নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্যfacebook.com/bharshammyo

ভারসাম্য

facebook.com/bharshammyo

ভারসাম্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ...

১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

একদিন আমিও ছিলাম সেই

জীবনবাবুর মত কোন এক দিন

হয়তো ধানসিঁড়ি নদী ঠিক নয়

তবুও ছিল কোন মুনিয়া পাখিদের বাসা

ছিল কোন এক মজে যাওয়া পুকুরের পাড়ে

আমিও ছিলাম সেই মুনিয়া পাখিদের নীড়ে

এক জোড়া ডিমের ভিতরে।



তুমিও কি ছিলে না তখন!



হাজার বছর আগে জীবনের মত

একদিন ব্যাবিলনে আমিও ছিলাম

তারও আগে প্যানজিয়ায়

জীবনই ছিল বুঝি আমার মতন।



তুমিওতো ছিলে সেই পান্থলাসার জলে!!



কত আগে! কত কত আগে,

আমরা ছিলাম সব,

সবে মিলে কোন এক ডিমের ভেতরে।

ডিমই তো! বুঝি কোন এক ঈশ্বরের কোলে

কিংবা শুণ্যতার মধ্যে শুণ্যগর্ভে এক

মহাশুণ্য ডিমের কুসুমে,

আমরা সবাই আছি সময়েরও আগে।



তারপর কত কত যুগ ...

প্যালিওজোইক, মেসোজোইক, সেনোজোইক

মহাযুগ পেরিয়ে,

গন্ডোয়ানা-লরেশিয়ার পথ ধরে ধরে,

আমরাও ছিলাম কোন এক শ্রাবস্তী নগরে।



এখনও যেমন আছি ধূলোময় গুমোট এই ঢাকার শহরে

তেমনি জীবন ছিল একদিন ধানসিঁড়ি তীরে

আমরাও তেমনি আছি আগামী কত শত বছরের পরে!



তারপর হয়তো একদিন, শত শত মহাযুগ শেষে

আবার সে মহাশুণ্য ডিমের মতন

আমরাও রয়ে যাব সময়েরও আগে।



ঠিক তাই।

তুমিও যে ছিলে সেই মুনিয়ার নীড়ে!

এক জোড়া শাবকের হাতের আঙুলে।



উৎসর্গঃ ব্লগার নীল-দর্পণ ( যার জন্মদিনে উইশ করতে গিয়ে কিঞ্চিৎ ভাবের জগতে চলে গিয়েছিলাম :P )

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

শায়মা বলেছেন: বাহ!!!


সেই গানটার মত


মোরা আর জনমে হংসমিথুন ছিলাম!

১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

ভারসাম্য বলেছেন: শুধু কি হংসমিথুন? জনমতো একটাই ছিল না শুধু। হংসের সাথে হংস-ডিম্বের জনমও ছিল। অবশ্য ডিম্ব আগে না হংস আগে এই নিয়ে অনেক কাইজ্জা আছে। আগে-পরে সব মিলেমিশে একাকার করে দিতে চেয়েছিলাম, পারি নি ভাল। তবে এটাও ঠিক, কোন এক জনমে হংসমিথুনও ছিলাম। :P

জনম জনম গেল আশা–পথ চাহি’।
মরু–মুসাফির চলি, পার নাহি নাহি।।

বরষ পরে বরষ আসে যায় ফিরে,
পিপাসা মিটায়ে চলি নয়নের নীরে।
জ্বালিয়া আলেয়া–শিখা, নিরাশার মরীচিকা
ডাকে মরু–কাননিকা শত গীত গাহি’।।

এ মরু ছিল গো কবে সাগরের বারি
স্বপন হেরি গো তারি আজো মরুচারী।
সেই সে সাগর–তলে, যে তরী ডুবিল জলে
সে তরী–সাথীরে খুঁজি মরু–পথ বাহি’।।


ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

২| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভাল লাগল :)

১৪ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

ভারসাম্য বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা! :)

কয়টা মেয়েকে পটানো গেল? :p

ভাল থাকুন। আপনার ব্লগিং শুভ হোক।

৩| ১৩ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

শ্রাবণ জল বলেছেন: অনেকদিন পর...

১৪ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

ভারসাম্য বলেছেন: হুম, অনেক দিনের পরে যেন বৃষ্টি এল! :)

বৈশাখী মেঘ থেকে না চাইতেই, দুই-তিন ফোঁটা জল ঝরে পড়ল। হোক কয়েক ফোঁটা, তবুও সে শ্রাবণের জল। জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় শেষে, কোন এক শ্রাবণে সে, আনবেই আনবে এক সৃজনের ঢল।

আপনিও তো অনেকদিন পর। কেমন ছিলেন?

ভাল থাকুন সর্বদা সবাইকে নিয়ে, এই শুভকামনা সব সময়।

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫১

ভারসাম্য বলেছেন: আপনার ব্লগবাড়ি দেখি ফাঁকা করে ফেলেছেন!

আপনার একটি পোস্ট এর এন্ট্রি যেহেতু শিশুবিষয়ক একটি সংকলন পোস্টে আছে, তাই সেটি অন্ততঃ ফিরিয়ে আনা উচিৎ বলে মনে করছি। মন্তব্য নিয়ে সমস্যা মনে হলে, কমেন্ট অপশন অফ করে রাখতে পারেন।

ওখানে জানাবার সুযোগ নেই দেখে, এখানেই জানালাম। :)

ভাল থাকুন।

৪| ১৩ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাইপারলিংকড কবিতা পড়লাম। লিংকগুলা শেষে বিঃদ্র হিসেবে দিলেই ভালো হতো। কবিতাটা তরতরিয়ে পড়া যাইতো।

১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

ভারসাম্য বলেছেন: হ, লিখতে যে ঠ্যালা গেছে আমার, পাঠকরে তরতরিয়ে পড়ার সুযুগ দিমু ক্যালা? /:)

আসলে তরতরিয়ে পড়ার জন্যই আমি আলাদা করে বিঃদ্রঃ দিতে চাই নি। এমনিতেই লেখা একটু বড় হলে কেউ পড়তে চায় না। 'বিঃদ্রঃ' দিয়ে লিংক দিলেও আরো ৩/৪ লাইন বেড়ে যেত।

যাই হোক, আপনার পরামর্শও ঠিকই আছে। অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার পোস্ট দেখেই ছুটে এলাম।

