নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্যfacebook.com/bharshammyo

ভারসাম্য

facebook.com/bharshammyo

ভারসাম্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাজিল -মেক্সিকো ( ০-০ )। শুন্য ফলাফলে পূর্ণ জয়ের অনুভূতি।

১৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

ভেবেছিলাম এবারকার বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলাগুলো আগ্রহের সাথে দেখব না। শিশুতোষ আবেগসমূহ অতিক্রম করতে চাওয়াই প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। যেখানে অন্যায়-অবিচার-বৈষম্যের চাপে, দুর্নীতি-সন্ত্রাসের মহোৎসবে জ্বলছে-পুড়ছে, না খেয়ে মরছে মানুষ।মরছে স্বদেশে এবং বিদেশেও, সেখানে নিছক একটা খেলায় বুঁদ হয়ে থাকা, সেই অন্যায়-অবিচারে কিছুটা সংহতি প্রকাশেরই নামান্তর। তাও আবার এমন একটি সংস্থার ( ফিফা ) আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মহোৎসব, যারা আসলে ফুটবলের নামে দুর্নীতি আর পুঁজিবাদি বৈষম্যে পংগু করে চলেছে খেটে খাওয়া মানুষের অর্থনীতি। ১৪০০ কোটি ডলারের অফিসিয়াল খরচ আর প্রায় সমপরিমান অনানুষ্ঠানিক খরচের বিনিময়ে কিছু মানুষের বিনোদনের চাহিদা একটু হয়তো মিটবে, কিন্তু বুনিয়াদী অর্থনীতির পরিভাষায় উপযোগ প্রায় শুণ্য। প্রায় পুরোটাই অপচয় আর বিভিন্ন মাত্রার ক্ষতি ছাড়া আর কিছু নয়, যে জন্য খোদ ব্রাজিলেরই অর্ধেকের বেশি জনগোষ্ঠি আজ বিশ্বকাপের বিপক্ষে প্রতিবাদ মূখর। আর বাঙ্গালীর হুজুগেপনার কথা কী আর বলব! এক পতাকার পেছনেই কম করে হলেও শত কোটি টাকা চলে গিয়েছে কর্পোরেট পুঁজির পকেটে। পতাকা টানাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হবার ঘটনাগুলো কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব। তাই এবার ভেবেছিলাম, যথাসাধ্য অনাগ্রহের সাথে এবারকার বিশ্বকাপ ফুটবলকে উপেক্ষা করে যাব। নইলে, খেলা হিসেবে ফুটবল এর গোঁড়া একজন ভক্তই ( স্বভাবতঃই ক্রিকেট বিরোধী) ছিলাম আমি।



মনে পড়ে সেই ৯০ এর বিশ্বকাপ ফুটবলের কথা যখন আমার বয়স নয়-দশ বছর হবে। খেলা উপলক্ষ্যেই সেবার আমাদের অভাবের সংসারে একটা সাদা-কালো টিভি কেনা হয়েছিল। প্রথম খেলা আর্জেন্টিনা-ক্যামেরুন। আর্জেন্টিনা তখনকার চ্যাম্পিয়ন দল। ক্যামেরুন নবাগত। দেশটি এসেছেও দারিদ্রপীড়িত আফ্রিকা থেকে। দুর্বল ও বঞ্চিতের পক্ষে, প্রবল প্রতাপশালী জনপ্রিয় দলের বিপক্ষে অবস্থান হিসেবে আমি ক্যামেরুনের সমর্থক হয়ে গেলাম। তাছাড়া পত্রিকায় আগের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার হাত দিয়ে গোল করা, গোল সেইভ করা ইত্যাদি খবর পড়ে ম্যারাডোনার প্রতি শিশুমনে একটু বিরূপ প্রভাবই পড়েছিল। সেই ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলে কোন দলকে সমর্থন করা আর কোন দল ও খেলোয়াড়কে অসমর্থন করার শুরু। সেদিনের খেলায় ক্যামেরুন যোগ্য দল হিসেবেই জিতে গিয়েছিল। ম্যারাডোনার খেলোয়াড়ী নৈপুন্যের তেমন কিছুই চোখে পড়ে নি, ট্যাকল ছাড়াই পড়ে যাওয়ার শিল্পিত অভিনয় ছাড়া। চোখে পড়েছিল 'রজার মিলা' নামের এক কৃষ্ণকায় খেলোয়াড়ের অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্য আর গোল করে কর্ণারের কাছে গিয়ে কোমর দুলিয়ে মনোজ্ঞ নাচ। যাই হোক, তারপর প্রতিটা ম্যাচই ( বিটিভিতে যেগুলো দেখিয়েছিল) আগ্রহের সাথেই দেখেছিলাম। আর্জেন্টিনার বিপক্ষের হিসেবে বড় দল ব্রাজিলকে সমর্থনের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ব্রাজিলের খেলা সেবার একদমই ভাল লাগে নি আমার কাছে। সম্ভবতঃ প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছিল ব্রাজিল সেবার। আর প্রথম ম্যাচ হেরেও কোনমতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। তারপর ভাগ্য আর গোলকীপার গোয়কোচিয়ার অসাধারণ নৈপুণ্যে ভর করে ফাইনালেই চলে গেল আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনালে অবশ্য আর্জেন্টিনার পক্ষে ছিলাম, কারণ বিপক্ষে ছিল স্বাগতিক ইতালী। স্বাগতিক দল বাড়তি সুবিধা পায়, এছাড়া রেফারীর ফেভারও পেয়েছিল কিছুটা আগের ম্যাচগুলোতে, তাই তাদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা সমর্থন করেছিলাম। ফাইনালে অবশ্য প্রথম দিকে জার্মানীর পক্ষে থাকলেও, বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যাওয়ার পর জার্মানীর বিপক্ষে চলে গেলাম এবং শেষ পর্যন্ত হার দিয়েই শেষ হয়েছিল আমার প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার পর্ব। আর্জেন্টিনা হয়তো ভাল না খেলেও এবং অনেকটা ভাগ্যের জোরেই ফাইনালে গিয়েছিল, তবে দুর্নীতি অন্ততঃ করে নি, এটুকুই ছিল প্রাপ্তি।



