![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শরীরে অগ্ন্যাশয় যদি যথার্থ
ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে
অথবা শরীরে ইনসুলিনের সঠিক কাজ
ব্যাহত হয় তাহলে সেটাকে
ডায়াবেটিস বলাহয়। এ রোগে
আক্রান্ত রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব
হয়; অধিক তৃষ্ণার্ত অনুভব করে এবং বার
বার মুখ শুকিয়ে যায়।
আক্রান্তরা অতিশয়
দুর্বলতা,সার্বক্ষণিক ক্ষুধা, স্বল্প
সময়ে দেহের ওজন হ্রাস, চোখে
ঝাপসা দেখাসহ নানান সমস্যায়
ভোগে থাকেন।
ডায়াবেটিস নির্দিষ্ট মাত্রার
বাইরে গেলে তা শরীরের ভয়াবহ
ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এ
রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর
নিয়ন্ত্রণে রাখাই সর্বোত্তম পন্থা।
এ জন্য প্রয়োজন কঠোর
নিয়মানুবর্তিতা। এর পাশাপাশি
কিছু খাবারও ডায়াবেটিস
রোগীকে সুস্থ থাকতে সহায়তা
করে। আবার কিছু খাবার আছে
যেগুলো ডায়াবেটিস প্রতিরোধও
করে। যেমন-
সবুজ চা
সবুজ চা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের
মতো কাজ করে; ডায়াবেটিস
প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি।
ওয়াইল্ড স্যামন
ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের
জন্য অন্যতম একটি ওষুধি খাদ্য ওয়াইল্ড
স্যামন। এতে উচ্চ মাত্রায় ওমেগা-৩
রয়েছে। ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি
বড় উৎস এটি। ডায়াবেটিস রোগের
পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার
রোগের ঝুঁকিও কমায় ওয়াইল্ড
স্যামন।
মাছ
গবেষণায় দেখা যায়, মাছের
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে উন্নত
করতে সাহায্য করে। এটি
গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে
ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি হ্রাসে
সহায়তা করে। এতে চর্বিহীন
প্রোটিন রয়েছে।
টক দই
টক দই একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। এতে
চিনির পরিমাণ খুব কম। এটি রক্তে
চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য
করে। দুপুরের খাবারের সঙ্গে বা
বিকেলের নাস্তায় স্যান্ডউইচের
সঙ্গে টক দই খাওয়া যায়। এটি
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
সাহায্য করে।
ডিমের সাদা অংশ
ডিম পেশি গঠনকারী খাদ্য। এতে
উচ্চ মানের প্রোটিন রয়েছে।
ডিমের সাদা অংশে উচ্চ মানের
চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম
মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে
যা দুই ধরণের ডায়াবেটিস
প্রতিরোধে সাহায্য করে।
লেবু
লেবু ও লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিস
প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণায়
দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন
সি এর অভাবে ডায়াবেটিসের
ঝুঁকি রয়েছে। তবে লেবু জাতীয় ফল
খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ
হয়। জাম্বুরা, কমলা, লেবু এবং লাইমস
ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে
ইনসুলিনের মতো কাজ করে।
সবুজ শাক সবজি
সবুজ শাক সবজি দুই ধরনের
ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
পালং শাক, পাতা কপি, শালগম,
ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা
ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি এবং
কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম।
গবেষণায় বলা হয়, সবুজ শাক সবজি
খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪
শতাংশ পর্যন্ত কমে।
শস্য দানা
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শস্য
দানা মানুষের শরীরের রক্তে
চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা
কমে। আবার ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে শস্য
দানা।
বাদাম
গবেষণায় দেখা গেছে,
ডায়াবেটিসের ঝুকি প্রায় ২১
শতাংশ পর্যন্ত কমায় চীনাবাদাম।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক
আউন্স আখরোট বা কাজুবাদাম
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
বিস্ময়করভাবে কাজ করে। নিয়মিত
বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও
কমে।
মটরশুটি
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত
উপকারী একটি খাদ্য মটরশুটি।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন
এক কাপ মটরশুটি খেলে দুই ধরনের
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এতে
উচ্চমাত্রায় শর্করা, চর্বিহীন
প্রোটিন এবং আঁশ রয়েছে। এটি
শরীরের রক্তে চিনি কমাতে
সাহায্য করে; হৃদরোগের
সম্ভাবনাও কমায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো.,,,