![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নিজের সম্পর্কে যদি বলতে চাই তাহলে এক কথায় আমি খুব অস্থির প্রকৃতির একজন মানুষ । এক কথায় আপাদমস্তক কষ্টের মধ্যে ডুবিয়ে রেখে ও আল্লাহ আমার চার দিকে সুখের একটা খোলস পড়িয়ে দিয়েছে, যে কারনে মানুষ আমাকে বাহির থেকে বুঝতে পারে না । যদি নিজের গুনের কথা বলি তা ল আমি গুছিয়ে চলতে পছন্দ করি , নিজেকে সবসময় \"মিঃ পারফেকশনিস্ট\" বানানোর চেষ্টা করি । আমার দোষ হল অল্প সময়ে ই মানুষকে বিশ্বাস করি এবং নিজের রাগ গোপন করতে পারিনা । ফ্রেন্ড রা বলে আমার সম সাময়িক ফ্রেন্ড দের কাছ থেকে আমি একটু ব্যাতিক্রম । আমার নিজের কাজ আমি নিজে ই করি, কাপড় - চোপড় ওয়াশ থেকে শুরু করে নিজের ফ্ল্যাট গোছানো সব ই।আর লাইফ স্টাইল যদি বলি ব্র্যান্ড এর প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা আছে । যেমন CATS EYE,Gillete, TOMY HILFIGER, Revlon etc and etc. মেচিং করে প্যান্ট, শার্ট, টি- শার্ট- ফতুয়া সব কিছু ই পরা হয় । ব্র্যান্ড এর রিষ্ট ওয়াচ ইউজ করি তবে তা ডান হাতে । বাইক চালাইPulsar 5th এডিশন । সবসময় সাথে রাখি স্মার্টফোন ও মানিব্যাগ । এমনিতে সিম্পল জীবন যাপন মেনটেইন করি । সবসময় একজন ভাল বন্ধুর অভাব অনুভব করি । দেড় বছর বয়সে আব্বা মারা গেছে, কিন্তু যার আদরে আমি বড় হয়েছি অথবা আমার জীবনের সাথে যিনি ওতপ্রোত ভাবে জরিয়ে আছে তিনি আমার বড় আম্মা । আল্লাহ এবং প্রফেট(সঃ) এর উপর পূর্ণ আস্থা রাখি । প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহাম্মেদ । জার্নাল /ম্যাগাজিন এ বিখ্যাত অথবা গ্লামারিয়াস কারো লাইফ স্টাইল সম্পর্কে কোনও প্রতিবেদন দিলে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরি আর অনুসরন করার চেষ্টা করি । যেমনঃ অপ্রাহ উইনফ্রে, ওয়ারেন বাফেট, বারাক ও বামা । আর প্রিয় সখ বলতে ফটোগ্রাফির প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে, তাছারা ভ্রমন এবং শপিং করতে পছন্দ করি ।\nby_\nayub\nTel\n+8801718-061-999\nf- fb.com/ayubkhan999\nt- @ayubkhan999 \ne- [email protected]
আওয়ামী লীগের বিজয়ের বন্দনা করি! জয় হোক আওয়ামী লীগের!
একজন মানুষও ভোট দেয়নি। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আসেনি। তবু আওয়ামী লীগ ও তার মহাজোটের মিত্ররা আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে গেছে! ভোটহীন, প্রার্থীহীন ও নির্বাচনহীন নির্বাচনে জেতার এই অনন্য রেকর্ড এই ভূবিশ্বে একটি দলই করতে পেরেছে। সেটি আমাদের প্রিয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের অভিবাদন গ্রহণ করুন।‘সার্চ কমিটির’ মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন ‘রিসার্চ’ করে করে এভাবে এক অভাবিত নির্বাচনহীন নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পন্ন করেছে! এই কমিশন এমন একটি অবাধ নির্বাচন করতে তা সবচেয়ে বেশি বুঝতে পেরেছিল আওয়ামী লীগ। দলের নেতাদের প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতাকে অভিনন্দন!এই নির্বাচনী বিজয়ের মাহাত্ম্য বলে শেষ করা যাবে না। এই বিজয় সম্পন্ন করার জন্য আওয়ামী লীগ রওশন এরশাদ ও রাশেদ খান মেননকে একসঙ্গে শপথ গ্রহণ করিয়েছে, জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র পরে ‘শিশুতোষ’ গণ্য করে এড়িয়ে গেছে! এই বিজয় সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সময় পার হওয়ার পরও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার গ্রহণ করেছে, অন্যদিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও দলের প্রার্থীরা নিজেরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করার পরও কমিশন তা গ্রহণ করতে অসম্মতি জানিয়েছে। কমিশন জাতীয় পার্টির অসম্মত ও প্রত্যাহারে ব্যর্থ প্রার্থীদের জোর করে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগে বিলীনকামী জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টিকে উদারহস্তে নৌকায় চড়িয়েছে!