পরের ৯৪ বিশ্বকাপ ফুটবলে রোমারিওর কারনে ব্রাজিলের সমর্থক ছিলাম। ব্রাজিল চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল, কিন্তু খারাপ লেগেছে ড্রাগ বিতর্কে ম্যারাডোনার নিষিদ্ধ হবার ব্যাপারটি। যদিও ডোপ-পাপী হিসেবে ম্যরাডোনা নিন্দারই যোগ্য, কিন্তু ততদিনে বুঝতে শিখেছি যে, খেলার পেছনেও অনেক বড় বড় ষড়যন্ত্র কাজ করে যা করে খোদ শয়তানেরা, শিকার হয় ভুল-ত্রুটি দিয়ে গড়া সাধারণ মানুষেরা। তাই একদিক দিয়ে তাদের অপরাধের জন্য সমর্থন না করলেও, পেছনের ক্রীড়নকদের কারণে তাদের প্রতি আলাদা একটা সহানুভূতিও কাজ করে।



৯৮ এর বিশ্বকাপে এমনই এক ট্রাজিক হিরো ছিলো ব্রাজিলের রোনালদো, তবে জিদান অবশ্যই হিরো। সেটা ফীল করেছি, ২০০৬ এর বিশ্বকাপে এসে। মাঝে ২০০২ এ ব্রাজিলের সমর্থকই ছিলাম। রোনালদিনহোর খেলা, রোনাল্ডোর রেকর্ডও উপভোগ করেছি। এবার অবশ্য চাইছি, জার্মানীর মিরোস্লাভ ক্লোজ সে রেকর্ড ভেঙে ফেলুক।



এত কিছু বললাম এ জন্য যে, আবেগতাড়িত হয়ে কোন দলকে বা খেলোয়াড়কে সমর্থন করি না আমি। তাই সমর্থনের অবস্থান বদলায় বারবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। অনেকে এটাকে সুবিধাবাদী অবস্থা বলতে চাইলেও বলতে পারে, কিন্তু আমি বেছে বেছে কেন যেন হেরে যাওয়া ( আসলে অন্যায়ভাবে হারিয়ে দেওয়া) দলগুলোকেই সমর্থন করে বসি। নইলে, যোগ্য দল হিসেবে ভাল খেলে যে জিতবে, আমি তারই সমর্থক।



গতকালের ম্যাচেও তাই ব্রাজিলের সমর্থক ছিলাম খেলা শুরু হওয়ার মিনিট দশেক পর থেকেই। আগেই বলেছি, এবার আমি পুরো টুর্ণামেন্টেরই বিপক্ষে অনেকটা। তবুও ঠেকাতে যেহেতু পারছি না, তাই উপভোগ করা শ্রেয় ( আসলে সময় কাটাতে ও ঘুম তাড়াতেই খেলা দেখায় বেশি মনোযোগী এবার আমি)। দোটানা মনে খেলা দেখতে বসে মিনিট পনের পর থেকেই খেলার মাঝে জমে গেলাম। অসাধারণ খেলছিল ব্রাজিল। যারা ব্রাজিলের বিপক্ষে আবেগ ধারণ করে খেলা দেখেছেন, তারা হয়তো বুঝবে না এটা। কিন্তু আসলেই দারুণ খেলেছে ব্রাজিল একদম শেষ সময় পর্যন্ত। অবশ্য পুরো ব্রাজিল দলের চেয়েও অনেক ভাল খেলেছে মেক্সিকোর গোলকীপার গ্যুল্লেরমো ওচোয়া একাই। তাই খেলার শেষের দিকে এসে আমি আবার দোটানায় পড়ে গিয়েছিলাম যে, যোগ্য হিসেবে কার জেতা উচিৎ? যদি মেক্সিকো গোল খেয়েই যায়, তাহলে ওচোয়ার এত অসাধারণ নৈপুন্য ভেস্তে যায়। আবার ব্রাজিলই যদি গোল খেয়ে বসে, তাহলে তাদের এত ভাল খেলার কী দাম রইল! গোল করতে না পারা নেইমার, অস্কার, ফ্রেডদের যতটা না ব্যার্থতা তার চেয়ে বেশি হল ওচোয়ার গুণ। তাই শেষ দিকে এসে খেলার ধারার বিপরীতে ব্রাজিল যখন গোল খেতে বসেছিল এবং তারপর গোল দেয়ার শেষ সুযোগটাও হারালো তখন যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমার মনে হয় উভয় দলের কোচ ও সমর্থকেরাও তাই মনে করেছে শেষ পর্যন্ত। তাই খেলা অমীমাংসীত হলেও, আমার মতে জিতেছে দুদলই। আমিও একজন নিরপেক্ষ সমর্থক কালকের খেলার পর দুই দলেরই সমর্থক বনে গেলাম। আশা করছি দুই দলই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে, যদিও ক্যামেরুনের প্রতিও একটা দূর্বলতা ছিল আমার, তবে মেক্সিকোর কাছে হেরে যাওয়ায় তাদের আশা কম। তাই ব্রাজিল ও মেক্সিকোর উপরই আশা রাখছি। আরও বেশি আশা রাখছি ভাল খেলার জয় হোক, এর উপর। শুভ হোক, বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪।



বিশেষ দ্রষ্টব্য : বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার গোঁড়া সমর্থকদের উপর একরাশ করুণা। অন্য কোন দলের সমর্থককেই এতটা গোঁড়া দেখি নি আমি। আমি নিজেও চাইছি মেসি ভাল খেলুক, ভাল খেলেই বিজয়ী হোক আর্জেন্টিনা।



উৎসর্গঃ কাল্পনিক_ভালোবাসা ( একজন আর্জেন্টিনা সমর্থক :P ) এবং কান্ডারি অথর্ব ( একজন ব্রাজিল সমর্থক ;) )

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বিশ্লেষন। নিজের এবং খেলা, খেলোয়ারী মনোবৃত্তি, সমর্থন, বিশ্ব বাস্তবতা, সবকিছূর।

সবচে মজা পেলুম বিদ্র:তে এসে উৎসর্গে তো বটেই :) .. সেইরাম =p~ =p~

১৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

ভারসাম্য বলেছেন: আপনিতো মজা পেয়েছেন, কিন্তু আমি ডরে আছি আর্জেন্টিনা সমর্থকদের তোপের মুখে পড়ি কি না? যদিও চেষ্টা করেছি ভারসাম্য রেখেই বলতে, কিন্তু বাঁশ তো বাঁশই, একটু মোলায়েম রাখার চেষ্টা, এই যা। দেখা যাক, কী আছে কপালে?

ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

২| ১৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
নিউ ইয়র্ক টাইমস এ পড়লাম, পৃথিবীতে সবচেয়ে কম সাপোর্টেড দল হল, আর্জেন্টিনা, ইউ এস এ, ইরান।

১৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

ভারসাম্য বলেছেন: ইউ এস এ, ইরান এর কথা জানি না, তবে আর্জেন্টিনার ব্যাপারে নিউ ইয়র্ক টাইমস মনে হয় বাংলাদেশে খোঁজ না নিয়েই রিপোর্ট করেছে। বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার অগণিত সমর্থকতো আছেই, একেকজন সমর্থক আবার একাই একশ। :p

আপনি কোন দলের সাপোর্টার? ;)

ধন্যবাদ স্বর্ণা।

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ভাবনার সাথে আমার পুরোপুরি মিলে গেলো। আপনার মতো হয়তো আমিও সুবিধাবাদী ;) কিন্তু সুবিধাবাদের প্রশ্ন ওঠে তখনই যখনো বিশেষ সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা বা সম্ভাবনা থাকে। আমি ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, হল্যান্ড, জার্মানি- এ সবগুলো দলকে যুগপৎ সাপোর্ট করলে সবগুলো দল থেকে, বা অন্য কারো কাছ থেকে আমি বিশেষ কোনো সুবিধা পাচ্ছি কি? পাচ্ছি না। তাহলে আমি সুবিধাবাদী হলাম কীভাবে?

আমি খেলা উপভোগ করি প্রচণ্ডরকম ভাবে। আমার মনে কোনো খেদ বা ক্রোধ বা হিংসা থাকে না, কারণ, আমার কোনো প্রতিপক্ষ নেই। খেলা দেখতে দেখতে চেঁচিয়ে উঠি। এটা আমার আনন্দ।

আমরা মনে হয় জাতিগতভাবেই একটু অতিরিক্ত হুজুগে। হুজুগের সুফল যেমন আছে, কুফল আছে অনেক বেশি।

আপনার পছন্দের দল ব্রাজিল, আমার আর্জেন্টিনা, তাই বলে আপনার সাথে মুখ কালাকালি, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি, মারপিটে লিপ্ত হবো, এটা খুব অনভিপ্রেত। এই দলাদলি নিয়ে ভার্সিটির হলগুলোতে রেষারেষি ঘটতে দেখা যায়। আমার জ্ঞান খুব কম, জানি না অন্য কোনো দেশে এরকম স্বভাব দেখা যায় কিনা। তবে আমার স্বল্প পরিসরে যতটুকু দেখার সুযোগ ঘটেছে, আমি এরকম কোথাও দেখি নি।

লেখাটা খুব ভালো লাগলো। ৯০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত যা লিখেছেন, মনে হলো চোখের সামনে সবকিছু নতুন করে দেখলাম।

আমাদের মধ্যে নির্ভেজাল আনন্দ উপভোগের মন-মানসিকতা সৃষ্টি হোক, এই কামনা করছি।

১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৮

ভারসাম্য বলেছেন: আমাদের সমর্থনের ধরনে মিল হয়তো আছে, তবে এবার আমি খেলাধুলা প্রচন্ডভাবে উপভোগ করতে পারছি না। :(

প্রচন্ডভাবে না হলেও, মোটামুটি উপভোগ করছি। আরও ভাল লাগছে আপনাকেও আমার দলে পেয়ে। :)

আমাদের মত একটা নিরপেক্ষ সিন্ডিকেইট তৈরী হলেও মন্দ হয় না, কী বলেন?

ধন্যবাদ অনেক। শুভকামনা।

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ৯০ এর খেলার ব্যাপারটা যেহেতু এসেছে সেহেতু এতটুকু যোগ করছি ৯০ এ খোড়া আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল কারেকা মুলারের ব্রাজিল দলের। এবং সেটা ২য় রাউন্ডে।ম্যাচটা ছিল এমন খেলেছে ব্রাজিল জিতেছে আর্জেন্টিনা। বোধ করি ৮৭ মিনিটে ম্যারাডোনার পাসে ক্যানিজিয়ার করা একমাত্র গোল ।ব্রাজিলের বিস্ময়কর সব গোল মিস বিস্ময় হয়ে আছে।

উরুগুয়ে নয় মেক্সিকো হারিযেছে ক্যামেরুনকে।



অমিমাংসিত ম্যাচটা ফাইনালে গিয়ে সমাধান হলে মন্দ হতো না।

আর ব্রাজিলের খেলায় শিল্প ছিল। শুধু গোল হয় নি এই আর কি!

সুন্দর পোস্ট।


তবে একটা খেলা না বললে নয় শৈল্পিক ফুটবল শুধু মাত্র ব্রাজিল খেলে থাকে।

১৮ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ভারসাম্য বলেছেন: আমি আসলে স্মৃতি থেকে একনাগাড়ে লিখে গিয়েছি। তাই ৯০ এ ব্রাজিলের কথা লিখতে গিয়ে তার আগে সম্ভবতঃ কথাটা লিখেছিলাম।

আর ক্যামেরুনের বদলে উরুগুয়ে লেখা টাইপিং মিসটেইক। সেরে দিচ্ছি এখনই। অবশ্য উরুগুয়ের প্রতি দূর্বলতাও মিথ্যে নয়।

ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।

১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৫

ভারসাম্য বলেছেন: আমার কাছে অবশ্য ডাচ ফুটবল, ব্রাজিলের চেয়েও বেশি ভাল লাগে। ক্রুয়েফ এর খেলা দেখি নি, তবে শুনেছি ফুটবলে পুরো টিমের মাধ্যমে শিল্পের ছোঁয়া তাঁর উদ্যোগেই হয়েছিল। পরে অবশ্য মার্কো ভ্যান বাস্তেন, রাইকার্ড, রুড গুলিত এর খেলায় তার প্রমাণ পেয়েছি। আর এখনকার ভ্যান পার্সি, রোবেন এরাও তার প্রমাণ দিল গত ম্যাচেই। যাই হোক, আমি এবার ব্রাজিল সমর্থন করলেও, গোঁড়া নই কিন্তু। ;)

