নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু মুছা আল আজাদ

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

আবু মুছা আল আজাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনসান্টো: দ্যা মোস্ট ইভিল করপোরেশন অন আর্থ (০১)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৬



জিএমও সিড উদ্ভাবন ও সমগ্র পৃথিবীতে এর প্রাসারের জন্য জিএমও জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্টান হল মনসান্টো। প্রতিদ্বন্দী বা বিরোধী যে কাউকে ধ্বংস করা এবং সমগ্র পৃথিবীর ক্ষতি ও এর অধিবাসীকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন ও এর ব্যবহার , বিশ্ব ক্যান্সার প্রসারের অগ্রদুত হিসেবে খ্যাত এবং রকফেলার পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্টান মনসান্টোকে পৃথিবীর সবচেয়ে ইভিল/অশূভ প্রতিষ্টান হিসেবে উ্ল্লেখ করা হয়। কিন্তু কে সেই মনসান্টো এবং কিভাবে তার এত প্রভাব ও শক্তি অর্জিত হল ?



১৯০১০ সালে John Francis Queeny নামে ৩০ বছরের অভিজ্ঞ ফামাসিস্ট এবং নাইট অব মাল্টা ক্লাবের সদস্য এই প্রতিষ্টান প্রতিষ্টা করে। তার স্ত্রী Olga Mendez Monsanto এর নামে প্রতিষ্টানের নামকরন। প্রাথমিক পর্যায়ে saccharin নামের কৃত্রিম সুইটনার উৎপাদন করত যা কোকাকোলাতে ব্যবহার করা হত। saccharin এর ক্ষতিকর প্রভাব এবং মানব শরিরে এর বিষক্রিয়ার প্রভাবের জন্য অমেরিকান সরকার তা বন্ধ করার জন্য মামলা করে। মামলাতে মনসান্টো জয়লাভের ফলে মনসান্টো বাধাহীনভাবে সফট ড্রিংক কোকাকেলার মাধ্যমে বিশ্বকে বিষক্রিয়াযুক্ত করতে থাকে। ২০০৩ সালের পর ইরাকের বহু হাজার বছরের ঐতিহ্য কুষি ও বীজ সংরক্ষন ব্যবস্থা ধ্বংস করে জিএমও সিড চাষ করতে বাধ্য করে।

১৯২০ সালে মনসান্টো ইন্ডািস্ট্রি ও ওষধ শিল্পে রসায়নিক প্রডাক্ট ব্যবহার করার জন্য তা প্রতিষ্ঠানের পরিসর ব্যব ক বৃদ্ধি করে। এসময় aspirin, acetylsalicyclic acid উৎপাদনে তার প্রতিষ্টান পৃথিবীর মধ্য শীর্ষস্থান লাভ করে। পৃথিবীর জন্য হুমকি ,মানব শরীরে carcinogen তৈরী, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য দায়ী রাসায়নিক পদার্থ polychlorinated biphenyls (PCBs) উদ্ভাবন করে। polychlorinated biphenyls শিল্প কারখানায় lubricants, hydraulic fluids, cutting oils, waterproof coatings হিসেবে ব্যবহৃুত হয়। উল্লেখ্য যে এটি উদ্ভাবন এর ৫০ বছর পর এর ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় তবু এখনোও এটি পুরো বিশ্ব জুড়ে সকল প্রানী ও মানব রক্তে এর উপস্থিতি রয়েছে। মনসান্টো এর ক্ষতিকর প্রভাব জানা সত্তেও তা মানুষের কাছে গোপন রাখে।

১৯৩০ সালে ক্যামিক্যাল ব্যবসায়ী মনসান্টো প্রথমবারের মত এর hybrid seed corn এবং ডিটারজেন্ট, industrial cleaning products, synthetic rubbers and plastics উদ্ভাবন করে । এসকল কিছুই টক্সিক।



১৯৪০ সালে ম্যানহাটন প্রজেক্টে ব্যবহার করার জন্য তারা ইউরেনিয়াম এর উপর গবেষনা করে যা হিরোসীমা ও নাগাসাকিতে ব্যবহার করা হয় এবং মানব ও বিশ্বপরিবেশের জন্য মহা ধ্বংস বয়ে নিয়ে আসে। কোম্পানিটি কৃষিতে ব্যবহারের জন্য কীটনাষক উদ্ভাবনের মাধ্যমে খাবার ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থাকেও বিষাক্ত করে।


সোর্স: Click This Link

চলবে...........।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো লেগেছে।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী ।

ভাল লেগেছে বলে প্রীত হলাম।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ফলো করছি, লিখুন........

