নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৈকন্ঠ

বৈকন্ঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতে প্রতি ২০ মিনিটে একটি ধর্ষণ :

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। নারী সাংবাদিক, মহিলা পুলিশের পর এবার এক কলেজছাত্রীর সহপাঠীদের গণধর্ষণের শিকার হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হলো। মুম্বাই, ঝাড়খন্ডের পর এবার গণধর্ষণের ঘটনা উদঘাটিত হলো হরিয়ানায়। একের পর এক গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশিত হওয়ায় গোটা ভারত লজ্জায় মাথা নত করলেও ধর্ষণকারীরা থেমে নেই।

ভারতে এখন প্রতি ২০ মিনিটে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হন। ভারতের দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এনএসআরবি) এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানা গেছে।

দেশটিতে নারীর ওপর সহিংসতা ২০১০ সালের তুলনায় সাত দশমিক এক ভাগ বেড়ে গিয়েছে বলে এনএসআরবির সমীক্ষায় দেখা গেছে।

এছাড়া, গত ১০ বছরে ভারতে শিশু ধর্ষণের হার শতকরা ৩৩৬ ভাগ বেড়ে গিয়েছে।

ধর্ষণ সংস্কৃতি মুখোমুখি শিরোনামে শনিবার ভারতের নয়াদিল্লী প্রেসক্লাবে আয়োজিত একটি চিত্র প্রদর্শনীতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

গত ডিসেম্বরে রাজধানী নয়াদিল্লীতে মেডিকেল ছাত্রী গণধর্ষণ ও নিহতের ঘটনার প্রতিবাদের ছবি নিয়ে ওই প্রদর্শনীয় আয়োজন করা হয়। চন্দন গোমেজ নামে এক ব্যক্তি ওই প্রদর্শনীর আয়োজন করেন।

এদিকে, মুম্বাইয়ে সন্ধ্যায় পরপরই নারী সাংবাদিক গণধর্ষণের ঘটনায় নতুন করে নড়েচড়ে বসেছে গোটা ভারত।

মুম্বাইয়ের লোয়ার প্যারেল এলাকায় মহালক্ষ্মী স্টেশনের কাছে শক্তি মিল নামে একটি পরিত্যক্ত জুট মিলে বৃহস্পতিবার খবর সংগ্রহে গিয়েছিলেন ইংরেজি পত্রিকার শিক্ষানবিস তরুণী সাংবাদিক। সেই সময় তাকে ঘিরে ধরে পাঁচ ব্যক্তি। ওই তরুণীর পুরুষ সহকর্মীকে মারধর করে বেঁধে রেখে গণধর্ষণ করা হয় তাকে।

নারী সাংবাদিকের ঘটনা নিয়ে যখন সারা ভারতে তোলপাড় চলছে তখন ঝাড়খন্ড নারী পুলিশকে লাশবাহী গাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।

সহপাঠীদের গণধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে এবার এক কলেজছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ধর্ষক সবাই তারই কলেজের সহপাঠী।

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষিতা ওই ছাত্রীর এক সহপাঠী তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলে। কিন্তু সে তার বাড়িতে না নিয়ে তার ধাকাল নামক স্থানে তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পুলিশ বলছে, এ ঘটনা ঘটেছে আরো আড়াই মাস আগে।

নির্যাতিতা বিকম শেষ বর্ষের ছাত্রী। এ নিয়ে ছাত্রীটি থানায় মামলা করেছে। মামলার এজাহারে সে অভিযোগ করেছে, ঘটনা ফাঁস করলে তাকে হত্যা করবে বলে ধর্ষকরা হুমকি দিচ্ছে।

সম্প্রতি এক ফটো সাংবাদিক ও লাশের গাড়িতে এক মহিলা পুলিশ গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর যখন ভারতজুড়ে তোলপাড় চলছে তখন নতুন করে কলেজছাত্রী ধর্ষণের এ খবর বের হলো। এর আগেও কয়েক দফায় গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ভারতে ঝড় বয়ে গেছে। দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লী এখন ধর্ষণের নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

ঝাড়খন্ডে মহিলা পুলিশ গণধর্ষণের ঘটনায় ৫ জন আটক

এদিকে, ঝাড়খন্ডে মহিলা পুলিশ গণধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

ঝাড়খন্ডে ভোর রাতে পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা রাস্তা দিয়ে ডাকাতদের হাতে নিহত নিজের বোন-ভগ্নীপতির লাশ নিয়ে রাঁচি থেকে গাড়বায় নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন লাতেহার পুলিশ লাইনের এক মহিলা সদস্য। মাঝ রাস্তায় লাশবাহী গাড়িগুলো থাময়ে তাদের সর্বস্ব লুট করে ডাকাতরা এবং লাশের গাড়িতেই তারা মহিলা পুলিশকে গণধর্ষণ করে। পুলিশ জানায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে নারী পুলিশ সদস্যকে ডাকাতরা ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ঝাড়খন্ডে পুলিশ কর্মকর্তারা স্তম্ভিত। মানুষের প্রশ্ন মহিলা পুলিশের উপরই যদি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?

বিব্রত রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব কুমার বলেন, “এখন তদন্ত চলছে। এ নিয়ে কিছু বলা যাবে না। তবে দোষীরা খুব বেশি দিন বাইরে থাকবে না।”

উল্লেখ্য বুধবার রাত দুটো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে জগলদাগাতে। গত ২০ আগস্ট রাঁচির আরগোড়ায় ডাকাতরা চড়াও হয় ওই মহিলার বোনের বাড়িতে। ডাকাতদের গুলিতে নিহত হন তার বোন এবং ভগ্নীপতি। ময়নাতদন্তের পর ২১ তারিখ রাতে তাদের লাশ নিয়ে ওই মহিলা পুলিশ ও তার আত্মীয়রা রাঁচি থেকে গড়বা জেলার মান্ডরিয়ায় নিজেদের গ্রামে ফিরছিলেন। গ্রামে ফিরে বোন-ভগ্নীপতির সৎকার করাই ছিল তাদের লক্ষ্য।

তবে পথে ডাকাতের কবলে পড়ে সেই মহিলা পুলিশ গণধর্ষণের শিকার হয়। ওই মহিলার স্বামীও পুলিশের সদস্য ছিল। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে রাজ্যের প্রথম স্পিকার ইন্দর সিংহের গাড়িতে হামলা চালায় মাওবাদীরা। হামলায় স্পিকার বেঁচে গেলেও তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ওই মহিলার স্বামীসহ ৫ পুলিশ সদস্য নিহত হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর ওই মহিলাকে পুলিশে চাকরি দেয়া হয়।

ধর্ষিতা মহিলা পুলিশ সদস্য শুক্রবার থানায় এজাহার দায়ের করেন। তারপরেই পুলিশ সন্দেহজনক পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দুস্কৃতকারীদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। ইতিমধ্যে পুলিশ ব্যাপক তল্লাশী অভিযান শুরু করেছে।

উল্লেখ করা যেতে পারে জুলাই মাসেই রাজ্যের পাকুড়ায় মহিলাদের হোস্টেল থেকে চার তরুণীকে বের করে নিয়ে গিয়ে তাদের ধর্ষণ করে দুষ্কৃতকারীরা। এ ছাড়াও সম্প্রতি মহিলাদের উপর হামলার আরো বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খন্ডে। কিন্তু নারী পুলিশের ধর্ষণের ঘটনাটি সব কিছুকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আইআরআইবি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.