নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কৈ মাছের প্রাণ

ফেসবুক আইডি:নাই

স্পাইডার

আমি খুব ভালো লোক। ব্লগের সকল নিয়ম মেনে চলি।

স্পাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনাসদস্যসহ ২৫ হাজার লোককে হত্যা লুটপাট অগ্নিসংযোগ ধর্ষণের আজো বিচার হয়নি

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫০





পার্বত্য এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগকে ‘মহান' ও বড় ধরনের ‘অর্জন' বলা হলেও তথাকথিত ‘শান্তিবাহিনীর' তার নিজ দেশের ভেতরে পরিচালিত রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কর্মকান্ড, সেনাবাহিনীসহ সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী এবং জনসাধারণের ওপর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য আক্রমণ ও হত্যাযজ্ঞ চালানো, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, নিজ ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে। তারা হাজার হাজার বাঙ্গালী, শান্তিবাহিনী বিরোধী উপজাতি, সেনা সদস্য, বিডিআর জওয়ান, পুলিশ ও আনসার, বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হত্যা করে। আহত ও অপহরণ করা হয় বহু লোককে। চাকমা জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে ভারতে নিয়ে গিয়ে শরণার্থী বানায় তারা। তাদের বিরোধী অংশের ওপর গণহত্যা সংঘটিত করে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। দুই যুগে সেনাসদস্য ও অউপজাতি ২৫ হাজার লোককে তারা হত্যা করে। প্রভৃতি অপকর্মের কোন বিচার হয়নি। এমনকি এসব অপরাধের কোন তদন্ত ও বিচারেরও উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অপরদিকে, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বরাত দিয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।



পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই যুগের রক্তাক্ত বিদ্রোহের অবসান ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিচুক্তি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে এই পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন ধাপে মোট ২০০টি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেখানকার আইন-শৃক্মখলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে সরকার আরও ৩৫টি নিরাপত্তা ক্যাম্প ও তিনটি পদাতিক ব্যাটালিয়নসহ একটি সম্পূর্ণ ব্রিগেড প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রক্রিয়া অনতিবিলম্বে শুরু হবে এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সরকার শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অত্যন্ত আন্তরিক। এজন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ইতোমধ্যে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন ও পার্বত্য বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।







সেই ভয়াবহ দিনগুলো: স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রবিরোধী ঘটনা সংঘটিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে পৃথক জুমল্যান্ডের দাবি উত্থাপন এবং এ জন্য সশস্ত্র সংঘাত সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে। কিন্তু দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর দৃঢ় ভূমিকা বৃহত্তর চট্টগ্রামের জাগ্রত জনতার কারণে শেষ পর্যন্ত তা হতে পারেনি। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদগার অব্যাহত রেখেছে। শান্তিবাহিনীর পক্ষে প্রচারণার জন্য একাধিক ওয়েবসাইট একাজে নিয়োজিত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামকে পৃথক করে ফেলতে শান্তিবাহিনী স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আধুনিক অস্ত্র নিয়ে রীতিমত যুদ্ধ করেছে।



চাকমা নেতা সন্তু লারমা এই যুদ্ধের জন্য ৫ হাজার লোকের সমন্বয়ে গেরিলা বাহিনী গড়ে তোলেন। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে একটা অংশ ছিল বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর গোপন ও অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে লুট করে নেয়া, আর বৃহদংশই ছিল ভারত থেকে সরবরাহকৃত। এসব অস্ত্রেও মধ্যে ছিল, সাব মেশিনগান, এসএলআরএস, স্টেনগান, এসএমসি, ভূমি মাইন, হ্যান্ডগ্রেনেড, মর্টার শেল, বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার, ৩০৩ রাইফেল প্রভৃতি। একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক শান্তিবাহিনীর অপারেশনের ‘ধরন' সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন, (১) জলে-স্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ঝটিকা আক্রমণ, (২) বাঙ্গালী গ্রামসমূহে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পসমূহে আক্রমণ ও আগুন দেয়া, (৩) অ-উপজাতীয় সদস্যদের হত্যা এবং শান্তিবাহিনীর বিরোধীদের হত্যা, (৪) মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের ও গুরুত্বপূর্ণ উপজাতীয় নেতাদের অপহরণ, (৫) নাশকতামূলক তৎপরতা, যেমন- বৈদ্যুতিক স্থাপনা ধ্বংস, ব্রীজ-কালভার্ট-রাস্তাঘাট-বনজসম্পদ আহরণের যন্ত্রপাতি ধ্বংস, (৬) জল ও স্থলে সাধারণ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং (৭) সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ইন্ধন যুগিয়ে উপজাতি শরণার্থী ভারতে প্রেরণ। এই কর্মপরিকল্পনার আলোকেই তারা হাজার হাজার বাঙ্গালী, শান্তিবাহিনীবিরোধী উপজাতি, সেনাসদস্য, বিডিআর জওয়ান, পলিশ ও আনসার, বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হত্যা করে। আহত ও অপহরণ করা হয় বহু লোককে। চাকমা জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে ভারতে নিয়ে গিয়ে শরণার্থী বানায় তারা। তাদের বিরোধী অংশের ওপর গণহত্যা সংঘটিত করে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। দুই যুগে সেনাসদস্য ও অউপজাতি ২৫ হাজার লোককে তারা হত্যা করে। তাদের হত্যালীলার কয়েকটি নমুনা দেয়া যেতে পারে।



