![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা জিনিস রাস্তাঘাটে গনহারে দেখে মনে হলো এই ব্যাপারে কিছু বলা প্রয়োজন।
অনেকেই ভাবতেছেন চার ব্যাটারীর এই সুশীল কি এমন দেখলেন যা না বললেই নয় ??
ব্যাপারটা হলো বহুরুপী রঙের ঐ সমস্ত পোষ্টার যেখানে লিখা ( পড়াতে চাই )।
এটা দূষনীয় কিছু না তবে মাঝে মাঝে কিছু পোষ্টারে অতি রণ্জন লিখা আমাকে খুব অবাক করে।
যেমন অনেক পোষ্টারে লিখা থাকে বাসায় গিয়ে যত্ন সহকারে, আদর ,সোহাগ করে পড়াতে চাই।
এখন কথা হলো একজন শিক্ষক ছাত্র পড়াবেন বিনিময়ে কিছু টাকা পাবেন কিন্তু আদর, সোহাগ, যত্নটা কি তিনি বোনাস দিবেন।
আজকাল আমার মনে হয় ছাত্রের চাইতে শিক্ষকের সংখ্যা কোন অংশে কম নয় বরং বেশীই হবে কারন ওই সমস্ত পোষ্টারধারী শিক্ষকদের পোষ্টার গুলো তার প্রমান।
ওই সকল নবশিক্ষক শিক্ষাকে এমনভাবে অর্থের কাছে বিক্রি করতেছে যেখানে ছাত্র ছাত্রীর পেশাব, পায়খানা করানোটাও যেন আদর সোহাগে পরে গেছে।
যার কারনে ছাত্র ছাত্রীর কাছে তেমন দাম পায় না শিক্ষকরা।
আর পাবেই বা কি করে শিক্ষক ছাত্রীদের যত্ন করতে করতে পান্না মাষ্টার হয়ে যায়।
আজ বিকালে ২ টা চুকরাকে পেলাম যারা ওই রকম পোষ্টার খুব যত্ন করে লাগাচ্ছিল।জানতে চাইলাম এইগুলোর মানে কি?উত্তর দিল ভাই টিউশনী নাই তাই এইগুলো লাগাচ্ছি টিউশনীর জন্য না হউক যত্ন করে তেল মালিশের জন্যও যদি কেউ স্বরণ করে।চুকরা দুইটা শাবির ছাত্র।
আমি বললাম পড়াতে চাও ভালো কথা কিন্তু ওই লাইনগুলো আমাদের শিক্ষক সমাজকে খুবই ছোট করে দেয়।
কোন কাজের বুয়া যদি তার পোষ্টারে যত্ন, আদর ,সোহাগ ইত্যাদির কথা বলে তাহলে মানা যায় কিন্তু যখন কোন শিক্ষক ওইগুলো বলে তখন খুব ইচ্ছা হয় তাদের কাজের বুয়া,অথবা বাজারী বলতে।
শিক্ষকতা এমন পেশা যা কখনই কারো কাছে মাথা নত না হওয়ার সাহস যোগায়।তাই বুয়া মার্কা, বাজারী, সস্তা ,পান্না মাষ্টারদের বলবো দয়া করে পড়াতে চাই পোষ্টার লিখার সময় ওই সমস্ত মাতলামী থেকে বেঁচে থাকুন।
©somewhere in net ltd.