![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ কে ভাল বাসি,আমি একজন সাধারন বাংলাদেশী আমার নাম আম জনতা। আমি বাংলাদেশের জনতা
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায়, তখন দৈনিক জনকন্ঠে 'তুই রাজাকার' শীর্ষক এক ধারাবাহিক সিরিজে ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার মুসা বিন শমশেরের একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে লোমহর্ষক কাহিনী ছাপা হলে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। জনকন্ঠের সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের ওপর নারকীয় হামলা চালায় মুসা বিন শমশেরের ভাড়াটে গুন্ডারা। পরে গুরুতর আহত ওই সাংবাদিকের পা কেটে ফেলতে হয়েছিল। শুরু হয় তার পঙ্গুজীবন। আরো পরে শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিয়ে আলোচনায় আসে মুসা বিন শমশের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা লন্ডনের হ্যামারস্মিথ এলাকায় সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন।
মুসা বিন শমসের ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার আকরাম কোরায়শী ও আরো অনেক সৈন্য নিয়ে যখন ফরিদপুরের মহিম স্কুল সংলগ্ন ধর্মশালায় ঢুকে তার কেয়ারটেকার কেষ্টমন্ডলকে হত্যা করে মন্ডলের চার কন্যা ননী, সোহাগী, বেলী ও লতাকে ধর্ষনের পর ধর্ষন করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। ওই হানাদার আর্মি অফিসার ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার মদন গোপাল আঙিনা এলাকার মেয়ে কমলা ঘোষকে ধর্ষন করে বীরত্বের বুক ফুলিয়ে চলে গিয়েছিল।
ননী ও বেলীকে পাকিস্তানী আর্মিরা তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই চার বোন আর তাদের মা মাখন বালার স্থান হয় ফরিদপুরের পতিতা পল্লীতে। ওদিকে কমলা ঘোষেরস্বামী জানতে পারে তার স্ত্রী’র লাঞ্চিত ও নির্যাতিত হবার ঘটনা । স্বভাবতই এই স্বামী বঙ্গ জননী কমলাকে আর ঘরে নেয় নি । ফলশ্রুতিতে কমলা দেশের বাইরে আশ্রয় নেয় সময়ের পরিক্রমা। এখন তিনি দেশের বাইরে বেঁচে আছেন একা হয়ে ।
ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির তালিকায় ফরিদপুর জেলার প্রধান ১৩ জন রাজাকারের মধ্যে তার নাম আছে শুরুর দিকেই। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ঘৃন্য রাজাকার মুসা বিন শমশের ওরফে নুলা মুসা নিজেকে রীতিমতো 'মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক' হিসেবে দাবি করে বসে আছে! 'ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি'র আহ্বায়ক ডা. এমএ হাসান আওয়ামী লীগে যুদ্ধাপরাধী খোঁজার বিষয়ে বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, দলের মর্যাদা অক্ষুণ্ন ও নিষ্কলুষ করার জন্য নিজেদের উদ্যোগেই জরুরি ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি করা উচিত।' (আমাদের সময়, ২৮ এপ্রিল, ২০১০)
১৯৭১ সালের আগে এই নুলা মুসা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষে মাইকিং করেছিলো । ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনেও তার ভুমিকা ছিলো বলে কথিত রয়েছে । ২১ শে এপ্রিল যখন ফরিদপুরে পাক সেনারা ঢোকে তখন এই নুলা মুসাই পাক আর্মিদের স্বাগত জানিয়েছিলো । ২২ শে এপ্রিল ১৯৭১ সালে এই আকরাম কোরায়শীর সাথে এক বৈঠকে এই নুলা মুসাকে দেখা যায় ।এই ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী ছিলেন ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আবু ইউসুফ সিদ্দীক পাখি । (কৃতজ্ঞতায়ঃ নাগরিক ব্লগ)