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৭

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
উৎসর্গটা ভালা পাইছি ;)


বিশ্লেষণও ভাল লাগছে :)

১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

ভারসাম্য বলেছেন: আগে বলেন, কোন দল করেন? ছুপা ব্রাজিল মনে মনে হচ্ছে। ;)

যে দলই করুন, কোন্দল করবেন না, কেমন? :P

ধন্যবাদ ও শুভকামনা। :)

৬| ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২২

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমি ইউ এস এ এর সাপোর্টার ;) ;) ;)

১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২০

ভারসাম্য বলেছেন: আপনি কি জন্মসূত্রে ইউএস সিটিজেন? মনে হয় না। তবু যেহেতু ইউএসএ'ই এখন আপনার নিজদেশ, তাই আপনার সমর্থনের বিপরীতে বিরূপ কিছু বলছি না। :|

ইউএসএ'র পরে কোন দল সমর্থন করেন? অথবা বলুন যে, ব্রাজিল/আর্জেন্টিনার মধ্যে কোন দলের বিপক্ষে বেশি আছেন? হুজুগে বাঙালী বলে একটা ব্যাপার আছে না? :P

৭| ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হল্যান্ডেল ফুটবলে আমি মুগ্ধ্ ।টোটাল ফুটবল ব্যাপারটা তাদের মাধ্যমে এসেছে।এক্ষেত্রে কিংবদন্তী ক্রয়েফ নাম অবশ্যই বলতে হবে। গুলিত বাস্তেন আর রাইকার্ড কোয়েমেনের মত তারকা একসঙ্গে এই দলে খেলেছে। অথচ সেই দলটির সাফল্য বলতে গেলে শূন্যের কোঠায়। এই বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে তারা টোটাল ফুটবল খেলে সবার নজর কেড়েছে। আমিও তাদের খেলায় মুগ্ধ।

ইউরোপের ফুটবলে পাওয়ার আছে গতি আছে লং পাসে যান্ত্রিক ফুটবল আছে।তাতে সাম্বার ছন্দ নেই। সেটা শুধু ব্রাজিলের আছে। দেখবেন মার্সেলো নেইমার অস্কার তাদের খেলার ধরণটা আলাদা তাদের খেলা দেখে মনে হবে এটা খেলা যুদ্ধ নয় কোন।অথচ তার ছন্দ দিয়ে আধিপত্য বিস্তার করছে।


আমি ব্রাজিলের গোরা সমর্থক। স্কুল ছাত্র অবস্থা থেকে ।এমন কি যারা আমার চেয়ে বয়সে জুনিয়র আমার কাজিনরা তারাও ব্রাজিল সাপোর্ট করে এর পিছনে আমার উন্মাদণার কিছুটা ভূমিকা আছে।
প্রধান ভূমিকা কিন্তু তাদের শৈল্পিক ফুটবলের। তাই পৃথিবী জুড়ে তাদের সমর্থকও সবচেয়ে বেশি ।

১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৫

ভারসাম্য বলেছেন: দেখুন, শৈল্পিক ফুটবলের মানদন্ড কী বা কী কী হবে সেটা নিয়ে কিন্তু অনেক কথা হতে পারে। আমার মতে গতিটাও শিল্পেরই অংশ। যদি বলেন, বল পায়ে নিয়ে বেশি সময় ধরে কারুকাজ, ড্রিবলিং এগুলোই শিল্প তাহলেও শুধুমাত্র ব্রাজিলের উল্লেখ যতটা না যৌক্তিক তার চেয়ে বেশি গোঁড়ামীপূর্ণ কথা হয়ে যায়। এই হিসেবে ব্রাজিলের ফেনমেনন রোনালদোর খেলায় কিন্তু তেমন কোন শিল্প ছিল বলা যায় না। অথচ গোল করাটাই সবচেয়ে বড় শিল্প যেখানে রোনালোদোর ধারে কাছে তেমন কাউকে পাওয়া যাবে না। আবার রোনালদিনিও'র ছিল বল পায়ে নিয়ে কারুকাজের অসাধারণ দক্ষতা। সেই হিসেবেও ম্যারাডোনার মত শৈল্পিক দক্ষতা আর কে দেখাতে পেরেছে? ৮৬ বিশ্বকাপে হাত দিয়ে গোল করার ম্যাচেই সম্ভবতঃ , প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ৪/৫ জন প্লেয়ারকে বোকা বানিয়ে করা ম্যারাডোনার গোলটিই ফুটবল ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম গোল হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানের মেসিও ক্লাব ফুটবলে অন্ততঃ তাঁর শৈল্পিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অর্থাৎ ছন্দময় ফুটবলের একক দাবীদার শুধুই ব্রাজিল, এর সাথে আমি একমত নই মোটেও। তবে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের আমি নিজেও বড় রকমের ভক্ত একজন। আমি এই দিক দিয়ে ডাচ ফুটবলের ভক্ত ছিলাম ব্রাজিলের চেয়েও বেশি। তাদের খেলায় শুধু ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবলই ছিল না, ফুটবলে নতুন নতুন নান্দনিকতার মাত্রাও তারাই প্রথম শুরু করেছে বলা যায়। এখনও তার ছোঁয়া অনেকটাই আছে বর্তমান হল্যান্ড দলেও। তবে আগের মত টীম স্পিরিট আর পাওয়া যায় না তাদের কাছে। যাই হোক, পছন্দ-অপছন্দে কিছু কিছু ভিন্নতা থাকবেই। আমিও ফুটবলে ব্রাজিলকে যথেষ্ট পছন্দ করলেও, সম্পূর্ণই আবেগ দিয়ে সব কিছু বিচার করা পছন্দ করি না। যে কারনে বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের অপছন্দ করি সবচেয়ে বেশি। এদের অধিকাংশই না বোঝে খেলা, না বোঝে যুক্তি! ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা যে দলেরই সমর্থন করা হোক, সবার কাছেই খেলাকে খেলা হিসেবেই দেখা হোক এই প্রত্যাশা করি। আপনার মন্তব্যেও খেলাকে খেলা, যুদ্ধ নয় এরকম কথা ছিল। তবে ব্রাজিলের দিকে একটু বেশিই আবেগপ্রবণ মনে হয়েছে, যেটা যোগ্য দলের যোগ্য সমর্থক হবার ক্ষেত্রে একটু দূর্বলতাই বটে। তারা অধম দেখিয়া, আমরা উত্তম হইব না কেন? ;)

