নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে

আমি আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছু শেয়ার করতে চাই এবং আপনাদের কাছ থেকে মূল্যবান কিছু নিতে চাই।

হেডমাষ্টার সাহেব

অনুসন্ধান

হেডমাষ্টার সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

'লাল বাতি জ্বলাকালীন নুতন করে সুন্নাতের নিয়্যত করবেন না" কথাটি কী ঠিক?

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:১৭

" বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম"



বাংলাদেশের শতকরা ৯৮ভাগ মাসজিদেই খুব সুন্দর করে লেখা থাকে "লাল বাতি জ্বলাকালীন নুতন করে সুন্নতের নিয়্যত করবেন না ।

যতটুকু খেয়াল করেছি কথাটির মূল উদ্দেশ্য হল জুমু'আর খুতবা চলাকালীন

সুন্নত । কিন্তু কথাটি শরীয়াতের দৃষ্টিতে কতটুকু সঠিক ?



মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে আযান সম্পর্কে দুটি হাদিস পাঠ করি-

.... নাবী করিম (সঃ) ,আবু বকর (রাঃ) এবং উমর (রাঃ) এর সময়

জুমু'আর দিন ইমাম যখন মিম্বরের উপর বসতেন, তখন প্রথম আযান দেওয়া হত। পরে যখন উসমান (রাঃ) খলীফা হলেন এবং লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেল , তখন তিনি 'যাওরা' থেকে তৃতীয় আযান বৃদ্ধি করেন । ইমাম বুখারী (রঃ) বলেন, 'যাওরা' হল মদীনার অদূরে বাজারের একটি স্থান ।

বুখারী (ইসলামিক ফাঃ) ১৮১পৃঃ ৮৬৬নং হাঃ ।



অনুচ্ছেদঃ জুমু'আর দিন এক মুআযযিনের আযান দেওয়া ।

......মদীনার অধীবাসীদের সংখ্যা যখন বৃদ্ধি পেল, তখন জুমু'আর দিন তৃতীয় আযান যিনি বৃদ্ধি করলেন, তিনি হলেন, উসমান ইবন আফ্ফান (রাঃ) । নাবী করিম (সঃ) এর সময় (জুমুআর জন্য ) একজন ব্যাতীত মুআযযিন ছিল না এবং জুমু'আর দির আযান দেওয়া হত যখন ইমাম বসতেন অর্থাৎ মিম্বরের উপর খুতবার পূর্বে ।

বুখারী (ইঃ ফাঃ) পৃঃ ১৮২ , ৮৬৭ নং হাঃ ।



এখন প্রশ্ন হল, উসমানীয় আযানের উসমানীয় শর্ত হওয়া বান্ঞ্চনীয় নয় কী ? যে মদীনায় এ আযান শুরু হয়েছিল সে আযান কী এখনও সেখানে চালু আছে? না থাকলে যে আযান রসুল (সঃ) এর সুন্নাতকে ঠিক রেখে

'যাওরা' নামক বাজারে চালু হয়েছিল , তা কিভাবে আমাদের এ উপমহাদেশে মাসজিদের বারান্দায় ১ম আযান এবং ইমাম সাহেবের সামনে দাড়িয়ে ২য় আযানে রুপ নিল ? যদি কারো জানা থাকে দয়া করে জানাবেন ।



যাই হোক, আমাদের এই উপমহাদেশে এই ১ম ও ২য় আযানের মধ্যবর্তী

সময়ে বাংলায় যে বয়ানটা হয় (যা রসুল (সঃ) এর সময় চালু ছিল বলে

কোন প্রমান আমার জানামতে নেই ) সে সময় জ্বলে ওঠে এই লাল বাতি ।

যা জ্বলাকালীন কোন সুন্নাত আদায় না করার জন্য নির্দেশ দেয় ।



কিন্তু আল্লাহর রসুল (সঃ) খুতবা দিচ্ছিলেন এরকম সময়ের একটি সহীহ

হাদিসের প্রতি একটু লক্ষ্য করুন -



অনুচ্ছেদঃ ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় যিনি মাসজিদে আসবেন তার

সংক্ষেপে দু'রাকা'আত সলাত আদায় করা ।

আলি ইবন আব্দুল্লাহ (রঃ)...জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত ,

তিনি বলেন, এক জুমু'আর দিন নাবী (সঃ) খুতবা দেওয়ার সময় এক ব্যক্তি প্রবেশ করল । তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, সলাত আদায় করেছ

কী ?সে বলল, না, তিনি বললেনঃ উঠ , দু'রাকা'আত সলাত আদায় করে নাও।

বুখারী (ইঃ ফাঃ) ১৯১ পৃঃ ৮৮৪ নং হাদিস ।



আল্লাহর রসুল (সঃ) যে সলাতের অনুমতি দিলেন সে সলাতের উপর

নাবোধক নোটিশ ঝুলানো হল কখন এবং কিসের ভিত্তিতে কারও জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন কী ?



