নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপন ঘরের খবর নেয় না \nঅনাসে দেখতে পাবি \nকোন খানে সাঁইর বারামখান....

মাঝিবাড়ি

মা, তোমার শাড়ির সুরভী গন্ধ থেকে ফ্রেশ অক্সিজেনটা আমি এখনো খুঁজি! মা!

মাঝিবাড়ি › বিস্তারিত পোস্টঃ

“রাজনীতির শিপনশাড়ি”

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

বাস্তবে এখন যা দেখি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন তুখোড় সাঁচ্চা রাজনীতিবিদ! প্রবল সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে নিজের দলকে সুসংগঠিত করে দাপটের সংগে ক্ষমতায় আছেন! এ ক্ষেত্রে জনাব মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চমৎকার একটি উদাহরণ হতে পারে। বহু রাজনীতিবিদের চিন্তা ভাবনা মঙ্গল্গ্রহে পাঠিয়ে বহুদলীয় জনমতের শ্রদ্ধার পাত্র পরীক্ষিত আওয়ামী পরিবারের প্রাণপ্রিয় জনাব আশ্রাফ কে সরিয়ে পরিবারতন্ত্র থেকে বেরিয়ে জনাব ওবায়দুল কাদেরকে ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে আসা! এতে বুঝা যায় শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রে বেশী বিশ্বাস করেন না, দল আর দেশ আগে! আরেকটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায় নারায়ণগঞ্জের মেয়র আই ভি রহমান, একজন নেত্রী নিজদলে কতটুকু ক্ষমতাবান হলে সাপ-নেউলে মিলিয়ে দিতে পারেন তা একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব রাজনীতিতে বিরল! প্রথম পাঁচ বছর যারা কাজ না করে মিডিয়ার সময় কাটিয়েছেন, লাগাম টেনে ধরেছেন! মান্দাতার আমলের কূটনীতিক নিয়মনীতি পরিহার করে নিজের চারিদিকে শিক্ষিত, কট্টর ধার্মিক, সেকুলার ধার্মিক, মুসলিম-হিন্দু-বুদ্ধ-খ্রিষ্টান, ব্লগার, সংবাদিক, আন্তর্জাতিক শক্ত লবিং বসিয়ে তথাকথিত বিরোধী দলের ন্যায্য দাবীকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দুর্বল বানিয়ে নির্বাচন ছাড়াই দেশ পরিচালনা ছেলে খেলা নয়! এটা শুধু মাত্র একজন দক্ষ রাজনৈতিক ব্যাক্তিই পারেন যিনি ‘বল টু বল’ খেলতে জানেন!

সেক্ষেত্রে তথাকথিত আরেক বিরোধীদলীয় নেত্রীর অবস্থান শূন্য বলা চলে! এখনো শিপনশাড়ি আর পারিবারিক রাজতন্ত্র থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে পারেন নি! পশ্চিমবঙ্গের মমতার মত স্যান্ডেল পরে অলিগলিতে হাটতে জানেন না তিনি, বুড়ো ছাত্রীনেত্রীরা এখনো গাড়ী থেকে হাত ধরে নামাতে হয় উনাকে! এক কেরানীর দুই বস হলে সেই কেরানী ছুটি পায় না, রুটি পায় না! সেই নেত্রীর দলের অবস্থা ঠিক তেমনি দুই মাথায় এক সিদ্ধান্তে আসতে পারেন না! দেশের মানুষের মঙ্গলের যে কোন সিদ্ধান্ত কে নেবেন, গুলশান না লন্ডন? ওয়ান ইলেভেনের পরে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না!

যে কোন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অর্ধ শিক্ষিত দরিদ্র এক জনগোষ্ঠী এক সেনা নায়কের পোশাক দেখে দুর্বল হয়ে গিয়েছিল, পরবর্তীতে তাঁর পরিবারের প্রতিও সেই দুর্বলতার প্রকাশ ঘটিয়েছে বার বার, কিন্তু বাস্তবে সেই ভালবাসার প্রতিদান পায়নি গ্রামের সেই দুর্বল অসহায় মানুষগুলো, হটাত ফুলে ফেঁপে উঠা কিছু কিছু অশিক্ষিত অকর্মণ্য ফার্মের মুরগীর মত নেতাদের কারনে! ফলে বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠী ভালবাসা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে, তাঁরা এখন বিশেষ কোন পরিবারকে প্রাধান্য দেয় না সেটা সদ্য নির্মিত নারায়ণগঞ্জ ফেয়ার ইলেকশনে বিচক্ষন মানুষেরা বুঝে গেছে যে কলাগাছ মানুষে খায় না, গরু ছাগলে খায়!

