নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মেডিকেলেএসিসটেন্ট, আমার কোরআন ও হাদীস জানার খুব শখ.আমার উস্তাদশাইখুল ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রঃ) আল্লামা আবু জাফর( সাবেক সাইখুল হাদীস দেওবন্দ ভারত)শাইখুল হাদীস আল্লামা জাহীদুল ইসলাম ,দেওবন্দ(সাবেক প্রীন্সীপাল খাড়াকান্দী মাদ্রাসা)মুফতী ওমর ফারুক,

মো: আজাদ আবুল কালাম

ব্যবসা

মো: আজাদ আবুল কালাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষই আল্লাহর গুপ্ত রহস্য

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০০

একটি জাল হাদীসে কুদসী-তে বলা হয়েছে:
মানুষ আমার গুপ্ত রহস্য এবং আমি মানুষের গুপ্ত রহস্য।
কথাটি একেবারেই ভিত্তিহীন,সনদবিহীন বানোয়াট কথা(সিররুল আসরার ২৩,৩১)।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাদীসের কথা বাদ দিন। এব্যাপারে কোরআনে কি বলেছে তাকি খেয়াল করেছেন??????

এই আয়াতগুলোেএবং ব্যাখ্যা সম্র্পকে আপনার অতি মূল্যবান মতামত জানাবেন...