১৯৭৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর লংদু থানার কয়েকটি গ্রামে হামলা চালিয়ে ২০ জন অউপজাতিকে হত্যা, ৪০ জনকে আহত এবং ১০৪টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। '৮০ সালের ২৫ মার্চ তারা কাউখালীতে অউপজাতি পাড়ায় আক্রমণ করে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে দু'পক্ষে নিহত হয় ২৯ জন, আহত হয় ১১ জন। একই বছর ১৫ সেপ্টেম্বর তারা কাউখালী, বেতছড়ি ও কচুখালীতে আকস্মিক আক্রমণ চালিয়ে ৬ অউপজাতিকে ও হত্যা এবং ২৫ জনকে আহত করে। ১৯৮৪ সালের ৩১ মে চাকমা সন্ত্রাসীরা ভূষণছড়া ও বরকলে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে অউপজাতি গ্রামের ৮৮ জনকে গুলী করে হত্যা ও ৩৩ জনকে আহত এবং ১৮ জনকে অপহরণ করে। জ্বালিয়ে দেয় ২৬৪টি বাড়ি। '৮৬ সালের ২২ জুলাই দীঘিনালায় ২৪ জনকে হত্যা ও ৩২ জনকে অপহরণ করে। '৮৯ সালের ১৮ এপ্রিল বাঁশখালীতে এক সংঘর্ষে মারা যায় ১৫ জন। একই বছর ৪ মে লংদুতে নিহত হয় আরো ১৫ জন। '৯০ সালের ১৬ এপ্রিল নাইখ্যংছড়ি ও বলিপাড়ায় গুলীতে নিহত হয় ১৯ জন। ১৯৯২ সালের ১০ জানুয়ারি খিরাম ফরেস্ট অফিসে আক্রমণ চালিয়ে হত্যা করা হয় ৬ জন কর্মচারীকে। একই বছর ২ ফেব্রুয়ারি লংদুতে লঞ্চে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করা হয় ১৭ জনকে। '৯৫ সালের ১৪ জুন শান্তিবাহিনীর ২০ সদস্যের একটি গ্রুপ একটি ব্যাংক লুট করে। এসময় তারা একজন গার্ডকে হত্যা ও ২ জন ব্যাংক কর্মচারীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ১৯৯৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটিতে আক্রমণ চালিয়ে ৩০ জনকে তারা হত্যা করে। বছরের হিসেবে ১৯৮৪ সালে ২ হাজার এবং ১৯৮৯ সালে ১ হাজার সাধারণ লোককে হত্যার রেকর্ড পাওয়া যায়।