আমরা আমরাই তো! :P

৮| ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫২

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ছুপা মানে??? X(( X(( X(( X((

ডাই হার্ট ব্রাজিল। ;) :D

১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৩

ভারসাম্য বলেছেন: আপনার জন্যও উপরে সেলিম আনোয়ার ভাইকে বলা মন্তব্য প্রযোজ্য। ;)

আফসোস, একজন আর্জেন্টিনা সমর্থককেও পেলাম না এখানে এখনো, আলোচনার জন্য। আলোচনাইতো হচ্ছে তাই না? যুদ্ধ তো নয়! :P

;) :D

৯| ১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
কমেন্ট ডিলিটেড ;) ;) ;)

গুড টু নো ;)

১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:২২

ভারসাম্য বলেছেন: নট সো গুড। ;) ওদের কাছে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ এর চেয়ে বেশি আবেগ কাজ করবে ইউএসএ নিয়ে এটা আমার কাছে অন্ততঃ ভাল মনে হয় না মোটেও। তবে সবারই নিজস্ব অধিকার আছে, যার অনেক কিছু জন্মসূত্রেই নির্ধারিত হয়ে যায়।

আপনার দ্বিতীয় পছন্দ সম্পর্কে তো বললেন না কিছু! /:)

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! উৎসর্গের জন্য ধন্যবাদ। পোষ্ট ভালো লেগেছে। তবে আমার মনে হয় ব্রাজিলিয়ান জনগন যে কারনে বিশ্বকাপের বিপক্ষে কথা বলছে এক হিসেবে তা সঠিক নয়। ব্রাজিল এর চাইতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান কতখানি শক্ত বা মজবুত তা আমার জানা নেই। আমার মতে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়েই আছে। তা স্বত্তেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বকাপ, টি টুয়ান্টি বিশ্বকাপ ঠিকই আয়োজন করেছে। আমাদের দেশে কি দরিদ্র মানুষ নাই? আমরা কি এই দেশে এখনও দেখি না, ডাস্টবিন থেকে খাওয়া খুঁজছে? বা এই দেশে একবেলা খেয়ে অন্য বেলা খাবার কোন উপায় নেই এমন মানুষের সংখ্যা কি কম? কম না, হিসাব করলে ব্রাজিলের চাইতেও বেশি হবে।

কিন্তু তা স্বত্তেও এই দেশের মানুষ গরীব হওয়া স্বত্তেও এই সব আয়োজনকে স্বাগতম জানিয়েছে। নিরাপত্তা, বিনোদন ইত্যাদির ঘাটতি থাকা স্বত্তেও এই দেশে মানুষ এসেছে। এমনকি আমাদের দেশের প্রধান একটি রাজনৈতিক দল দেশের সার্বিক সম্মানের কথা বিবেচনা করে তাদের আন্দোলন থেকে সরে পর্যন্ত এসেছে। সুতরাং ব্রাজিলের জনগনের আন্দোলন যুক্তিক হলেও আয়োজনকারী দেশ হিসেবে তাদের সাধারন ভদ্রতার বিষয়টি বুঝার প্রয়োজন ছিল। বরং তাদের আন্দোলন করা দরকার ছিল ফিফার বিরুদ্ধে, যারা প্রয়োজনীয় টাকা ছাড়ের ব্যাপারে টালবাহানা করেছে।


আমি যে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ তা কিন্তু নয়, আমি রোন্ডালো, রবার্তো কার্লোস রোনাল্ডিনিও প্রমুখের সময় ব্রাজিল আমার দ্বিতীয় পছন্দ ছিল। বর্তমানে ব্রাজিলের খেলার মাঝে কেন যেন সেই ছন্দের পতন ঘটেছে বলে মনে হয়। তবে এবার নেইমার ভালো করুক এটাই আমি চাই- পাশাপাশি এটাও চাই প্রতিবারের মত পেলে কর্তৃক নতুন একজন 'পেলে' ঘোষনা বন্ধ হোক। এইসব জিনিস একজন ভালো প্লেয়ারকে অহেতুক চাপে ফেলে দেয়।

যাইহোক, ভামোস আর্জেন্টিনা। B-) :D :D মেক্সিকার বিরুদ্ধে তাদের জয় পাওয়া উচিত ছিল। অন্তত যে কোন ফুটবল বিতর্কের অন্তিম সময় ব্রাজিল সাপোর্টাররা যে পাঁচ বারের ইতিহাস টানেন, সেই ইতিহাসের মর্যাদা রক্ষার জন্য হলেও নূন্যতম এক শূন্যে জয় প্রয়োজন ছিল। এটাই বাস্তব, এটাই তিতা সত্য।

২০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

ভারসাম্য বলেছেন: আপনার মন্তব্যের শেষ থেকেই শুরু করি। তিতা সত্যটি কি আপনার কাছে তিতা লেগেছে না, মিষ্টি? ;)

