![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিভিন্ন ধরনের নকশা বা কারুকার্য নয়, মাথার খুলি-হাড় দিয়ে সাজানো হয়েছে চার্চ (খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উপাসনালয়)! তাও দু’একটি নয়, ৪০ হাজারেরও বেশি খুলি ও কঙ্কাল দিয়ে চার্চটিকে সাজানো হয়েছে।
ভাবছেন লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এ কারুকার্য! না, শত শত বছর ধরেই এটি চলে আসছে। যাজক থেকে শুরু করে ক্রুসেড, মহামারীতে নিহতদের কঙ্কাল দিয়ে এটি সাজানো হয়েছে। সেডলেক ওসারি— বিখ্যাত সেই চার্চটির নাম, যা চেক প্রজাতন্ত্রে অবস্থিত। ইউনেস্কোর বিশ্বঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত রোমান ক্যাথলিক চার্চটি পরিদর্শনে প্রতি বছর দুই লাখেরও বেশি পর্যটক আসেন।
চার্চটিতে কঙ্কাল দিয়ে সাজানোর ইতিহাস বেশ পুরাতন। এর প্রচলন শুরু হয়েছিল ১২৭৮ সালে। কথিত আছে, সেডলেক থেকে জেরুজালেমে যাওয়া এক খ্রিস্টান যাজক সেখানকার ক্রুসিফাইড এলাকা থেকে কিছু মাটি নিয়ে ফেরেন। মাটিগুলো তিনি সেডলেকের ওই স্থানীয় চার্চটির সমাধিক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেওয়ার পরই তা লোকদের কাছে পবিত্র ভূমিতে পরিণত হয়। এরপর থেকে লোকজন সেখানে মৃতদেহ কবরস্থ করতে ব্যাপকভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠে। শুধু সাধারণই নয়, চেক প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন স্থানের যাজকদেরও এখানে সমাহিত করা হয়।
১৪০০ শতকে ইউরোপজুড়ে মহামারী প্লেগ ছড়িয়ে পড়লে মধ্য ইউরোপের প্রায় ৩০ হাজার লোকের মৃতদেহ এখানে সমাহিত করা হয়। ১৪১৯ থেকে ১৪৩৪ সালে রোমান ক্যাথলিক ও সংস্কারপন্থি বোহেমিয়ানদের মধ্যকার ক্রুসেডে নিহত হওয়া ১০ হাজারেরও বেশি লোকের লাশও এখানে সমাহিত হয়। সমাহিত এ লাশগুলোর কঙ্কাল দিয়েই চার্চটি সাজানো হয়েছে। ধারণামতে, চার্চটিতে বর্তমানে ৪০ থেকে ৭০ হাজারের মতো কঙ্কালের হাড় ও খুলি রয়েছে।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
গোধুলী রঙ বলেছেন: গন্ধ লাগে না?
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩
পিদীম হাতে নীড়ের পথিক বলেছেন: হয়তো !
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দেখতে যাব ভাবতেছি
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৯
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এটার ভিতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় স্বাভাবিক ভাবেই অন্যরকম একটা অনুভূতি হবে। অপার্থিব অনুভূতি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
নূর আল আমিন বলেছেন: ভাল্লাক্সে অনেক কিছু জানলুম, ধন্যবাদ