নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের লেখা লিখতে ভালো লাগে।

বরকত উল্লাহ্

আমরা তো মর্যাদাহীন লোক ছিলাম, আল্লাহ আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন ইসলামের মাধ্যমে। সুতরাং, আমরা যদি আল্লাহ আমাদেরকে যা দ্বারা সম্মানিত করেছেন তা থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্য কোথাও সম্মান খুঁজি তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে পুনরায় অপমানিত করবেন।

বরকত উল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৭ শ্রেনীর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৫

মুসলমান হয়েও যারা জান্নাতে প্রবেশ থেকে বঞ্চিত থাকবে। হাদিসে উল্লেখ আছে ১৭ শ্রেনীর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তারা যতই নেক আমল করুক না ক্যানো জান্নাত তাদের জন্য হারাম হয়ে যাবে। কাফির-বেদ্বীনরা তো চিরস্থায়ী জাহান্নামী।

যে ১৭ শ্রেনীর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে নাঃ

১। হারাম খাদ্য ভক্ষণকারী জান্নাতে যাবে নাঃ
হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা লালিত-পালিত হয়েছে, তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সুনানে বাইহাকী, হাদীস নং ৫৫২০)

২। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে নাঃ

হযরত যুবাইর ইবনে মুতইম (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৫২৫)

৩। প্রতিবেশীকে কষ্ট দানকারী জান্নাতে যাবে নাঃ
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যার অত্যাচার থেকে প্রতিবেশীরা নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৬)

৪। মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, দাইউস ও পুরুষের বেশ ধারণকারীণী জান্নাতে যাবে নাঃ
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে যাবে না : মাতা-পিতার অবাধ্য, দাইউস (অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-বোন প্রমুখ অধীনস্থ নারীদের বেপর্দা চলাফেরায় বাধা দেয় না) এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলা।” (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস নং ২২৬)

৫। অশ্লীলভাষী ও উগ্রমেজাজী জান্নাতে যাবে নাঃ
হারেছা বিন ওহাব (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “অশ্লীলভাষী ও উগ্রমেজাজী ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না।” (আবু দাউদ, হাদীস নং ৪১৬৮)

৬। অধীনস্থদেরকে ধোঁকাদানকারী শাসক জান্নাতে যাবে নাঃ
হযরত মা‘কাল বিন ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)কে বলতে শুনেছি, “মুসলমানদের উপর প্রতিনিধিত্বকারী শাসক যদি এ অবস্থায় মারা যায় যে, সে তার অধীনস্থদেরকে ধোঁকা দিয়েছে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন।” (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৬১৮)

৭। অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারী জান্নাতে যাবে নাঃ

হযরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি কসম করে কোন মুসলমানের সম্পদ আত্মসাৎ করে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব করে দেন এবং জান্নাত হারাম করেন। এক ব্যক্তি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদিও সামান্য কোন জিনিস হয়? তিনি বললেন, যদিও পিলু গাছের একটি ছোট ডাল হোক না কেন।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯৬)

৮। খোটাদানকারী, অবাধ্য সন্তান ও মদ্যপ জান্নাতে যাবে নাঃ
হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) বলেন, নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেন, “উপকার করে খোটা দানকারী, মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, সর্বদা মদপানকারী--এই তিনশ্রেণীর মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৫৫৭৭)

৯। চোগলখোর জান্নাতে যাবে নাঃ
হযরত হুযাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫১)

১০। অন্য পিতাকে যে নিজের পিতা বলে পরিচয় দেয় সে জান্নাতে যাবে নাঃ
হযরত সা‘দ ও আবু বাকরাহ (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি জেনে শুনে নিজেকে অন্য পিতার সাথে সম্পর্কিত করে অর্থাৎ নিজেকে অন্য পিতার সন্তান বলে পরিচয় দেয়, তার জন্য জান্নাত হারাম।” (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬২৬৯)

১১। গর্বকারী-অহংকারকারী জান্নাতে যাবে নাঃ

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যার অন্তরে অনু পরিমাণ অহংকার রয়েছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩১)

১২। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নাফরমান জান্নাতে যাবে নাঃ

হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “আমার সব উম্মত জান্নাতে যাবে, কিন্তু সে ব্যক্তি ব্যতীত যে (জান্নাতে যেতে) অস্বীকার করেছে। সাহাবীগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কে অস্বীকার করেছে? তিনি বললেন, যে আমার আনুগত্য করে, সে জান্নাতে যাবে। আর যে আমার নাফরমানী করে, সে (জান্নাতে যেতে) অস্বীকার করেছে।” (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৭৩৭)

১৩। দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ইলম অর্জনকারী জান্নাতে যাবে নাঃ

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ইলম দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা হয় সেই ইল্মকে যে ব্যক্তি দুনিয়াবী কোন স্বার্থ-সম্পদ হাসিলের উদ্দেশ্যে শিক্ষা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।” (আবু দাউদ, হাদীস নং ৩১৭৯)