এই বিজয় সম্পন্ন করার জন্য আরও বহু কাণ্ডকীর্তি হয়েছে। বিজয় সম্পন্ন করার প্রয়োজনে সন্ত্রাস দমনের বাহিনী র্যাব এরশাদ অসুস্থ তা বুঝতে পেরেছে, অচিরেই হয়তো অন্য কোনো সংস্থা তার মানসিক অসুস্থতাও খুঁজে বের করবে। এই বিজয়যাত্রা এরশাদের অর্ধযুগের সংসার ‘তছনছ’ করেছে, রওশাদ এরশাদকে শহীদ মিলনের স্মৃতিবিজড়িত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়ে এসেছে, কাজী জাফর ‘মীর জাফর’ কিংবা ‘মীরমদন’ কি না সেই গুরুতর বিতর্ক জাতিকে উপহার দিয়েছে। এই বিজয়ের পথে সচরাচর জামানত হারানো বাম নেতারা নৌকায় বিলীন হয়েছেন, গডফাদার, মাদক ব্যবসায়ী বা চোরাকারবারি হিসেবে স্বনামধন্যদেরও বিজয় নিশ্চিত করতে বাকিরা সরে গেছে। বিএনএফ নামে একটি দলের হাইব্রিড জন্ম হয়েছে। এই বিজয়ের রূপকারদের অভিনন্দন।
গণতন্ত্রের এই নব অধ্যায় নির্মাণের পথে বাদ সাধতে চেয়েছিল প্রধান বিরোধী দল। তাই তাদের অফিস বিরতিহীনভাবে পুলিশ-র্যাবে অবরুদ্ধ রয়েছে, বয়সের ভারে ন্যুব্জ বিএনপির নেতাদের রিমান্ডের আদেশ হয়েছে, বাকি নেতারা বাড়িঘর ছেড়ে টেলিফোন বন্ধ রেখে আত্মগোপন করেছেন। বিএনপি অফিস থেকে অবরুদ্ধ, নিঃসঙ্গ ও অসুস্থ সন্ত্রাসী রুহুল কবির রিজভী গ্রেপ্তার হয়েছেন, রিজভীর ডামি সালাহ উদ্দিন আহমদ গোপন ভিডিও বার্তায় পারদর্শী হয়ে লাদেন খেতাব পেয়েছেন। ‘নতুন গণতন্ত্রের শত্রু’ খালেদা জিয়াকে ক্ষুব্ধ মানুষের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পুলিশ মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড দিয়েছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আওয়ামী লীগের একজন বর্ষীয়ান নেতা বহু আগে নেলসন ম্যান্ডেলা, আব্রাহাম লিংকন আর মহাত্মা গান্ধীর সমষ্টি বলে বর্ণনা করেছিলেন। উদার হূদয় এই গুণমুগ্ধ ব্যক্তি পরে রাষ্ট্রপতির পদকে অলংকৃত করেছিলেন। কিন্তু আমরা এত দিনে বুঝতে পারছি যে তিনি আসলে প্রধানমন্ত্রীর যথেষ্ট তারিফ করতে পারেননি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিছু ক্ষেত্রে ম্যান্ডেলা-লিংকনদের সবার সমষ্টিরও ঊর্ধ্বে। ম্যান্ডেলা আর লিংকনরা মিলে তাঁর মতো বন্ধুত্বময় নির্বাচনের কথা ভাবতে পারবেন না! লাস্কি থেকে শুরু করে হান্টিংটন পর্যন্ত পৃথিবীর তাবত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মিলেও গণতন্ত্রের এমন নতুন দ্যোতনা সৃষ্টি করতে পারবেন না। তিনি নতুনভাবে গণতন্ত্রকে বিনির্মাণ করেছেন। আসুন, আমরা তাঁর অবদানকে নতশিরে উপলব্ধি করার চেষ্টা করি।
আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
©somewhere in net ltd.