মানুষের মধ্যে আল্লাহর অবস্থান

আল্লাহ আরশে আযীমে সমাসিন আছেন (সেজদা, ৪ আয়াত) এবং (ইউনুস, ৩ আয়াত)। আল্লাহ শুধু আরশেই সীমাবদ্ধ নয়। তার কুরসী আসমান ও জমিন ব্যাপ্ত। (বাকারা, ২৫৫ আয়াত) বরং তিনি সকল কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন (নিসা, ১২৬ আয়াত) এবং (হামিম-সেজদা, ৫৪ আয়াত) এই আয়াতে মহিতুন শব্দ এসেছে। মহিতুন অর্থ পরিবেষ্টন করা। আরবি অভিধান পৃ. নং ৬২। আল্লাহর অবস্থান অতি নিকটে, (বাকারা, ১৮৬ আয়াত)। মানুষ এবং তার অন্তরের কাছাকাছি আল্লাহ অবস্থান করেন (আনফাল, ২৪ আয়াত)। এই আয়াতে হুলু শব্দ এসেছে, হুলু শব্দের অর্থ কাছাকাছি, আরবি অভিধান পৃ. ১২২১। আল্লাহ মানব সুরতে আহরণ করেছেন (ইনফিতর, ৮ আয়াত)। এই আয়াতে রাক্কাবাকা শব্দ এসেছে। রাক্কাবাকা শব্দের অর্থ আহরণ করেছে। আরবি অভিধান পৃ. ১৩৭৪। দিশারি অভিধান পৃ. ২০০। আল্লাহ মানুষকে পরিবেষ্টন করে আছেন, (বনি ইসলাইল, ৬০ আয়াত)। এই আয়াতে আহাত্বা শব্দ এসেছে। আহাত্বা শব্দের অর্থ পরিবেষ্টন করা, অভিধান পৃ. ৬২। আল্লাহ কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করে আছেন (বাকারা, ১৯ আয়াত)। আল্লাহ মানুষের দেহের মধ্যে অবস্থান করেন, এজন্য আল্লাহ বলেন, আমি মানুষের গর্দানের শাহা রগ হতে অতি নিকটে আছি (ক্বাফ, ১৬ আয়াত)। এখানে উল্লেখ্য যে, মানুষ এবং তার গর্দানের শাহা রগ উভয়ই মানব দেহের ভিতরে অবস্থান করে। আল্লাহ যখন সেই শাহা রগ অপেক্ষাও নিকটেÑ তাতে প্রমাণ হয় আল্লাহ মানুষের দেহের মধ্যেই অবস্থান করেন। আর একটি যুক্তি হচ্ছে, আল্লাহ মানুষের দেহের বাইরে এবং ভেতরে সমানভাবে অবস্থান করতে পারেন, তবে তিনি যখন মানুষের দেহের বাইরে অবস্থান করে কথা বলেন তখন আনা শব্দ ব্যবহার করেন। যেমনÑ মুসার সাথে তুর পাহাড়ে কথা বলেছিলেন, মুসার দেহের বাহিরে অবস্থান করেন। তাই সেই সময় আল্লাহ আনা শব্দ ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ আমিই আল্লাহ (ত্বাহা, ১৪ আয়াত)। পক্ষান্তরে আল্লাহর অবস্থান মানুষের দেহের মধ্যে যখন, তখন সেই অবস্থানকে নিশ্চিত বুঝানোর জন্য 'নাহনু' শব্দ ব্যবহার করেছেন। তাই ক্বাফের ১৬ আয়াতে নাহনু শব্দ এসেছে। নাহনু মানে আমরা। কারণ মানুষের মধ্যে একই দেহে আল্লাহ এবং মানুষ উভয়ে অবস্থান করছেন, তাই এখানে আল্লাহ নিজেকে আমি শব্দ ব্যবহার করলে মানব দেহের মধ্যে শুধু আল্লাহ অবস্থান করেন, এটা বুঝায়। সেক্ষেত্রে মানুষের অবস্থানটা অনুপস্থিত বুঝায়। তাই মানুষ এবং আল্লাহ উভয়ই মানব দেহের ভেতরে অবস্থান করছেন বিধায় এই আয়াতে আল্লাহ নিজে 'আমরা' শব্দ ব্যবহার করেছেন। তাই আল্লাহর অবস্থান মানব দেহের মধ্যে নিশ্চিত করার জন্য 'আমি' শব্দ ব্যবহার না করে 'আমরা' শব্দ ব্যবহার করেছেন। এই আয়াতে আমরা শব্দ দিয়ে যদি কেউ আল্লাহর বহুবচন প্রমাণ করে তা হবে না। কারণ আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয় (এখলাস, ১ আয়াত)। আর যদি কেউ বলেন, প্রত্যেক মানুষে যদি আল্লাহ থাকেন, তাহলে তো যত মানুষ তত আল্লাহ হয়ে যায়। কিন্তু না, তা নয়। বরং এক আল্লাহ সকল মানুষেই বিরাজ করেনÑ সমভাবে এটা আল্লাহর বিশেষ গুণ ও ক্ষমতা। যে বিশেষ গুণ ক্ষমতা আল্লাহ ইবলিশকে দান করেছে, সেই ক্ষমতা বলে ইবলিশ প্রত্যেক বনি আদমের মধ্যে বা সাথে আছে। কারণ জন্মসূত্রে ইবলিশ সকল বনি আদমের সাথে আছে (তাহা-১২৩)। আর যারা আল্লাহর স্মরণে গাফেল থাকে ইবশিল তাদের সঙ্গী হয়। (যুখরুফ-৩৬)। অতএব মানুষের মধ্যে ইবলিশ থাকার পরও ইবলিশ বলতে আমরা একজনকেই বুঝি। তদ্রুপ মানুষের মধ্যে আল্লাহর উপস্থিতি থাকার পরও আল্লাহ এক এটাও নিশ্চিত। এটাই হচ্ছে কোরআন মাফিক আল্লাহ বিশ্বাস।
উপরিউক্ত আয়াতগুলোতে প্রমাণ হয় যে, আল্লাহ সর্বত্রই তথা মানুষের মধ্যেও বিরাজমান। কিন্তু এই পর্যায়ে এসে এক শ্রেণির মানুষ তর্ক করে বলেন, এই সকল আয়াত দিয়ে আল্লাহ মানুষের ভিতরে অস্তিত্বগতভাবে আছেÑ এটা বুঝানো হয় নি। বরং জ্ঞানগতভাবে আছে বা ক্ষমতাগতÑ এটা বুঝানো হয়েছে। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, জ্ঞানগতভাবে বা ক্ষমতাগতভাবে আল্লাহ প্রত্যেক বস্তুতে আছে, এটা সঠিক, কিন্তু উপরিউক্ত আয়াত দিয়ে সেটা বুঝানো হয় নি। কারণ জ্ঞানগতভাবে বা ক্ষমতাগতভাবে আল্লাহ প্রত্যেক বস্তুতে আছেÑ এটা অন্য আয়াতে বলা হয়েছে। যেমনÑ আহযাব, ৪০ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ সকল বস্তু সম্বন্ধে জ্ঞান রাখেন। এই আয়াতে আলিমুন শব্দ এসেছে, বিধায় আল্লাহ প্রত্যেক বস্তুতে জ্ঞানগতভাবে অবস্থান করছেন এটা বুঝানো হয়েছে। এবং আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান (বারাকা, ১৪৮ আয়াত)। এই আয়াতে কাদিরুন শব্দ এসেছে, পক্ষান্তরে নেসার ১২৬ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ সকল কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন, এই আয়াতে মুহিতুন শব্দ এসেছে। দেখা যাচ্ছে, আল্লাহ পাকের অবস্থান বুঝাতে গিয়ে তিনটি আয়াতে তিনটি শব্দ এসেছে। একটা হচ্ছে আলিমুনের আয়াত ও কাদিরুনের একটি আয়াত, অপরটি হচ্ছে মুহিতুন-এর আয়াত। তিনটি আয়াত, তিনটি শব্দ এবং উদ্দেশ্যও তিনটি। যদি কেউ মুহিতুনের আয়াতটাকেও আলিমুন ও কাদিরুন অর্থে ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে মুহিতুনের আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। কিন্তু আল্লাহর কোনো আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করা যাবে না (হুদ, ২০ আয়াত)। তারপরও যদি কেউ আয়াতের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করার চেষ্টা করে তবে তার জন্য কঠিন শাস্তি, জাহান্নাম (হজ, ৫১ আয়াত)। কাজেই আমরা সতর্ক হয়ে যাই, আল্লাহর অস্তিত্বগতভাবে প্রত্যেক বস্তুতে তথা প্রত্যেক মানুষে বিরাজ করছেন এটা নিশ্চিত করার জন্যই উপরিউক্ত আয়াতগুলো পবিত্র কোরআনে এসেছে। এই আয়াতগুলো দিয়েই মানুষের মধ্যে আল্লাহ পাক অস্তিত্বগতভাবে অবস্থান করেন, এটাও বিশ্বাস করতে হবে আবার জ্ঞানগতভাবে অবস্থান করেন, এটাও বিশ্বাস করতে হবে। উভয় ভাবেই আল্লাহকে বিশ্বাস করাই মমিনের পরিচয়। এখন দেখা যাচ্ছে মানুষের একই দেহে দুটি অস্তিত্ব বিদ্যমান। একটি হচ্ছে মানুষ, অপরটি হচ্ছে আল্লাহ। মানব সত্তাকে বলা হচ্ছে নফ্স, আর প্রত্যেক নফসের মৃত্যু হবে (আনকাবুত, ৫৭ আয়াত) এবং (আম্বিয়া, ৩৫ আয়াত) আর অপরটি হচ্ছে রুহ সত্তা। আর রুহু সত্তাই হচ্ছে প্রভু সত্তা (বনি ইসরাইল, ৮৫ আয়াত)। এই মর্মে আল্লাহ বলেন, আমি দুইটি দরিয়া পাশাপাশি প্রবাহিত করি, মাঝখানে একটি অবেধ্য অন্তরাল যা অনতিক্রম্য ব্যবধান (আররহমান, ১৯ আয়াত) এবং (ফুরকান, ৫৩ আয়াত)।
এখানে উল্লেখ্য যে, উপরিউক্ত আয়াতে একই মানব দেহে দুটি প্রবাহ, একটি হচ্ছে নফ্স, আর অপরটি রুহুকে বুঝানো হয়েছে। নফস্ এবং রুহের মাঝখানে একটি অনতিক্রম ব্যবধান রয়েছে, যার ফলে নফস্ কখনো তা অতিক্রম করতে সক্ষম হবে না বিধায় নফস কখনো রুহ সত্তার দাবিদার নয়। এটাই হচ্ছে আল্লাহর কৌশল, যে কৌশলে তিনি তাঁর সৃষ্টির সাথে অবস্থান করেন। আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহর কৌশলকে ভয় কর, তা না হলে তোমরা হবে ক্ষতিগ্রস্থ। (আরাফ-৯৯) তাই মানব যখন ঘুমায় তখন একটি সত্তা দেহের বাইরে অবস্থান করেন (যুমার, ৪২ আয়াত)। তখন নফস সত্তা দেহের বাইরে অবস্থান করে (ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর আল-কুরনুল কারিম-এর টিকা নং ১৫০১) মানব রসূলের মধ্যে আল্লাহ পাকের যে অবস্থান ছিল, সেই আল্লাহকেই আল্লাহ বলতে বলা হয়েছে (আলফাতহের ১০ আয়াত) বিধায়, মানব রসূলকে আল্লাহ সাব্যস্ত করা হয় নি বরং রসূল এর দেহের মধ্যে আল্লাহর সত্তা রুহের উপস্থিতি আছে, সে সত্তাকেই আল্লাহ বলা হয়েছে বিধায় রসূলের হাত আল্লাহর হাত বলা, রসূলকে আল্লাহ সাব্যস্ত করার শামিল হয় নি বিধায় রসূলের হাত, আল্লাহর হাত বিশ্বাস করা কখনো বাকারার ২২ আয়াতের পরিúন্থী হবে না। তারপরও যদি কেউ এমনটি বলেন, মানব রসূলের মধ্যে দুইটি স্বত্বা, কিন্তু দেহতো দুটি নয়, দেহ তো একটি, যেটি মানব দেহ। মানব আকৃতিতে যদি কেউ আল্লাহ স্বীকার করে, তাহলেতো মানব আকৃতিটা আল্লাহর উপমা হয়ে যায়। যা নহলের ৭৪ আয়াতের পরিপন্থী হয়। বিধায় এখানে উল্লেখ্য যে, এই আকৃতিটা মানুষের নিজস্ব আকৃতি নয়। কারণ মানব আকৃতিটা আল্লাহর সুন্দর আকৃতি ও প্রকৃতির অনুকরণে তৈরি (ত্বীন, ৪ আয়াত) এবং (রুম, ৩০ আয়াত)। যেহেতু আল্লাহর নিজ আকৃতির অনুকরণেই মানব তৈরি, সেহেতু মানব আকৃতির প্রকৃত মালিক হচ্ছে আল্লাহ। মানব হচ্ছে এই দেহ নামের ঘরে সাময়িক মেহমান। কাজেই মানব আকৃতি হচ্ছে আল্লাহর শায়ের। শায়ের অর্থ চি‎হ্ন‎‎ (আরবি অভিধান পৃ. ১৫৩০) মানব আকৃতি যেহেতু আল্লাহর নিজস্ব আকৃতির অনুকরণে তৈরি, এখানে উল্লেখ্য যে প্রত্যেক মানুষের চেহারা আল্লাহর নিজ চেহারা। কারণ পৃথিবীতে এক মানুষের চেহারার সাথে অবিকল আর একটি মানুষ নেই, এই জন্য আল্লাহর চেহারা এক এবং অভিন্ন এবং আল্লাহ যে এক এটা তারই নিদর্শন। সেহেতু মানব আকৃতিতে আল্লাহ বিশ্বাস করা আল্লাহর উপমা দেওয়ার শামিল হবেনা। আল্লাহ বলেন, শায়ের আল্লাহতে দৃষ্টি দেওয়া তো আল্লাহরই তাকওয়ার সঞ্জাত। (হজ, ৩২ আয়াত)। রসূল সুরত যেহেতু আল্লাহর শায়ের, সেহেতু রসূল সুরতে আল্লাহ বিশ্বাস করা, আল্লাহর উপমা দেওয়ার শামিল নয় বিধায় রসূলের হাত আল্লাহর হাত বিশ্বাস করা কখনো নহলের ৭৪ আয়াতের পরিপন্থি হবে না। বরং রসূলের হাত, আল্লাহর হাত বিশ্বাস করাই প্রকৃত মমিনের পরিচয়।
সম্যক গুরুগণই রসূল, সম্যক গুরুর সঙ্গ ধারণ করে আল্লাহ পাকের পরিচয় লাভ করাই মানব মুক্তির উপায়।
আল্লাহ সম্পর্কে দলিল ও কিতাববিহীনভাবে তর্ক করা যাবে না

আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে কোনো কথা বলা যাবে না। আরাফ, ৩৩ আয়াত। আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যারোপ করা যাবে না। হুদ, ১৮ আয়াত। আল্লাহ সম্পর্কে দলিল ও কিতাব বিহীনভাবে তর্ক করা যাবে না। হজ ৮ আয়াত। আল্লাহর নিদর্শন সম্পর্কে দলিলবিহীন তর্ক করা যাবে না। (৪০ : ৩৫) অনেকেই আল্লাহ সম্পর্কে ধারণা কল্পনা বা অনুমান করে, কিন্তু সত্য সম্পর্কে ধারণা, কল্পনা ও অনুমান মোটেও ফলপ্রসু নহে। (ইউনুস-৩৬)। তাই ইব্রাহিম (আঃ) তাঁর পিতাকে বলেছিল, তোমার প্রভু সম্পর্কে তোমার ধারণা কি? (সাফফাত-৮৭) অর্থাৎ আল্লাহ সম্পর্কে কাল্পনিক ধারণা গ্রহনযোগ্য নহে। বরং কোরআন মাফিক আল্লাহ বিশ্বাস করতে হবে এটাই সঠিক।
আল্লাহ গায়েব নন

অনেকেই আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করে বলে, আল্লাহ গায়েব। কিন্তু আল্লাহকে গায়েব ভাবে বিশ্বাস করতে হবে এমন আয়াত পবিত্র কোরআনে নেই। তবে আল্লাহর কিছু গায়েব বিষয় আছে সেগুলো হচ্ছেÑ মৃত্যুর আযাব, মৃত্যুর পরের আযাব, হাশর ও জাহান্নামের আযাব ও জান্নাতের সুখ ইত্যাদি। এই গায়েব বিষয়গুলোকে বিশ্বাস করতে বলা হয়েছে। বাকারা, ৩ আয়াত। আল্লাহর গায়েব বিষয়গুলোকে ভয় করতে বলা হয়েছে। ইয়াসিন, ১১ আয়াত। তবে এই সকল আয়াত দিয়ে আল্লাহকে গায়েব প্রমাণ করা যাবে না। কারণ গায়েব শব্দের অর্থ অনুপস্থিত। ইউসুফ, ৫২ আয়াত। অভিধানের পৃ. ১৮৫২, অভিধান দিশারি পৃ. ১৭৮। যেহেতু গায়েব শব্দের অর্থ অনুপস্থিত আর আল্লাহ সকল বস্তুতে মহিতুনভাবে সর্বত্র বিরাজমান। নেছা, ১২৬ আয়াত। কাজেই আল্লাহ কখনো গায়েব নয়। তাছাড়া আরাফ ৭ আয়াতে উল্লেখ আছে, আল্লাহ গায়েব নয়। বিধায় আল্লাহকে কোনো অবস্থায় গায়েব বলা যাবে না। আল্লাহ গোপন ভাবে থাকতে পারেন (হাদিদ-৩)।
আল্লাহ লা-উরাই বা অদৃশ্য এমন আয়াত কোরআনে নেই