১৪। অকারণে তালাক কামনাকারীণী জান্নাতে যাবে নাঃ
হযরত সাওবান (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে মহিলা তার স্বামীর কাছে অকারণে তালাক কামনা করে, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।” (জামি‘ তিরমিযী, হাদীস নং ১১০৮)

১৫। মাথার চুলে কালো কলপ ব্যবহারকারী জান্নাতে যাবে নাঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “শেষ যুগে কিছু লোক কবুতরের সীনার ন্যায় কালো কলপ ব্যবহার করবে। তারা জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।” (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৪৯৮৮)

১৬। রিয়াকারী জান্নাতে যাবে না (যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য কিছু করে)ঃ
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) সূত্রে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম একজন শহীদকে ডাকা হবে। অতঃপর একজন ক্বারীকে। তারপর একজন দানশীল ব্যক্তিকে হাজির করা হবে। প্রত্যেককে তার কৃতকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। অতঃপর শহীদকে বীর-বাহাদুর উপাধি লাভের উদ্দেশ্যে জিহাদ করার অপরাধে, ক্বারী সাহেবকে বড় ক্বারীর উপাধি ও সুখ্যাতি লাভের জন্য কিরাআত শেখার অপরাধে এবং দানশীলকে বড় দাতা উপাধি লাভের নিয়তে দান-সদকা করার অপরাধে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৫২৭)

১৭। ওয়ারিসকে বঞ্চিতকারী জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবেঃ
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি কোন ওয়ারিসকে তার অংশ থেকে বঞ্চিত করলো, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতের অংশ থেকে বঞ্চিত করবেন।” (সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং ২৬৯৪)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোষ্ট কি বেহেশতে বসে, নাকি দোযখে বসে লিখছেন?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৭

বরকত উল্লাহ্ বলেছেন: পৃথিবীতে বসে

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি তো মনে করছিলাম, বেহেশতে বসে পোষ্ট লিখছেন; ওখানে রুম টুম ভাড়া করেছেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৫

বরকত উল্লাহ্ বলেছেন: চুলকানি থাকলে আমার পোস্ট থেকে দূরে থাকবেন।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যারা সারা জীবন প্রবাসে থাকে তারা

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৫

বরকত উল্লাহ্ বলেছেন: মানে? বুঝি নাই জনাব।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৫৫

সুপারডুপার বলেছেন: ১) আপনি যদি কাফির-বেদ্বীনদের ঘরে জন্মগ্রহণ করতেন কেমন হতো? চিরস্থায়ী জাহান্নামী ??

২) মুসলমানদের দেখে বোঝা যায় তারাও এই ১৭ ক্যাটাগরির কোনো না একটির মধ্যে পড়বেই। আর এই ১৭ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়লে, নেক আমল করলেও জান্নাত তাদের জন্য হারাম হয়ে যাবে। জান্নাতে কী যেতে পারবেন??

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৩৯

সোনালি কাবিন বলেছেন: মুসলমান বেশিরভাগই আপ্নার দেয়া কোন না কোন ক্যাটগরির

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৪

বরকত উল্লাহ্ বলেছেন: লেখাটা ভালো করে পড়েছেন? আমার দেয়া ক্যাটাগরী কোথায় পাইলেন?

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লেখক সূত্র সহকারে বলেছেন। এগুলি ওনার কথা না। কারও আপত্তি থাকলে প্রতি উত্তর দিন। ধর্মীও কথা দেখলেই এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক না। এদেশে ইসলাম ধর্ম পালন কারীর সংখ্যা অনেক। কিন্তু এই ব্লগে মনে হচ্ছে তারা সংখ্যা লঘু।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩২

বরকত উল্লাহ্ বলেছেন: আমিও তাই দেখছি ভাই। ইসলাম নিয়ে লেখা এই সামুর জন্য না।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

বিজন রয় বলেছেন: আশাকরি মুনষ আস্তে আস্তে সব খারাপ কাজ ত্যাগ করে নিজেদের নিষ্পাপ করে তুলবে।
এই পৃথিবী এই দেশ অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি নিজেও জান্নাতে যেতে পারবো না। এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত আছি।

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: জানার আছে অনেক কিছুই, কতখানিই বা জানি আর কতটুকু বা মানি আমরা?? :((

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



ভালো লিখেছেন। মোবারকবাদ।

কারও হাস্যকর মন্তব্যে কষ্ট নিবেন না। এখানে কিছু লোক এমনই। তারা ধর্ম বিষয়ক পোস্টে একটু আধটু মস্করা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

লিখতে থাকুন।

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৩

নতুন বলেছেন: বত`মানে বাংলাদেশী মুসলমানদের ৯৫% তো এই লিস্টের কোন না কোন ক্যাটাগরিতে পরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.