![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গৃহবধুর একাল,সেকাল!
একটা সময় গৃহ বধু মানে ই ছিলো নম্র, ভদ্র,সুশৃংখল, আবেগময়ী,মায়াবতী আর আজ গৃহ বধু মানে ই হলো আধুনিকতা,স্বাধীনতার নামে বেয়ায়াপনা জীবন।
কৃষক মাঠে কাজ করে ক্লান্ত দেহে, আর গৃহ কৃষানী বধু দুপুরের খাবার নিয়ে কৃষকের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনে, মাঠে কাজ ফেলে কৃষক জমির পাশে এসে সেই চিরাচরিয়ত বাংলার ঐতিহ্য নাকে নোলক কেনার প্রতিশ্রুতি দেয় বউকে।
পান্তা ভাত আর মরিচ, লবন দিয়ে ই সে তিপ্তি নিয়ে পেট ভরে আহার করে।
তাদের সংসারে নেই কোন কোলাহল, অভাব আছে তবে সেটা অর্থের ভালবাসার নয়!
সেই কৃষানী বধু স্বামী খাবার না খাওয়া পর্যন্ত নিজে উপোষ করে।
একটা ই স্বপ্ন কবে ফসল উঠবে আর কবে ই সেই ফসল বিক্রি করে তার অর্থ দিয়ে কিনে দিবে সেই নোলক!
হয়তো মহাজনদের পাওয়া মিটিয়ে কৃষকের কেনা হয় না নোলক,এর পর ও কৃষানীর চোখে স্বপ্ন পরের বার ঠিক ই কৃষক কিনে দিবে নোলক।
কিন্তু বর্তমানটা একটু ব্যাতিক্রম!
মানুষ যত উন্নত হচ্ছে ততই হারাচ্ছে সুখ,শান্তি, ভালবাসা।
আজকের নারী,আর সেই কৃষানী নারীর মাঝে আকাশ পাতাল তফাত।
ওই কৃষানী পান্তা ভাত লবন দিয়ে খেতে পারতো স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে,আর এখন নারী শুধু বোঝে কোড়মা,পোলাও!
এমন বধু চায়না বাংলার মানুষ,চায় আবেগ, মায়া,চায় নিরঅহংকারী, চায় চাহিদা হীন নারী, যে নারী ভাতে লবন ঢেলে খাবে স্বামীর মুখের দিকে চেয়ে।
আজ নারী স্বামীর কাছে ভালোবাসার চেয়ে অর্থ বেশী প্রত্যশা করে,ওই বাড়ির ভাবীর এতটা অলংকার আছে তার নাই কেনো?
এমন হাজারটা বায়না! এর শেষ কোথায়?
এ জাতি কি এমন বউ প্রত্যশা করে?
মানুষ আধুনিক হচ্ছে নারীরা ও পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকতার ছোয়া নিচ্ছে,তাই বলে এমন নয় যে আধুনিকতা একটি পরিবার ও জাতিকে হুমকির মুখে ফেলবে।
পরিশেষে বলতে চাই এ নারী কেমন নারী করে শুধু ছলনা,ওগো রূপসী ললনা, দিয়ো না আর যাতনা!
বিঃদ্রঃ- সকল নারী এমন নয়, ভাল ও আছে,তবে সেটা খুবই অল্প।
©somewhere in net ltd.