যদিও বলছেন আপনি ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ নন, কিন্তু ব্রাজিলের ড্র ম্যাচটির পর আপনার একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে মনে হয়েছিল যে, আপনি তাদের ঘোরতর বিরোধী। আমি নিজে ব্রাজিলের গোঁড়া সমর্থক না হলেও, মোটামুটি পছন্দ করি ব্রাজিলের খেলা। অন্যদিকে আর্জেন্টিনারও প্রবল বিরোধী না হলেও, খুব একটা ভাল লাগে না তাদের খেলা। আবেগ একটা ফ্যাক্টর। আমার নিজের কাছে নিজেকে আবেগমুক্ত হয়েই খেলাধুলা উপভোগের চেষ্টা করি বলে মনে হয়। যাই হোক, আমার মনে হয় ব্রাজিল সমর্থকরা যদি বার বার তাদের পাঁচবার বিশ্বকাপ জয়ের কথা বলে বেড়ায়, সেটা খুব একটা ভুল বলে কি? ছোটখাটো দুয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে, ব্রাজিল কিন্তু যোগ্যতম দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রতিবার।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনার দুটি বিশ্বকাপ জয়ই কিন্তু গুরুতর রকমের প্রশ্নবিদ্ধ। ১৯৮৬ এ ম্যারাডোনার হাত দিয়ে গোল দিয়ে, গোল ঠেকিয়ে ফাইনালে যাবার কথা যেহেতু সবাই কম-বেশি জানে তাই সেটার ব্যাপারে বিস্তারিত না বলে ১৯৭৮ এর বিশ্বকাপের কথাই বলি। সেই বিশ্বকাপের ফরম্যাট এখনকার মতো ছিল না। ঐ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ছিলো না। মোট ১৬ টা দল ৪ গ্রুপে খেলবে প্রথম রাউন্ডে। ২টা করে দল দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠবে এবং মোট ৮টা দল ৪টা -৪টা করে দুই গ্রুপে রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে খেলবে। এই দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সরাসরি ফাইনাল খেলবে। দ্বিতীয় রাউন্ডে যে গ্রুপে স্বাগতিক আর্জেন্টিনা ছিল, সে গ্রুপে ব্রাজিলও ছিল। ফাইনালে যেতে হলে শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার পেরুকে ৪ গোলের ব্যবধানে হারাতে হবে। পেরু কিন্তু ফালতু কোনো টীম ছিল না। এই বিশ্বকাপের রানার্সআপ নেদারল্যান্ড প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ালিফাই করে। প্রথম দলটি ছিল পেরু।

দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচ: ব্রাজিলের সাথে পোল্যান্ড আর আর্জেন্টিনার সাথে পেরু। ব্রাজিল পোল্যান্ডকে হারায় ৩-১ গোলে, কিন্তু আর্জেন্টিনার খেলা ইচ্ছা করে দেরীতে শুরু হয় যেন খেলার সময় জানা থাকে ঠিক কতো গোলের ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে জিততে হবে। স্বাগতিক আর্জেন্টিনা সেবার ৬-১ গোলে পেরুকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল। সম্পূরক আরেকটি তথ্য হল, খেলার আগেরদিন আর্জেন্টিনার একনায়ক রাষ্ট্রপ্রধান আর্জেন্টিনায় থাকা পেরুর ১৩ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিকে রাজবন্দী করেন। ফাইনালে অবশ্য ভাল(!) খেলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা! এবার ১৯৫০ এ স্বাগতিক ব্রাজিলের ভাল খেলেও ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে হেরে গিয়ে তাদের অশ্রুসিক্ত রাষ্ট্রপ্রধান, খেলোয়াড় আর অগণিত সমর্থকদের কথা চিন্তা করুন। কাজেই ব্রাজিল সমর্থকেরা যদি বারবার তাদের পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবার কথা বলে তাহলে সেটা কিন্তু যোগ্য দলের সমর্থক হিসেবেই বলে। অবশ্য দুয়েকজন একটু বেশিই বলে ফেলে। আমি তাদের দলে নই। উপরে দেখুন, সেলিম আনোয়ার ভাইয়ের মন্তব্যের উত্তরে ব্রাজিলের বিপক্ষে, ম্যারাডোনা-মেসির পক্ষেও বলেছি কিছু কথা। আমার কাজ আসলে ভারসাম্য ঠিক রাখা। আমি সব দলের পক্ষেই আছি যতক্ষণ তারা ভাল খেলার মধ্যে থাকে। সব দলের বিপক্ষেই যতক্ষণ তারা কেবল আবেগ আর দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে চলে। সেই হিসেবেই আর্জেন্টিনার বিপক্ষেই বেশি থাকতে হয়। আর্জেন্টিনাকে সমর্থনের তেমন কিছুই পাই না আসলে। /:)

১১| ১৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: বয়স যে দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য বাঁধা হতে পারে না রজার মিলা ছিল তার উদাহরণ।আজও তার কথা মনে পড়ে।ভারসাম্য ভাই একটু ব্রাজিলের দিকে ঝুঁকে খাস দিলে দোয়া করিয়েন।

২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:০২

ভারসাম্য বলেছেন: না ভাই, দোয়া করতে চাই না। চাই যে, ভাল খেলেই জিতুক ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার জন্য বরং দোয়া করি যে, তারা খেলায় জিতে আসুক, মুখের কথায় নয়। বেচারাদের ভাল খেলার সামর্থ থাকা সত্বেও খেলার চেয়ে খেলার বাইরের খেলা আর ভাগ্যের দিকে বেশি মনোযোগী। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তাদের নান্দনিকতায় জয় করুক প্রকৃত ফুটবল অনুরাগীর মন, এই শুভকামনা রাখি।

আপনাকেও ব্রাজিল সমর্থক জেনে ভাল লাগছে। তবে আপনি নিজে যেহেতু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, তাই খেলা নিয়ে অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ নন বলেই মনে করছি। তার চেয়ে, সামান্য খেলার জন্য অতিরিক্ত আবেগ, যা মানুষে মানুষে গুরুতর মনোমালিন্য, সংঘর্ষ, অ্যাকসিডেন্ট পর্যন্ত গড়াচ্ছে, সেগুলো কোন মানসিক রোগের মধ্যে পড়ে কি না, সে ব্যাপারে একটা পোস্ট আশা করছি আপনার কাছে। :)

ব্রাজিলের দিকেই ঝোঁক আছে। তবে দোয়া করলেও সেটা খাস দিলে হবে না, তাই থাক সেটা। ;)

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

১২| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


উৎসর্গে সন্মানিত বোধ করছি। চমৎকার বিশ্লেষণ।

ব্রাজিলের ব্যাপারে কিছু বলছিনা। সেটা সময় বলে দেবে। তবে আর্জেন্টিনার জন্য শুভ কামনা রইল।