সেনাসদস্যদের হত্যা



শান্তিবাহিনীর লোকেরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার ও জওয়ানদের এ্যামবুশ করে তথা লুকিয়ে থেকে অতর্কিতে আক্রমণ করে হত্যা করার একটা সংক্ষিপ্ত দিনপঞ্জি দেয়া গেল। ১৯৭৭ সালের ৬ মে সাঙ্গু নদীতে হত্যা করা হয় আবদুল কাদিরসহ ৫ জন সেনাসদস্যকে। একই বছর ২৫ অক্টোবর বান্দরবানে নিহত হন নায়েক আবদুল গনি মিয়া, নায়েক আবদস সাত্তার, নায়েক আরিফ, সিপাই লুৎফর রহমান, সিপাই আলী হোসেন ও সিপাই আবদুল খালেক মুন্সি। '৭৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাঙ্গু নদীতে এ্যামবুশ করে এক সেনাসদস্যকে হত্যা এবং প্রচুর গোলাবারুদ লুট করা হয়। ঐ বছরের ৫ জুলাই কাপ্তাই নতুন বাজার থেকে ২ জন আনসার সদস্যকে অপহরণ করে হত্যা, ১৮ সেপ্টেম্বর দিঘিনালায় নায়েক এসএম রুহুল আমিনকে এবং ১৪ অক্টোবর খাগড়াছড়িতে ৫ জন সেনাসদস্যকে হত্যা করা হয়। ১৯৮০ সালের ২৩ জানুয়ারি খাগড়াছড়িতে ৩ জন সেনাসদস্য নিহত ও ৫ জন আহত হন। ঐ বছরই ২১ এপ্রিল ফালাউংপাড়া নামক স্থানে এ্যামবুশ করে হত্যা করা হয় ১১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ২০ জন জওয়ানকে। লুট করে নেয়া হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। সে বছর ১ মার্চ ঘন্টিছড়া নামক স্থানে এ্যামবুশ করে হত্যা করা হয় মেজর মহসিন আলমসহ ২২ জন সেনা জওয়ানকে। ১৯৮৬ সালের ১৯ জুলাই খাগড়াছড়িতে এক সেনাসদস্য নিহত ও ৭ জন আহত হন এবং ৭ আগস্ট ২ জন আনসার সদস্যকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। '৮৭ সালের ২১ জুন নাড়াইছড়ির অদূরে এ্যামবুশ করে হত্যা করা হয় সেনাসদস্য আবদুর রাজ্জাক, ইসমাঈল হোসেন ও মোহনলালকে। একই বছর ২৪ নবেম্বর শিলছড়িতে গুলী করে হত্যা করা ২ সেনা জওয়ানকে। ১৯৮৯ সালে থানচিতে ১১ জন সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। ১৯৮১ সালের ২৭ জানুয়ারি ফরেস্টার আবুল হোসেন, বজল আহমদ ও মাহবুবুল আলমকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়।



শান্তিবাহিনীর বপন করা অশান্তির বীজ থেকে গজিয়ে ওঠা চারা পরে বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। তাদের জাতিদ্রোহী কর্মকান্ড থেকে প্রেরণা পেয়ে নানাবিধ সন্ত্রাসী তৎপরতা মাথাচাড়া দিয়েছে। আর এর দায়ভার চাপানো হয়েছে ইসলামপন্থী গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর। কারো কারো অভিমত, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিবাহিনীর প্রথম পর্যায়ের সাফল্যকে ধরে রেখে দ্বিতীয় পর্যায়ে পৃথক রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক অভিযান চালানো হতে পারে। শান্তিবাহিনীর সমর্থক রাজধানীর রাজনৈতিক গোষ্ঠী ভারত-সমর্থিত ও তাদের ছত্রছায়ায় পরিচালিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে চোখ বন্ধ করে শুধু সমর্থনই করেনি, প্রকাশ্যে সংঘটিত বাংলাদেশ-বিরোধী ভারতের নানাবিধ তৎপরতায়ও নীরব থেকেছে। সীমান্তে বিএসএফ'র গুলী করে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ ও সম্পদ লুটপাটের খবর নিত্য প্রকাশিত হলেও তারা মুখে কুলুপ এঁটে থাকে।



সরকারের এই অবিবেচক সিদ্ধান্তের ফলে শান্তিবাহিনীর মূল সংগঠন জনসংহতি সমিতির-ই জয় হলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী অ-উপজাতীয় বাঙ্গালীদের জান, মাল, ইজ্জত আবরুর নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়বে।এমনিতেই বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার সাথে সাথেই ঐ অঞ্চলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, অপহরণ, খুন-খারাবী বেড়ে গেছে। উপ-জাতীয় যুবকদের নেতৃত্বে গোপন সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, এখানে অ-উপজাতীয় নাগরিকদের অধিকার অসাংবিধানিকভাবে খর্ব করা হয়েছে। জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অউপজাতীয় বাঙ্গালীরা বৈষম্যের শিকার হয়েছে। শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর চাকমা উপজাতির ৬০ হাজার লোককে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। কিন্তু গুচ্ছগ্রামের ৫৩ হাজার অউপজাতীয় পরিবারের লাখ লাখ মানুষকে তাদের বাড়িঘর, জমি-জমা ফেরত দেওয়া হয়নি। অনেক এলাকায় উপজাতীয়রা বাঙ্গালীদের রেকর্ড করা দখলী জমি-জমা চাষবাস করতে দিচ্ছে না।



