![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাপিত জীবনকে নিয়ে ভাবনার অনেক উপাদান আছে। তবে সবকিছু ভাবতে পারি না। ভাবার সুযোগ পেয়েও অনেক অনুষঙ্গ নিজ প্রয়োজনে এড়িয়ে গেছি। অনেক বিষয়ে পরে ভাবা যাবে বলে ঐ পরিচ্ছেদে আর কখনও যাওয়াই হয়নি। তবে বারংবার আমি প্রকৃতির কাছে ফিরে গেছি। তার কাছে শিখতে চেয়েছি। প্রকৃতিও শেখালো ঢের। তবুও হয়তো আমার প্রত্যাশা ও শিখনফলে আছে হতাশা । ইচ্ছা ও প্রাপ্তির খতিয়ান খুব একাকী মিলিয়ে দেখি-কত কিছুইতো হলো না দেখা, হলো না কত শেখার শুরু । তবুও প্রাপ্তি কি একেবারেই কম? মোটেই না। পেয়েছিও ঢের। মনে তাই প্রশ্ন জাগে, যেদিন আমি আবার নিঃশ্বেস হয়ে যাব সেদিন কি প্রকৃতিও আমার মতো একা হয়ে যাবে? এর জবাবও প্রকৃতির বিবৃতিতেই পেয়েছি-না, ক্ষুদ্র জীবনের আঁচর প্রকৃতিতে বেশিক্ষণ মূর্ত থাকে না। অন্যকথায় প্রকৃতির মধ্যে বিষণ্নতা বেশি দিন ভর করে থাকে না। তাই সে সহজ, তাই সে সমাদৃত! আমার বিবেচনায় একারণে প্রকৃতি সকল জীব ও জড়ের কাছে সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
রাস্তার পাশে বসে থাকা লোকটার সামনে
বেশ কিছু থালা উন্মুক্ত ছিলো, প্রথম দেখায়
ভাবলাম লোকটি বোধহয় ভিক্ষুক। তারপর ভাবি
এক ভিক্ষুকের এতো থালা? কে দিলো কোন
থালায় খয়রাত তার হিসেব কি আলাদা করার
এ পদ্ধতি?
আমিও একটি পয়সা সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যাই।
লোকটি আমাকে উপেক্ষা করে থালাগুলো গোছাতে থাকে।
দেখলাম, লোকটার কোন থালায় অশ্রু, কোন থালায়
অট্রলিকা আবার কোনটিতে কেবল মানুষ আর মানুষ।
আমি বিষ্ময় ভরা কৌতুহলে থালার দিকে তাকিয়ে থাকি।
বেখিয়ালে কখন যে আমার হাতের ফাঁক গলে পয়সাটি
মাটিতে পড়ে যায় বুঝতে পারি না।
সে আমাকে হাত নেড়ে সাধুর মতো ইশারা করে বলে,
এই নাও তোমার অট্রলিকা। থালা সমেত শাহী মহল
হাতে আমার বাদশা সলোমনের কথা মনে পড়ে যায়।
তাকে প্রশ্ন করি, তুমি কি রানী বিলকিস কে চেনো?
কফির ধোঁয়ার মতো হাসির স্নিগ্ধতা বাতাসে উড়িয়ে বলে,
থালা ভর্তি এ অশ্রু তো তারই।
আমি চমৎকৃত হয়ে বলি-
তুমি কি পথের ফকির, দোকানি না কি জাদুকর?
সে এবার আমার অপর হাতে একটি মুদ্রা তুলে দেয়।
আমি দেখি পাঁচ সহস্র বছর পূর্বের
আমার হাত থেকে পড়ে যাওয়া এটি সেই মুদ্রা !
লোকটির মুখে কাষ্ট হাসি। বলে, আমিই ইতিহাস।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১১
বাগান বিলাস বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর।
+++