নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাদল ৭৭৭

বাদল ৭৭৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রেন স্ট্রোক এর নানাদিক

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২০

‘স্ট্রোক’ – টার্মের সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত, কিন্তু এই টার্ম নিয়ে আমাদের বোঝার কিছু ভুল রয়েছে। এই যেমন অনেক সময় সনেককে ব্যবহার করতে দেখা যায় – হার্ট স্ট্রোক টার্মটি। কিন্তু মেডিকেল এ হার্ট স্ট্রোক টার্ম বলে কোনো শব্দ নেই। স্ট্রোক একটি ব্রেন এর সমস্যা।



ব্রেন স্ট্রোক কি?

ব্রেন এর সমস্যা যা প্রধানত রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে গিয়ে ব্রেনের কোনো অংশ অকার্যকর হয়ে তৈরি হয়।



কিভাবে হয়?

সাধারনত রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে গিয়ে এই সমস্যা হয়, কিন্তু রক্ত চলাচল কিভাবে বন্ধ হলো তার উপর ভিত্তি করে প্রধানত ২ ভাগে স্ট্রোক-কে ভাগ করা হয়। এই ভাগ করার পেছনে রয়েছে কিভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হবে সেই প্রনালী নির্ধারন। কেননা এক ধরনের স্ট্রোকের চিকিৎসা আরেক ধরনের স্ট্রোক-এ দেয়া হলে সেটা আরো খারাপ হয়ে যায়।



প্রকারভেদ -

• ইশকেমিক স্ট্রোক

• হেমোরেজিক স্ট্রোক



ইশকেমিক স্ট্রোক -

সাধারনত ব্রেন এ রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে এই ধরনের স্ট্রোক হয়ে থাকে।

কিভাবে - রক্তে হাইপারলিপিডেমিয়া (রক্তে লিপিড এবং কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া) হলে রক্তনালীর চারদিকে লিপিড জমে তা সংকুচিত হয়ে আসে, কখনো কখোনো এর মাত্রা বেড়ে গিয়ে রক্ত নালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে, আবার কখনো বা কোনো রক্তনালীতে জমে থাকা এমন লিপিড (Atherosclerotic plaque) ছুটে গিয়ে কোনো তুলনামূলক ছোট রক্তনালী বন্ধ করে দিয়ে এমনটি করতে পারে!



হেমোরেজিক স্ট্রোক -

সাধারনত ব্রেন এ কোনো রক্তনালী ছিড়ে গিয়ে এই ধরনের স্ট্রোক হয়ে থাকে।

কিভাবে - যাদের উচ্চরক্তচাপ অনেকদিন থেকে থাকে এবং সাধারনত কন্ট্রোল এর বাইরে থাকে তাদের রক্তনালী হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে ছিড়ে যেতে পারে। তাছাড়া অনেক সময় হঠাৎ কোনো সাইকোলোজিকাল কারনেও রক্ত চাপ -এ পরিবর্তন হয়ে এমনটি হতে পারে।

তাছাড়া ডায়াবেটিস এর রোগীদের এই দুই ধরনের ই স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অন্যান্যদের তুলনায় বেশি থাকে।



রিস্ক ফ্যাক্টর -

• ডায়াবেটিস থাকা

• উচ্চ রক্তচাপ থাকা

• হাইপারলিপিডেমিয়া থাকা

• ইশকেমিক হার্ট ডিজিস বা ভাল্ভুলার হার্ট ডিজিস থাকা

• ওজন স্বাভাবিক এর তুলনায় বেশি যাদের

• ধূমপান করা



উপসর্গ – স্ট্রোক হলে কিভাবে বুঝা যাবে?

ব্রেন স্ট্রোক হলে এর উপসর্গ সাধারনত নির্ভর করে ব্রেন এর কোনো অংশে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়ে স্ট্রোক হলো।

• হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা

• শরীরের কোনো এক দিকে দূর্বলতা বোধ করা

• শরীরের কোনো এক দিক নাড়াতে না পারা

• মুখ একদিকে বেকে যাওয়া

• প্রচন্ড মাথা ব্যথা হওয়া

• কথা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া

• বমি বমি ভাব ছাড়া বমি হওয়া

• দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া



স্ট্রোক হয়ে গেলে কি করতে হবে?

অতি দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সাধারনত স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি ভাবে ব্রেন-এর সিটি স্ক্যান করা হয় – কেননা আগেই বলেছি - যেহেতু ২ ভাবে স্ট্রোক হয় এবং এক ধরনের স্ট্রোকের চিকিৎসা অন্য ধরনের স্ট্রোককে আরো খারাপ করে তুলতে পারে তাই সিটি স্ক্যান এর মাধ্যমে নির্ধারন করা হয় কোন ধরনের স্ট্রোক হয়েছে!!

“স্ট্রোক-এর পর সিটি স্ক্যান এ কোনো সমস্যা দেখা গেলো না, অথচ পরের দিনের এম আর আই এ বলা হলো ইশকেমিক স্ট্রোক!” তবে কি সিটি স্ক্যান ভুল ছিলো বা তখনই এম আর আই করানো ভালো ছিলো না?

- না, কেননা হেমোরেজিক স্ট্রোক হলে তখন ই সেটা রেডিওলোজিক টেস্ট (সিটি স্ক্যান বা এম আর আই) এ ধরা পড়ে, কিন্তু ইশকেমিক স্ট্রোক হলে সেটা রেডিওলোজিক্যালি ধরা পড়তে বেশ কিছু ঘন্টা সময় নেয়। কিন্তু তারপরও ইমার্জেন্সি ভাবে সিটি করা হয় আলাদা করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার জন্য।

২৪ ঘন্টার ভিতর যেই স্ট্রোক সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে যায় - টি আই এ – ট্রানজিএন্ট ইশকেমিক এট্যাক

টিআইএ এমন এক ধরনের স্ট্রোক যা কিনা ২৪ ঘন্টার ভিতর সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে যায়, তবে কারো টি আই এ হয়ে থাকলে তার পরবর্তিতে যে কোনো নিউরোলোজিস্ট এর আন্ডারে নিয়মিত চেক আপ এ থাকা উচিত।



দৃষ্টি আকর্ষণ: স্বাস্থ্য বিষয়ক আরও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে এই পেজটি দেখতে পারেন । এখানে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডাক্তার চেম্বার, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, অপারেশন, টেস্ট সহ বিভিন্ন বিষয়ে অনেক তথ্য রয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.