সকলেই অবগত আছেন, শান্তিবাহিনী ঐ এলাকায় কি নারকীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। তাদের হাতে ৩০ হাজারেরও অধিক অ-উপজাতীয় বাঙ্গালী নিহত হয়েছিল। সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করার ফলে সেই আগের সন্ত্রাসী পরিবেশ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে ঐ অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ার আশংকা রয়েছে। সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের ফলে শান্তি বাহিনী, বাইরের ষড়যন্ত্র ও এনজিওদের যোগসাজসে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অংশ হয়েও কার্যত: রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশংকা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণ। এমনকি কর্ণফুলী পেপার মিল এবং বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটির নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে।



কাজেই দেশের সংবিধানের মর্যাদা, অখন্ডতা ও নিরাপত্তা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী অউপজাতীয় বাঙ্গালীদের জান-মালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের এই অবিবেচক সিদ্ধান্ত বাতিল এবং অ-উপজাতীয় উদ্বাস্তুদের নিজ বাড়িঘরে পুনর্বাসন ও তাদের জমি-জমা ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করার।



লেখক- সেলিম চৌধুরী, গবেষক

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১৪/-১৬

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫৭

লালসালু বলেছেন: ভাল হইছে, পেলাস

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২২

স্পাইডার বলেছেন: ধইন্যা

২| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩১

সুধাসদন বলেছেন: রাজাকারদের সাথে এদেরও বিচার করা হোক।

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৭

স্পাইডার বলেছেন: কে করবে?

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৯

মেঘ বলেছেন: পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী ছাড়া আর কারো থাকাই সমর্থন করি না। নিরীহ এক জনগোষ্ঠীকে আমাদের পাষন্ড মানসিকতা সন্ত্রাসী হতে যে বাধ্য করেছি সেটা আর আমরা বলি না। পাহাড়িরা, যে কোন উপজাতি আমাদের চাইতে অনেক ভালো, অনেক মানবিক।
সমতলের মানুষ মাত্রই হারামী।
সেনা সদস্য! হেহ্‌....খুব ভালো করছে তাদের মারছে। সেনা সদস্যরা মারে নাই? আগে সেনাদের বিচার হোক তারপর, পাহাড়ীদের। তাদেরকে আমরা যারা হারামীর জাত নিজ দেশে পরবাসী বানিয়েছি তাদের আগে বিচার হোক।
রাষ্টীয় নিরাপত্তার নামে যে জুলুম পাহাড়ী আদিবাসী এদের উপর আমরা চালিয়েছি তার অবসান চাই। নিজ দেশের অিধবাসীদের উপর অত্যাচার করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না কখনোই।
আপনাকে আমি মাইনাস দিয়েছি।

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫২

স্পাইডার বলেছেন: মেঘাপু যে নারীরা ধর্ষিত হয়েছে শান্তিবাহীনি কর্তৃক তারাও মনে হয় সৈনিক ছিল। নিজেকে একবার সে জায়গায় কল্পনা করে তারপর এইরকম জ্বালাময়ী ভাষণ দিন।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:২০

ডাইরেক্ট অ্যাকশান বলেছেন: মাইনাস

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:১৯

ধীবর বলেছেন: মুখে চেতনার ধব্জা ধরা অনেকের অন্তরে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধাচারণকারিদের প্রতি সমর্থন রয়েছে। ইতিহাস ভুগোল ইত্যাদিকে ভুলে যাওয়া অনেকে, বাংলাদেশ বিরোধী কখানা অপপ্রচারমুলক চটি পড়েই, নিজেদের মহাজ্ঞানি মনে করে, উলম্ফন শুরু করে দেন। এ পর্যন্ত এখানে তেমনি ৫ জনের দেখা মিললো।