শুধু কবিতা নয়, ভূগোল, মানব-সভ্যতার ক্রমবিকাশও জানা গেলো এই কবিতায়। এতকিছু জানা ছিল না, তাই লিংকগুলো পড়তে হয়েছে ;)

কবিতার ব্যাপারে আমার দুটি পয়েন্টঃ

১) এই কবিতায় খামোখা জীবন বা জীবনানন্দকে টেনে আনা হয়েছে। কী দরকার? তাঁর কনটেন্ট ছাড়াই তো একটা অনবদ্য কবিতা হয়ে ওঠে। পাঠক যদি জীবনানন্দের কবিতার সাথে সম্পর্ক খুঁজতে চান তা হবে পাঠকদের জন্য আলাদা গবেষণার বিষয়।

২) এক কবিতায় এতগুলো আনকমন ভৌগলিক অবস্থান বা মহাকাল বা প্রাগৈতিহাসিক যুগের মহাদেশ বা মহাসাগরের উল্লেখে কবিতাটা মনে হয় প্রবহমানতা হারাবে। ‘বনলতা সেন’ কবিতায় এক ‘বিম্বিসার’ উল্লেখেই তো দিশেহারা হবার জো হয় ;)

কবিতার কনসেপ্ট আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। ‘বনলতা সেন’-এর প্রথম অনুচ্ছেদে মানব-সভ্যতার উন্মেষ ও বিকাশের যে ইতিহাস, তার কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আপনি আপনার মতো করে সেটি সাজালেন। প্যানজিয়ার মাটিতে যে মানব-ভ্রূণের জন্ম ঘটেছিল, সেখান থেকেই আমার জীবনের শুরু, এবং আমার প্রেমিকারও। অর্থাৎ আমাদের প্রেম শুরু হয়েছিল সেই তখন থেকেই। আজকের সমগ্র মানব-সভ্যতার ভ্রূণও সেই প্যানজিয়ার মাটিতেই গ্রোথিত হয়েছিল।

‘আমরা ছিলাম একটা ডিমের ভিতরে’ কথাটা আমার কাছে অত্যন্ত বাঙ্ময় লেগেছে। অসাধারণ।

এ ধারণাটা যদি আমার মাথায় ঢুকতো, তাহলে আমি কবিতাটা নিচের মতো করে লিখতাম ;)

***

একদিন আমি ছিলাম একজোড়া ডিমের ভিতরে
কোনো এক মজে যাওয়া পুকুরের পাড়ে মুনিয়ার নীড়ে
আমি ছিলাম একজোড়া ডিমের ভিতরে।

তুমিও কি ছিলে না তখন!

পৃথিবীর জন্মের পর
প্যানজিয়ায় ছিলাম আমি সুদীর্ঘ মহাকাল
তুমিও ভেসে ছিলে পান্থলাসার জলে!

কত আগে! কত কত আগে,
আমরা সবাই ছিলাম কোনো এক ডিমের ভিতরে,
ঈশ্বরের কোলে, শুন্যগর্ভে ডিমের কুসুমে,
আমরা ছিলাম সময়েরও আগে।

তারপর আরও কত মহাযুগ পেরিয়ে,
আমরা ছিলাম গন্ডোয়ানা-লরেশিয়ার পথে,
এমনই, এখন যেমন আছি ধুলোময় এই গুমোট শহরে।

তারপর হয়তো একদিন, অযুত-নিযুত মহাযুগ শেষে
পুনর্বার শূন্যগর্ভ ডিমের মতন
আমরাও রয়ে যাব সময়ের আগে।

আমি ছিলাম, তুমিও ছিলে সেই মুনিয়ার নীড়ে
একজোড়া শাবকের হাতের আঙুলে।

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৫৫

ভারসাম্য বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই যে, এখানে আপনার দেয়া কবিতাটুকু অসাধারণ সুন্দর হয়েছে এবং কবিতাই হয়েছে। আমিতো কবিতা লিখি না বা লিখতে পারি না। আমি শুধু মহাকালের সাথে আমার অস্তিত্বের পথে পথে একটু হাঁটতে চেয়েছিলাম। জীবনানন্দ যেভাবে চরে বেড়াতেন সুদূর অতীত থেকে অনাগত ভবিষ্যতে এক নিমিষে, অনায়াসে, ঠিক তেমনি। পাঠকও যেন একটি নামের ছোঁয়ায় শুরুতেই সেই তালের একই সমতলে একাত্ম হয়ে যেতে পারে, সেজন্য শুরুতেই একবার শুধু তাঁর নামটি আনতে হয়েছে। অবশ্য নামোল্লেখ না করেও পারা যেত হয়তো, অতটা ঝুঁকি নিতে চাই নি। তারপরেই অবশ্য কবিতার ভাবের প্রশ্নে ক্রমশঃ আলাদা হয়ে যেতে চাওয়া, শুধু তালটি জীবনবাবুর মত। তাই নয় শুধু, তিনিই বরং আমাদের সাথে ছিলেন এমন কিছু একটা বলতে চেয়েছি। ব্যাবিলন থেকে একধাপে চলে গিয়েছি প্যানজিয়ায়। 'তুমি' বলে যার কথা এসেছে, হঠাৎ করে মনে হতে পারে এ হয়তো মানব-মানবীর সহজাত প্রেমের প্রাগৈতিহাসিক উৎসের দিকে ছুটে চলা। আমি অবশ্য আরো গভীরে আত্মার জগতে চলে যেতে চেয়েছি, যেখানে মানব-মানবী বলে কিছু নেই, আমি-তুমিও তখন স্রষ্টা বা শুণ্যের সাথে আত্মাসমূহের আন্তঃসম্পর্কে লীন। এই হল, আমার মনে হঠাৎ উদয় হওয়া ভাবের তাৎক্ষণিক রূপায়নের সংক্ষিপ্তসার। পাঠকের অবশ্য স্বাধীনতা আছে ভিন্ন কিছু ভাবার, তার মনের মত করে সাজাবার। তবে সমালোচকের কোন স্থান নেই। ;) :P

কবির স্থান আছে, কিছুই না বোঝা বিমুগ্ধ পাঠকের ভাল লাগা বা বিরক্ত পাঠকের নিন্দার স্থানও আছে। শুধু নেই কাব্য সমালোচকের জন্য কোন অভ্যর্থনা। যদিও কাব্য সমালোচনা উপভোগ করি দারুণ, নিজের উপর হলে আরো বেশি, আপনার মত সুযোগ্য হলে আরও অনেক বেশি। কিন্তু এ যে কবিতা নয়। আর আপনি যে কবিও!

