নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে আর কি লিখবো, অন্যেরা যা ভাবছে তা-ই শেয়ার করবো...
মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতন। একটি স্বপ্নের শুরু এখানেই-
লক্ষ্মীপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে মেঘনার বুক ঘেঁষে মজু চৌধুরী হাট। সাম্প্রতিক সময়ে স্থাপিত এই ফেরি ঘাটটি এই এলাকাটিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। মেঘনা নদীর তীরে একটি জেলে জনপদ গড়ে উঠেছে অনেক আগে থেকে। নদী ভাঙ্গনে সর হারানো মানুষগুলো একমাত্র নৌকাকে অবলম্বন করে নদীতেই স্থায়ী আস্তানা গেড়েছে।
জীবনের ত্রিশ-চল্লিশটি বছর এরা কাটিয়ে দিয়েছে এই নদীতেই। নৌকাকে ঘর-বাড়ি বানিয়ে এরা ভেসে আছে পানির উপর। পানির উপর ভেসে থেকেও ক্রমশ: ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারে। কারণ এদের কারোরই শিক্ষা নেই। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ওরা জাল বোনা শিখে, মাছ ধরা শিখে।
জীবনযুদ্ধে কিভাবে জয়ী হতে হয় তা শিখে। জীবন ঘনিষ্ঠ এসব শিখতে শিখতে ওরা বড় হয় কিন্তু আসল শিক্ষাটা আর হয়ে ওঠে না।
কিন্তু ওদের শিক্ষা দরকার। শিক্ষার ছোঁয়ায় ওদের আলো ঝলমলে মুখগুলোতে ভবিষ্যত স্বপ্নের ছোঁয়া ভেসে উঠবে ঠিক এভাবে।
দ্বিতীয় স্লুইস গেটের লাগোয়া এই বেড়ি বাঁধটিকে ঘিরে এরকম আরও কয়েকশ মাঝি পরিবারের বসবাস। এরা সবাই শিক্ষা বঞ্চিত।
এদেরকে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই। ধীরে ধীরে এটি এখন এই জনপদে শিক্ষার একমাত্র আলোকবর্তিকা হিসেবে গড়ে উঠছে। নারী শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও স্কুলটি কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছে।
একটি ছোট্ট স্বপ্ন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই জায়গাটুকুতে আমরা সেই স্বপ্নটিকে আরও ছড়িয়ে দিতে চাই।
এই শিশুদের শিক্ষা সহায়তায় সা.ইন. ব্লগ এবং প্রথম আলো ব্লগের বন্ধুরা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তার জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ। একটি স্বপ্নকে টেনে নিয়ে যাচ্ছি আপনাদের সহায়তায়। প্রথম আলো ব্লগের চট্টগ্রাম মিটআপ থেকে সাদি ভাইয়ের খাতা এবং আমি নোমান ভাইয়ের পেন্সিল শিক্ষার্থীদের দিচ্ছেন ম্যাডাম সাথী।
এমপ্লয়মেন্ট ফোকাসড লারনিং বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে আদর্শ লিপি বই দিচ্ছেন ম্যাডাম ফারজানা।
এই জনপদের একমাত্র শিক্ষিত সোহরাব মাঝি তৃতীয় শ্রেণী পাশ। সোহরাব মাঝি মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনের অভিভাবক প্রতিনিধি। সোহরাব মাঝি শিশুদেরকে বই খাতা পেন্সিল দিচ্ছে।
মুখ ঢেকে যায় প্রথম আলো ব্লগের বিজ্ঞাপনে...
ইএফএলবিডি'র পক্ষ থেকে বই পেয়ে শিশুরা আনন্দিত। বইয়ের আলোয় অন্য সব আলো ম্লান হয়ে গিয়েছে।
মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনের সামনের রাস্তা। এই পথটুকু ধরেই কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষা ছড়িয়ে পড়বে সারা বাংলাদেশে। আসুন আমরা সবাই এই স্বপ্নটি বাস্তবায়নে আরও এগিয়ে যাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫
নীল ভোমরা বলেছেন: ভাল উদ্যোগ!