মোগল আমলের শেষ দিকে, বার্মার শাসকের তাড়া খেয়ে আদি বাসি বাঙ্গালিদের বঙ্গভুমিতে আশ্রয় পাওয়া একদল পাহাড়িকে, আদিবাসি প্রমানে একটি মহলের আদাজল খেয়ে লাগাটা মোটেও দেশপ্রেমের পরিচায়ক নয়। এই মহলটি ইচ্ছে করেই সেই ইতিহাস প্রকাশ থেকে নিবৃত থাকে। চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় যে ৭১ এ পাকিস্তানিদের পক্ষ্যে রীতিমত রাজাকার আল বদর আল শামসের ভুমিকায় অবতীর্ণ ছিল, সেটাও বলে না। আর সেই রাজাকারির পুরস্কার স্বরুপ রাজা ত্রিদিব রায়কে, তার বিশস্ততার পুরস্কার স্বরুপ পাকিস্তানের মন্ত্রিত্ব দেয়া হয়েছিল।

http://en.wikipedia.org/wiki/Raja_Tridev_Roy

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজাকারিতে লিপ্ত পাহাড়িরা, স্বাধীনতার পর পরই দেশ গঠনে সবার সাথে কাজ শুরু করার পরিবর্তে নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে, বঙ্গবন্ধুর কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করে বিরক্ত করে মারছিল। ফলে এক সময় চরম বিরক্ত হয়েই বঙ্গবন্ধু ওদের বাঙ্গালি হয়ে যাবার পরামর্শ দেন। যা আমি মনে করি রুপক অর্থেই। ওদের এরকম একটি অজুহাত প্রয়োজন ছিল। আর ওদের পেছনে ছিল বাংলাদেশের চিরশত্রু ভারতের ইন্ধন। তাই দেশদ্রোহি সন্ত্রাসি কার্যক্রম সে সময় থেকেই শুরু করে দিয়েছিল ওরা। আর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই এই কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরবর্তিকালের শাসকরা তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছিলেন মাত্র। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শপথকারি, যে কোন সরকারের সে অধিকার সংবিধানই দিয়েছে। এতে কোন অপরাধ নেই। আর সেনাবাহিনী, সরকারের নির্দেশ পালন করেছে মাত্র। এতে সেনাবাহিনীর দোষ কোথায়?

দুএকটা কবিতা লিখে, মানবাধিকার বা ব্যাক্তিস্বাধীনতার ধব্জা তুলে, প্রাচীন যুগের অসুস্থ অশ্লিল যৌনপ্রথার প্রতি সমর্থন দেখিয়ে, সস্তা হাততালি পাওয়া অনেকেই নিজেদের তিসমার খাঁ মনে করেন। অথচ তাদের ঘটে না আছে সাধারণ জ্ঞান, না আছে দেশপ্রেম। চাপাবাজির জোরে আর যাই হোক ইতিহাসকে সত্যকে আড়াল করা যায় না। এটা যতদিন এরা না বুঝবেন, ততদিন তার অন্যের করূণা আর হাসির পাত্র হয়েই থাকবেন। +++++++++

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:৫৭

স্পাইডার বলেছেন: ভালো কমেন্ট।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৬:৫৯

কানা-বাবা বলেছেন:

লেখক বলেছেন: অনেক এলাকায় উপজাতীয়রা বাঙ্গালীদের রেকর্ড করা দখলী জমি-জমা চাষবাস করতে দিচ্ছে না।

~ সমস্যাটা আপনিই প্রকাশ করে দিলেন। :)

রেকর্ড করা দখলী জমি-জমা!

পার্বত্য এলাকা ছিল ঐতিহাসিক ভাবেই উপজাতিদের যারা বংশ পরম্পরায় সেখানে বসবাস করছিল। আধুনিক সভ্যতা থেকে দূরে থাকা মানুষগুলো কোন দিন জমি-জমা রেকর্ড করার প্রয়োজনিয়তা বুঝতে পারেনি এবং করেও নি।

চতুর এবং সুযোগ সন্ধানী কিছু বাংগালী (ঢালাও ভাবে সবাইকে খারাপ বলছি না) এই সুযোগে সেখানে গিয়ে বসবাস করা শুরু করে এবং সেই সব জমি নিজেদের নামে রেকর্ড করিয়ে নেয়।