বাংলাদেশের ধনাঢ্যব্যবসায়ী ড. মুসা বিন শমসেরের ৭ বিলিয়ন ডলারের একাউন্ট ফ্রিজ করেছিল সুইস ব্যাংক। গতবছরের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে অনিয়মিত লেনদেনের অভিযোগ এনে এ হিসাব জব্দ করে সুইস কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তার লন্ডনস্থ আইনজীবিরা। এবিশাল অর্থ তিনি গড়ে তুলেছেন আন্তর্জাতিক অস্ত্র, তেল ও ক্ষমতার দালালী (পাওয়ার ব্রোকারেজ) করে। বাংলাদেশে তার ড্যাটকো নামে জনশক্তি রফতানির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ড. মুসা ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম তার বন্ধু ব্রিটেনের বিরোধী দলীয় নেতা (পরে প্রধানমন্ত্রী) টনিব্লেয়ারের নির্বাচনী ফান্ডে ৫০ লাখ পাউন্ড অনুদান দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বিশ্ব দরবারে আলোচনায় উঠে আসেন। একজন বিদেশী নাগরিক হওয়ায় টনিব্লেয়ার অবশ্য সে অনুদান গ্রহণ করেননি। তার পরে নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে এ ব্যবসায়ী মাঝে মধ্যেই বিশ্ব মিডিয়ার আলোচনা বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছেন। লোক মুখে আছে তার বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক চমকপ্রদ কাহিনী। ১৯৯৭ সালে ড. মুসা বিন শমসের তার ইউরোপিয়ান সদর দপ্তর হিসেবে একবার আয়ারল্যান্ডের কালকিনি দুর্গ কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সফল হননি।
“সুইস ব্যাংকে আটকা ৫১ হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে প্রিন্স মুসার লবিং” গত ২০ ডিসেম্বর ২০১০ এর মানবজমিন প্রধান শিরোনাম এটি।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২১
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: bangladesh bole fokinnir desh......
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৪
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন:
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: আমলীগ , বিম্পি্, জামাত সব রাজাকারের বিচার চাই । তবে ৫ বাড়িতে চুরি হইচে আর ১ বাড়ির চোর ধরা পড়ে নি বলে এই অজুহাতে বাকি ৪ বাড়ির আটককৃত চোররে ছাইড়া দিতে হবে, বিচার বন্ধ করতে হবে একটা গোষ্ঠীর এই দাবির সাথে একমত নই ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
াংলার জনতা০০৭ বলেছেন: আমি ও আপনার সাথে এক্মত।কিন্তু আওয়ামী নিজেদের যে মুক্তি যুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বলেন সেই হিসেবে আগে নিজেদের ঘর পরিস্কার করা উচিৎ ছিলো। তাই না?
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: আমিও আপনার সাথে একমত ।তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখবেন শুরুটা হইছে রাজাকারদের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের লিডারদের । শিষ্যগুলারো এখনও শুরু হয় নি ।
যেমন হানাদার বাহিনীর সহযোগী পিচ কমিটির লিডার ছিল গোলাম আজম ,এর বিচার শুরু হইছে ।কিন্তু ৭১ এ গুলাম আজমের নেতৃত্বাধীন দোষর বাহিনীর তৃনমূল গ্রামের ইউনিয়ন পর্যায়ের শিষ্য হাসিনার বিয়াইয়ের বাপ নুরু মিয়ার বিচার এখনো শুরু হয় নাই ।মাথা গুলার যেহেতু শুরু হইছে আশাকরি আস্তে আস্তে এদের তৃনমূল পর্যায়ের শিষ্য গুলারো বিচার হবে ।আমার ধারনা শত শত তৃনমূল পর্যায়ের রাজাকারগুলোর বিচার করতে অন্তত দশ বৎসর লাগবে এবং এই সময়টুকুতে যে দলেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, ক্ষমতাশীন দলের উচিৎ হবে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্হ না করে বিচার প্রক্রিয়া কন্টিনিউ রাখা ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