অনেকেই তর্ক করে বলে আল্লাহ গাইর মু-রাই বা লা-উরাই। রুয়াই শব্দের আভিধানিক অর্থ দেখা বা দৃশ্যমান, অভিধান পৃষ্ঠা ১৩৮৬, আবার গাইরু শব্দের আভিধানিক অর্থ ভিন্ন, ব্যতীত বা না-বোধক, অভিধান পৃ. ১৮৫২। আর লা শব্দের অর্থ না-বোধক। কাজেই গাইর মু-রাই বা লা-উরাই শব্দের অর্থ হচ্ছে অদৃশ্য বা অদেখা দিশারি অভিধান পৃ. ১৭৮। যেহেতু আল্লাহ গাইর মু-রাই বা আল্লাহ লা-উরাই এমন কোনো আয়াত পবিত্র কোরআনে নেই বিধায় আল্লাহকে গাউর মুরাই বা লা-উরাই বা অদৃশ্য বলব না। কাজেই বুঝা গেল আল্লাহ অদৃশ্য নয়।
আল্লাহর আকৃতি আছে ও তিনি প্রকাশ হতে সক্ষম

অনেকেই আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করে বলেন, আল্লাহর কোনো আকৃতি নেই। কিংবা আল্লাহ আকৃতি ধারণ করেন না। আল্লাহর কোনো আকৃতি বা চেহারা নেই এমন কোনো আয়াত পবিত্র কোরআনে নেই। বরং আল্লাহর আকৃতি বা চেহারা সম্পর্কে আয়াত আছে। সাদ, ৭৫ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহর হাত আছে। অনেকেই বলে আল্লাহর সেই হাত নাকি কুদরতি হাত, কিন্ত যে হাত আদমের দেহ তৈরীতে ব্যবহৃত যেহেতু আদমের দেহ মাটি দিয়ে তৈরী অর্থাৎ বাস্তব বস্তু দিয়ে তৈরী যে হাত দিয়ে আদমের দেহটা তৈরী সে হাতটা নিশ্চয়ই বাস্তব. আল্লাহ বলেন, আমি নিজ হাতে আদম তৈরি করেছি (সাদ-৭৫)। বিধায় আল্লাহর হাতটা বাস্তব। কালাম, ৪২ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহর পা আছে। আল্লাহর যে পা প্রকাশ হবে সে পা নিশ্চয়ই বাস্তব। সে দিন আল্লাহর পা প্রকাশ করা হবে (সূরা কালাম-৪২) এবং বাকারা, ১১৫ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহর চেহারা আছে। কাসাস, ৮৮ আয়াতে বলা হয়েছে, সকল কিছু ধ্বংস হবে আল্লাহ চেহারা ব্যতীত। অতএব যে চেহারা ধ্বংশ হবে না মর্মে উল্লেখ আসছে, তাতে প্রমাণ হয় আল্লাহর সেই চেহারাটা নিশ্চয়ই বাস্তব। ছয় দিনে পৃথিবী তৈয়ারি করে আল্লাহ আরশ আজীমে বসলেন। সেজদা, ৪ আয়াত। যেহেতু আল্লাহ আরশে বসলেন যেক্ষেত্রে দাঁড়ানো ও বসা উল্লেখ আসছে তাহলে অবশ্যই তাঁর ধড় বা দেহ আছে। এই সকল আয়াত বিশ্লেষণে জানা গেল, আল্লাহর আকৃতি আছে বা আল্লাহ আকৃতি ধারণ করে থাকেন। আর সেই দিন আল্লাহ আকৃতি ধারণ করেই প্রকাশ হবে। আর তাই সুরা
হাদিদ, ৩ আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ প্রকাশ্য বিদ্যমান। তাহলে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ আকৃতিগতভাবে প্রকাশ হবে এটা নিশ্চিত।
ইহকালে আল্লাহর সাক্ষাত অসম্ভব এমন কথা কোরআনে নেই

অনেকেই আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করে বলে আল্লাহর সাথে মানুষের কোনো সাক্ষাৎ ঘটবে না। ইহকালে আল্লাহর সাক্ষাত অসম্ভব এমন কোনো আয়াত পবিত্র কোরআনে আসে নি। বরং আয়াতে আসছেÑ ইহকালে আল্লাহ তিন পদ্ধতিতে মানুষের সাথে কথা বলেন। (১) ওহীর মাধ্যমে (২) হিজাব বা ছদ্মবেশ ধারণ করে (৩) বিশেষ দূত প্রেরণ এর মাধ্যমে (সূরা- শুরা-৫১) "হে মানুষ তুমি কঠোর সাধনা করো অবশ্যই আল্লাহর সহিত সাক্ষাৎ ঘটবে।" ইনশিকাক, ৬ আয়াত। মোমেন নিশ্চিত জেনে রাখুক আল্লাহর সাক্ষাত লাভ করবে। হুদ, ২৯ আয়াত। যারা আল্লাহর সহিত সাক্ষাৎ কামনা করে তারা জেনে রাখুক; আল্লাহর সেই নির্ধারিত কাল অবশ্যই আসবে। আনকাবুত, ৫ আয়াত। যারা আল্লাহর সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তারা আল্লাহর নিদর্শন সম্পর্কে গাফেল। ইউনুস, ৭ আয়াত। আল্লাহ সাক্ষাতে যাতে মানুষ নিশ্চিত বিশ্বাসী হতে পারেন এই জন্য তার নিদর্শন স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন। রাদ, ২ আয়াত। যারা আল্লাহর সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তারা কোরআন ছাড়াও অন্য কিতাবকে দ্বীনের দলিল হিসেবে মনে করে। ইউনুস, ১৫ আয়াত। যারা আল্লাহর সাক্ষাৎ কামনা করে না তারা সীমালঙ্ঘনকারী। ফুরকান, ২১ আয়াত। যারা আল্লাহর সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তারা উ™£ান্ত। ইউনুস, ১১ আয়াত। এই জন্য আল্লাহ বলেন, তোমরা আমার সাক্ষাৎ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করিও না। হামীম আস সেজদা, ৫৪ আয়াত। এই সকল আয়াত বিশ্লেষণে জানা গেল। আল্লাহর সাক্ষাৎ ঘটবে এটা নিশ্চিত। আর আল্লাহর সাক্ষাতের ব্যাপারে মানুষের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট প্রমাণ অবশ্যই এসেছে। যারা তা দেখল তারা লাভবান হবে তবে যারা না দেখল তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আনআম, ১০৪ আয়াত।
এখন আমরা জানব সেই সাক্ষাৎটা কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় হবে। কারণ আমরা জানি আল্লাহর তাজাল্লি সৃষ্ট জগত সহ্য করতে পারবে না। কারণ আল্লাহর তাজাল্লি যখন পাহাড়ে অবতরণ করল তখন পাহাড় চূর্ণ বিচূর্ণ হলো এবং মুসা পড়ে গেল। আরাফ, ১৪৩ আয়াত। এই ঘটনায় আল্লাহ মুসাকে বুঝালেন যে হে মুসা তুমি যে আমাকে তাজাল্লিময় রূপে দেখতে চেয়েছ। তুমি আমাকে তাজাল্লিময়ভাবে কখনো দেখতে পাবে না। আরাফ, ১৪৩ আয়াত। এজন্য আল্লাহ বলেন, আমি মানুষের সাথে হিজাব ধারণ করে বা ছদ্মবেশ ধারণ করে কথা বলি। শুরা, ৫১ আয়াত। হিজাব অর্থ ছদ্মবেশ অভিধানের পৃ. ১১৪৯। মুসার সাথে তুর পাহাড়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে কথা বলেছে। এ সময় আল্লাহ তুর পাহাড়ে অবস্থান করেছিল। ত্বাহা, ১২ আয়াত। মুসার সাথে আল্লাহ (ছদ্মবেশ ধারণ করে) সরাসরি বাক্যালাপ করেছেন; নেছা, ১৬৪ আয়াত। মুসার সাথে আল্লাহর সাক্ষাৎ ঘটেছিল সেজদার ২৩ আয়াত। আবার মোহাম্মদ (স.)-এর সাথে আল্লাহ নিজ আকৃতিতে দেখা দিয়েছিল। নাজম, ৬ আয়াত। মোহাম্মদ (স.) যা দেখেছে সে সম্পর্কে বিতর্ক করো না। নাজম, ১২ আয়াত। সে তার প্রভুর আকৃতিগত নিদর্শন দেখেছিল। নাজম, ১৮ আয়াত। মোহাম্মদ (স.) আল্লাহকে দেখিয়াছিল স্পষ্ট দিগন্তে। তাকভীর, ২৩ আয়াত। সে তাঁকে আরেকবার দেখেছিল সিদরাতুল মুন্তাহার নিকটে। নাজম, আয়াত ১৩ ও ১৪। এই ভাবে মুসা (আঃ) এবং মোহাম্মদ (সঃ) এর নিজ সুরতের ছদ্মবেশে আল্লাহকে দর্শন করেছেন এটা নিশ্চিত। (বি. দ্র. এই পুস্তকের মুসা (আঃ) আল্লাহ দর্শন অধ্যায়ে বিস্তারিত দেখুন)।
সেদিন আল্লাহ প্রকাশ হবে মানব সুরতে