২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৩

ভারসাম্য বলেছেন: কেন কিছু বলবেন না ব্রাজিলের ব্যাপারে! সন্মানের মর্যাদা রাখতেও কিছু অন্ততঃ বলা উচিৎ। :P

আগামীর কথা না হয় সময়ই বলে দেবে, কিন্তু বিগত সময় নিয়ে, অন্ততঃ ব্রাজিল-মেক্সিকোর বিগত ম্যাচটি নিয়ে ব্রাজিলের পক্ষে কিছু কথা আপনার কাছে আশা করছিলাম।

অবশ্য আর্জেন্টিনার জন্য ( আসলে তাদের বাংলাদেশি সমর্থকদের জন্য) শুভকামনাও আমাদেরকেই করে দিতে হবে। ;)

ধন্যবাদ ও শুভকামনা নিরন্তর।

১৩| ২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন কিছু তথ্য পেলাম। জানা ছিল না। আসলে সত্যি বলতে এই সব স্ট্যাটাস বা মন্তব্য সবই কিন্তু ব্রাজিলের সমর্থকদের ক্ষেপাবার জন্য, তাদের ঠিক বিপক্ষে না। এটা অবশ্যই সত্য, ফুটবল খেলা দেখবেন আর ব্রাজিলকে আপনি ভালো বলবেন না তা হয় না।

অধিকাংশ মানুষের মত আমিও একজন মৌসুমি ফুটবল বা ক্রিকেট ভক্ত। B-)। রেকর্ড দিয়ে আসলে আমাদের দেশে ফুটবলের মানদন্ড যাচাই করে না করে আবেগ দিয়ে। সেই হিসাবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনা আমাদের খুব প্রিয় দুটি আবেগ। আর যদি রেকর্ডের কথা বলেন, ৫ বার বিশ্বকাপ জিতুক আর ২ বার জিতুক ভালো না খেললে কোন লাভই নাই। উদহারন নিকট অতীতেই আছে- স্পেন!!

শুভকামনা রইল :)

২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

ভারসাম্য বলেছেন: যাক! কিছুটা হলেও স্বীকার করলেন যে, ব্রাজিল সমর্থকদের ক্ষেপাবার জন্যই ওরকম স্ট্যাটাস/মন্তব্য দিচ্ছেন। :P

নিছক মজা হিসেবে এমন করা যদিও বিশেষ দোষনীয় তেমন কিছু নয়, কিন্তু একটু ভাল করে খেয়াল করলেই দেখবেন, আপনি নিজেই একটি বিশেষ দলের প্রতি ও একটি বিশেষ দলের বিপক্ষে আবেগতাড়িত অবস্থান থেকেই এমনটি করছেন। যেই আবেগ নিতান্তই শিশুসুলভ। আর বড়রাও যখন এমন শিশুসুলভ আবেগে মত্ত থাকে, তখন সেটা আর শুধু শিশুতোষ ব্যাপার থাকে না, অমানবিক ব্যাপারই হয়ে দাঁড়ায়। এবার পতাকা টানাতে গিয়ে বাংলাদেশে অ্যাকসিডেন্টে বা সংঘর্ষে ঝরে যাওয়া অন্ততঃ পাঁচটি তাজা প্রাণই বলে দেয়, এই আবেগগুলো অমানবিক, যার দায় আমাদের উপরই বর্তায়। তাই এমন আবেগের সংযম প্রয়োজন, উস্কে দেয়া নয়। এই শিশুতোষ আবেগগুলোই আমাদের অর্থনীতি, আমাদের জীবনবোধের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটা আপনার আগের মন্তব্যের উত্তরের বাকী অংশে বলার ইচ্ছা রাখছি।

উত্তর দিতে একটু দেরী হয়ে যাওয়ায়, সম্পূরক অভিমত হিসেবে আরেকটু বলছি যে, গত ম্যাচে আর্জেন্টিনা যদিও মোটেই ভাল খেলতে পারে নি, তবে যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে। আমি সেই ম্যাচে ইরানের সাপোর্ট করলেও, তারা হেরে যাওয়াতেই খুশী হয়েছি। ;)

শুভকামনা আপনার প্রতিও। :)

১৪| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৪

এহসান সাবির বলেছেন: বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার গোঁড়া সমর্থকদের উপর একরাশ করুণা।

দিলেন তো ভরে.......!!

২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

ভারসাম্য বলেছেন:
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভারা ভারা
ধান কাটা হল সারা,
ভরা নদী ক্ষুরধারা
খরপরশা।
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।
একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা,
চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
পরপারে দেখি আঁকা
তরুছায়ামসীমাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাতবেলা--
এ পারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা।
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে,
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ভরা-পালে চলে যায়,
কোনো দিকে নাহি চায়,
ঢেউগুলি নিরুপায়
ভাঙে দু-ধারে--
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ওগো, তুমি কোথা যাও কোন্‌ বিদেশে,
বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।
যেয়ো যেথা যেতে চাও,
যারে খুশি তারে দাও,
শুধু তুমি নিয়ে যাও
ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কূলেতে এসে।
যত চাও তত লও তরণী-'পরে।
আর আছে?-- আর নাই,
দিয়েছি ভরে। ;) :P

আপনি কোন দলে? ব্রাজিলের গোঁড়া সমর্থক হলে, আপনাদের জন্যও বাঁশে তেল মাখাচ্ছি। আপনাদের কষ্ট হবে ভেবে নয়, আমারই ভরিয়ে দিতে একটু সুবিধা হবে তৈলাক্ত বাঁশে। আর আর্জেন্টিনার সমর্থক হলে, নতুন করে বাঁশের আর দরকার নেই। আশা করি খুব বেশি রক্তক্ষরণ হয় নি। ;)

এরূপ করুণায়ও ভালবাসা আছে। :)

এতকাল নদীকূলে
যাহা লয়ে ছিনু ভুলে
সকলি দিলাম তুলে
থরে বিথরে--
এখন আমারে লহ
করুণা করে। ;)
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি--
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
/:)

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা। :)

