জীবনের গল্প ।

২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩২

জীবনদার স্ত্রী লাবন্য দাদার উপর ক্ষেপে আমার রুমে এসে বললোঃ মানুষ তুই এখনো শুয়ে আছিস ! আচ্ছা তোরা এত অলস কেনরে ? ঘুতিয়ে ঘুতিয়ে তোদের উঠাতে হয় ! তোদের যদি আগে চিনতে পারতুম ওদের পরিবারে কোনদিন বউ হয়ে আসতুম না । সাংসার সব সময়ই একটা আসারতা, আগে থেকে বুঝা যায় না ! স্বামী চারটে পাস না সাতটা পাস, এম.এ পাস না টেম এ পাস , এই হিসবই আর করতুম না , কোন সাব রেজিস্ট্রার বা কোন পুলিশ ইনস্পেক্টরের বউ হয়ে যেতাম , তাতে সুবিধাই হতো -খুব শান্তিতে জীবন কেটেঁ যেত ।
আমি বললামঃ জীবন এখনো শেষ হয়ে যায়নিতো ! দাদা তোমাকে কিছুই দিতে পারবে না এটা কখনো বলতে পারো না ? তাছাড়া তুমি তো আমাদের অবস্থা দেখেই তখন রাজি হয়েছিল পৃথিবীর সবাই পড়া লেখা করে বড় বড় যব করবে এটার ধারনাও ভুল ! ভালো যব এখন জুটে উপরওয়ালা , গডের অনুসারে । তুমিই বা কতদিন সাংসারের অনটন থেকে উদ্ধারের জন্য অর্থনৈতিক সাহার্য্য করেছিল? নিজে আত্ম সাবলম্বি হওয়ার কথাতো বলনি? সেই ধনী স্বামীকেই কামনা করছো এখন । অক্ষমতা শুধু আমাদের নয় তোমারও আছে । উমুকের এই আছে, সেই আছে তা দিয়ে কোনদিন নিজের উপকার হবে না বরং সাংসারের অহমিকাই বাড়বে । জীবন সবর্দাই অভিনব । তাছাড়া তোমার যদি এ জীবন ভালো নালাগে চলে যাও না, ধরে রেখেছে কে দাদারও তো দেখি সাংসারের প্রতি কোন দায়িত্বনেই ।
লাবণ্য আমার উত্তর নিরবেশুনে বললোঃ হুম পালাবো ! এভাবে টিকে থাকা যায় না , এই বলেই আমার রুমথেকে প্রস্থান করলো ।

০ টি +০/-০