![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সম্ভবত আমরাই একমাত্র জাতি যারা নিজেদের পবিত্র সংসদে “ বাজিগরনি”দের জন্য কিছু আসন সংরক্ষিত রেখেছি। আর প্রতি পাঁচ বছর পর পর রাস্তার আস্তাকুড় থেকে কিংবা কোন নষ্ট পল্লী থেকে কিছু বেসামাল বাজিগরনি তুলে নিয়ে এসে সংসদে বসিয়ে দিচ্ছি।
উদ্দেশ্যটা হয়ত মহান ই ছিল। ইতিহাসের ভারি পাতায় আমাদের নারীদের মাথা উঁচু করা উপস্থিতি। সেটা উনারা পেরেছেন বটে! কিন্তু সেই উপস্থিতিটা বড় লজ্জার, চরম আপমানের।
সংসদ সদস্যরা জাতির কাণ্ডারি, ১৬ কোটি হতভাগা মানুষের আভিভাবক। সেই আভিভাবকদের মিলনকেন্দ্র আজ সংরক্ষিত আসনের রক্ষিতাদের গালির ভারে ন্যুজ্জ।
আমাদের সংসদের বাতাসে এখন চুতমারানি, চুদুরবুদুর,আর শুয়োরের বাচ্চার মত শ্রুতিমধুর! ধ্বনি। সংসদীয় ভাষা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রক্ষিতাদের কেউ একজন আবার তার বাবাকে(স্পিকার) বলছেন “তুই মাইক দে”। বাহ! কি চমৎকার! পারিবারিক মূল্যবোধ আর শিষ্টাচারের কি নির্লজ্জ উপস্থাপন!
ফেসবুক ও ব্লগে এই গালাগলি নিয়া অনেকে আবার গবেষণায় ব্যস্ত।আমাদের ব্লগ এ একজন ব্লগারের নাম দেখলাম চুদুর বুদুর যা আমাকে আরও বেশী অবাক করল।অনেকে আবার গালাগালির পক্ষেযুক্তি দিতেছেন।কলকাতার আনন্দ বাজার পত্রিকায় পবিত্র বাবু চুদুর বুদুর কথার পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের সংসদ সদস্যদের আরও আনুপ্রেরণা উৎসাহ যোগীয়েছেন।যার দরুন পরের অধিবেশনে যোগ হল চুতমারানি।
আমি আরও অবাক হয়ে যাই যখন সরকারী সংসদ বেগম জিয়া & তার ছেলের জন্মনিয়ে কুশিক্ষিত মহিলার ন্যায় কথা বলতে থাকেন এবং অনেক বর্ষীয়ান সংসদ টেবিলে থাপ্পর দিয়ে তার সমর্থন করেন।
আমার ধারনা কোন নিন্মশ্রেণির মহিলাও এই রকম অশালীন কথা বলবেনা যা আমাদের সংসদরা বলেন।
আমার খুব ঘ্রিনা হয় যখন ভাবি ওই রক্ষিতার রক্তপ্রবাহ চলমান থাকছে আমারই কষ্টার্জিত টাকায়, ওর নিঃশ্বাসের বিষে আমিই ঢেলে দিচ্ছি আরেক বিন্দু অনল, শুধুমাত্র কর প্রদানের মিথ্যে আজুহাতে।
আমার ছোট ভাতিজার বয়স সবে মাত্র দুই। ঠিক এই বয়সেও কেন জানি সে টিভিতেই বুঁদ হয়ে থাকে সবসময়, সম্ভবত বিচিত্র রঙের নাচানাচি দেখে। আমি খুব শঙ্কিত ওকে নিয়ে, কবে ও আবার আমাকে চুদুরবুদুর টাইপের কথাবলা শুরু করে, কবে আবার আমার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে “ তুই রিমোট দে” (আল্লাহ না করুক)
©somewhere in net ltd.