এখন আমরা জানব যখন আল্লাহর সাক্ষাৎ দিবে তখন কোন আকৃতির ধারণ করবে এবং মুসা মোহাম্মদ (স.)-এর সঙ্গে আল্লাহ কোন সুরতের ছদ্মবেশ ধারণ করে দেখা দিয়েছিল। আল্লাহর সাক্ষাৎ হবে যখন বিশ্বাস করলাম তখন সেই আকৃতিটা অবশ্যই জানতে হবে। তা না হলে আল্লাহর আকৃতি সম্পর্কে একটা ধারণা কল্পনা বা অনুমান উদয় হবে। কারণ আল্লাহ সম্পর্কে ধারণা বা কল্পনা বা অনুমান গ্রহণযোগ্য নয়। ইউনুস, ৩৬ আয়াত। পবিত্র কোরআন থেকেই আমরা আল্লাহর আকৃতি সম্পর্কে জানব।
পূর্বে আমরা জেনেছি আল্লাহর আকৃতি আছে। আর সেই আকৃতি অবশ্যই অতি সুন্দর। আল্লাহর একটি আকৃতি আছে, যেমন সূরা সাদের ৭৫ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, আল্লাহর হাত আছে। সূরা কালামের ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে- আল্লাহর পা আছে এবং সূরা কাসাছ এর ৮৮ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, আল্লাহর চেহারা ধ্বংস হবে না এবং সূরা সেজদার ৪ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, ৬ দিনে পৃথিবী তৈরি করে আল্লাহ আরশে আজীমে সমাসীন হলেন। যেখানে দাঁড়ানো এবং বসা উল্লেখ থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আল্লাহর একটি আকৃতি আছে বলে প্রতীয়মান হয়। আর আল্লাহর সেই আকৃতিটাই হচ্ছে অতি উত্তম আকৃতি। আর আদমকে সেই অতি উত্তম আকৃতিতেই তৈরি করা হয়েছে। (সূরা-তীন, আয়াত-৪নং এবং সূরা-মমিন, আয়াত ৬৪) এবং সূরা-রুমের ৩০ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, আল্লাহর প্রকৃতি অনুসারেই মানুষ তৈরি। সূরা-ইনফিতর এর ৮ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, আল্লাহ বলেন, 'আমি যেমন তেমন আকৃতিতে মানুষ তৈরি করেছি, এইজন্য যে, যেন ইচ্ছামতো ঐরূপে আহরণ করতে পারি।' এখানে উল্লেখ্য যে, এই আয়াতে 'আইয়ু' সূরত শব্দ এসেছে। আইয়ু শব্দের আপেক্ষিক অর্থ হচ্ছে যেমন তেমন (আরবি অভিধান পৃ. ৬৩৮) ইংরেজিতে 'অং ষরশব ধং' আইয়ু শব্দের সাথে যে শব্দ ব্যবহৃত হবে সেই শব্দের অর্থের সাথে আইয়ু শব্দের অর্থ নির্ভর করে, যেমন তুমি আমাকে যেমনটা ধাক্কা দিলে আমিও তোমাকে তেমনটা ধাক্কা দিলাম। এই আয়াতে আইয়ু সূরত শব্দ এসেছে বিধায় আল্লাহর যেমন সূরত, তেমন সূরতেই আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। এই আয়াতে 'রাক্কাবাকা' শব্দ এসেছে, 'রাক্কাবাকা' শব্দের অর্থ হচ্ছে আহরণ করা (আরবি অভিধান পৃ. ১৩৭৪)। যেন ইচ্ছামত আল্লাহ মানব রূপে আহরণ করতে পারে। আবার মানব রূপের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করার পক্ষে আল্লাহ আদম সূরতের মধ্যে নিজ রুহ ফুৎকার করে সেখানে সেজদার হুকুম দিল। হিজর ২৯ আয়াত ও সাদ ৭২ আয়াত। যেহেতু সকল সেজদা একমাত্র আল্লাহর প্রাপ্য। (জিন্ন ১৮ আয়াত)। (৪১ ঃ ৩৭)। আর সেই সেজদা যখন আদম সুরতে করতে বলা হচ্ছে এতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর আকৃতি যেমন তেমন আকৃতিতেই মানুষকে তৈরি করা হয়েছে। আবার মানব আকৃতিকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দেন। প্রত্যেক সেজদায় তোমাদের চেহারা প্রতিষ্ঠিত কর। আরাফ ২৯ আয়াত। আবার আল্লাহ বলেন, আমি যদি কোনো ফেরেস্তাকে পাঠাতাম তাও তাকে মানব আকৃতিতেই পাঠাতাম। আনআম ৯ আয়াত। আবার মরিয়মের কাছে আল্লাহর নিজ রুহু পূর্ণমানব আকৃতি ধারণ করে প্রকাশিত হলো এবং কথা বলল। মরিয়ম ১৭ আয়াত।
উপরিউক্ত আয়াতগুলোকে বিবেচনা করলে জানা যায় যে, আল্লাহ যখনই প্রকাশ হবে তখনই মানব আকৃতিতেই প্রকাশ হবে। মানুষের মৃত্যুর পরে যখন আল্লাহর সাক্ষাৎ ঘটবে তখন মানব আকৃতি ধারণ করেই প্রকাশ হবেন এবং সাক্ষাৎ দিবেন।
সেদিনের তাৎক্ষণিক বিশ্বাস কবুল করা হবে না এবং সেদিন তারা আল্লাহর পায়ে সেজদাও দিতে পারবে না

