![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১ম বিশ্ব যুদ্ধে ১,৮৪,২৩৯৭০ জন ও ২য় বিশ্বযুদ্ধে ৮,৫০,০০০০০ জন মানুষ নিহত হল। পারমানবিক বোমা হামলা, সমগ্র পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট, মানবিক বিপর্যয়, অর্থনীতি ধংস সহ আরো কত কি। কিন্তু একবার কি ভেবে দেখা হয়েছে যে, এর পেছনে কোন মহাশক্তি বা এলিয়েন আছে কি যারা নাকি হাজার বছর ধরে একে অপরের সাহায্য ও সমন্বয়ে গড়ে ওঠা বিশ্ব সভ্যতাকে গুড়িয়ে দিয়ে ুিনজেদের প্রভাব বিস্তার বা গোপন লালসা সিদ্ধ করছে। আমাদের কাছে যে সাধারন উত্তর আছে তাহল ১ম বিশ্ব যুদ্ধে অষ্ট্রিয় যুবরাজ হত্যা ও ২য় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের সর্বাত্তকবাদী আকাক্সখা। এই সাধারন উত্তরের বাইরে কিছু ইস্যু ও ঘটনা থেকে এর উত্Íর দেয়ার চেষ্টা করা হবে।
১৮৬৫ আব্রাহাম লিংকনকে হত্যা করার পর আমেরিকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থাপনের জন্য জ্যাকব স্কিফ রথচাইল্ডকে ফ্রাংকফুট থেকে আমেরিকাতে পাঠানো হয়। স্থায়ীভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থাপনের জন্য তিনি ৪টি কৌশল নিয়ে সেখানে যান।
১. আমেরিকার সম্পূর্ন অর্তনৈতিক ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রন নেয়া।
২.এমন কিছু লোক তৈরী করা যারা ফেড়ারেল সরকার, কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্টে তাদের জন্য কাজ করবে।
৩. কিছু সংখ্যালুঘু গ্রপ তৈরী করা যারা দেশে বিশ্রিক্সখলা তৈরি করবে।
৪. এমন একটি আন্দলন তৈরী করা যাতে সেখানকার ধর্ম বিশেষ করে খ্রীষ্টান ধর্মকে ধ্বংস করা যায়। ধর্ম ও হাজার হাজার বছরের সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেয়ার জন্য বিভিন্ন দার্শনিক/থিওরিষ্ট তৈরী করা যেমন ১৭৮৯ সালের ফরাসী বিপ্লবের জন্য ভলতেয়ার, সেক্সুয়াল ফ্রিডমের জন্য সিগমন্ড ফ্রয়েড, ধর্মকে ধ্বংস করার ১৮৪৮ সালের কার্ল মাকসের কম্যৃনিষ্ট মেনিফেস্ট, ফ্রাসিজমের জন্য নিৎসে।
জ্যাকব স্কিফ উক্ত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য ১৮৭১ সালে গিসেপ মাজ্জিনি বিশ্বব্যাপি তিনটি যুদ্ধ ও বিভিন্ন বিপ্লব সংঘটনের জন্য ব্লুপ্রিন্ট তৈরী করেন।
নাথান মেয়ার রথচাইলাড এর ইচ্ছানুসারে ১ম বিশ্বযুদ্ধ হবে রাশিয়ার জারকে ধ্বংস করার জন্য। কারন জার ১৮১৫ সালে বিশ্বসরকারব্যবসস্থা এবং ১৮৫৯ সালে রাশিয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থাপন এবং ১৮৬১-৬৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকার সিভিল ওয়ারে তাদের শত্র লিংকনকে সাহায্য করে। জার শাসনের পরবর্তীতে সেখানে খ্রীষ্টান ধর্ম ধ্বংষ করার জন্য সমাজতান্ত্রিক শাসন চালু করা। আর এ যুদ্ধ বাস্তবায়নের জন্য বৃটিশ ও জার্মান স¤্রাজ্য নিয়ে যে দ্বন্দ আছে তা কাজে লাগানো।
২য় বিশ্বযুদ্ধে ফ্যাসিজম ও জায়োনিজমের (উভয় মতবাদই ইহুদিদেও তৈরী) মধ্য দ্বন্দকে কাজে লাগিয়ে জার্মানিতে ইহুদিদেরকে হত্যা করে জামানীর বিরুদ্ধে ঘৃনা ছড়ানো এবং ফ্যাসিজকে ধ্বংস করা এবং জায়োনিজমকে শক্তিশালি করা। এছাড়া রাশিয়ার সমাজতন্ত্রকে শক্তিশালি করে পুরো খ্রিষ্টানিজমের সমক্ষ করাও এর একটি উদ্দেশ্য ছিল।
৩য় বিশ্বযুদ্ধ হবে ইসলাম এবং জায়োনিজম (ইহুদিবাদকে) একে অপরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি মুসলমানদের ঘৃনা ছড়ানো। যা বর্তমানে শুরু হয়ে গেছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানষিক, আত্বিক ও অর্থনৈনতিক শক্তি নি:শেষ করে দেয়ার জন্য তাদের সাথে যুদ্ধ করতে বাধ্য কররা হবে। এই ষড়যন্ত্রের প্র্রধান মাজ্জিনি ১৮৭২ সালে মারা যাবার পূর্বে আদ্র্রিয়ান লেমিকে তার বিপ্লবি উত্তরাধিকার করে যান। লেমির পরবর্তিতে লেনিন, ট্রটস্কি ও স্টালিন এই গ্রæপের উত্তরাধিকার হন। এদের সকলকেই অর্থ সরবরাহ করেছে রথচাইল্ড পরিবার।
চলবে. . .. . . . .
©somewhere in net ltd.