অসম পোস্ট ।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

কবির ইয়াহু বলেছেন: চমৎকার।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

জুন বলেছেন: ভালোলাগলো চীনের এক প্রাচীন মন্দিরের ছবি দেখে। চীনের এই প্রাচীন মন্দিরগুলো সবই প্রায় একই নকশায় তৈরী। স্তম্ভগুলো কি কাঠের? আমার দেখা বেইজিং আর শিয়ান প্রদেশের মন্দিরগুলো এরকমই দেখতে।
+

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯

কবির ইয়াহু বলেছেন: চমৎকার।

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

মাদিহা মৌ বলেছেন: সুন্দর …

৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

হাকিম৩ বলেছেন: অন্যরকম পোস্ট অনেক ভালো হয়েছে ।

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৩

নকশা মাকড়সা বলেছেন: বানান ঠিক করেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.