নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

আমি পথ মঞ্জরী ফুটেছি আঁধার রাতে

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌

যখনি এ পথে যাবে, বারেক দাঁড়ায়ো ফুলবনে, শুধু দু হাত ভরিয়া দেব ফুল।

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইটস ম্যাজিক!!

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

ডা. ফয়সাল সুলাই হেলথ সেন্টারে আমাদের কলিগ ছিল। সে সুদান থেকে এসছে। তো তার প্রথম দিক কার অভিজ্ঞতার কথা বলছিল। তাকে রোগীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হল। রোগী টিন এজ কিশোরী। আনরেসপন্সিভ। জ্ঞান নেই। প্রথামিক অবজারভেশন শেষ করে সে সবাইকে বলল আপনারা সবাই বাইরে চলে যান। সে ধারণা করছিল হিস্টেরিয়া এবং এই বয়সের রোগীকে কি করে ট্রীট করে সে শুনেছিল। যথারিতি সে পেশেন্টের কাপড় সিমফাইসিস পর্যন্ত নামিয়ে দিয়ে সিমফাইসিস পিউবিসে দু বার পারকাস করল এবং সাথে সাথে রোগী লাফিয়ে উঠে বসে পড়ল! তখন সে বলল আপনারা ভেতরে আসতে পারেন। রোগীর লোকেরা ভেতরে গিয়ে হতভম্ব হয়ে গেল। দু তিনজন ডাক্তারের এই অলৌকিক ক্ষমতা দেখে তার হাত টেনে নিয়ে চুমু খেতে লাগল। ডা. ফয়সালও পরম তৃপ্তির সাথে মুচকি হাসতে হাসতে তার চেম্বারের পথ ধরল।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
মেয়েটির কি হয়েছিল ?
কেন লাফিয়ে উঠে বসেছিল ?

আমি ডাক্তার না বুঝতে না।

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: হিস্টেরিয়া একধরণের মানসিক রোগ যেখানে রোগী আনরেসপনসিভ থাকে। মনে হয় পেশেন্টের কোন জ্ঞান নেই। এই রোগী যদি হিস্টেরিয়ার রোগী না হয়ে সত্যিই কোন অসুস্থতার জন্য অজ্ঞান হত পারকাস করলেও তার জ্ঞান ফিরত না। এরা অনেকখানি ইচ্ছায় এবং জোর করেই আনরেসপন্সিভ থাকে। কোন ভাবেই উত্তর দেয় না। কিন্তু সংবেদনশীল স্থানের কাছে পারকাস করলে এরা নিরব থাকতে পারে না।

১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: আরেকটু ক্লিয়ার করা প্রয়োজন, পেশেন্ট যখন ভাবে তাকে সেকচুয়ালী এবিউজ করা হচ্ছে কিনা, তখন সে আর চুপ থাকতে পারে না। নিজেকে নিরাপদ করার তাগিদেই উঠে পড়ে।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: তাহলে রোগীর উচিত কাপড় সিমফাইসিস পর্যন্ত নামানোর আগেই উঠে পড়া।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: প্রথম বারই যদি উঠে যেত তার তো রোগ আছে বলে ধরা হত না। পেশেন্ট যখন এক্সট্রিমিস্ট হয়, চিকিৎসা ব্যাবস্থাও সে অনুযায়ীই হয়!

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪২

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: আরেকটু আলোচনায় আসছি। হয়তবা কিছু সিমিলারিটি খুঁজে পাবেন। একজন অজ্ঞান রোগীর অবস্থা অর্থাৎ অসুখটা ব্রেইন ইনভল্বমেন্ট পর্যন্ত হয়েছে কিনা তা বুঝতে ভিজুয়াল থ্রেট পরীক্ষা করা হয়। ডাক্তার ঘুষি পাকিয়ে ওপর থেকে চোখে ঘুষি মারেন কিন্তু চোখে লাগার আগেই থেমে যান। এতে দু ধরনের ফলাফল হতে পারে। রোগীর কোন বিকার নেই অর্থাৎ থ্রেটের কারণে তার তাকিয়ে থাকার কোন তারতম্য নেই, অথবা রোগী চোখ বন্ধ করে ফেলতে পারেন। এবং সে অনুযায়ী ডাক্তার ফলাফল ইন্টারপ্রিট করে থাকেন।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম। হিস্টেরিয়া তো দেখছি অদ্ভূত টাইপের মানসিক রোগ। ডা. এম এ ফিরোজের মনোজগত সেন্টারের যাওয়া হতো এক পেশেন্ট নিয়ে। ওখানে দেখতাম হরেক রকমের মানসিক রোগী। আল্লাহ সবাই সুস্থ্য রাখুক কামনা করি।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুন, আমীন।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হিস্টেরিয়া রোগকে আমাদের দেশে জ্বিনে ধরা বলা হয়। জ্বিন ছাড়াতে রোগীর উপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১০

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনি ঠিক বলেছেন! এক শ্রেণির ওঝা এবং অজ্ঞ হুজুর রাও এই অপচিকিৎসায় জড়িত হয়!

