![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে আর কি লিখবো, অন্যেরা যা ভাবছে তা-ই শেয়ার করবো...
বাংলাদেশকে আমরা সবসময় সমস্যাক্রান্ত দেশ হিসেবেই চিহ্নিত করি। এই দেশের অনেক সমস্যা। জনসংখ্যা সমস্যা, খাদ্য সমস্যা, আবাসন সমস্যা, পরিবেশ দূষণ সমস্যা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমস্যা ইত্যাদি। সব সমস্যা ছাপিয়ে শিক্ষাহীনতা এবং কর্মহীনতাই সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে হয়। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে এই দেশে ৪২.১১% জনগোষ্ঠী কখনোই স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায় না এবং ৩১.৭২% ব্যক্তি শুধু প্রাইমারী পর্যন্ত অধ্যয়ন করতে পারে। আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কারণে ন্যূনতম শিক্ষা অর্জন করার আগেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঝরে যায়। শিক্ষার ব্যয়ভার ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই শিক্ষা ক্রয় করার যোগ্যতা রাখে না। কিন্তু শিক্ষা অর্জন প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু দারিদ্র্যে জর্জরিত এই দেশটি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে পারছে না।
একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সমস্যা নিয়ে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। একটি সরকারি জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি লোক কর্মহীন বা বেকার এবং প্রতিবছর ২৫ লক্ষ যুবক জব মার্কেটে প্রবেশ করে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০টি দেশের মধ্যে ১২'শ যেখানে বেকারত্বের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এখন থেকে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা না হলে ২০১৫ সালের মধ্যে বেকারত্বের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
প্রাসঙ্গিকভাবে আরেকটি জরিপের দিকে চোখ বুলানো যাক। এটি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত। জরিপে দেখা গেছে শতকরা ৯৭ জন লোকই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে বাংলাদেশের সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে । এদের মধ্যে ৭৭% ব্যক্তি এটিকে এক নাম্বার সমস্যা হিসেবে মনে করে। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণ বাংলাদেশের দারিদ্র্যের অন্যতম কারণ- এটি আর বাড়িয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমরা কর্মসংস্থানের অভাব এবং দারিদ্র্যকে সব সমস্যার মূল হিসেবে চিহ্ণিত করতে পারি। তাই সর্বপ্রথম দারিদ্র্য হ্রাস করার জন্য কার্যক্রম হাতে নিতে হবে-এটি অনস্বীকার্য। উপরন্তু এটিও স্বীকৃত যে শিক্ষাহীনতা এবং দারিদ্র্য পাশাপাশি অবস্থান করে। সুতরাং যদি আমরা জনগণকে শিক্ষার পথ দেখাতে পারি তাহলে আপনাআপনিই দারিদ্র্য দূর হওয়ার পথও তৈরি হয়ে যাবে। আমাদের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার কারণে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে পারি। আমরা ২৫ বছর মেয়াদী একটি ভিশন হাতে নিতে পারি শুধু শিক্ষাকে কেন্দ্র করে। রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে এই ভিশনটি হাতে নিতে হবে। আমাদের অনেক সুযোগ আছে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার। ধরা যাক একজন শিক্ষার্থী দারিদ্রের কারণে শিক্ষালাভ চালিয়ে যেতে পারছে না। কিন্তু শিক্ষার মধ্যেই তার আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে তাকে শিক্ষাদান সম্ভব। এখন প্রশ্ন কিভাবে সে আয় বৃদ্ধির উপায়ের সাথে যুক্ত হতে পারে।
প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতির মধ্যে থেকেই আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করা খুবই সম্ভব। কথাটাকে একটু অন্যভাবে আমরা বলতে পারি- কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলে তাদের উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা এই পদ্ধতিটিকে সমর্থন করে। শিক্ষায় ব্যাপক কোন পরিবর্তন না এনেই আমাদের বর্তমান কারিকুলামের সহায়তায় তা বাস্তবায়ন করা যায়।
একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল উপাদান হচ্ছে কারিকুলাম যেটি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা একটি দেশের শিক্ষাপদ্ধতিকে বেগবান করে। সুতরাং শিক্ষার্থী তথা পুরো জাতির চাহিদা পূরণ করতে পারে এরকম শিক্ষাব্যবস্থাই সবাই চায়। বাংলাদেশের শিক্ষা কারিকুলামে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। অপ্রয়োজনীয় অনেক বিষয় দিয়ে কারিকুলামকে ভারাক্রান্ত করে রাখা হয়েছে। আকর্ষণহীন কারিকুলামের কারণেও অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষাবিমুখ হয়। যুগের প্রয়োজনে শিক্ষা কারিকুলামকে বাস্তবতা নির্ভর করতে হবে। একটি এলাকার সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা, চাহিদা, প্রত্যাশা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ইত্যাদির উপর ভিত্তি করেই কারিকুলাম প্রণীত হওয়া উচিত। ঐ এলাকার লোকাল কমিউনিটি বিবেচনা করবে তার এলাকার শিক্ষা কি ধরনের হবে। কেন্দ্রীয় কারিকুলামের পাশাপাশি স্থানীয় পণ্য বা সেবার উৎপাদনশীলতাকে কেন্দ্র করে লোকাল কারিকুলাম প্রণীত হবে। একটি এলাকার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে যখন শিখন এবং শিক্ষাদান ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে তখনই শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব।
কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা পদ্ধতিতে ব্যাপক কোন পরিবর্তনের দরকার হবে না। শুধু একটুখানি সংস্কার করতে হবে। আমাদের বর্তমান কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের কৃষি শিক্ষা, ব্যবসায় শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষা, গার্হস্থ্য শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদি প্রফেশনাল বিষয় পাঠদান করা হয়। এই বিষয়গুলিতে ব্যবহারিক অংশ আছে। কিন্তু যথাযথ মনিটরিং এবং গাইডেন্সের অভাবে শিক্ষার্থীরা এই সুযোগটিকে কাজে লাগাতে পারছে না। শিক্ষকরাও যেমন ব্যবহারিক অংশটুকুর পাঠদানে যত্নবান হন না, শিক্ষার্থীরাও এই অংশটুকুকে অবহেলা করে। ফলে আমরা দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে শিক্ষাকে কাজে লাগাতে পারছি না।
কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থানীয় জনবল, স্থানীয় সম্পদ এবং স্থানীয় দক্ষতাসমূহকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় অর্থনীতিকে গতিশীল করা সম্ভব। এভাবে আমরা শিক্ষাভিত্তিক উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ পদ্ধতির (এডুকেশন বেজড প্রোডাকশন এন্ড মার্কেটিং, ইবিপিএম) উন্নয়ন ঘটাতে পারি। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা বহাল রেখেই স্থানীয় উদ্যোগগুলোকে একত্রিত করে উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি সম্ভব। একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। দারিদ্র্য সীমার নিচে অবস্থিত একটি এলাকার অভিভাবক কখনোই তার সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে চাইবে না যেখানে সে সময়টুকু পরিবারকে দিলে তার পরিবার কিছুটা হলেও আর্থিকভাবে লাভবান হবে। কিন্তু সেই এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্রটি যদি এরকম হয় যে, শিক্ষাথী শিক্ষার মধ্যে থেকেই আয় করছে যেটা তার পরিবারে কাজে লাগছে। সেক্ষেত্রে সেই শিশুটিকে সহজেই স্কুলমুখী করা সম্ভব। এরকম একটি বাস্তব শিক্ষা পদ্ধতিই পুরো জাতিকে শিক্ষামুখী করে তুলতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। দলমত নির্বিশেষে শিক্ষা নিয়ে আমাদের একটি সুদূরপ্রসারী ভিশন দাঁড় করানো খুবই প্রয়োজন।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৭
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। আপনার চোখে পোস্টটি পড়েছে এবং একটি মূল্যবান মন্তব্যও আছে তাই পোস্টটিকে ড্রাফট থেকে ফিরিয়ে আনলাম।
আপনি যে কথাগুলোর উত্তর জানতে চেয়েছেন তা বিশদ ভাবে আলোচনার ইচ্ছা রাখি। তাই একটু সময় চাচ্ছি। সময় করে ইনশাল্লাহ বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ভালো থাকবেন।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৯
অর্ণব আর্ক বলেছেন: বাংলাদেশকে আমরা সবসময় সমস্যাক্রান্ত দেশ হিসেবেই চিহ্নিত করি। কিন্তু সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি না।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভালো বলেছেন। যাদের চেষ্টা করার কথা তারা চেষ্টা করে না। আর আমরা চেষ্টা করেও কূল কিনারা পাই না।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩১
তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: লেখাটি শোকেসে নিলাম। ধন্যবাদ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৪
আজমান আন্দালিব বলেছেন: কৃতজ্ঞতা বোধ করছি। ভালো থাকুন ভাই।
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৩
হাছন রাধা করিম বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়ের উপরে আলোকপাত করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি সংশ্লিষ্টদের নজরে বিষয়টা আসে তাহলে আপনার শ্রম সার্থক হবে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইলো।
৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০৩
নাসরীন খান বলেছেন: শিক্ষা পদ্ধতি হওয়া উচিৎ যেমন কাজমুখী তেমনি আনন্দদায়ক।সুন্দর লিখেছেন।শুভ কামনায়।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১০
আজমান আন্দালিব বলেছেন: কাজমুখী এবং আনন্দদায়ক শিক্ষাপদ্ধতি চাই....আপনার মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত।
৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪১
rafiq buet বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১২
ওয়াসিম আজাদ বলেছেন: দেশে বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ৪৮টি সরকারি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৩টি কৃষি প্রশিক্ষক ইনস্টিটিউট, ছয়টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, একটি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, দুটি সার্ভে ইনস্টিটিউট এবং ৪০টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট রয়েছে। জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর অধীনে রয়েছে ৩৫টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার।
আমি সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য ক্রমে কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করেছি, শুধু আমি একা নই আমাদের সাথে যারা পড়াশুনা করেছে অর্থাৎ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত কেউ বেকার নেই এটি আমি হলফ করে বলতে পারি। কিভাবে নিজেই নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হয় তা আমরা খুব ভালো ভাবেই জানি।
লেখকের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আপনি যা বুঝাতে চাইছেন তা ইতিমধ্যে কার্যকর আছে। কিন্তু যথাযথ প্রচার নেই। আমি নিজে দেখেছি যখন টি.টি.সি. তে পড়তাম তখন মানুষ কতটা তাচ্ছিল্যের চোখে দেখতো আমাদের। অনেকে আবার মনে করেন, যারা সাধারণ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত (মেধাহীন) শুধুমাত্র তারাই কারিগরি শিক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এটা ঠিক না, আমাদের মানষিকতায় পরিবর্তন দরকার। মা বাবার সপ্ন ছিল ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবো কিন্তু ভর্তি হলাম পলিটেকনিক এ ডিপ্লোমা কমপ্লিট করলাম। সবাই অবহেলা আর করুনার দৃষ্টিতে তাকাতো আমার দিকে।
আহমেদ জী এস বলেছেন- কর্মসংস্থান করবে কে? কর্মসংস্থানের জন্যে কি আছে আমাদের? কে আছেন?
আমি বলছি- কি নেই আমাদের? সবই আছে শুধু বদলে যাবার মানসিকতা নেই। আমার সাথে যারা কাজ করছে তাদের সবার কাছ থেকে যেমন সহযোগিতা পেয়েছি তেমনি যারা আমার অধীনে আছে তাদেরকে আমি আমার অর্জিত জ্ঞান এর সবটুকু শিখানোর চেষ্টা করেছি। এভাবে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে চারপাশের মানুষ গুলোকে যদি আলোর পথের সহযাত্রী করতে না পারি তাহলে স্বয়ং ভগবানও আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করবে না।
ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এ পোস্টের সম্পদ হয়ে রইলো। আপনার যুক্তির সাথে আমি সম্পূর্ণরূপে একমত। আহমেদ জী এস ভাইয়ের কিছু প্রশ্নের জবাব দেওয়াটা জরুরী। কিন্তু সময় করে উঠতে পারছি না। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের সূত্র ধরে আরেকটি পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি।
৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৬
মুহম্মদ রেজাউর রহমান বলেছেন: @ওয়াসিম আজাদ
সহমত আপনার সাথে।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ধন্যবাদ রেজাউর রহমান। কেমন আছেন?
৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৬
আমিই ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আজমান আন্দালিব,
দীর্ঘদিন থেকে দেখছি আপনি কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষা বাস্তবায়ন, উদ্দোক্তা তৈরীর উপযোগিতা ইত্যাদি নিয়ে বেশ লেখালেখি করছেন । বিষয়গুলো বেশ জটিল । এর জন্যে রাষ্ট্র এবং সামাজিক যে অবকাঠামো এবং অন্যান্য অনুসর্গগুলি কি হিসাবের মধ্যে এনেছেন ? এগুলোর কোনটি আমাদের দেশে বিদ্যমান আছে ? আপনার বক্তব্যের বিরোধীতা করছিনে বরং বলতে চাইছি - ভিশন থাকলেই হবেনা তা বাস্তবায়নের জন্যে সব অনুঘটকগুলিও বর্তমান থাকতে হবে, অথবা না থাকলে তার ব্যবস্থা করতে হবে আগে । যেমন আপনি লিখেছেন - " ...এটিও স্বীকৃত যে শিক্ষাহীনতা এবং দারিদ্র্য পাশাপাশি অবস্থান করে।যদি আমরা জনগণকে শিক্ষার পথ দেখাতে পারি তাহলে আপনাআপনিই দারিদ্র্য দূর হওয়ার পথও তৈরি হয়ে যাবে। " তাই কি ? তাহলে বর্তমান শিক্ষায় শিক্ষিত তিন কোটি লোক বেকার কেন ? আপনার কথাতেই বলি - দারিদ্র বিমোচনে কর্মসংস্থান তৈরী করতে হবে এটি ধ্রুব সত্য । উদ্দোক্তা তৈরী করতে হবে তাও সত্য । কিন্তু কর্মসংস্থান না হলে কি হবে ? শুধু শিক্ষা দিলে কি দারিদ্র দুর হবে । কর্মসংস্থান করবে কে ? কর্মসংস্থানের জন্যে কি আছে আমাদের ? কে আছেন ? কি ধরনের কর্মসংস্থান হবে ? অবশ্য তার ধারনা দিয়েছেন এলাকা ভিত্তিক হতে পারে । শিক্ষা্ও এলাকা ভিত্তিক প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রেখে হতে পারে । পারে ।
কিন্তু কর্মসংস্থান করবে কে ? বিশদ আলোচনার সুযোগ এই অল্প পরিসরে দেয়া সম্ভব নয় বলে মোটাদাগেই একটি উদাহরন দিয়ে বলি - আপনি আম নামক ফলটি দিয়ে কি কি হতে পারে তার ভিশনের কথা বলেছেন । আম কি ভাবে ভালো জাতের হবে কিম্বা উচ্চ ফলনশীল হবে ইত্যাদিও বলেছেন কিন্তু গাছটি লাগাবে কে ? কোথায় লাগাবেন ? গাছটি লাগানোর উপযুক্ত মাটি কিম্বা আবহা্ওয়া আছে কি আমাদের ? দক্ষিনের ভোলা জেলার উপকুলবর্তী কাদামাটি আর নোনা আবহা্ওয়ায় তো আম হবেনা । হবে কি ? ভোলাতে রাজশাহীর আম ফলাতে গেলে ভোলার আবহা্ওয়া পাল্টে দিতে হবে । তাই না ? আমার অনুর্বর মস্তিষ্কে তো আমি এই সহজ কথাটিই বুঝি ।
শিক্ষা সংস্কার ছাড়াই যে শিক্ষায় বর্তমানে তিন কোটি বেকার তৈরী হয়ে ফ্যা...ফ্যা করছে কি দিয়ে তাদের কর্মসংস্থান করবেন ? আরো যারা বেকার হ্ওয়ার পথে তাদের কি অবস্থা হবে যতোই শিক্ষার খোল নলচে বদলে ফেলুন না কেন ? যতোই কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিন না কেন । এই তিন কোটি বেকারের জন্যে কর্মসংস্থান কই ? বাস্তব শিক্ষা দিয়ে না হয় কিভাবে হাতুড়ী চালাতে হয় আমাকে শেখালেন কিন্তু আমি হাতুড়ীটি পেটাবো কোথায় ? এই " কোথায়" এর কি হবে ? একটি দরিদ্র দেশের সরকার কি এই কোথায়" সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখেন ? আমাদের কজন পুঁজিপতি আছেন এই কোটি বেকার কে একখানা কাজ ধরিয়ে দেবেন ?
সমস্যাটি মনে হয় শিক্ষার সংস্কার দরকার তা নয় , সমস্যা পুঁজির । সমস্যা অর্থনৈতিক ভিশনের, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার । সমস্যা কর্মসংস্থানের অবকাঠামোর ।
আপনার জায়গা থেকে এ ব্যাপারেও দিক নির্দেশনা দেবেন বলে আস্থা রাখি আপনার উপর । আজকের লেখাটির পাশাপাশি আগামীতে কর্মসংস্থানের উপায় সম্পর্কেও বিশদ আলোচনা বা পরিকল্পনার কথা শুনবো বলে অপেক্ষায় রইলাম ।
হাযারো শুভেচ্ছা দেশকে নিয়ে, মানুষকে নিয়ে ভাবেন বলে ।