১৫| ২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

শাবা বলেছেন: দারুণ বিশ্লেষণ, একেবারে আমার সাথে পুরোপুরি মিলে যায়।
আপনার এ লেখা আগেই দেখেছিলাম, পড়া হয়ে ওঠে নি। পড়ে দেখলাম আমিও এমনটা মনে করি।
১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ, আমি তখন খুবই ছোট। ফাইনাল খেলাটা দেখেছি মনে পড়ে। পাওলো রসির কারণে আমি সে দিন ইতালিকে সমর্থন করি। দু'বছর নিষিদ্ধ ছিলেন, মেয়াদ শেষ হয় ঠিক বিশ্বকাপের আগে। কোয়াটার ফাইনাল থেকে তিনি জ্বলে ওঠেন, ব্রাজিলের বিরুদ্ধে হ্যাটটিক করেন। মোট ৬টি গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেন পাওলো রসি। তারপর ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার কারণে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করি। কিন্তু ১৯৯০-এ এসে ক্যামেরুনকে সমর্থন দিতে থাকি, ফাইনালে পেনাল্টি এবং ম্যারাডোনাকে লাল কার্ড দেয়া ও তার ক্রন্দন দেখে আবার আর্জেন্টিনাকে সমর্থন দেই। ১৯৯৪ এবং ১৯৯৮ তে ব্রাজিলকে আবার ২০০৬ এ জিদানের কারণে ফ্রান্সকে সমর্থন দেই। ২০১০-এ ভালভাবে কাউকেই সমর্থন দিতে পারি নি। আর এবার মেসির কারণে কিছুটা দুর্বলতা আর্জেন্টিার পক্ষে, কারণ আমাদের যুগেই যেন আমরা কোন পেলে-ম্যারাডোনার সাক্ষাত পেতে পারি।
আসলে সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে আমি কতগুলো বিষয় বিবেচনা করি। আঞ্চলিকতা, রাজনৈতিক অবস্থান, সংস্কৃতি ও মানবিকতা। যে কোন খেলায় সবার মত প্রথমেই আমার দেশকে সর্মথন করি। আমার দেশ না থাকলে তখন বিভিন্ন বিবেচনা সামনে আনি। আমি কখনই সাম্রাজ্যবাদী দেশকে সাপোর্ট করি না। তাই ক্রিকেটে ইংল্যান্ড, অস্টেলিয়ার চেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সমর্থন দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।
আপনার এ কথার সাথে একমত যে, বিশ্বকাপ নিয়ে এত মাতামাতির কী আছে। ফুটবলের নামে দুর্নীতি, পুঁজিবাদি বৈষম্য আর যে বাণিজ্য চলছে; এতে যেন আমরাও অংশিদার না হই।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৩৪

ভারসাম্য বলেছেন: আপনিতো অনেক পুরনো ফুটবলানুরাগী তাহলে!

৮২ বা ৮৬'র বিশ্বকাপের জীবন্ত স্মৃতি নেই, তবে পত্রিকা পড়া জ্ঞান ছিল নব্বইতে। এখনতো ইউটিউব জামানায় আরো পুরনো সব কিছুর চলমান তথ্যচিত্রই দেখা। কিন্তু খেলাদেখার সেই আবেগটা আর নেই। যখন জানতাম না, তখন রেসলিং ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা ( টিভি দর্শক হিসেবে)। যখন কিছুটা জানলাম, তখন ফুটবল প্রিয়। এখন জানি, ফুটবলও সেই পুরনো কাল থেকেই যতটা না মাঠে খেলা হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি খেলা হয়ে যায়, খেলার আগেই জুয়ার টেবিলে বা রাজনীতির মাঠে। তাই খেলা দেখার সেই আবেগটা আর না থাকলেও খেলার ভাল অংশগুলি উপভোগে কোন সীমাবদ্ধতাও কাজ করে না। যখন যে দল বা খেলোয়াড় সত্যিকারার্থেই ভাল খেলে, তার সমর্থনে পূর্বের কোন আবেগ বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।

আপনাকেও আমাদের ( যারা সুনির্দ্দিষ্ট কোন দলের গোঁড়া সমর্থক নয়) দলে পেয়ে ভাল লাগছে। :)

অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।

১৬| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩২

আরজু পনি বলেছেন:

আপনার নিকের সাথে কবিতার সম্পর্কটাই খুঁজি । তবে খেলা নিয়ে লেখাটা্ও খুব ভালো লাগলো ।

আমি সেই কবে থেকে ব্রাজিলের সমর্থন করি মনে নেই...তবে অনেক হাসি কান্নার স্মৃতি আছে এই দলটিকে নিয়ে ।

উৎসর্গটা দারুন হয়েছে বলতেই হবে ;)

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৩

ভারসাম্য বলেছেন: আমার নিকের সাথে শুধু কবিতাই সম্পর্কিত হবে কেন! সব কিছু নিয়েই ভারসাম্যপূর্ণ একটা সম্পর্ক থাকাই কি শোভনীয় নয় এই নিকের সাথে? :P

অনেক দেরী হয়ে গেল উত্তর দিতে। রমজান আর খেলা দেখার সাথে সম্পর্ক রাখতে গিয়ে এখানকার সম্পর্কটা একটু দুর্বল হয়ে গিয়েছে। /:)

আমিও ব্রাজিল সমর্থন করলেও আজকে কলম্বিয়ারও সমর্থক। কলম্বিয়াই এবারের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কনসিসটেন্ট দল মনে হয়েছে আমার কাছে। জেমস রদ্রিগেজ এরও ভক্ত হয়ে গিয়েছি। কী যে করি এখন! :P

অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর।

১৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খেলা দেখি খেলার নিমিত্তেই। যোগ্য দল জিতুক এই কামনা করে থাকি বলে আমাকেও সুবিধাবাদি দর্শক বলা যায়!

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৮

ভারসাম্য বলেছেন: ধূর! অন্যরা কে কী বলল, গণার টাইম আছে! আমরা নিজেরা নিজেদের কি সুবিধাবাদী বলি! কখনোই না। নইলে ভাল খেলেও হেরে যাওয়া দলের পক্ষেই বেশি থাকা হত না।

আমরাই প্রকৃত ফুটবলানুরাগী। ভাল লাগল আপনাকেও আমাদের দলে পেয়ে। জোগো বনিতা! :)

অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.