এক দিন হটাৎ করে উপজাতীয়রা দেখল যে তাদের সিংহভাগ জমি-জমা আরেক জন হাতে চলে গেছে। আর এই অসন্তোষ থেকেই বিদ্রোহের শুরু। তছাড়া কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারনে অনেক উপজাতি ডিসপ্লেসড হয়েছিল সেটাও একটা কারন ( একই রকম কারনে আজকে টিপাইমুখ বাধ নিয়ে বাংলাদেশিদের সাথে মনিপুরিরাও বিরোধিতা করছে)।

একবার চিন্তা করুন যদি জমি-জমা উপযুক্ত মূল্য তাদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হত তাহলে এমন অসন্তোষ তৈরী হতো না। কিনবা সরকার যদি ন্যায্য হিস্যার ভিত্তি পাহাড়ি জমি-জমা বাংগালি ও পাহাড়ীদের মধ্য বন্টন করে দিত তাহলেও সমস্যা এড়ানো যেত।


লেখক বলেছেন: শান্তিবাহিনীর লোকেরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার ও জওয়ানদের এ্যামবুশ করে তথা লুকিয়ে থেকে অতর্কিতে আক্রমণ করে হত্যা করার একটা সংক্ষিপ্ত দিনপঞ্জি দেয়া গেল।

~ একই রকম আক্রমণ ও হত্যা করার দিনপঞ্জি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও দেখানো যাবে।

১। কল্পনা চাকমার কথা ভুলে গিয়েছেন নাকি? তাকে কে মেরেছে? (*)

২। একবার একটি গ্রামে সেনাবাহিনী ব্রাশ ফায়ার করে অনেক লোককে হত্যা করেছিল ( ১৯৭৯-৮০ সনের দিকে) (***)

৩। শান্তিবাহিনীর নেতাদের সাথে মিটিং এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম জোনের জি.ও.সি বলেছিলেন - তোমরা বাংলাদেশে থাক নাকি ভারতের রিফিউজি ক্যাম্পে থাক তা আমরা কেয়ার করি না, আমরা শুধু চাই তোমাদের জমি। (***)


(*) ১ নং এর তথ্যসূত্র দৃষ্টিপাত ব্লগে, আসক ( আইন ও সালিস কেন্দ্র) এবং এ্যামনেস্টি এর রিপোর্টে পাওয়া যাবে।


(***) ২নং ও ৩নং এর তথ্যসূত্র ডঃ জাফর ইকবালের কলামে পেয়েছিলাম ( তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রের রেফেরেন্স দিয়েছিলেন, চাইলে সেখানে দেখে নিতে পারে যে কেউ)


তাই বলি কি সমস্যা অনেক আছে আর তা সমাধানের একমাত্র উপায় সহনশীল রাজনৈতিক সংলাপ, উগ্র জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে নয়। সেনা সরানোতে হয়তো কিছু রিস্ক আছে। কিন্তু তা দূর করতে হবে সংলাপের মাধ্যমে। নইলে ক্রমাগত সেনাও মরবে, বাংগালিও মরবে, উপজাতীয়ও মরবে।

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:৫৯

স্পাইডার বলেছেন: মারামারির বিষয়টা এখন নেই। কিন্তু যারা অপরাধী ছিল দেশের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষমা করা আর ৭১ এর রাজাকারদের ক্ষমা করায় পার্থক্য কোথায় থাকলো?

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:০৩

*পাগলা জগাই* বলেছেন: সেলিম চৌদুরীর গালে কইষা একটা থাবর দিলাম। তয় আপনেরে ধৈন্যা লেখাটা কপি-পেস্টাইয়া থাবরানের সুযোগ দেওনে ;)

৩ নম্বর কমেন্টে যে উত্তর দিছেন তার জন্য আপনেরেও একটা থাবর দিয়া গেলাম।

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:৪৭

স্পাইডার বলেছেন: ছাগল জগাই খোয়াড়ে যা

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:১৫

বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: মাইনাস কারা কারা দিছে সেটার হিসাব করলেই বুজতে পারবেন নীজের দেশকে না এরা অন্যের হাতে তুইল্যা দিতে পারবো.........।

আর যারা নিজের দেশকে অন্যের হাতে তুইল্যা দেয়া, তাগোরে কয়......????

০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:২৪

স্পাইডার বলেছেন: হিসাব নিয়া কি হইবো?

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:২০

বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: মেঘ বলেছেন:

সমতলের মানুষ মাত্রই হারামী।
সেনা সদস্য! হেহ্‌....খুব ভালো করছে তাদের মারছে|

===============

আপা আপনার জন্ম কোন দেশে.....???