আল্লাহ আমাদের সকলকে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন। আমীন ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৫/-১

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:১২

আমি বিপ্লবী বলেছেন: সহমত!+

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:০৮

মারূফ মনিরুজ্জামান বলেছেন: এইটার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক করার দরকার হচ্ছে কেন বুঝলাম না- পাবলিক দেরি করে আসবে - সেই জন্য সবাইকে তো আর বসিয়ে রাখা ঠিক না- লাল বাতি যখন জ্বলবে তার অল্পক্ষণ পর ফরজ নামাজ শুরু হবে- মানে ফরজ শুরু হবার আগে নামাজ শেষ করা যাবে না-

তো মসজিদে পৌছার আগে ফরজ যদি শুরু হয়ে যায় তাহলে কি হবে- তাও আগে ছুন্নত পড়বে?

মাইনাস-

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০০

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন:
ভাইজান মাইনাস আর প্লাসের কথা না।
আপনি খেয়াল করুন রসুল (সঃ) এর হাদিস টি যার অর্থ হলো
মাসজিদে বসার আগে দুরাকা'য়াত সুন্নাত আদায় করে বসতে বলেছেন। যেখানে আল্লাহর রসুল (সঃ) সলাত আদায় করে বসতে বলেছেন, সেখানে সলাত না পড়ার হুকুম করার আমি বা আপনি কে?
ভাইজান এর সপক্ষে কোন দলীল কী আপনার কাছে আছে?

তো মসজিদে পৌছার আগে ফরজ যদি শুরু হয়ে যায় তাহলে কি হবে- তাও আগে ছুন্নত পড়বে?
এখানে কিন্তু রসুল (সঃ) বসতে বারন করেছেন মাত্র । ফরজ সলাত শুরু হলে বসার সুযোগ কই?

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৬

বায়োস্কোপ বলেছেন: আমি যতদূর জানি খুতবা সন ওয়াজিব...এসময় কোনও সুন্নাত বা নফল নামাজ পড়া উচিত না..কেননা ওয়াজিব এর স্থান সুন্নাত/নফল এর উপরে.....একরনেই খুতবার সময় লাল লাইট ওন থাকে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১৩

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন:
আপনি বলেছেন খুতবা শোনা ওয়াজিব, এজন্য কোনও সুন্নাত বা নফল সলাত পড়া উচিত নয় । আসলে এটা উচিত বা অনুচিতের প্রশ্ন নয় । কারন এক্ষেত্রে রসুল (সঃ) এর হাসি স্পষ্ট অস্পষ্ট নয় ।
তাহলে আপনি বুখারীর হাদিসটির কী ব্যাখ্যা দেবেন ? ব্যাখ্যা থাকলে দয়া করে দলীল সহকারে দেবেন ।
এবার আসুন , যেহেতু যুক্তির কথা বলেছেন, তাহলে আমাদের দেশে হানাফী মাযহাব অনুযায়ী ফযরের ফরয সলাত চলাকালীন যে সুন্নাত
সলাত আদায়পূর্বক ফরয সলাতে শরীক হয় , সেক্ষেত্রে তো ওয়াজিব নয় বরং ফরয কে অবহেলা করা হচ্ছে ।
এই অবহেলার কোন শরীয়াত ভিত্তিক ব্যাখ্যা কী জানা আছে?
ভাইজান, আমি ইসলামের কোন স্কলার নই । নিজের ভুলকে কোরআন ও হাদিসের আলোকে যাচাই করতে চাই এবং শোধরাতে চাই ।
পারলে আমার ভুলগুলোকে একটু শোধরে দেবেন ।
যাজাকাল্লাহ খইর ।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১৫

মো: মোফাচ্ছির হোসেন বলেছেন: ভাইজান, ব্লগে মাওলানা-মুহাদ্দিস-মুফতী সাহেবদের হাট বসেছে নাকি যে এখানে এইসব বিতর্কিত বিষয়গুলো জানতে চাচ্ছেন? আপনার আগের পোস্টগুলো বেশ ভাল লেগেছিল, কিন্তু এটা পড়ে হতাশ হলাম।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৫৫