মানুষকে যখন বলা হলো মানব আকৃতিতে আল্লাহর সাক্ষাতে বিশ্বাসী হও। তখন এক শ্রেণির মানুষেরা বলিল, আল্লাহ গায়েব নয়, এটা বিশ্বাস করলাম, আল্লাহ অদৃশ্য নয়, এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহর আকৃতি আছে এটাও বিশ্বাস করলাম, আল্লাহ আকৃতিগতভাবে প্রকাশ হবেন এটাও বিশ্বাস করলাম। মানুষের সাথে আল্লাহর সাক্ষাৎ ঘটবে এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহ নিজ প্রকৃতিতে মানুষ তৈরি করেছেন এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহর সেই সুন্দর আকৃতিতে মানব তৈরি এটাও বিশ্বাস করলাম। আল্লাহর রুহ মানব আকৃতিতে প্রকাশ হয়েছে এটাও বিশ্বাস করলাম। মুসার সাথে আল্লাহর সাক্ষাত হয়েছে এটাও বিশ্বাস করলাম। মোহাম্মদ (স.) আল্লাহর সাক্ষাত লাভ করেছে এটাও বিশ্বাস করলাম। মৃত্যুর পরে 'মানুষের' সাথে আল্লাহর সাক্ষাত হবে এটাও বিশ্বাস করলাম। কিন্তু সেদিন আল্লাহ মানব আকৃতি ধারণ করে সাক্ষাত দিবে এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ মানব আকৃতিতে সেদিন আল্লাহ প্রকাশ হবে বিশ্বাস করলে, মানব আকৃতিতে আল্লাহ এটা বিশ্বাস করা লাগে আর এই বিশ্বাস করলেই আদম কাবায় সেজদা দেওয়া লাগে। কিন্তু আমরা আদম কাবায় সেজদা দেওয়া বৈধ মনে করি না। আর তাই আল্লাহকে প্রত্যক্ষ না করা পর্যন্ত, আল্লাহ যে মানব আকৃতিতে প্রকাশ হবে এটা বিশ্বাস করিব না। যে দিন আল্লাহ আসবেন সেই দিন আমরা আগে দেখে নিব যে আল্লাহর আকৃতি কেমন। যেমন আকৃতিতে সেদিন দেখিব তেমন আকৃতিই আল্লাহর তখন সেই আকৃতিতে আল্লাহকে বিশ্বাস করিব। তার আগে আমরা এখন তোমাদের কথায় মানব আকৃতিতে আল্লাহ এই কথা বিশ্বাস করতে পারছি না।
তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন তোমরা প্রতিক্ষায় আছ তোমাদের কাছে আল্লাহ আসবে, যেদিন সত্যই আল্লাহ আসবে সেদিন তোমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করবে। কিন্তু সেদিনের সেই তাৎক্ষণিক বিশ্বাস আনয়ন কবুল করা হবে না। কারণ তারা পূর্ব থেকে বিশ্বাস করে নি। আনআম ১৫৮ আয়াত। এই জন্য আল্লাহ সেই সকল মানুষকে সতর্ক করে বলেন সেই দিবস আসার পূর্বেই তোমরা আল্লাহর আহ্বানে সাড়া দাও। সূরা-শুরা, ৪৭ আয়াত। কারণ সেদিনের তাৎক্ষণিক বিশ্বাস কবুল করা হবে না। সেজদা ২৯ আয়াত। আর সেদিন তোমরা বিশ্বাস অনুসারে সেজদাও দিতে পারবে না। কালাম ৪২ আয়াত। যখন তারা নিরাপদ ছিল তখন তো তাদের বলা হয়েছিল সেজদা করিবার। (কালাম-৪৩)। ঠিক একই ভাবে ইবলিশকে আহবান করা হয়েছিল আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদা করিতে (আরাফ-১১) (হিযর-২৯)। সেই সময় আদম কাবায় আল্লাজহকে সেজদা করে নাই (বাকারা-৩৪)। আর তাই আজ যারা দুনিয়াতে আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদা না করে ইবলিশের অনুসারী ছিল তারা সেদিন আদম আকৃতি বিশিষ্ট (বি. দ্র. সেদিন আল্লাহ প্রকাশ হবে কোন ছুরতে অধ্যায়ে বিস্তারিত দেখুন) প্রকাশ্য আল্লাহর পায়ে সেজদা দিতে সক্ষম হবে না।
আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকারকারীর কর্মফল বিনষ্ট হবে এবং তাদের জন্য সেদিন ওজনের কোনো ব্যবস্থা থাকবে না

অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর সাক্ষাতকে অস্বীকার করল। রুম আয়াত ৮। তাদেরকে সতর্ক করে আল্লাহ বলেন, যারা এই সাক্ষাতকে মিথ্যা বলেছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আনআম ৩১ আয়াত।
যারা আল্লাহর সাক্ষাৎকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইউনুস ৪৫ আয়াত। যারা আল্লাহর সাক্ষাৎকে অস্বীকার করে তাদের কর্মফল বিনষ্ট হবে। কিয়ামতের দিন তাদের জন্য ওজনের কোনো ব্যবস্থা থাকিবে না। কাহফ ১০৫ আয়াত)। আল্লাহ বলেন যে, কেহ ইহকালে অন্ধ সে পরকালেও অন্ধ থাকিবে। (সুরা বনি ইসরাইল-৭২)। (সুরা তাহা-১২৪) কাজেই ইহকালেই সম্যক গুরুর সঙ্গ ধারণ করে আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করা মানব মুক্তির একমাত্র পথ।
মানব আকৃতি বিশিষ্ট আল্লাহর পায়ে সেজদার মাধ্যমে মৃত্যুর পর ঈমান পরীক্ষা করা হবে