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মেঘনা পাড়ের ছেলে।
উৎসাহ দেবার জন্য প্রীত হলাম।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই ব্যাটাদের কুকীর্তি এতো অল্পই না কিন্তু | আরো একটু লিখতে পারতেন | আশির দশকের শেষ দিকে একবার সম্ভবত গ্রামীণব্যাংক (ঠিক মনে করতে পারছি না কিন্তু সম্ভবত বাংলাদেশী পার্টনারটা গ্রামীণব্যাংকই ছিল) এদের সাথে জয়েন্টলি বাংলাদেশে কিছু করতে চাচ্ছিলো | খুব সম্ভবত এদের উৎপাদিত ধানের কীটনাশক ব্যবহার নিয়ে কিছু |তখনই মন্তসান্টোর বিশ্বব্যাপী কুকীর্তির কথাগুলো বাংলাদেশে প্রকাশ পায় | বাংলাদেশে তাদের পার্টনারশিপে কাজটা সেজন্য আর হতে পারেনি | ধন্যবাদ, একটা প্রয়োজনীয় ব্যাপার আবার সবাইকে জানবার জন্য | সরকারের কর্মকর্তাবৃন্দ যেন এগুলো মনে রাখেন | তা নইলে ঝামেলা লাগতেই পারে |

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: সম্পূরক তথ্য প্রদান ও অভিজ্ঞ মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শভেচ্ছা ভাই মলাসইলমুইনা।

বেশ কয়েকটি পর্বে এ সম্পর্কে লেখা হবে আশা করি উক্ত তথ্য ও আসবে।

এছাড়া ৮০ এর দশকের যে ঘটনা তার কিছুটা আমার লেখা : “গোল্ডেন রাইস” এন্ড ব্লাক লাইস -The Hidden Agenda of Genetic Manipulation: Click This Link পাবেন।

পুরা পৃথিবীর প্রকৃত শত্রু এরাই। বাট নেশন স্টেট এর দ্বন্দ তৈরী করে এসব বিষয়ে বিশ্ববাসীকে ভূলিয়ে রেখেছে।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

সোহানী বলেছেন: হাঁ জি এম ফুড নিয়ে উন্নত বিশ্ব মাথা ঘামায় কিন্তু তা বন্ধের জন্য কোনরুপ চেস্টা করে না। আর এখন এটা এমনভাবে সবকিছুতে ঢুকে গেছে যে তা বন্ধের কোনরুপ সম্ভাবনা নেই। তারউপর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যবসা.......... বিশ্ব পলিটিক্স দাঁড়িয়ে আছে এর ভীতে... কে এগিয়ে আসবে????

চলুক সিরিজটি সাথে আছি....

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী।

বন্ধের জন্য কোনরুপ চেষ্টা করেনী তা নয় এই লেখাতেই দেখেন আছে আমেরিকান সরকার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে বাট পরাজিত হয়। সামনের পর্বে এরকম অনেক মামলা ও প্রতিবাদ এর তথ্য পাওয়া যাবে বাট সব যায়গাতেই তাদের করপোরট সআর্থই অর্জিত হয়েছে।
তাদে;র আসলে কত অর্থ দরকার রকফেলার, রথচা্ইল্ড ড-পন্ট,মরগানের কাছেই পৃথিবীর সকল দেশ ও সরকার ঋণী। এত অর্থ কখনৈা ব্যাক্তিগত ব্যবহারে শেষ হবার নয়। নিউ ফাউনলান্ডে তাদের নিজস্ব খামার রয়েছে যার আয়তন প্রায় ৬০ হাজার বর্গমাইল। এত কিছুর পরও তারা চাই চাই আরো চাই।

আমার কাছে মনে হয় তার ডলার অর্জন করে না বরং মানুষকে বন্দী বা স্লেভ করার জন্য ডলার( আই এমএফ, ফেডারেল রিজার্ভ, বিশ।বব্যাংকে) হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১০

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: এভাবেই চলুক। চলতে চলতে আমরা মরতে থাকি। আসুন সবাই মরি খুব ধিরে ধীরে.........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.