অনেক বেশি কৃতজ্ঞতা এখানে ঘুরে যাওয়া ও একখানা অনবদ্য কবিতা লিখে দিয়ে যাওয়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য দুইবার এসেছে। আশা করছি পরের মন্তব্যের জবাবে মজা পুকুর পাড়ের মুনিয়া পাখিদের গল্পটা শোনাব।

ভাল থাকবেন, আবার আসবেন। :)

৬| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার পোস্ট দেখেই ছুটে এলাম।

শুধু কবিতা নয়, ভূগোল, মানব-সভ্যতার ক্রমবিকাশও জানা গেলো এই কবিতায়। এতকিছু জানা ছিল না, তাই লিংকগুলো পড়তে হয়েছে ;)

কবিতার ব্যাপারে আমার দুটি পয়েন্টঃ

১) এই কবিতায় খামোখা জীবন বা জীবনানন্দকে টেনে আনা হয়েছে। কী দরকার? তাঁর কনটেন্ট ছাড়াই তো একটা অনবদ্য কবিতা হয়ে ওঠে। পাঠক যদি জীবনানন্দের কবিতার সাথে সম্পর্ক খুঁজতে চান তা হবে পাঠকদের জন্য আলাদা গবেষণার বিষয়।

২) এক কবিতায় এতগুলো আনকমন ভৌগলিক অবস্থান বা মহাকাল বা প্রাগৈতিহাসিক যুগের মহাদেশ বা মহাসাগরের উল্লেখে কবিতাটা মনে হয় প্রবহমানতা হারাবে। ‘বনলতা সেন’ কবিতায় এক ‘বিম্বিসার’ উল্লেখেই তো দিশেহারা হবার জো হয় ;)

কবিতার কনসেপ্ট আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। ‘বনলতা সেন’-এর প্রথম অনুচ্ছেদে মানব-সভ্যতার উন্মেষ ও বিকাশের যে ইতিহাস, তার কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আপনি আপনার মতো করে সেটি সাজালেন। প্যানজিয়ার মাটিতে যে মানব-ভ্রূণের জন্ম ঘটেছিল, সেখান থেকেই আমার জীবনের শুরু, এবং আমার প্রেমিকারও। অর্থাৎ আমাদের প্রেম শুরু হয়েছিল সেই তখন থেকেই। আজকের সমগ্র মানব-সভ্যতার ভ্রূণও সেই প্যানজিয়ার মাটিতেই গ্রোথিত হয়েছিল।

‘আমরা ছিলাম একটা ডিমের ভিতরে’ কথাটা আমার কাছে অত্যন্ত বাঙ্ময় লেগেছে। অসাধারণ।

এ ধারণাটা যদি আমার মাথায় ঢুকতো, তাহলে আমি কবিতাটা নিচের মতো করে লিখতাম ;)

***

একদিন আমি ছিলাম একজোড়া ডিমের ভিতরে
কোনো এক মজে যাওয়া পুকুরের পাড়ে মুনিয়ার নীড়ে
আমি ছিলাম একজোড়া ডিমের ভিতরে।

তুমিও কি ছিলে না তখন!

পৃথিবীর জন্মের পর
প্যানজিয়ায় ছিলাম আমি সুদীর্ঘ মহাকাল
তুমিও ভেসে ছিলে পান্থলাসার জলে!

কত আগে! কত কত আগে,
আমরা সবাই ছিলাম কোনো এক ডিমের ভিতরে,
ঈশ্বরের কোলে, শুন্যগর্ভে ডিমের কুসুমে,
আমরা ছিলাম সময়েরও আগে।

তারপর আরও কত মহাযুগ পেরিয়ে,
আমরা ছিলাম গন্ডোয়ানা-লরেশিয়ার পথে,
এমনই, এখন যেমন আছি ধুলোময় এই গুমোট শহরে।

তারপর হয়তো একদিন, অযুত-নিযুত মহাযুগ শেষে
পুনর্বার শূন্যগর্ভ ডিমের মতন
আমরাও রয়ে যাব সময়ের আগে।

আমি ছিলাম, তুমিও ছিলে সেই মুনিয়ার নীড়ে
একজোড়া শাবকের হাতের আঙুলে।

১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

ভারসাম্য বলেছেন: এবার তাহলে গল্পটা বলি। বছর তিরিশেক আগে গ্রামের স্কুলে ক্লাস-টু পড়ুয়া একটি বালক ক্লাস শেষে বাসায় ফিরেই গোসলের নাম করে বেরিয়ে পড়ত। সবাই যেখানে কাছের বড় দিঘীটার দিকে যেত, সে চলে যেত পেছনের দিকে বেশ একটু দূরের একটা ছোট্ট কিন্তু গভীর একটা পুকুরে। একেবারে ছোট নয় তবে শুকনোর দিনে আংশিক মজে যাওয়ায় সেটা ছোট পুকুর না থেকে বড়সড় একটা চৌ-বাচ্চা হয়ে থাকত অনেকটা। ওদিকটায় তেমন কেউ যেত না, কিছু নাম না জানা পাখি ছাড়া। আসলে পাখিগুলোর লোভেই নিঃসঙ্গ বালকটি চলে যেত ওদিকটায়। পুকুর পাড়ের জংলী ঝোপে পাখিগুলোর বাসা ছিল বেশ কিছু। বালকটি সাহস করে চলে যেত বাসার খুব কাছে, বাসায় থাকা পাখি ভয় পেয়ে উড়ে যেত একটু দূরে। বালকটি বাসার ভেতরে দেখতে পেত ঈষৎ নীলাভ এক জোড়া ডিম। এর বেশি আর না এগিয়ে বালকটি আবার একটু দূরে সরে আসত, আর ভয় পেয়ে একটু দূরে চলে যাওয়া পাখিটি ফিরে আসত নীড়ে। ক্রমে তাদের ভয় পাওয়া কমে গেল। একদিন বাসার খুব কাছে গিয়ে দেখে, ডিমের বদলে ছোট ছোট দু'টি ছানা। একদিন ছানা দুটিকে একা পেয়ে, বালকটি তার হাত দিয়ে আলতোভাবে ছুঁয়েও দেখেছিল তাদের। অনেক পরে, বালকটি যখন কুড়ি বছরের যুবা, একই রকম পাখি দেখেছিল সে কাঁটাবনের পাখির দোকানে। দোকানদার বলেছিল, সেগুলো মুনিয়া পাখি। যুবকের হাতের আঙুলে তখন একজোড়া শাবকের নরম তুলতুলে অনুভূতির তাজা স্মৃতি।

