নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত মনের মানুষ, মনের আনন্দে কথা বলা , গান শুনতে ভালো লাগা । দেশের কথা ভেবে দিন পার করা । হলো আমার নেশা ,আমি একটা নেশা খোর , দেশের কথা ভেবে বিভর ।

আজাদ মোল্লা

মুক্ত মনের মানুষ

আজাদ মোল্লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবনা জেলা আমিনপুর থানা বাসী কষ্টে আছি

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪০

পাবনার আমিনপুর থানায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি : দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডাকাত ও চরমপন্থীরা
প্রকাশ: ১০ জুলা, ২০১৫ | রিপোর্ট by নিজস্ব সংবাদদাতা
পাবনার রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে পরিচিত আমিনপুর থানার ঢালারচরসহ সাগরকান্দি, মাশুমদিয়া, রূপপুর, কাজীরহাট, ত্রিমোহনী, তালিমনগর ও খানপুরা এলাকায় চরমপন্থীরা আবারও চরম অশান্ত হয়ে উঠেছে। ঈদকে সামনে রেখে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটছে এ এলাকায়। চরমপন্থী-সন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে চলছে নীরব চাঁদাবাজি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, আমিনপুর থানা পুলিশের ছত্রছায়ায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ডাকাতি, ধর্ষণ, চাঁদাবজিসহ নানা রকম অপকর্ম। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগছেন এ এলাকার সাধারণ মানুষ। পহেলা রমজান থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ এলাকায় মোট ১৪টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নারীদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে ৪ বাড়িতে। ঢালারচর এলাকার এসব চরমপন্থীরা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। সম্প্রতি তারা আবার এলাকায় আসা যাওয়া শুরু করেছে। এ সব চরমপন্থী-সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে আমিনপুর থানার কাজীরহাট, সাগরকান্দি, মাশুমদিয়া, বাঁধেরহাট, ত্রিমোহনী এলাকার সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা প্রায় এক মাস ধরে মোবাইলে অপরিচিত নম্বরের কল ধরা থেকে বিরত রয়েছেন।
গত ৮ জুলাই বুধবার রাতে ঢালারচর ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জনতা দুই ডাকাতকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ঐ রাতে সাগরকান্দি ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ৬/৭ জনের এক ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে নারী ও শিশুদের জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থসহ প্রায় লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। ৭ জুলাই মঙ্গলবার রাতে একই গ্রামের পাষাণ সরদারের বাড়িতে ঢুকে ২মাসের শিশুকে জিম্মি করে ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, টেলিভিশনসহ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল দিয়ে যায়। একইদিনে মাশুন্দিয়া ইউনিয়নের দয়ালনগর গ্রামে ১ বাড়িতে, ৬ জুলাই সোমবার মালঞ্চি গ্রামের ১ বাড়িতে এবং ৫ জুলাই রোববার রাতে সাগরকান্দি ইউনিয়নের মাধিয়ারকান্দি গ্রামে ২ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ২৯ জুন সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ৭/৮ জনের একটি ডাকাত দল তালিমনগর গ্রামের শহীদ মৃর্ধার বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ে শিকার হয়। গত ৩০ জুন মঙ্গলবার সেহরী খাবার সময় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ২৫/২৬ জনের মুখোশ পরিহিত একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল মাশুন্দিয়া ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামের মুকুল সেখ, বকুল সেখ, আঞ্জু খাঁ, ঠাণ্টু খাঁ ও মতিন সরদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির মহিলা ও শিশুদের জিম্মি করে ৮/৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ২ লক্ষ টাকা, ১৪/১৫টি মোবাইল সেট, ৪টি টেলিভিশনসহ মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। গত ২৬ জুন শুক্রবার ভোর রাতে যদুপুর গ্রামে পাষাণ সরদারের বাড়িতে এবং ১৯ জুন শুক্রবার ভোররাতে আরব আলী সেখের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই দুই বাড়ি থেকেও স্বর্ণলঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল সেটসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। এসব ডাকাতির ঘটনা থানায় রেকর্ড হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
রমজানের কয়েকদিনের মধ্যে আমিনপুর থানার ১৪ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ডাকাতের ভয়ে এখন পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে এলাকাবাসী নিজেরাই বুধবার রাত থেকে পালাক্রমে পাহারা দেওয়া শুরু করেছে। আমিনপুর থানার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায় এলাকাবাসীর আতঙ্কের কথা। ডাকাতেরা যেখানেই আক্রমন করছে ডাকাতির পাশাপাশি তারা সুন্দরী নারীদের লাঞ্ছিত করছে। ইতোমধ্যে ডাকাতিকালে ৪ বাড়িতে নারীদের লাঞ্ছিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের বলে তারা নিজেদের সম্ভ্রমের কথা কাউকে কিছু বলছে না।
একের পর এক ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় জনগণ এখন আর পুলিশের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না। আমিনপুর থানার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। কাজীরহাট, মাশুন্দিয়া ও সাগরকান্দি এলাকার আওয়ামীলীগের কয়েকজন প্রবীণ নেতা এ বিষয়ে একই মতামত ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে আমিনপুর থানার ওসি জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, ‘এ সব ডাকাতির ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কেউ থানায় কেউ মামলা করেনি ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১০

প্রামানিক বলেছেন: ইদানিং ডাকাতি বেড়ে গেছে। সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.