নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাবু ভাইয়ের ব্লগ

সব স্বাভাবিক জিনিসই অস্বাভাবিক..

বাবু ভাইয়া

ভাবছি,

বাবু ভাইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইফতার যাবে বাড়ি বাড়ি

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩৫

রমজানে চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসম্মত ও মুখরোচক ইফতার ও সেহরি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েও আয় করা যায়। বিস্তারিত জানাচ্ছেন রায়হান আহমদ আশরাফী

শুরু হচ্ছে রমজান। এ মাসে রোজাদারের কাছে ইফতার ও সেহরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যস্ততার কারণে ঘরে খাবার তৈরির সুযোগ পান না অনেকেই। সময়ের অভাবে সুস্বাদু আর ঐতিহ্যবাহী খাবার কেনাও হয়ে ওঠে না অনেকের। এ সময়টাতে চাহিদামতো ইফতার ও সেহরি পৌঁছে দেওয়াটাই হতে পারে ভালো ব্যবসা।

যেভাবে শুরু করবেন

ঘরে তৈরি বা বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করতে পারেন। বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। প্রথমদিকে অল্প পরিসরে বিক্রি শুরু করে পরবর্তী সময়ে চাহিদা অনুযায়ী বাড়ানো যেতে পারে। ঘরে খাবার তৈরির জন্য ঘরোয়া সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন। এতে পণ্য কেনার খরচ কমে যাবে। ইফতারের কাঁচামাল যেমন-ছোলা, ডাল, তেল, সবজি পাইকারি বাজার থেকে কিনতে পারেন। সেহরির জন্য কিনতে হবে চাল, ডাল, মাছ, মাংস, মসলাসহ দরকারি উপকরণ। ভালো মানের খাবার তৈরির জন্য রান্নার কাজে অভিজ্ঞ কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন। রেস্তোরাঁর খাবার সরবরাহ করতে হলে প্রথমে বিভিন্ন খাবার দোকানে যোগাযোগ করে তাদের ইফতার ও সেহরি আইটেম, দাম ও মান সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে।

মেন্যু নির্ধারণ করুন

ইফতারে অনেকেই ভাজাপোড়া পছন্দ করেন। স্বাস্থ্যসচেতনরা বেছে নেন ফলফলাদি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। সব ধরনের ক্রেতার কথা মাথায় রেখেই খাবারের মেন্যু সাজাতে হবে, দাম রাখতে হবে নাগালের মধ্যে। সাধারণ মেন্যুর মধ্যে খেজুর, ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, সবজিবড়া, জিলাপি, সালাদ রাখতে পারেন। বড় বাপের পোলায় খায়, খাসির আস্ত রানের রোস্ট, কিমা পরোটা, স্পেশাল নানা ধরনের কাবাব, হালিম, বার্গার, রোল, সমুচা, শিঙাড়া, স্যান্ডউইচসহ বিভিন্ন ফাস্ট ফুড, বিরিয়ানি, তেহারি ইত্যাদি রাখতে পারেন। ইফতারে পানীয়ের চাহিদা মেটাতে পেস্তা শরবত, কাশ্মীরি শরবত, বোরহানি, লাচ্ছি, মাঠা, লাবাং, আম, পেঁপে ও আঙুরের জুস বোতলজাত করে সরবরাহ করা যেতে পারে। প্রতিটি আইটেমের আলাদা দাম নির্ধারণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্যাকেজ অফার দেওয়া যেতে পারে। সেহরির আইটেমে রাখতে পারেন ভাত, মাছ, মাংস, দই, খিচুরি প্রভৃতি আইটেম।

প্রচারেই প্রসার

ফেসবুকে প্রতিষ্ঠানের নামে পেজ বা এক মাসের জন্য ইভেন্ট খুলে বিভিন্ন ইফতার আইটেমের ছবি পোস্ট করতে পারেন। প্রত্যেক ছবির সঙ্গে এর নাম, দাম ও যোগাযোগের নম্বর দিতে হবে। ফেসবুকে ব্যক্তিগত মেসেজের মাধ্যমেও ইফতার হোম ডেলিভারি সেবা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারেন। কম খরচে পাঠাতে পারেন বাল্ক ই-মেইল বা এসএমএস। বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার, ব্যানারের মাধ্যমেও প্রচারণা চালানো যেতে পারে।

খেয়াল রাখতে হবে

ইফতারের সময় নির্দিষ্ট। এর আগেই ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ইফতার নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছে দিতে হবে। খাবার সরবরাহের জন্য ডেলিভারি বয়, যাতায়াতের জন্য সাইকেল বা হোন্ডা প্রয়োজন হবে। খাবার অর্ডারের শেষ সময় এমনভাবে নির্ধারণ করুন, যেন অর্ডারের পর তা তৈরি বা সংগ্রহ করে ইফতারের আগেই পৌঁছানো সম্ভব হয়। রাস্তায় যানজট ও গ্রাহকের ঠিকানা অনুযায়ী দূরত্ব খেয়াল রেখেই রওনা হতে হবে।

পচা-বাসি খাবার সরবরাহ করা যাবে না। খাবারের প্যাকিংও হতে হবে আকর্ষণীয়। খাবারের মান ধরে রাখতে পারে-এমন কাগজের বক্স বা ওয়ানটাইম প্লাস্টিক বক্স ব্যবহার করতে পারেন। খাবার গরম রাখতে বাটার পেপার বা ফুয়েল পেপার ব্যবহার করা যেতে পারে।ইফতার যাবে বাড়ি বাড়ি

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.