সেই বালকটিই গতকাল এরকম সময়ে ধর্ম/দর্শণ/বিজ্ঞান/আধ্যাত্মিকতা এসব মিলিয়ে জগাখীচুড়ি ধরনের কটকটে একটা বই পড়ছিল। তার আগেও খুব সকালে ভার্চুয়াল লাইফের এক বন্ধুর জন্মদিনে আধ্যাত্মিক গোছের উইশ ও কিছু কথাবার্তাও বলেছিল। যাই হোক, একটা অধ্যায়ে কিছু কবিতার লাইনও ছিল, বিশেষ করে জীবনানন্দের কবিতার কিছু বিশ্লেষণ। জীবনানন্দের প্রায় সব লেখা এমনিতেই পড়া সেই তরুণ বয়স থেকেই। গতকাল কটকটে বইটি পড়তে পড়তে ঝিমিয়ে পড়া আমি, কবিতা পেয়ে মনে হয় একটু ঘুমিয়েও পড়েছিলাম। মিনিট পাঁচেকের আধো ঘুমে, জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি, ব্যাবিলনের সাথে বছর তিরিশেক আগের বালকটির হাতের আঙুলে লেগে থাকা পাখি শাবকের স্মৃতি মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল।

এই ছিল কবিতা লেখার গল্প। তবে কবিতার ভাবটি অন্যরকম, আধ্যাত্মিক ঘরানার। ঠিক মত প্রকাশ করতে পারি নি আসলে, তবে মন্তব্যের ঘরে আরেক গল্পে হয়তো আরেকটু প্রকাশ করার প্রয়াস পাওয়া যেতে পারে।

আর বইটির নাম জানিতে চাহিয়া লজ্জা দেবেন না দয়া করে। ;)

ভাল থাকুন সব সময়।

৭| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠেকে ঠেকে পড়লেও উপভোগ করলাম।

১৪ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

ভারসাম্য বলেছেন: কী উপভোগ করলেন? লেখা, না কি ঠেকে ঠেকে শেখা?

অনেক ধন্যবাদ অধ্যাপক মশাই। শুভকামনা নিরন্তর।

৮| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:২১

জুন বলেছেন: তারপর হয়তো একদিন, শত শত মহাযুগ শেষে
আবার সে মহাশুণ্য ডিমের মতন
আমরাও রয়ে যাব সময়েরও আগে।

অপুর্ব
+

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

ভারসাম্য বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনিতো বাস্তবেই বর্তমান পৃথিবীর অনেক জায়গায় ঘুরেছেন। টাইমমেশিন যদি বাস্তবিকই থাকত, তাহলে হয়তো অতীত-ভবিষ্যতের পৃথিবীর অনেক কিছু নিয়েও দু/একটা ভ্রমণ কাহিনী পেতাম আপনার কাছে। ;)

শুভকামনা সব সময়ের জন্য।

৯| ১৪ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কবিতা পড়েছি কমেন্ট এর ঘড়ে বোদ্ধাদের কমেন্ট দেখে নিজের মত জানাতে ভয় পাচ্ছিলাম :(
ভাল লেগেছে এটাই বলতে পারি :)

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫১

ভারসাম্য বলেছেন: এই হল আমার এক সমস্যা। নিজেও বোদ্ধা ঘরানার নই। তাই খুব একটা লিখিও না। হঠাৎ হঠাৎ যে দু-এক কলম লিখি, তাল রাখতে পারি না লেখায়। তারপরও ভাল যদি লাগেই একটু, ভয় করার কী প্রয়োজন? আপনারা ভয়ে ভয়ে জানান না, মডুরাও কোন ভয়ে মনে হয়, আমার লেখা নির্বাচন করেন না। কত কষ্টে একটা লেখা দিলাম, হীট পেলাম না। :P

ভাল লাগুক অথবা সান্তনা স্বরুপই বলুন, মন্তব্য যে করেছেন, এতেই অনেক কৃতজ্ঞ। ভাল থাকুন লক্ষ্মী আপা। ;)

১০| ১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

না পারভীন বলেছেন: অতি সাধারন কবিতা বুঝার ক্ষমতা দিয়ে নেই টুকু বুঝতে পারলাম এই কবিতা বুঝার চেষ্টা করে লাভ নাই। ইহা ভাল কবি ফিরে এসেছেন

১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

ভারসাম্য বলেছেন: শুনেছি আধুনিক কবিতার বৈশিষ্ট্য হল, সেগুলো বোঝার কিছু নেই, পাঠক তার মত করে অর্থ বানিয়ে নেবে আর উপভোগ করবে। চিত্রকলার ক্ষেত্রেও না কি তাই! আমি যদিও কবিতা লিখি নি, তবে আপনারা যেহেতু অনেকেই অনেক কিছু বুঝতে পারছেন না লেখাটার, তখন মনে হচ্ছে, মনে হয় একখানা উত্তম উত্তরাধুনিক কবিতা লিখে ফেলেছি। :p

ভাবছি এবার ছবি আঁকাটাও শুরু করব। ;)

কবি এখনো ফেরে নি, তবে একটু নীরবতা ভেঙেছে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা সব সময়ের জন্য।

১১| ১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: ডাক্তার আপার সাথে সহমত

তবে পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো অর্থহীন যদি এটাকে গান রুপে গাইতো মনে হয় খারাপ শোনাতো না । :P

উৎসর্গ দেখে সত্যিই চরম অবাক! ভাবনার বাইরে ছিল....ধন্যবাদ

১৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

ভারসাম্য বলেছেন: 'অর্থহীন' কি কোন গানের দলের নাম? যেহেতু এই লেখার তেমন কোন অর্থ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাই এই লেখা দিয়ে কোন গান গাইতে হলে, 'অর্থহীন' এরই গাওয়া উচিৎ। :P

আপনার অবশ্য অর্থটা অন্য অনেকের চেয়ে একটু ভাল বোঝা উচিৎ ছিল, যেহেতু জন্ম-মৃত্যু, প্রথম জীবন (রুহের জগৎ) , পুনর্জীবন ইত্যাদি কিছু ভাবের কথা দিয়েই আপনাকে আপনার জন্মদিনে উইশ করেছিলাম। ;)