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৮

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখাটা ডাক্তারি ভাষায় না লিখে আরো একটু বিস্তারিত বাংলা ভাষায় লিখলে ব্লগের আপামর জনগন বুঝিয়া উহার স্বাদ নিতে পারতো। বড্ড বেশি দুর্বোধ্য হয়ে গেছে ডাক্তারের হাতের লেখার মতো। অবশ্য ব্লগে যদি কোন ফার্মেসির সেলসম্যান থাকে তিনি নিশ্চিত বুজেছেন। কারন গতো সপ্তাহে ডাক্তার আমাকে সি ভিট দিয়েছিলো আমি হাজার চেস্টা করেও উহার আসল নাম উদ্ধার করতে পারি নাই কিন্তু ফার্মেসির সেলসম্যান প্রেসক্রিপশান দেখেই চোখ বন্ধ করে সি ভিট আমার হাতে ধরিয়ে দিলো। আমি তাতধিক আশ্চার্য হয়ে তাহাকে সুধাইলাম জনাব আমি অনেক চেস্টা তদবির করেও বুঝলাম না আপনি এক দেখায় উহার পরিচয় বুঝিয়া গেলেন ইহার মরতোবা কি? জবাবে ভদ্রলোক নাসিকা সহোযোগে ঘত ঘটাত করে এক প্রকার শব্দ করলো যাহা প্রেসক্রিপশানের লেখার মতোই দুর্বোধ্য ছিলো

দুঃখীত আমার কমেন্ট আপনার লেখার থেকে মনে হয় বড় হয়ে গেছে। লজ্জায় আমার হৃদয় ঘামছে। মার্জনা করবেন।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: হৃদয় ঘর্মাক্ত করার জন্য দুঃখিত। ডাঃ শুভাগত চৌধুরীর নাম শুনে থাকবেন হয়ত! উনি ইংরেজী এনাটমির বই বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন। একটা উদাহরণ তো অন্তত বলতে হয়। উনি পেলভিসের (শ্রোনীচক্রের) একাংশের (এসিটাবুলার ফোরামেনের) বাংলা অনুবাদ করেছিলেন "ঘুলঘুলি জাতীয় গবাক্ষ"!![আল্লাহ মাফ করুন] এর চেয়েও কি আমার প্রচেষ্টা দূর্বোদ্ধ মনে হচ্ছে? অন্তত আপনি ডিকশনারিতে "সিমফাইসিস পিউবিস" বলে কিছু পাবেন! কিন্তু ঘুলঘুলি জাতীয় জিবি গবাক্ষ বললে কোথায় যাবেন? তবে এর পর লিখলে আরো সরল করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩০

দারাশিকো বলেছেন: কঠিন পোস্টে মাইনাচ।
তবে রানার ব্লগের কমেন্টে প্লাস।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৬

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য। কঠিন হয়ে যাওয়ায় দুঃখিত। পরবর্তীতে সহজ করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: জনাব অনুবাদ দুই রকম এক আক্ষরিক অনুবাদ দুই ভাবানুবাদ। আশাকরি বোঝা গেছে। কে ভুল ভাল অনুবাদ করলো উহা নিয়ে উত্তেজিত হয়ে নিজে পিং পং ভাষায় লেখা শুরু করবো এটা পাঠকের প্রতি চরম অভব্যতা প্রদর্শন।

অবস্থা যা দেখা যাচ্ছে আপনার লেখা পড়তে গেলে সাথে মেডিকেল সাইন্সের ডিকশনারী নিয়া বসা লাগবে। যার দাম অনেক। বিকাসে টাকা পাঠিয়ে দেবেন।

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: ভাইরে বাংলায় মেডিক্যাল সায়েন্স পড়ানোর মহৎ উদ্যেশ্য নিয়ে কোন এক সরকারী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উনাকে বাংলা অনুবাদের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছিল যা না মেডিকেল সায়েন্স না বাংলাদেশী পাঠক কারো কোন উপকারে এসেছে!! এই অনুবাদ প্রকাশের পর সরকারের প্রতিক্রিয়া কি ছিল তা কেউ জানতে পারে নি। তবে উনাকে আর কোন অনুবাদে আসার মত খবর কেউ দিতে পারে নি। তবে আমি বুঝতে পারছি কিছু টার্মস সহজ বাংলায় না লিখলে পাঠক নাখোশ হওয়াটাই স্বাভাবিক! আপনার সাজেশন নিঃসন্দেহে মূল্যবান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.