নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঊনকুটি ত্রিপুরা রাজ্যের একটি পৌরাণিক স্থান। ঊনকুটি অর্থ এক কোটি থেকে এক কম।
হিন্দু পুরাণ অনুসারে, ভগবান শিব যখন এক কোটি দেব-দেবীর সাথে কাশীতে যাচ্ছিলেন তখন তিনি এই স্থানে এক রাত যাত্রা বিরতি করেছিলেন এবং সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে কাশীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে বললেন তিনি সমস্ত দেব-দেবীকে নির্দেশ দিলেন।
কথিত আছে যে সকালে শিব ছাড়া আর কেউ উঠতে পারেনি তাই ভগবান শিব নিজেই কাশীর উদ্দেশ্যে রওনা হন অন্যদেরকে অভিশাপ দিয়ে যান পাথরের মূর্তি হওয়ার । এর ফলে উনাকোটিতে এক কোটিরও কম পাথরের মূর্তি খোদাই আছে।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ১৭৮ কিলোমিটার দূরে এবং উত্তর ত্রিপুরার প্রধান শহর কৈলাশহর থেকে আট কিলোমিটার দুরে জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ে মুখ লুকিয়ে রেখেছে ঊনকোটি। আর এই ঊনকোটির পাহাড়কে বলা যায় অনুপম শিল্প শৈলির ভান্ডার। শিল্পের ভাষায় এগুলিকে বলা হয়, বাস রিলিফ স্কাল্পচারস। বেশ খানিকটা দূর থেকেই নজরে পড়ে এই শিল্প সম্ভারের। পাহাড়ের গায়ে খোদাই করে এবং পাথর কেটে গড়ে তোলা হয়েছে হিন্দু দেবদেবীর অসংখ্য মূর্তি ও ভাস্কর্য। গোটা পাহাড়টিকে ক্যানভাস করে এক অজানা শিল্পীর দল সৃষ্টির গভীর মগ্নতায় রূপ দিয়েছেন। পাহাড়ের গায়ে সাজানো দেবদেবীর মূর্তির মাঝখানে অধিষ্ঠান শিবের। তিরিশ ফুট উচ্চতার এই শিবের মূর্তির (এটিকে ঊনকোটিশ্বর কাল ভৈরবও বলা হয়) মাথায় রয়েছে ১০ ফুট উচ্চতার উষ্ণিষ। আর শিবের মাথার এক পাশে রয়েছে সিংহবাহিনী দুর্গা, অন্য পাশে মকরে উপবিষ্ট গঙ্গা দেবী। এছাড়াও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাহাড় গাত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আরও অনেক দেবদেবী, হনুমান, নন্দীর ষাড়, রাবণ প্রভৃতিকে।
এই সব প্রস্তর ভাস্কর্যের এক পাশ থেকে নেমে এসেছে জলের ধারা। এই ঝরণাধারা এসে পড়েছে একটি কুন্ডে। নাম অষ্টমী কুন্ড। এই কুন্ড থেকেই যাত্রা শুরু করেছে ত্রিপুরার দীর্ঘতম নদী মনু।
পাহাড়ের এক জায়গায় পাথর কেটে তৈরি করা হয়েছে সুবিশাল গণেশ মুর্তি। পাশে আরও কয়েকটি গনেশ মূর্তি রয়েছে। এই উপমহাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ গণেশ মুর্তি এটি। পাহাড়ে ছড়িয়ে রয়েছে আরও অনেক শিল্পকীর্তি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২৩
বাংলার এয়ানা বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ, গুগুল মাম আছে তো বিস্তারিত জানার জন্যে।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৩
রানার ব্লগ বলেছেন: হিন্দু পুরান ও বেদ মতে কোটি অর্থ সংখ্যা বাচক কোটি নয় এখানে কোটি অর্থ প্রকার বা শ্রেনী । বেদে যে ৩৩ কোটি দেবতার কথা বলা হয়, তা হল ৩৩ প্রকারের উচ্চকোটি সম্পন্ন অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ দেব-দেবী। শাস্ত্রে ৩৩ দেবতার শ্রেণির উল্লেখ পাওয়া যায়।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০০
বাংলার এয়ানা বলেছেন:
ঊনকুটি আর উচ্চকোটি এক নয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২১
শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ
নাম শুনেছিলাম! ছবি দেখা ও বিস্তারিত জানা হয়নি কখনো!