![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কলকাতা: ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবেই পৃথিবীতে পরিচিত ভারত। কিন্তু সেই ভারতের খোদ পশ্চিমবঙ্গেই কিনা সরকারি স্কুলে ধর্ম-পরিচয়ের ভিত্তিতে ব্রাত্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মেয়েরা৷
জানা যায়, রাজ্যের বর্ধমান জেলার খোসবাগানের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে হরিসভা হিন্দু গার্লস হাইস্কুল নামে স্বনামধন্য স্কুলটিতে পড়তে পারে না এলাকারই মুসলিম ছাত্রীরা৷ রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের হস্তক্ষেপেও নিয়ম বদলায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ৷
ক্ষুব্ধ কমিশনের প্রধান ইন্তাজ আলি শাহ শেষ পর্যন্ত চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে৷ কমিশনের চেয়ারম্যানের জানান, কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাশ করার পরেও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত একটি বিদ্যালয়ের এই আচরণ শুধু ধর্মনিরপেক্ষতারই পরিপন্থী নয়, অমানবিকও৷ এমনটা কিছুতেই চলতে পারে না বলেও চিঠিতে মন্তব্য করেন তিনি৷
বর্ধমান হরিসভা হিন্দু গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের আাচরণ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও৷ ইয়াসমিন বেগম নামে জেলার এক বাসিন্দা জানান, তার মেয়ের ক্ষেত্রেও এমনই ঘটেছিল৷ বাড়ির কাছেই এই স্কুল, কিন্তু সেখানে ভর্তি করা যায়নি মেয়েকে৷
এদিকে মুসলিম মেয়েদের ভর্তি না নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা তনুজা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ তিনি বলেন, 'এত বছর ধরে এটাই চলে এসেছে৷ সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করা হলে, উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে৷ কে তার দায়িত্ব নেবে?'
শুধু মুসলিম ছাত্রীই নয়, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি পাশ করা একজন মুসলিম শিক্ষিকাকেও এই স্কুলে যোগ দিতে দেয়া হয়নি৷
এক ছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে গত বছর জুলাইয়ে জেলা প্রশাসন, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান৷ জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেয়া হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি৷
মাস কয়েক আগে যখন বর্ধমান জেলা সফরে গিয়েছিল কমিশনের প্রতিনিধিদল, তখনও ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের আচরণ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তারা৷ এ বছরও স্থানীয় কয়েকটি মুসলিম পরিবারের তরফ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের মেয়েদের ভর্তি নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল৷ কিন্তু নিয়মের দোহাই দিয়ে মুসলিম মেয়েদের ভর্তি নিতে রাজি হননি কর্তৃপক্ষ৷
সংঘ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলি শাহ বলেন, '২০০৯ সালে শিশুদের সার্বিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে যে আইন পাশ হয়, তার ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোরই৷ শুধু তাই নয়, ওই স্কুলটি বিভিন্ন ভাবে সরকারি সাহায্য পায়৷ তার পরেও স্রেফ ধর্মের ভিত্তিতে কী ভাবে এ কাজ করতে পারে?'
মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এরই জবাব চেয়েছেন তিনি৷ তার কথায়, 'এ ভাবেই যদি চলে, তবে কীসের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, কীসের ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য?'