যাই হোক, অবাক হবার কিছুই নেই। ভাবনার মধ্যে সব কিছুই থাকা উচিৎ। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। শুভকামনা নিরন্তর।

১২| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কবিতা পড়েছি। মন্তব্যও পড়েছি।
অসাধারণ একটি লেখা... :)

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২০

ভারসাম্য বলেছেন: আপনাকে বিভিন্ন লেখায় অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করতে দেখি। এখানেও আরো কিছু বলতে পারতেন। :P

অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৩| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২৫

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: আমি কিছু বুঝিনাই
তাই কমেন্টও করলাম না /:) /:)

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৪০

ভারসাম্য বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য, বোঝার দরকারও পড়েনা তেমন। ;)

আপনার কমেন্ট এ 'তাই কমেন্টও করলাম না' কথার মাঝেও রহস্য আছে বেশ।

আমার মত আমজনতার পক্ষ থেকে,রহস্যময়ীদের বেশি না ঘাটানোও ভাল। দুনিয়াটাই এক আজব রহস্য। কবিতাও তাই। এত রহস্যের শেষ কোথায়? আমার কাছে কিছু উত্তর আছে অবশ্য। কিছু উত্তর আছে এই লেখার মধ্যেও। না বুঝলেও ক্ষতি নেই বিশেষ। আপাতঃ বোধের অগম্য কথাগুলোও একদিন রহস্যমুক্ত হয়ে যেতেও পারে।

ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা।

১৪| ১৫ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:২১

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: মিনিট পাঁচেকের আধো ঘুমে, জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি, ব্যাবিলনের সাথে বছর তিরিশেক আগের বালকটির হাতের আঙুলে লেগে থাকা পাখি শাবকের স্মৃতি মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল।-------------- গল্পটা না থাকলে কবিতা বোঝা আমার জন্য একটু কষ্টসাধ্য ছিল । এমন সৌভাগ্য কোনদিন হয়নি :|

দ্বিতীয় বার পড়ে ভালো লেগেছে ++

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

ভারসাম্য বলেছেন: কেমন সৌভাগ্য?

ভাগ্য ব্যাপারটিই একটু দূর্বোধ্য। সৌভাগ্য/দুর্ভাগ্য আপেক্ষিক ব্যাপার।

কবিতা বোঝা বলতে হয়তো, লেখার পেছনের গল্পটাই বোঝা গিয়েছে কিছুটা। ভাব প্রকাশ করতে পারি নি ঠিক মত। তবে স্থান-কাল-পাত্র সব কিছুকে একটা মাত্রায় একই সমতলে মিলিয়ে মিশিয়ে একাকার করে দিতে চেয়েছিলাম। একদম শেষ লাইনে এসে অল্প কিছুটা হয়েছে হয়তো। যাই হোক, সে এখনো আমার ভাবের ঘরে ঘোরাক্রান্ত হয়েই থাক। আপাতঃ অবোধ্য কিছুকে বুঝতে চাওয়ার চেয়ে, উপভোগ করাই শ্রেয়। তার চেয়েও ভাল এই আলাপগুলো।

কবিতার আলাপ বাদ। কেমন যাচ্ছে সময়? আশা করছি ভালই যাচ্ছে। আগামীতেও ভাল কাটুক, এই শুভকামনা রইল।

১৫| ১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৪০

মায়াবী ছায়া বলেছেন: এখনও যেমন আছি ধূলোময় গুমোট এই ঢাকার শহরে
তেমনি জীবন ছিল একদিন ধানসিঁড়ি তীরে
আমরাও তেমনি আছি আগামী কত শত বছরের পরে!",,,,,, ভাল লাগা রেখে গেলাম।।

১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০৯

ভারসাম্য বলেছেন: ধন্যবাদ।

ভাল লাগা বেঁচে থাকুক।

ভাল থাকুন। সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকুন।

শুভকামনা সর্বদা।

১৬| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
মন্তব্য করলাম না!

১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১৫

ভারসাম্য বলেছেন: আপনিই বুঝলেন। কবিতা না হোক, শিরোনামটুকু অন্ততঃ ;)

ধইন্যা আপ্নেরে।

ভাল হয়ে যান, থুক্কু ভাল থাকুন ( একইতো কথা প্রায় :P) । শুভকামনা।

১৭| ১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২৯

না পারভীন বলেছেন: কবিতা বুঝতে না পারলে কি হবে এটা বুঝতে পেরেছি কবি নীরস অবিদারী নন। মন্তব্যের উত্তর পড়ে হাসলাম কিছুক্ষণ। উতসর্গ টাও ভাল লেগেছে।

১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩২

ভারসাম্য বলেছেন: আপনিতো এমনিতেই হাসছিলেন। ছবি সেকথাই বলে। ছবির আড়ালে যাই থাক, বাইরের হাসি অমলিন। কবিতা নীরস হলেও, কবিকে যে রস বয়ে আনতেই হয়। :)

উৎসর্গ করতে টাকা লাগে না। :#)

অমলিন হাসির দিন, ফিরে আসুক সবার জীবনে আবার। ভাল থাকুন।

১৮| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:২৩

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: সেগুলো মুনিয়া পাখি। যুবকের হাতের আঙুলে তখন একজোড়া শাবকের নরম তুলতুলে অনুভূতির তাজা স্মৃতি। ------ আপনার প্রশ্নের উত্তর

যাই হোক, সে এখনো আমার ভাবের ঘরে ঘোরাক্রান্ত হয়েই থাক। আপাতঃ অবোধ্য কিছুকে বুঝতে চাওয়ার চেয়ে, উপভোগ করাই শ্রেয়। তার চেয়েও ভাল এই আলাপগুলো ---- সেই ।


১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:০১

ভারসাম্য বলেছেন: স্মৃতি বরাবরই বেদনার। সুখস্মৃতিও বেদনাই বয়ে আনে, যেহেতু সেই স্মৃতি অতীত। দুঃখের স্মৃতি বেদনা আনে দ্বিগুণ। কাজেই, যে স্মৃতি নেই, সেটাই হতে পারে সৌভাগ্য।

হুম, ---সেই। ;)

ভাল থাকুন।

১৯| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩১

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
@ সোনাবীজ



একদিন আমি ছিলাম একজোড়া ডিমের ভিতরে
কোনো এক মজে যাওয়া পুকুরের পাড়ে মুনিয়ার নীড়ে
আমি ছিলাম একজোড়া ডিমের ভিতরে।

তুমিও কি ছিলে না তখন!

