দেবযানী

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

- বললে তো আর্ট গ্যালারীতে যাবে ? কখন যাবে ?
-বৃষ্টি কমুক ।
-বৃষ্টিতো দেবতার আর্শীবাদ !
-দেবতার অর্থ বুঝিনী যতটা দেবযানীকে চিনি ।
-হাহাহাহ ! খুব হাসালে ।
-কেন ?
-এই যে এত দেবযানী দেবযানী করো , আড়াল হলে তো ভুলে যাবে ?
-তোমার স্মৃর্তি যেখানে যতটুকু তুমি টিক সেখানে ততটুকুই তুমি থাকবে ।
-বলছো ?
-হুম, বলছি ।
-চারদিকে মুক্ত স্রোত , যদি হারাও কোনদিন ?
-খুজঁতে যেয়ো না যদি সেচ্ছায় হারাই ।
-কেন ?
-বুঝবে পালিয়ে গেছি ।
-পালাবে তুমি ?
-আমরা সবাই পলাতক মানুষ ! এক পৃথিবী থেকে আরেক পৃথিবী খুজিঁ ।
-তবে আমরা হারাবো না ।
-হুম ।
-দুপুরে আদরে ঘুম, প্রেম পিয়াসী !
-পারস্পারিক লৌহ শিকল নরম হতে হতেই তোমার আবিস্কার । মেদ,রক্ত মাংসে জিহ্বের জলে স্নান ।
-তোমাকে স্পর্শ দিয়ে বুঝাতে চাই ,বিস্তুর পলাশীবন রাজা তুমিই । ইচ্ছেমত চাষবাস করো, উৎপাদন করো এবং লাভজনক হও ।
-হাহাহ ! মন জমিতে ট্রাকক্টর লাগাতে হবে তাহলে ?
-দুর !
-ওটা মন জমি নয়, অস্তিত্বে ।
-হুম ।
-জানো তো , অস্তিত্ব প্রমানে তুমিহীনা পৃথিবী শূন্য শুধু । এক মরুভূমি হাহাকার । এক পিপাসীনি জল চাইবেই তো ।
-তাহলে চলো, মিলিয়ে যাই আমলকীবনে , আরো সনাতন মানুষ হই । প্রকৃতিকে বুঝি । ভারী সব পোষাক থেকে মুক্ত হই , নদীর ঢেউএ তোমার দৃষ্টি । তুমি মানেই মাতালী, একগুচ্ছো বাগানের কাচাঁ আপেলের শরবত , যাকে গিলে গিলতে বহু শতাব্দী ফুরোবে । ঐতো আমাদের উঠনে দু' চেয়্যারে বসে পৃথিবী দিনের মৃত্যু দেখবো ,রাত্রির হবে , তুমি পাশে ঘুমুবে -তোমার শরীর থেকে ছোট্ট কিশোরীর ঘ্রাণ বের হবে আর আমি রাত্রিরে মাতাল হতে হতে মরে যেতে থাকবো তুমি বাচিঁয়ে রাখবে ।

০ টি +০/-০