অন্যদিকে আওয়ামীলীগ আর জাসদ থেকে বেঈমানির জন্য প্রত্যাখ্যাত অপেক্ষাকৃত দুর্বল শ্রেণীর কিছু রাজনীতিবিদ নিজেদের সম্পদ রক্ষা করার জন্য শিপনশাড়ির আঁচলে আশ্রয় নিয়েছে সেই কথা সচেতন সকল রাজনীতিবিদ বার বার বুঝাইলেও সেই নেত্রী কানে তুলেন না! কারন সব চিন্তা চেতনা আপোষহীনতা লন্ডনে বিক্রি করে দিয়েছেন উনি! ভেবেছেন নিজের পরিবার ছাড়া দল অচল হয়ে যাবে! সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ বহু নেতাকে মূল্যায়ন করতে জানেন না উনি! নিজে যে অফিসে বসেন সেখানে মারামারি করে ফুটপাত থেকে নিয়োগ পাওয়া অফিসিয়ালরা! তথাকথিত কোথাকার এক বিশ্বাস, বহু ত্যাগী নেতার কর্মীর ‘বস’ সেজে বসে আছেন! কিছু দিন আগে পোড় খাওয়া এক রাজনীতিবিদ জনৈক ‘জামান সাহেব’ বলেছেন সেই “অবিশ্বাসকে” গুলশান থেকে সরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা নেত্রীর নেই! তেমনি ৬৪ জেলার হাজার হাজার নেতাকর্মী সামলানোতে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে এক ধমকে হাগা-মুতা বাহির করে দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! এমন কোন কলিজাওয়ালা বাপের পুত নেই শেখ হাসিনার সামনে দল নিয়ে ফালতু আলাপ করবে এবং সেই আলাপ বাহিরের জগতের মানুষ জানবে! অথচ গুলশানের সেই নেত্রী আগামী ঈদে কি শাড়ি পড়বে সেটা উনার অফিস থেকে বিশ্বাসের বসন্তের বাতাসের সাথে ভালবাসা করে বেরিয়ে যায় প্রতিনিয়ত!

রাজাকারদের ফাঁসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোয়াইট হাউজ তথা সারাবিশ্বের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে যেখানে সামনে এগিয়ে গেছেন, সেখানে তথাকথিত আরেক নেত্রী প্রশ্ন তুলেছেন বিচার আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে না! আন্তর্জাতিক মানের হইলে রাজাকারদের ফাঁসি না হয়ে যাবত জীবন কারাদণ্ড হলে জনাবা বিরোধী নেত্রী কি খুশী হতেন? রাজাকারদের বিচারে উনার নির্লিপ্ত থাকা এই যুগের জেনারেশন ভালভাবে গ্রহন করে নি, সেটা গেরামের পোলা পাইন বুঝতে পারলেও পোড় খাওয়া একজন রাজ-নেত্রী কেন বুঝতে পারেননি সে বিচারের রায় উনি ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন!

অর্ধ-শিক্ষিত এক যুবক লন্ডনে বসে সেমিনার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বলে বসলেন ‘বঙ্গবন্ধু’ নয় পাকিবন্ধু! সেটা বলাতে বঙ্গবন্ধুর সন্মানের বিন্দু মাত্র হানি ঘটেনি, হানি ঘটেছে আগামীর নেতৃত্বের চরম দুর্বল ব্যাক্তিত্তের! উনার উচিৎ ছিল বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করার আগে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে উনার মা’কে জিজ্ঞেস করে নেয়া! আমি বিশ্বাস করি উনার মা বঙ্গবন্ধু কে মনে প্রাণে শ্রদ্ধা করেন! স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে অথবা স্বাধীনতার প্রশ্নে কয়েকবার বঙ্গবন্ধুকে অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন পিতা মাতার ফ্লেভারে নেতা বনে যাওয়া সেই যুবক! ৭ই মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষণ মনোযোগ দিয়ে না শুনার কারনে লন্ডনে টেমস নদীর হাওয়া খেয়ে পাগলের মত বকেছেন উনি! উনি শুনেন নি বঙ্গবন্ধু বলেছিল......

“ যে পর্যন্ত আমার এই দেশের মুক্তি না হবে, খাজনা ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো- কেউ দেবে না। প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল। এবং তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো”।

এই লাইনগুলোর অর্থ আধুনিক যুগের ছেলে মেয়েরা বুঝে গেছে যে স্বাধীনতার ঘোষণা কি, স্বাধীনতার ডাক কাকে বলে!