পৃথিবীর জন্মের পর
প্যানজিয়ায় ছিলাম আমি সুদীর্ঘ মহাকাল
তুমিও ভেসে ছিলে পান্থলাসার জলে!

কত আগে! কত কত আগে,
আমরা সবাই ছিলাম কোনো এক ডিমের ভিতরে,
ঈশ্বরের কোলে, শুন্যগর্ভে ডিমের কুসুমে,
আমরা ছিলাম সময়েরও আগে।

তারপর আরও কত মহাযুগ পেরিয়ে,
আমরা ছিলাম গন্ডোয়ানা-লরেশিয়ার পথে,
এমনই, এখন যেমন আছি ধুলোময় এই গুমোট শহরে।

তারপর হয়তো একদিন, অযুত-নিযুত মহাযুগ শেষে
পুনর্বার শূন্যগর্ভ ডিমের মতন
আমরাও রয়ে যাব সময়ের আগে।

আমি ছিলাম, তুমিও ছিলে সেই মুনিয়ার নীড়ে
একজোড়া শাবকের হাতের আঙুলে।



অসাধারণ-ঐতিহাসিক কবিতায় অনেক অনেক ভালোলাগা !! ++

আপনাকে আমার কবিতায় পেলে আনন্দিত হবো !

ভালো থাকুন ।

১৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

ভারসাম্য বলেছেন: 'সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই' এর কবিতাখানি সত্যিই অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। এখানে আরেকবার তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সেটা উল্লেখ করে এখানে মন্তব্য করার জন্য।

আপনার 'নিক নেইম' বেশ কৌতুহলোদ্দীপক। আগে ভাবতাম, দাদী-নানী গোছের কেউ হবেন। কোথাও কোন এক মন্তব্যে জেনেছিলাম, আপনি তেমন নাও হতে পারেন। এ কী তবে সেই বিপ্লবী তরীর প্রেরণায় নেয়া একটি নাম?

যাই হোক, আপনার লেখা পড়া হয়, ভালও লাগে, তবে গল্প-কবিতা জাতীয় লেখাগুলোয় বিশেষ কিছু বলা হয় না অনেকদিন। সময় করে যাব নিশ্চয় একদিন।

ভাল থাকুন। শুভকামনা।

২০| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৪৬

শ্রাবণ জল বলেছেন: Alhamdulillah.valo achi, Auvee bhai.

comment e kono problem nei. bloge to ashi e na, age manush khoj nite jeto, ekhon birokto hoye keu e jay na ar. :D tai sob draft kore rekhe jacchilam.

valo thakun..

kobita porlam na mon diye. kobita ar bujhte parina.

২৬ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

ভারসাম্য বলেছেন: মানুষতো খোঁজ নেবেই। বিরক্ত কেন হবে? হয়তো ব্যাস্ততা বা অন্য কোন সংগত কারনে অনেকেই এখন হয়তো আর আগের মত ব্লগীয় ইন্টার‍্যাকশান রাখতে পারছে না। তাই বলে সব ড্রাফট করে চলে যেতে হবে? :P ( আমি নিজেও অবশ্য ভাবছি, চলে যাবার ব্যাপারে, অনেকদিন থেকেই ভাবছি .. :#> )

কবিতা একদমই না পড়লেও চলত। বোঝার তেমন কিছু নেইও আসলে এখানে। এই যে এভাবে জানানোর মাধ্যমেও কিছুকিছু কথা-বার্তা হচ্ছে এখানে, সেজন্যও বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।

ভাল থাকুন। সুস্থ ও সুখী থাকুন।

২১| ১৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

শাবা বলেছেন: জীবন কেন্দ্রীক কতগুলো বিশ্বাস পৃথিবীতে প্রচলিত আছে। জন্মান্তরবাদ, সর্বেশ্বরবাদ, একাত্ববাদ ইত্যাদি বিশ্বাস মানুষের রয়েছে। মহাবিশ্বের সৃষ্টি কেন্দ্রীক বিগ ব্যাঙ থিওরি যা কুরআনের রতাকান-ফাতাকান বক্তব্যের মতই এবং আত্মা অবিনশ্বর অর্থাৎ রুহের জগতে সবাই এক, তারপর পৃথিবীতে পৃথক পৃথকভাবে আগমন আবার মৃত্যুর পরে অনন্ত জীবন ইত্যাদি অনেকগুলো দর্শন রয়েছে। এ কবিতায় সবগুলো যেন একাকার হয়ে গেছে। তবে এখানে জীবনানন্দ দাশের দর্শন বা বিশ্বাস জন্মান্তরবাদের কথাটা (যেমন, আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে....) অতটা স্পষ্ট নয় যতটা স্পষ্ট মুসলিম দর্শন। তাই জীবন বাবুর কথাটা না আনলেই ভাল হতো। কারণ এ কবিতা কোনভাবেই জীবনানন্দের কবিতা বা ভাবের প্যারডি নয়।

অপূর্ব কবিতার জন্য কবিকে স্বকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ। আশা করি লেখালেখিতে আর ছেদ পড়বে না।

১৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫

ভারসাম্য বলেছেন: আমি আসলে এই লেখায়, নিজের বিশ্বাসকেও হাইলাইটেড ( পরিভাষা হিসেবে 'আলোকিত' হয় কি? :P ) করতে চাইনি আবার সেটাকে উপেক্ষাও করে যেতে চাই নি। তাই লিখেছিলাম,

ডিমই তো! বুঝি কোন এক ঈশ্বরের কোলে
কিংবা শুণ্যতার মধ্যে শুণ্যগর্ভে এক
মহাশুণ্য ডিমের কুসুমে,
আমরা সবাই আছি সময়েরও আগে।