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: ভাই জান আমিও আপনার এবারের মন্তব্যে হতাশ কম হইনি ।
যদি আপনার কথামত উনাদের যেকোন একজনও হতে পারতাম
তাহলে হয়ত আমার এই বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে হতনা ।
একজন মুসলিম হিসাবে অনন্ত জীবনের যে ভয় মনের মধ্যে ঢুকেছে
তাতে আমি মনে করি শুধুমাত্র ব্লগ কেন যেকোন অনুষ্ঠানে আলোচনার মত সুযোগ থাকলে যে গুলো না জানলেই নয় সেগুলো অন্তত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেয়া উচিত। আফসোস হয় , একটা সর্বোচ্চ প্রচলিত ডিগ্রীর জন্য এবং দুনিয়ার সুখ-শান্তির জন্য দেশের
অনেক অন্ঞ্চলে কষ্টকে মেনে নিয়ে ভ্রমন করেছি অথচ ঐশী জ্ঞানের সন্ধানে তো কোন কষ্টই স্বীকার করলাম না । কী আশ্চার্য, একজন মুসলিম হিসাবে যে জ্ঞানের প্রয়োজন ছিল তাতো শূণ্যের কোঠায় ।
এই বয়সে কিভাবে শিখবো ,কার কাছ থেকে শিখবো নানা চিন্তার সমাধান হিসাবে আমার এক ছোট ভাইয়ের পরামর্শ মত অনেক ধার দেনা করে একট পিসি ও মডেম কিনলাম শুধুমাত্র সঠিক পথ খুজে নেওয়ার জন্য । অর্থাৎ ব্লগের মাধ্যমে ইসলামকে জানার ও নিজের
ত্রুটি-বিচ্যুতি কে সংশোধনের মাধ্যম হিসাবে বেছে নিলাম ব্লগকে ।
শুধুমাত্র এই ব্লগ নয় ইসলামের প্রায় সকল ব্লগেই মোটামুটি কমবেশী বিচরন করছি ।
যে কথাটা আমার সবথেকে বেশী লেগেছে সেটা হলো আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয়
ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর উক্তিটি ।
তিনি যা বলেছেন তা অনেকটা এরকম , এই দুনিয়ায় কেউ ডাঃ , ডঃ,ইন্ঞ্জিনিয়ার,.... কত পন্ডিত বিভিন্ন বিষয়ে কিন্তু তারা সবাই পন্ডিত তবে যদি ঐশী জ্ঞান না থাকে তাহলে সে হল মুর্খ পন্ডিত ।
আমার কাছে মনে হয়েছে কথাটা আসলেই ভেবে দেখার মত ।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৩১

সুচিন্তিত মতবাদ বলেছেন: মো: মোফাচ্ছির হোসেন @ বলেছেন: ভাইজান, ব্লগে মাওলানা-মুহাদ্দিস-মুফতী সাহেবদের হাট বসেছে নাকি যে এখানে এইসব বিতর্কিত বিষয়গুলো জানতে চাচ্ছেন?

ভাইয়া এখানে অনেক ব্লগার আছেন যারা ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন। মসজিদের ইমামদের প্রশ্ন করা হলে বলে, তোমাদের এতো কিছু জেনে দরকার কি? বড় বড় মাওলানাগণ আছেন না? তোমরা শুধু ওদের ফলো করো, বেশী পান্ডিত্য অর্জন করতে যেও না।
লেখকের সাথে আমি সম্পূর্ণ সহমত পোষন করছি। মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে দেখা যায় ফারজ নামাজের জন্য একামত হয়ে গেছে অথচ কিছু অজ্ঞ মুসলমান সুন্নাত নামাজ আদায় করছেন, হয়তো তার এক রাকায়াত সুন্নাত বাকী আছেন তিনি তা পুরা করেই ফারজ নামাযে শরীক হয়েছেন। আসলে কি আমরা হাদীসটি জানি? না-কি জেনেও মানি না। হাদীসটি হচ্ছেঃ

আবদুল্লাহ ইবনু মালিক ইবনু বুহাইনাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে গেলেন। অন্য সূত্রে ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, আবদুর রহমান (রহঃ)........ হাফস ইবনু আসিম (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মালিক ইবনু বুহাইনাহ নামক আযদ গোত্রীয় এক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এক ব্যক্তিকে দু'রাকাআত সলাত আদায় করতে দেখলেন। তখন ইক্বামাত হয়ে গেছে। আল্লাহর রসূল (সাঃ) যখন সলাত শেষ করলেন, লোকেরা সে লোকটিকে ঘিরে ফেলল। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাকে বললেনঃ ফাজর কি চার রাক'আত? ফাজর কি চার রাক'আত? (বুখারী)

সুতরাং কেহ যদি এক্বামাত হয়ে যাবার পরেও নামাজ আদায় করে তাহলে ফারজ নামাজের সাথে যা আদায় করেছে তা যোগ হয়ে যাবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, যুহরের নামাজ চার রাক'আত হলে ঐ ব্যক্তির জন্য তা পাঁচ রাক'আত হবে।

সত্যকথা বলতে কি, আমরা সাধারণ মানুষ হুজুরদের মহা জ্ঞানী বলে জানলেও তারা সহীহভাবে আমলের ব্যপারে আমাদের খুব কম আদেশ নিষেধ দিয়ে থাকেন অথবা তারা সহীহ হাদীস পাঠই করেন না। শুধু ফিকাহ (ইজমা কিয়াস) নিয়েই মেতে থাকেন। উক্ত ফিকাহের বিরুদ্ধে কোন সহীহ হাদীস থাকলেও তারা তা আমল করতে উৎসাহিত করেন না। বরং সকলকে বুঝিয়ে থাকেন হানাফী মাযহাবের সর্বোচ্চ দলীল ফিকাহের বাইরে আমাদের যাওয়া যাবে না।

আল্লাহপাক আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৮

ভদ্র বলেছেন: """"ভাইজান, আমি ইসলামের কোন স্কলার নই । নিজের ভুলকে কোরআন ও হাদিসের আলোকে যাচাই করতে চাই এবং শোধরাতে চাই ।""""


==>আপনি ইসলামের জ্ঞান অর্জনের সময় অবশ্যই আপনার নিকটস্থ কোন মাওলানার সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। অন্যথায় আপনার শিক্ষায় ত্রুটি রয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.