সমতলের মানুষ আপনারে কী কী হারামি হারামি কাজ করছে একটু শেয়ার করেন আমাদের সাথে|

আর সেনাসদস্য মাইরা শেষ করলে খুব ভাল হয়, একেবারে লোটা-কম্বল লইয়া দাদা বাবুদের সাথে.....??

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:২১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সমস্যার সমাধান চাই।

তবে বাংগালীদের পার্বত্য এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়ার মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশীরা যে কেউ যে কোন এলাকায় থাকতে পারে।

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:৪৭

স্পাইডার বলেছেন: শেষের লাইনটার সাথে অনেকেই একমত নয়

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:৫৫

বিডি আইডল বলেছেন: দেশের অনেক স্হানেই বন্চ্ছনার ইতিহাস আছে....সবাই যদি বাংলাভাই আর শান্তি বাহীনির মত অস্ত্র হাতে নেমে পড়ে? এই বাহিনীটি একটি জঙ্গী বাহিনী ছিল যারা নিরীহ লোকজন মেরেছে...এ সত্য শিকার করতে অনেকেরই দেখি গাত্রদাহ হচ্ছে

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:৪৮

স্পাইডার বলেছেন: কথা সইত্য

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:০০

*পাগলা জগাই* বলেছেন: আগে বিকাশ তারপর প্রকাশ। পাবলিক এখান থেকে একটু ঘুরে আসেন তারপর আসেন আলাপ করি: http://portal.ukbengali.com/?q=node/96

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:১৭

বিডি আইডল বলেছেন: তথ্যসূত্রঃ শরদিন্দু শেখর চাকমার রচিত জুম্ম জনগণ যাবে কোথায় ও জনসংহতি সমিতির প্রকাশিত জুম্ম সংবাদ বুলেটিন

শরদিন্দু চাকমা এই ব্লগে লিখছেন সম্ভবত.....তার কাছ থেকেই লেখার সুত্র পাওয়া যাবে...কিন্তু জঙ্গী একটি বাহিনীর লিফলেট তথ্যসুত্র!! হাসবো না কাদঁবো?

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:২১

*পাগলা জগাই* বলেছেন: কান্দের কিছু নাই। কোন সংবিধানে লেখা নাই যে তথ্যসূত্র সরকারী গেজেট হইতে হইব। পড়েন, এই লেখাটা খুবই সামান্য তথ্য দিছে। বিপ্লব রহমান বৈলা এক সাংবাদিক আছে (ব্লগেও আছেন উনি) ওনার রিপোর্টারের ডাইরী বইটাও পড়েন। অবশ্য আগেই যদি কন তালগাছ আমার, আমি সত্য জানতে চাই না তাইলে কিচু কওয়ার নাই। হ্যাপি রিডিং।

১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:৩৫

বিডি আইডল বলেছেন: তালগাছ আমার বলার মত ব্লগার এই ব্লগে অনেকেই আছে....আপনার নিকটা নতুন না হলে চিনবেন নিশ্চয়ই তাদের....

জেএমবি সারাদেশে বোমা ফাটানোর পরেও এই ধরণের নন গেজেটেড তথ্যসুত্র প্রকাশ করেছে....

১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:৩৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: @বিডি আইডল

সন্ত্রাসী সংগঠনের পেছনে মুসলিমরা না থাকলে তা সহজে সন্ত্রাসী লেবেল পায় না।

১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:৫০

বিডি আইডল বলেছেন: সেটা পশ্চিমা মিডিয়ার জন্য ধ্রুবসত্য জানতাম কিন্তু আমাদের ছাপোষা বাঙ্গালীরাও যে সে পথে হাটছে!

জনসংহতি বাহিনী একটা আধা মিলিশিয়া দেশবিরোধী জঙ্গী বাহিনী ছিল এই সত্য অস্বীকারে এরা এত সচেষ্ট কেন কে জানে!?

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:১৭

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এই লেখার লেখক ব্লাডি রেইসিষ্ট ছাড়া আর কিছু না। যেভাবে তার লেখায় বাঙালী উপজাতী বিভেদ এসেছে তা থেকেই বোঝা যায় পার্বত্য চট্রগ্রামের উপজাতীদের প্রতি আমাদের চিন্তাধারা কি। এবং কেন তাদেরকে শান্তি বাহিনী গঠন করতে হল।

স্বাধীনতার পরে কেন পার্বত্য এলাকায় বাঙালী বসত এত ব্যাপক হারে বাড়াতে হল? এত কুটপরিকল্পনা কেন? কেন উপজাতীদের নিজের করে ভাবা হল না? কেন বৈষম্য করা হয়েছিল?