জীবনানন্দের জীবন-দর্শনও এই লেখার মূল উপজীব্য নয়, তবে তিনি যেভাবে কবিতায় নিমেষেই পাড়ি দিতেন অতীত থেকে ভবিষ্যতে, নিকট থেকে সুদূরে, মানব সত্বা থেকে তুচ্ছাতিতুচ্ছ প্রাণী বা উদ্ভিদ বা এমনকি জড় সত্বায় ভর করে, যেন স্থান-কাল-পাত্র সব মিলেমিশে একটিই একক, তেমনি করে চেয়েছিলাম এখানেও। যেহেতু জীবনানন্দ তাঁর নিজস্ব অসাধারণ কাব্যশক্তির গুণে আপাতঃ বিচ্ছিন্ন, সম্পর্কহীন, অযৌক্তিক বিষয়গুলোও কবিতার ভেতরে, কবিতার নিজস্ব আভ্যন্তরীণ যুক্তির মাধ্যমে মসৃণ ঐক্যপূর্ণ ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলতেন এবং যেহেতু বাংলা কবিতার অনুরাগী পাঠকমাত্রই তাঁর সেই কাব্যগুণের সাথে কিছুটা পরিচিত, আর আমিও নিজের কাব্যপ্রতিভায় খুব বেশি আস্থা রাখি না, তাই আলাদা করে ঝুঁকি না নিয়ে, শুরুতেই তাঁর নামে শুরু করেছি, যেন পাঠক শুরু থেকেই সহজেই একাত্ম হয়ে যেতে পারে লেখার সাথে ঠিক সেভাবে, যেভাবে জীবনবাবুও কবিতার মাঝে ঘুরে বেড়াতেন অতীত থেকে ভবিষ্যতে বর্তমান বাস্তবতার আবহ নিয়েই, নিকটের বাস্তবতা নিয়েই চলে যেতেন দূর থেকে সুদূরে। তাছাড়া জীবনানন্দের জীবন-দর্শন এই লেখার মূল উপজীব্য না হলেও, সেটারও আংশিক প্রাসঙ্গিকতা কিছুটা হলেও আছে এই লেখায়।

স্বীকার করছি যে, এই লেখাটিকে কবিতা হিসেবে দেখতে চাইলে, জীবনানন্দকে টেনে আনা এটির একটি বড় রকমের দুর্বলতা। লেখা যদি তার ভাবকে নিজের যুক্তিতে প্রতিষ্ঠিত করায় স্বনির্ভর না হয়, তাহলে সেটি সার্থক কবিতা হয়ে ওঠে না। জীবনানন্দ ছাড়াও, এই লেখার হাইপারলিংকড শব্দগুলোও একই ভাবে লেখাখানির পরনির্ভরশীলতা নির্দেশ করে। চেষ্টা করলে যে, এই দুর্বলতা পরিহার করা সম্ভব ছিল তার একটা দিক-নির্দেশনা শ্রদ্ধেয় 'হাসান মাহবুব' তাঁর মন্তব্যে জানিয়েছিলেন। আর শ্রদ্ধেয় 'সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই' তো অনবদ্য ভাবে এটিকে একটি সার্থক কবিতায় রূপ দিয়েই দেখালেন! এগুলোই এই লেখার পরম প্রাপ্তি আমার কাছে।

আর আমার উদ্দেশ্য যেহেতু কবিতা লেখা ছিল না, বরং নিজের মধ্যে থাকা কিছু ভাব, অন্যদের ভাবের সাথে মিলিয়ে এবং কিছু যৌক্তিক তথ্যসহ সহজে উপস্থাপন করাই ছিল ( যদিও কাব্যধর্মীতার কারনে কঠিনই হয়ে গিয়েছে ব্যাপারটা /:) ), তাই সেটার সাথে ভালভাবে সম্পর্কযুক্ত আপনার মন্তব্যখানাও এই লেখার এক অনন্য প্রাপ্তি।

অশেষ কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন শাবা ভাইয়া।

২২| ১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:২৩

শাবা বলেছেন: হাইলাইটেড শব্দটির বাংলা উচ্চকিতও হতে পারে।

হ্যাঁ, আমিও জীবনানন্দকে খুব পছন্দ করি। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে শুদ্ধতম কবি তিনি। আমারও অনেক কবিতায় তাঁর মত অতীত থেকে বর্তমান-ভবিষ্যতের কথা এসেছে। যেমন, বিশ্বময়, হ্যালো শ্যামাঙ্গনী, ফিরে আসি ইত্যাদি কবিতায় মনে হয় জীবনানন্দ দাশের কিছুটা প্রভাব রয়েছে। তাই শুধু আংশিক প্রাসঙ্গিকতার কারণে জীবন বাবু নামটা এভাবে না আসলেও হতো। তারপরও বলবো ভাব প্রকাশ এবং শব্দ বিন্যাসের সম্পূর্ণ এখতিয়ার কবির একান্ত নিজস্ব ব্যাপর :D

তবে, পারভীন আপু সহ কয়েকজন কেন কবিতা বুঝতে পারলেন না, তা আমার বোধগম্য নয়। আমার মনে হয় জীবন-দর্শন কেন্দ্রীক বক্তব্য পছন্দ হয় নি বলেই এমনটা হয়েছে।


বি.দ্র. মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ... এটা কি কবিতার নাম নাকি কোন মন্তব্য চাচ্ছেন না এমন। যদি কবিতার নাম হয়, তাহলে নামটা হেয়েলি হয়ে গেল না?

১৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

ভারসাম্য বলেছেন: 'উচ্চকিত' না হয়ে, 'উচ্চালোকিত' হতে পারে না? ;) শুধু মজা করে নয়, সামান্য একটু গুরুত্বের সাথেই বলছি।

পারভীন আপু সহ অনেকেই এই লেখা না বোঝার ব্যাপারটি সম্ভবতঃ এই লেখার দুর্বলতাগুলোর কারনেই। দুর্বল জায়গাগুলোর অনেক কিছু হয়তো পরে মন্তব্যের ঘরে বলা কথামালার দ্বারা কিছুটা সবল হয়ে উঠতে পারে। জীবন-দর্শনে অনাগ্রহের ব্যাপারটি তিনি সহ কয়েকজনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবার কথা নয়। তবে সার্থক কবিতার প্রতি আগ্রহ এবং সেটা এই লেখায় না থাকা একটা কারন হতে পারে।

হেঁয়ালী তো বটেই কিছুটা। পৃথিবীটাই হেঁয়ালী এক। কবিতা আরো বেশি। এই লেখার বিষয়বস্তুতেও হেঁয়ালী কম নয়। শিরোনামেও না হয় একটু রইল। ;)

ভাল থাকুন। :)

২৩| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আপনার 'নিক নেইম' বেশ কৌতুহলোদ্দীপক। আগে ভাবতাম, দাদী-নানী গোছের কেউ হবেন। কোথাও কোন এক মন্তব্যে জেনেছিলাম, আপনি তেমন নাও হতে পারেন। এ কী তবে সেই বিপ্লবী তরীর প্রেরণায় নেয়া একটি নাম?