প্রত্যেক জীবের মৃত্যুর পর পুনঃজীবিত করে তাকে প্রভুর কাছে প্রত্যানিত করা হবে। সূরা-আনআম, আয়াত-৩৬)। (সূরা-সেজদা, আয়াত-১১)। সূরা-(আনআম, আয়াত-৬২)। তখন তার সম্মুখ থেকে সকল পর্দা উন্মোচিত হবে এবং তার দৃষ্টি প্রখর করা হবে (সূরা-কাফ, আয়াত-২২)। তখন প্রভুর দিকে সে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে (সূরা-কিয়াম, আয়াত-২৩)। সেদিন কাফিররাও স্পষ্টভাবে আল্লাহকে দেখতে পাবে। (সূরা-মরিয়ম, আয়াত-৩৮)। তখন বলা হবে মৃত্যুর পুর্বে তোমরা যা কিছু (দেখিতে) কামনা করতে আজ সব দেখলে তো? (সূরা-ইমরান, আয়াত-১৪৩)। তখন তারা বলবে আমরা সব দেখলাম এবং শুনলাম এবং প্রভুকে বিশ্বাসও করলাম। (সূরা-সেজদা, আয়াত-১২)। তখন বলা হবে তোমাদের আজকের বিশ্বাস কবুল করা হবে না (সূরা-(সেজদা, আয়াত-২৯)। তবে যারা পূর্ব থেকে (এহেন দেখে) বিশ্বাসী ছিল তাদেরটা বিশ্বাস কবুল করা হবে। (সূরা-আনআম, আয়াত-১৫৮)। তখন তারা আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি প্রদর্শন করবে। (সূরা-নাহল, আয়াত-১১১)। এবং বলবে হে প্রভু আমরাতো পূর্ব থেকেই বিশ্বাসী ছিলাম। (সূরা-সেজদা, আয়াত-১২)। তখন বলা হবে, তোমরা বিশ্বাসী ছিলে বললেই তোমাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে না ইমান পরীক্ষা না করে। (সূরা-আনকাবুত, আয়াত-২)। শুধু মৌখিক ইমান পরীক্ষা করবে না, বরং ইমান অনুসারে পূর্ব কর্ম পরীক্ষা করা হবে। (সূরা-ইউনুস, আয়াত-৩০)। আর এমন একটি কঠিন পরীক্ষা করা হবে, যে পরীক্ষায় কারা প্রকৃতপক্ষে ইবলিসের অনুসারী ছিল, তারা ধরা পড়বে। (সূরা-কালাম, আয়াত-৬)। আর সেই পরীক্ষাটি এমন একটি কঠিন পরীক্ষা হবে যে, সেথায় শুধু যালিমরাই আক্রান্ত হবেনা (বরং নামধারী, লেবাসধারী মমিনরাও আক্রান্ত হবে।) (সূরা-আনফাল, আয়াত-২৫)। আমরা নিশ্চিত যে সে দিন আল্লাহ পাক মানব আকৃতিতে উপস্থিত হবেন এবং সাক্ষাত দিবেন। তখন আল্লাহর পা উন্মোচন করা হবে এবং সেজদা দিতে বলা হবে। তারা সক্ষম হবে না। কালাম, ৪২ আয়াত। কারণ তারা দুনিয়তে আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদা করে নাই।
তখন তারা আত্মপক্ষ সমর্থনে আবার যুক্তি প্রদর্শন করে বলবে। নাহল ১১১আয়াত। আমরা তো দুনিয়াতে আল্লাহকে সেজদা করেছি তাহলে আজ কেন আমরা সেজদা দিতে সক্ষম হতেছি না। তখন তাদের যুক্তি এই ভাবে খ-িত হবে যে, যেহেতু আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সকলেই আল্লাহকে সেজদা করে। রাদ ১৫ আয়াত। সেই আয়াত অনুসারে ইবলিসও আল্লাহকে সেজদাকারী তোমরাও আল্লাহকেই সেজদাকারী। তোমরা আল্লাহকে প্রভু বলো, ইবলিসও আল্লাহকেই প্রভু বলে। হিজর ৩৬ আয়াত। কিন্তু ইবলিস আদম কাবায় সেজদা না দিয়েই কাফির হয়ে গেছে। বাকারা ৩৪ আয়াত। তদ্রƒপ মানুষের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ আল্লাহকেই প্রভু বলে এবং আল্লাহকে সেজদা করে। হজ ১৮ আয়াত।
কিন্তু তারা আদম কাবায় সেজদা করে না। ফলে তারা ইবলিসের অনুসারী কাফির হয়ে গেছে। এই জন্য আল্লাহ পূর্বেই তোমাদেরকে সতর্ক করেছে। কাফ ২৮ আয়াত। যে তোমরা আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ কর কিন্তু কোনো বিষয়ে ইবলিসের অনুসরণ করোও না। বাকারা ২০৮ আয়াত। তোমরা আল্লাহকে ইবলিসের কায়দায় সেজদা দিয়েছ ঠিক কিন্তু তোমাদের বলা হয়েছিল আদমের নিমিত্তে সেজদা কর আরাফ, আয়াত ১১। কিন্তু তোমরা তা কর নি বিধায় আজ এই আদম আকৃতি বিশিষ্ট প্রকাশ্য আল্লাহর পায়ে সেজদা দিতে সক্ষম হতেছ না। ইবলিস আদম কাবায় আল্লাহকে সেজদা করে নি বিধায় আজ ইবলিস এবং ইবলিসের অনুসারী কাফিরদের ইমান পরীক্ষা করার লক্ষ্যেই মানব আকৃতি বিশিষ্ট আল্লাহর পায়ে সেজদা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তোমরা দুনিয়াতে আদম কাবায় সেজদা না দিয়ে ইবলিসের অনুসারী বলে প্রমাণিত বিধায় আজ আল্লাহর পায়ে সেজদা দিতে সক্ষম হচ্ছ না।
যখন তোমরা নিরাপদ ছিলে তখন তোমাদেরকে আহ্বান করা হয়েছিল এই সেজদা দিতে। তোমরা তখন এ সেজদা কর নি বিধায় আজ আল্লাহর পায়ে সেজদা করতে সক্ষম হচ্ছে না। কালাম, ৪৩ আয়াত। বর্তমানে এক শ্রেণীর মানুষ আছে তারা এই ঘটনা মিথ্যা প্রমাণ করার লক্ষে নিম্নলিখিতভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে যুক্তি প্রদর্শন করে বলে। আদম কাবায় সেজদার হুকুম তো শুধু ফেরেস্তাদের জন্য ছিল। আমাদের জন্য ছিল না বিধায় আমরা ঐ সেজদা করি নি। তোমরা এমনটি তর্ক করবে বিধায় তোমাদেরকে পূর্বেই সতর্ক করা হয়েছিল যে, ইবলিস জিন জাতীয়। কাহফ, আয়াত-৫০। ইবলিস জিন হওয়া সত্ত্বেও যখন আদম কাবায় সেজদা না দিয়ে কাফের তাহলে ঐ সেজদা শুধু ফেরেস্তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না বরং প্রত্যেকের জন্য ফরজ ছিল। তখন তারা বলে ফেরেস্তা ও জিনদের জন্য আদম কাবায় সেজদা ফরজ ছিল কিন্তু উহা আমাদের জন্য নয়। তোমরা এমনি ভাবে তর্ক করবে বিধায় তোমাদেরকে পূর্বেই সতর্ক করা হয়েছে। কাফ, আয়াত-২৮। ইউসুফকে সেজদা দিল ইউসুফের ১১ ভাই এবং পিতা মাতা। ইউসুফ, আয়াত-১০০।
তখন তারা বলে ওটা ছিল ইউসুফকে নবী হিসেবে সম্মান জনক সেজদা। আর ঐ সকল সেজদার আয়াতগুলো রহিত করা হয়েছে, তোমরা এমনি তর্ক করবে বিধায় তোমাদেরকে সতর্ক করার লক্ষ্যে পূর্বেই বলা হয়েছে যে, সম্মানজনক কোনো সেজদা নেই কারণ সকল সেজদা একমাত্র আল্লাহর জন্য। জিন, আয়াত ১৮। আর কোনো আয়াত রহিত কা হয় নি। বাকারা, আয়াত-১০৬। তখন তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করে পুনরায় যুক্তি প্রদর্শন করে বলবে আদম কাবায় সেজদার বিধান আদম থেকে ইউসুফ পর্যন্ত চালু ছিল। তার পরের থেকে আদম কাবায় সেজদার বিধান নেই। কথাটা ঠিক নয় কারণ আল্লাহর বিধানের কোনো পরিবর্তন নেই। এই বিষয়ে আল্লাহ বলেন, হে মোহাম্মদ (স.) তোমর পূর্বে যে সকল রসূল ছিল তাদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম চালু ছিল তোমার ক্ষেত্রে একই নিয়ম আমার নিয়মের কোনো পরিবর্তন নেই। বনী ইসলাইল আয়াত-৭৭। কাজেই আল্লাহ সে দিন বলবে, তোমরা নিরাপদ থাকা অবস্থায় প্রকাশ্য আল্লাহর পায়ে সেজদা দাও নি বিধায় আজ সেজদা দিতে সক্ষম হচ্ছ না। কালাম আয়াত-৪৩। তখন তারা বলবে হে প্রভু আমরা সব শুনলাম এবং দেখলাম আমাদেরকে পুনরায় প্রেরণ করা হোক আমরা এ কর্মটি করিব। সেজদা আয়াত-১২। আল্লাহ বলবেন না, তোমরা মৃত্যুর সময়ও এমনটি বলেছিলে, ২৩ মমিন আয়াত-৯৯। না, ইহা একটি উক্তি মাত্র। তোমাদেরকে পুনরায় পূর্ব অবস্থায় প্রেরণ করা হবে না। পরবর্তী পুনর্জীবিত হওয়ার দিন পর্যন্ত তোমাদের সম্মুখে বরযখ থাকবে। ২৩ মমিন আয়াত-১০০।
অতএব, পবিত্র কোরআন মোতাবেক মানব আকৃতি বিশিষ্ট আল্লাহ বিশ্বাস ব্যতিরেকে মানুষের জন্য মুক্তির কোনো পথ নেই। আর ইমান আনা এবং মুক্তির পথ কেবলমাত্র সম্যক গুরু তথা রসূল এর সঙ্গ ধারণ করে আল্লাহর পরিচয় লাভ করা।
আল্লাহর নিজ আকৃতিতে আদম তৈরি