াংলার জনতা০০৭ বলেছেন: নিজের ঘরে রাজাকার রেখে রাজকারের বিচার প্রহসনের নাম মাত্র
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: " নিজের ঘরে রাজাকার রেখে রাজকারের বিচার প্রহসনের নাম মাত্র "হ এটা আসলেই একধরনের প্রহসন ।তবে যে কটারে ধরছে সেকটাও তো পিয়র রাজাকার ।শুধু রাজাকারেই না বরং রাজাকার বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার । সুতরাং বিচার বন্ধ বন্ধের পক্ষে আমি নই ।
আমি সংকেত মাহমুদ মনে প্রাণে বিশ্বাস করি , খেলাফত ছাড়া মুক্তি নাই , ইসলামী শাষন ব্যবস্হা প্রতিষ্ঠা ছাড়া সমাজে কখনো প্রকৃত শান্তি মেলে নি , শান্তি মিলবেও না ।তবে তার অর্থ এই নয় যে নিজামী আলবদরে লিড দিছে, অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধর এই কথা বইলা যে মুজাহিদ গনহত্যাকারী রাজাকারদের নির্দেশ দিছে , যে গোলাম আজম তার কর্মীদের খুনী পাক হানাদার বাহিনীরে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিছে তাদের মুক্তির জন্য রাজপথে ত্রাস করতে হবে , হামলা করতে হবে সাধারন মানুষের উপর, তাদের যানবাহনের উপর । বাংলার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অধিনস্ত রাজাকারদের অস্ত্র হাতে নিতে মুজাহিদের নির্দেশঃ
সঙ্গে
১৯৭১ এর গনহত্যাকারী আলবদর বাহিনীকে একশনে উৎসাহিত করতে আলবদরের নেতা নিজামীর প্রচেষ্টার নমুনাঃ
৭১ এ নির্বিচারে নারী –শিশু- নিরীহ সাধারন মানুষের হত্যাকারী গনহত্যাকারী দোষর বাহিনীর কয়েকটা কেন্দ্রীয় লিডারকে বাচাতে আজ শিবির যে পথে নামছে এটা সম্পূর্নভাবে একটা জঘন্য ভূল পদক্ষেপ ।তাদের উচিৎ এই পথ থেকে সরে এসে ইসলমী শাষন ব্যবস্হা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় কাজটি নিবিষ্ঠ মনে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করে যাওয়া ।
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
আিশস নাবীল বলেছেন: টুপিটা খুলে গেলে তো বিপদ... টুপিটা মাথায় রাখেন
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
জ্ঞাতিবৈর বলেছেন: এই রাজাকারের বাচ্চাটাকেও বিচারের মুখমুখি করতে হবে।
এই শালার ফাসি চাই।
আশাকরি আওয়ামীলীগ না করলেও বিএনপি তা করবে।
৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
হ্যারিয়ার টু বলেছেন:
ঘৃন্য রাজাকার মুসা বিন শমশের ওরফে নুলা মুসা জিয়ার আমলেই অন্যান্ন রাজাকারদের মত সুযোগসুবিধা পায়। চিন থেকে আরমস আমদানির লাইসেন্স পায়, এরপর এরশাদ আমলে কোটিপটি হয়।
আমলিগের একজন সুধু মাইয়া বিয়া দিসে মাত্র, তবে বিচার মাপ নাই
১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
চলতি নিয়ম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি ও আপনার সাথে এক্মত।কিন্তু আওয়ামী নিজেদের যে মুক্তি যুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বলেন সেই হিসেবে আগে নিজেদের ঘর পরিস্কার করা উচিৎ ছিলো। তাই না
লেখক বলেছেন: নিজের ঘরে রাজাকার রেখে রাজকারের বিচার প্রহসনের নাম মাত্র
আওয়ামীলীগের এই প্রহসন কে আপাতত সাপোর্ট করি। আপনি কেন করেন না?
আওয়ামী রাজাকারদের বিচার যদি কেউ করতে চায়, বলুক, ওয়েলকাম। আগামীতে আমি তারে ভোট দিবো।
১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: এখন যাদের বিচার হচ্চে না বি.এন .পি এসে তাদের বিচার করুক , আমাদের মট আমজনতার তাতে কোনো সমস্যা নেই । আমরা রাজাকারদের বিচার হলেই খুশি।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
নতুন বলেছেন: এতো টাকার মালিক কে কেউ কিছু করতে পারেনা..