আজকে যেসব সমতলের লোকজন ওই এলাকাতে আছে তাদেরকে বিতারন অবশ্যই ঠিক নয়, তবে এটাও তো ঠিক ওই এলাকায় আগে তারা ছিলেন না।
অনেকটা প্যাল্যাষ্টাইনে ইসরাইলী বসতী স্থাপন করে দখনদারিত্ব কায়েমের মত।
ওই এলাকাটি ছিল উপজাতীয়দের হঠাত একদিন দেখা গেল ভিন এলাকার লোকজন এসে সব দখন করে নিল, সাহেবের মত আচরন শুরু করল। উপজাতী দেখলে নাক সিটকাতে শুরু করল। সবকিছু থেক বন্চিত হতে শুরু করল উপজাতীরা। স্বাধীনদেশে কি তাদের এটি পাপ হয়েছিল? যে ওদের শান্তিতে থাকা বিনষ্ট হয়ে গেল?

এরপরে শান্তিবাহিনী গঠন হবে না তো কি হবে? শান্তিবাহিনীর অপরাধের ফিরিষ্তি আমরা এত বড় করে দেই, সেনাবাহিনী ওখানে কি করছে সে খবর রাখি?
বাংলাদেশের অন্য কটা জেলায় সেনারা দুচারবছর এভাবে বিহেইভ করুক না, তখন শুনব কি বলেন বিজ্ঞজনেরা।

পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে যেমন করেছিল, আমরা ক্ষমতাধর বাঙালীরা পাহাড়ীদের সাথে প্রায় তাই করেছি। এবং করে যাচ্ছি। আমাদের মিডিয়াও তাই করে যাচ্ছে, সরকার, সেনাবাহিনীও, এখণ দেখছি সাধারন বাহিনীও।

দুঃখজনক।
খুবই দু্ঃখজনক।
যে দেশ ৭১ এ যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে অত্যাচারীত হয়ে স্বাধীন হয়েছে, সেই দেশের লোকদের কাছ থেকে পাহাড়ীদের প্রতি এ ধরনের আচরন আমাকে শুধু অবাক আর মর্মাহতই করে।

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:৫৫

স্পাইডার বলেছেন: লেখার তথ্যগুলোতে ভুল আছে কিনা জানেন কিছু?

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:৫১

বহ্নিশিখা বলেছেন: চুতিয়া বিডি আইডলটা তো চরম সাম্প্রদায়িক। এসব দালালদের জন্যই দেশটা ধ্বংস হয়ে গেল।

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:৫৬

স্পাইডার বলেছেন: ছাগলরে একাই সম্প্রদায় আছে ম্যা সম্প্রদায়। পোষ্ট নিয়ে আলোচনা করো না হলে কাঠাল পাতা খাও।

২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:১৮

রাজর্ষী বলেছেন: শান্তি বাহীনি শখের বশে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেছে। শান্তিতে থাকতে পছন্দ করেনা বলে ভিটেমাটি ছেড়ে ভারতে পাড়ি দিসে। তারপর বনে বাদের ঘুরে বাংগালী আর সেনা নিধন করেছে। আর বাংগালী আর সেনারা খালি চাকমাদের চুমাইসে। আর কিসু করেনাই। চমৎকার ইতিহাস , নিরেপেক্ষ তথ্য। আর সেইরকম বিশ্লেষন।

০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:৪৫

স্পাইডার বলেছেন: ইতিহাসের ধর্মই হলো এটা নিরপেক্ষ হয় না। পার্বত্য অন্চলে সেনাবাহীনি আগে পাহাড়ি মাইরা সাফ করছে এরপর গেরিলা শান্তিবাহীনি তৈরি হইছে এইরকম কিছু হবে মনে হয়।

২১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৪

হাসান শহীদ ফেরদৌস বলেছেন: ১৯৪৮ – ১৯৭১ এর বাঙ্গালী জাতির দিকে তাকালেই বুঝবেন কোন শখে সাধারণ জনগন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে আসে।

২২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:০৮

রাজিববাবা বলেছেন: মাইনাস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.