আল্লাহর একটি আকৃতি আছে, যেমন সূরা সাদের ৭৫ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, আল্লাহর হাত আছে, সূরা কালামের ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে- আল্লাহর পা আছে এবং সূরা কাসাছ এর ৮৮ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, আল্লাহর চেহারা ধ্বংস হবে না এবং সূরা সেজদার ৪ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, ৬ দিনে প

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: চিন্তার বিষয়
কিন্তু এইসব বিষয়ে সময় নষ্ট না করে তার ইবাদাত এবং মানব সেবা করে সময় পার করা উচিৎ। এইটা মিমাংশায় কোন ভালাই নাই ও বাধ্যতামূলকও না বরং বিতর্কীত।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

মো: আজাদ আবুল কালাম বলেছেন: ভাই লেখাটা ভালোকরে পড়বেন ।

৪| ২৩ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:০৮

Farhad Shahriar বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু
আমি কি জানতে পারি আপনি কোন বই থেকে এই লেখাটি লিখেছেন?

৫| ২৩ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৩১

নতুন বলেছেন: আল্লাহর নিজ আকৃতিতে আদম তৈরি


কিছু মতবাদ এই ধারনা পোষন করে। যদিও বেশির ভাগ মুসলমানের দলের মানুষ এটা বিশ্বাস করেনা।

এখন মানুষের আকৃতির কাছা কাছি কিছু প্রানী বর্তমানেও আছে এবং অতীতে ছিলো বলে প্রমানও আছে।

তবে হোম ইরেক্টাস বা হোমো নিয়ানাথাল ও কিন্তু মানুষের মতন আকৃতির ছিলো।

আপনি যেই যুক্তি দিয়েছেন তাতে কোরানের বক্তব্য অনুযায়ী আল্লাহের আকৃতিক হিসাবটা একে বারে ফেলে দেয়া যায় না কিন্তু বেশির ভাগ হুজুরেরাই কিন্তু এই ভাবে চিন্তা করে না।

এটার কারন কি? :|

মানুষের আকৃতির সৃস্টিকতা এই মহাবিশ্ব সৃস্টি করেছেন এটা ভাবতে কেমন লাগে? :||

নাকি সৃস্টিকতা মানুষের মতন কোন ভীন গ্রহের প্রানী যারা এই পৃথিবিতে মানুষকে জিনেটিক্যালী মডিফাই করে অন্য প্রানীর থেকে আলাদা করেছে এবং সৃস্টিকতার স্থানে পরিচয় দিয়েছে? B:-)



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.