শিপন আর চোখে রঞ্জিন চশমার দিন শেষ ম্যাডাম! আপনার সন্তানেরা এখন গ্লোবাল ভিজেলের সন্তান, তাঁরা এখন ৪-জি চালায়! ১০০ টাকার বিরানির প্যাকেটের দিন শেষ! ‘মার্ক জুকার বারগ’ বস্তির ছেলেদের রাজপথে মারামারি করার সময় কেড়ে নিয়েছে, তাঁরা এখন ল্যাপটপে বসে ফ্রিলেন্সিং এ ইনকাম করে! এখনই সময় তাঁতের শাড়ি পরে চুল খুলে স্যান্ডেল পরে বাহিরে আসুন, রাস্তায় রাস্তায় হাঁটুন, মানুষের অধিকারের কথা শুনুন। লন্ডন নয় দেশ প্রেমিকদের হাতে দল তুলে দিন, এদেশের মানুষ উপকৃত হবে, এদেশ উপকৃত হবে! আগামী প্রজম্মের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ দিয়ে যান আপনারা, না হয় ক্ষমা নেই, ওপারে গেলেও সারাজনম তিরস্কারে জর্জরিত হবেন! পরিশেষে ভাল থাকবেন প্রিয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও প্রিয় বিরোধী দলীয় দেশ-নেত্রী!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

জীবন সাগর বলেছেন: একজনের মাথায় ছাই, আরেক জনের গোবর। ছাই গোবর কলাগাছের গোড়াতে ঢালরে কলাগাছ মোটা তাজা হয়। বাংলার মানুষ বুঝে গেছে কলা গাছ মাইনষে খায় না, গরুরা খায়।


আপনার কথাগুলো ভালো লাগলো। ভালো লাগলো শেষের লাইনের আহ্বান আর সম্মানিত করার ধরণ। যথেষ্ট বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। পোষ্টে কৃতজ্ঞতা রইল।

(উপরে লাইনটা অপ্রাসঙ্গিক বলে ফেলেছি হয় তো, কেউ কষ্ট পেলে ক্ষমার চোখে দেখবেন।)

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

মাঝিবাড়ি বলেছেন: ধন্যবাদ জীবন সাগর! আপনার এড করাটা ছিল চমৎকার! আর মন্তব্য ছিল অসাধারন! শুভ কামনা আপনার জন্য!

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বাস্তবতার সুস্পষ্ট রূপ দিয়েছেন লেখায়।

সুন্দর পোষ্ট +++++

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

মাঝিবাড়ি বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন ভাই! আপনার চমৎকার মন্তব্য আরও লেখার উৎসাহ যোগাবে......

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

আহা রুবন বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। ভাল লিখছেন। আসলে ভেতরে ভেতরে অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন করে ভাবতে হবে, নতুন কৌশলে রাজনীতি শুরু করতে হবে। হুক্কা-হুয়া ডাক দিলে আগের মত সব আর ঝাঁপিয়ে পড়বে না। আর্থিক অবস্থা আগের মত নেই। গ্রামে অটোরিক্সা, ভ্যান চলে হরতালে তাই গ্রামেও প্রভাব পড়ে, কৃষকের সবজি শহরে চলে আসে, ডিম গ্রামে যায়, কোম্পানির পণ্য নিয়ে ভ্যান গ্রামে যায়, সংঘাতময় রাজনীতি হলে সবাই কষ্ট ভোগ করে। কুড়ি বছর আগে কিন্তু এমন ছিল না। আগের রাজনীতি দিন দিন আবেদন হারিয়ে ফেলছে, যারা নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে পারবে না তারা ইতিহাস হবে। শুভেচ্ছা রইল।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

মাঝিবাড়ি বলেছেন: আপনি অনেক সত্য তুলে ধরেছেন! আসলেই পরিবর্তন হয়েছে সব কিছু! নতুন করেই ভাবতে হবে আগামী প্রজম্মের জন্য! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি মূল্যবান মন্তব্যের জন্য!

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আমিতো শুনলাম বি এন পির তিন গ্রুপের মধ্যে শেখ হাসিনা গ্রুপ এখন সবচেয়ে শক্তিশালী। এটা কি সত্যি?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

মাঝিবাড়ি বলেছেন: সেরা প্রশ্ন ছিল আপনার!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.