![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক বসন্ত হৃদয়ে আজ আমার..... চাদ উঠুক আর নাই উঠুক জোসনায় ভাসব আজ আমি
মুসলিম আইনের ২৮৫ ধারা অনুসারে 'দেনমোহর' বলতে বোঝায় টাকা বা সম্পত্তিকে যা বিবাহকালে স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে বিবাহের পণস্বরূপ পাবার হকদার।
দেনমোহর নির্ধারিত থাকতে পারে আবার অনির্ধারিতও হতে পারে।দেনমোহরের পরিমাণ অনির্ধারিত থাকলে আদালত স্ত্রীর মর্যাদা এবং স্ত্রীর পিতৃকূলের অন্য নারীদের দেনমোহরের প্রেক্ষিতে দেনমোহর নির্ধারণ করতে পারেন। নির্ধারিত দেনমোহর আবার দুই প্রকারের হতে পারে যথা তলবী দেনমোহর এবং স্থগিত দেনমোহর। বিবাহের পর যে মুহূর্তে স্ত্রী দেনমোহর দাবি করবে, সেই মুহূর্তে স্বামী তলবী দেনমোহর পরিশোধ করতে বাধ্য। কোনো বিশেষ ঘটনা ঘটলে স্থগিত দেনমোহর প্রদেয় হয়।
স্বামী স্থগিত দেনমোহর পরিশোধ না করলে স্ত্রীর তরফ থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একত্রে বসবাসে অস্বীকৃতি প্রদান করা যেতে পারে এবং অন্যত্র বসবাস করেও স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী হয়।
দেনমোহর সর্বাবস্থায় স্বামীর ঋণ। স্বামী মারা গেলেও স্বামীর সম্পত্তি হতে স্ত্রীর দেনমোহর প্রথমে পরিশোধযোগ্য বা আদায়যোগ্য। ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের ৫ নং ধারায় বলা হয়েছে, অত্র আইনে সনি্নবেশিত কোনো কিছুই কোনো বিবাহিত মহিলার বিবাহ-বিচ্ছেদের ফলে মুসলিম আইনানুযায়ী তার প্রাপ্য দেনমোহর অথবা উহার কোনো অংশের ওপর তার অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে না। ওই ধারা অনুসারে প্রমাণিত হয় যে, কোনো মুসলিম নারী আদালতের মাধ্যমে তার স্বামীকে তালাক দিলেও উক্ত নারীর দেনমোহরের অধিকার লোপ পায় না। মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১- এর ৬ (৫) ধারা অনুসারে (খ) সালিশি পরিষদের অনুমতি ছাড়া আরেকটি বিয়ে করলে তাকে অবিলম্বে তার বর্তমান স্ত্রীর বা স্ত্রীগণের তাৎক্ষণিক অথবা বিলম্বিত দেনমোহরের যাবতীয় টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং উক্ত অর্থ পরিশোধ করা না হলে তা বকেয়া রাজস্বের মতো করে আদায় করা হবে। ৬(৫) এর (ক) ধারায় এক বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা শাস্তিও বর্ণিত আছে।
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের ১০ নং ধারা অনুসারে নিকাহনামায় বা বিবাহের চুক্তিতে দেনমোহর-ঋণ পরিশোধের পদ্ধতি নির্দিষ্টভাবে উলি্লখিত না থাকলে দেনমোহরের সমগ্র অর্থ চাওয়ামাত্র প্রদেয় বলে ধরে নিতে হবে। ১৯৮৫ সালের মুসলিম পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ অনুসারে দেনমোহরের পরিমাণ যাই হোক না কেন, তা আদায়ের জন্য নির্ধারিত ২৫ টাকা কোর্ট ফি প্রদানে স্থানীয় অধিক্ষেত্রের আওতায় সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করতে হয়। উল্লেখ্য, দেনমোহরের ডিক্রির টাকা সার্টিফিকেট জারির মতো আদায়যোগ্য।
বিদ্র: আপনার আইন সংক্রান্ত যেকোন পরামর্শ বা জিজ্ঞাসার জন্য আমাদের আইন ও আইনজীবী ফেসবুক পেজ এ যোগ দিতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
রাজীব বলেছেন: দেন মোহর বিবাহের সময়ই পরিশোধ করতে হয়।