কিন্ত্ত কেন মুসলিম ছাত্রীদের ভর্তি নিতে নারাজ স্কুলটি? স্কুল সূ্ত্রে জানা যাচ্ছে, বর্ধমান রাজ পরিবারের কাছ থেকে জমি নিয়ে তৎকালীন হিন্দু মহিলাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতেই ১৯৩৪ সালে বিদ্যালয়টি চালু করেছিল হরিসভা৷ কালে কালে তা প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়৷ বর্তমানে এই স্কুলে পড়ে প্রায় ১ হাজার ৬০০ ছাত্রী৷ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী রয়েছেন ৪৩ জন৷
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৮
অনেকের মধ্যে একজন বলেছেন: তো কি করবো? যান আন্দলনে নামেন এতই যখন লাগছে
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪১
বাংলার তৌহিদ বলেছেন: যাক ইহা যদি বাংলাদেশে ঘটিয়া থাকিত তাহলে বাংলাদেশের চুচীলদের চুলকানিতে মাথার চুল উড়িয়া যাইতো।ভাগ্যিস ইহা বাংলাদেশে ঘটে নাই নাহলে কলকাতা থেকে কত চিঠি আসতো সুনিল গুনিল বন্দ্য পদ্য দের আবেগী কথা এই দেশের টিভি চ্যানেলে ভরে যেত।খোদ তাহাদের দেশে যখন তাহাদের কোরামের লোকেরা ঘটনাটি ঘটাইলো তাহাতে তাহাদের গলা দিয়ে করুন আর আবেগী স্বরটা বের হবে না।
---------------------------------------------------------------------------------
।আর বাংলাদেশীরা ভাই ভাই আমাদের মধ্য কোন ভেদাভেদ নাই।
৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
এস এইচ খান বলেছেন: সাচার রিপোর্ট গুগলে পাবেন। সময় করে পড়ে দেখবেন। দেশটির মুসলিমরা সেখানকার সামাজিক এবং শিক্ষা ব্যবস্হায় কতটা ভয়াবহ বৈষম্যের শিকার তার করুণ কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে ঐ রিপোর্টে যদিও আমি মনে করি প্রকৃত অবস্হা আরও করুন! আরও ভয়াবহ!!
কেবল পশ্চিম বাংলায় ৩০-৩৫% মুসলিম রয়েছে কিন্ত সরকারী চাকুরীতে তারা ১-২% এর বেশী নেই! পশ্চিম বাংলার টিভি চ্যানেলগুলোর প্রোগ্রাম খেয়াল করে দেখবেন, সেখানে অনুষ্ঠান পরিচালনায় কোন মুসলিম পাবেন না এমনকি ১% সাধারন কলা কুশলীয় চোখে পরবে না! আর এসব অন্যায় অবিচার তারা করছে মূলত: তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক মহান গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্হার আড়ালে!! এক রিপোর্টে দেখেছি, এই চরম সাম্প্রদায়িক আর বৈষম্যের দেশটিতে গড়ে প্রতি দিন ৩টিরও বেশী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় যেখানে মুসলিমরাই মূলত: ভয়াবত নিগৃহের শিকার!
আমাদের এখানে দেখবেন এক শ্রেণীর নিকৃষ্ট উজবুক দালাল আছে যারা কথায় কথায় ইন্ডিয়াকে মহান খেতাব দিতে দিতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে! তখন সত্যি আশ্চর্য হয়ে যাই!! মোদ্দা কথা, ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে ভারতীয় শাসক গোষ্ঠী মূলত: ভাড়তকে এখন ব্রাক্ষন্যবাদী হিন্দুশ্তান বানিয়ে ফেলেছে সে ক্ষেত্রে বিজেপির চেয়ে বরং কংগ্রেসই এক কাঠি সরেস!!
ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য।
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
উযায়র বলেছেন: বাংলার তৌহিদ বলেছেন: যাক ইহা যদি বাংলাদেশে ঘটিয়া থাকিত তাহলে বাংলাদেশের চুচীলদের চুলকানিতে মাথার চুল উড়িয়া যাইতো।ভাগ্যিস ইহা বাংলাদেশে ঘটে নাই নাহলে কলকাতা থেকে কত চিঠি আসতো সুনিল গুনিল বন্দ্য পদ্য দের আবেগী কথা এই দেশের টিভি চ্যানেলে ভরে যেত।খোদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৪
এম আর ইকবাল বলেছেন: নিজের দেশেই অনেক সমস্যা, আরেক জনের দেখে লাভ কি ?
পারলে নিজের দেশের সমস্যাগুলি তুলে ধরুন ।