যাই হোক, আপনার লেখা পড়া হয়, ভালও লাগে, তবে গল্প-কবিতা জাতীয় লেখাগুলোয় বিশেষ কিছু বলা হয় না অনেকদিন।

সেই বিপ্লবী তরী ও তার কাণ্ডারিকে আমি জেনেছিলাম কিছু পড়াশোনায় !

যাহোক, ব্রহ্মের অণ্ড থেকেই নাকি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রহস্যময় সৃষ্টি !!

ভালো থাকুন নিরন্তর । ধন্যবাদ ।

১৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

ভারসাম্য বলেছেন: অন্ডতো বটেই, তবে নিরাকার ব্রহ্মার সাকার অন্ড, না কি সাকার অন্ডে নিরাকার ব্রহ্মা, না কি সব মায়া! সে কি শুন্যতার মাঝে, শুন্যগর্ভে এক মহাশুন্য ডিমের কুসুম?

ব্রহ্মা থাক বা না থাক, 'ব্রহ্মান্ড' শব্দটি সৃষ্টিতে যে তার ও তার ডিমের ভূমিকা আছে, এতে কোন সন্দেহ নাই।

ভাল থাকুন আপনিও, বিপ্লবী তরণীর স্বপ্ন বুকে করে। শুভকামনা নিরন্তর।

২৪| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তারপর কত কত যুগ ...
প্যালিওজোইক, মেসোজোইক, সেনোজোইক
মহাযুগ পেরিয়ে,
গন্ডোয়ানা-লরেশিয়ার পথ ধরে ধরে,
আমরাও ছিলাম কোন এক শ্রাবস্তী নগরে।


সেনোজোইক পেরিয়ে গন্ডোয়না আসলো কিভাবে।

গন্ডোয়ানা তো সেই প্যালিয়োজোয়িক ইরার অংশ।
গন্ডোয়ানা ফরমেশনে সব কয়লার উৎপত্তি।তথন স্থলভাগে কোন প্রাণের অস্তিত্ব ছিলনা বলাই উত্তম।প্রচুর লতাগুল্ম ছিল ছিল বৃক্ষ বাট প্রানীরা জলে বাস করতো। মাছ ছিল।উভচর প্রাণীগুলোরও বিচরণ শুরু হয়নি।


কবিতা পড়ে মজা পেলুম।
ভূতাত্ত্বিক টার্মগুলো দারুন ভাবে ব্যবহার করেছেন।তাই বেশি ভাল লেগেছে।



সুন্দর।

১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

ভারসাম্য বলেছেন: শুধু সেনোজোইক পেরিয়ে গন্ডোয়ানা আসে নি, বরং প্যালিওজোইক থেকেই শুরু বলা হয়েছে। গন্ডোয়ানা-লরেশিয়ার ধারাবাহিকতা আগের প্যানজিয়া থেকে পরের শ্রাবস্তী নগর এভাবেই ভাবাটা স্বাভাবিক, সেনোজোইক যুগের পরে বা সেনোজোইক যুগে 'গন্ডোয়ানা'র উদ্ভব হয়েছে এভাবে নয়। অবশ্য প্যানিজিয়ার আগের রোডেনিয়া থেকেও শুরু করা যেত। চাইলে তো সেই বিগব্যাং থেকেই শুরু করা যায়। ;)

যাই হোক, আপনি মজা পাওয়ায়, আমারো ভাল লাগল। ভাল থাকুন নিশিদিন।

২৫| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০৪

পংবাড়ী বলেছেন: সুন্দর, মনে থাকার মতো।

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

ভারসাম্য বলেছেন: কী সৌভাগ্য! হাউকাউ পোস্ট বলেন নি এটাকে!! :P

ধন্যবাদ। :)

২৬| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: তারপর হয়তো একদিন, শত শত মহাযুগ শেষে
আবার সে মহাশুণ্য ডিমের মতন
আমরাও রয়ে যাব সময়েরও আগে।

অসাধারণ!!

২৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

ভারসাম্য বলেছেন: আপনার মহাবিশ্ব-গ্রহ-নক্ষত্র বিষয়ক লেখাগুলো উপভোগ করছি দারুণ!

এই লেখায়ও সেসবের কিছু কিছু থাকায় হয়তো, আলাদাভাবে ভাল লেগে থাকতে পারে আপনার কাছে। অবশ্য এই লেখার উদ্দেশ্য মোটেও সময়ের বিজ্ঞানসন্মত ইতিহাসের বর্ণনা নয়। ;)

যাই হোক, যে কারনেই ভাল লাগুক, আমার জন্য তা বাড়তি অনুপ্রেরণা। :)

অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা সব সময়।

২৭| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১:২২

পংবাড়ী বলেছেন: ভালো লেগেনি

৩১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

ভারসাম্য বলেছেন: একবার বললেন সুন্দর। আবার বলছেন, ভাল লেগেনি। :P

আমার অবশ্য সমস্যা নেই। হীট বাড়ছে। ;)

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২৮| ০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯

ছবিঘর বলেছেন: আপনি তো দারুন কবিতা লিখতে পারেন ! কবিতায় +++++ দিয়ে গেলাম

০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

ভারসাম্য বলেছেন: কবিতা আঁকতে চাই। পারি না। তাই ছবি না হয়ে, লেখা হয়ে যায়। কবিতা লেখকই রইলাম, কবি হওয়া হল না! :(

ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।

২৯| ১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

এহসান সাবির বলেছেন: মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ...

১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

ভারসাম্য বলেছেন: ঠিক আছে। আমিও তাহলে আর উত্তর দিলাম না। :P

ধন্যবাদ। শুভকামনা। :)

৩০| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল লাগল

১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০২

ভারসাম্য বলেছেন: আমরা আমরাই তো! ;)

শুভকামনা।

৩১| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২

জল ঝড় বলেছেন: খুব সুন্দর :)

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৬

ভারসাম্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু একদিনেই সেইফ/জেনারেল হয়ে গেলেন! /:)

হয়ে যেহেতু গিয়েছেনই, তখন ভাল ভাল লেখা দিয়ে ব্লগ সেলিব্রেটি হয়ে যান, এই দোয়া করছি।

শুভকামনা। :)

৩২| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

জল ঝড় বলেছেন: :!>

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৩

ভারসাম্য বলেছেন: :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.