ধর্ম নিরপেক্ষতা ও আমাদের সমাজ

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

বাংলাদেশে প্রায় ৯০% মুসলমান, ৮% হিন্দু বাকীরা অন্যন্য ধর্ম। সকল ধর্মের উদ্দেশ্য হল মানুষের এর ভিতর লুকিয়ে থাকা বা জেগে থাকা অন্যায়, অবিচার ও পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখা এবং অন্যান্য ধরমাবলম্বিদের ক্ষতি না করে নিজের কাজ কর্ম করা। আসুন ধর্ম নিরপেক্ষতা বলতে কি বুঝায় তা দেখা যাক। ধর্ম নিরপেক্ষতা বলতে আমরা বুঝি ধর্ম পালনের স্বাধীনতা, সকল ধর্মে সমান অধিকার। যে যার ধর্ম পালন করবে কিন্তু কারও ধর্মে কেউ হস্তক্ষেপ করবেনা। রাষ্ট্রের সকলের সমান অধিকার সুনিশ্চিত হবে। এটাই হচ্ছে ধর্ম নিরপেক্ষতা। ধর্ম নিরপেক্ষতা অর্থ ধর্মহীনতা বা অধর্মতা বুঝায় না। অনেকেই ধর্ম নিরপেক্ষতাকে ধর্মহীনতা বলে মনে করেন। এই ধর্মীয় অনুভুতিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে অসংখ্য বৌদ্ধ ও হিন্দু মন্দিরে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে এছাড়াও হত্যা, ধর্ষণ ত আছেই। বাংলাদেশে এই ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা প্রতিটি পদক্ষেপে অত্যাচারিত হয়ে আসছে। মুক্ত চিন্তার কারনে খুন হচ্ছেন অনেক ব্লগার ও লেখক।ধর্ম বিশ্বাস রাষ্ট্রের জনগণের একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। ধর্ম থাকতে পারে নাগরিকের ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আচরণের বিষয় হয়ে। রাষ্ট্র সকলকে নিজস্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ও অধিকার দেবে সেই সাথে ধর্মহীন বা নাস্তিকের অধিকারও নিশ্চিত করবে সমান ভাবে। একজন নাস্তিক ধর্মনিরপেক্ষতার মাধ্যমে তার মত প্রকাশ করার অধিকার রাখে আর সেই অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব আধুনিক ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের।

১ টি +০/-০