নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের লেখা লিখতে ভালো লাগে।

বরকত উল্লাহ্

আমরা তো মর্যাদাহীন লোক ছিলাম, আল্লাহ আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন ইসলামের মাধ্যমে। সুতরাং, আমরা যদি আল্লাহ আমাদেরকে যা দ্বারা সম্মানিত করেছেন তা থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্য কোথাও সম্মান খুঁজি তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে পুনরায় অপমানিত করবেন।

বরকত উল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর পরে সঙে যাবে কি???

১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৫

ছোটবেলায় গ্রামে বড় হয়েছি। যখন গ্রাম ছেড়ে শহরে আসার সময় আসলো তখন নিজের কাছে মনে হতো এই গ্রাম, মানুষজন, বন্ধুবান্ধব ছেড়ে দূরে থাকা সম্ভব না। কত স্মৃতি কত মানুষজনের সাথে এই জীবন জড়িত। মনে হতো আমার জন্য হয়তো সবারই খারাপ লাগবে। আমার খারাপ লাগবে এই গ্রামের জন্য গ্রামের মানুষের জন্য।

সময়ের ব্যবধানে আজ আমি শহরের বাসিন্দা। গ্রামের কথা মনে হয়। আগের মত কষ্ট লাগে। গ্রামের মানুষজনের জীবনও আমি ছাড়াই দিব্যি ভালো চলছে। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। কারো জন্য কেউ থেমে নেই।

একদিন আমাকে এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে রবের কাছে চলে যেতে হবে। আমার সবই পড়ে রবে সেই ফোন, সেই ল্যাপ্টপ, সেই খাতা-কলম, সেই বই এবং আমার ব্যবহৃত জিনিসপত্র। একদিন এসবকিছুই হয়তো অন্য কেউ ব্যবহার করবে অথবা হারিয়ে যাবে। আমার মৃত্যুর পর আপনজন কান্নাকাটি করবে। হয়তো অনেক কষ্ট পাবে। ততক্ষনে আমি ফেরেস্তাদের সাথে আসমানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাবো। হয়তো তারা আমাকে অবুজ শিশুদের মত আদর করবে নয়তো তারা অগ্নিমূর্তি ধারন করে ধিক্কার জানাবে। সবাই যখন আমাকে কবরে রেখে আসবে তখন আমার অনন্তকালের যাত্রা শুরু হয়ে যাবে। আর আমার পাড়া-প্রতিবেশিরা আরো একটা দাফন সম্পন্ন করবে। হয়তো আমার আপনজনেরা কিছুদিন আমাকে মনে রাখবে। কিন্তু ততক্ষন আমি কবরের স্থায়ী বাসিন্দা। আমার আত্না হয়তো কঠিন আজাব ভোগ করবে তার পাপের জন্য। আমার কাছের মানুষেরা আমাকে আর মনে রাখবে না। আমার স্থায়ী সঙী হবে আমার কিছু ভালো আমল।

যেসব আমলের সাওয়াব মৃত্যুর পরও জারি থাকবেঃ

জ্ঞান শিক্ষা দেয়া : এমন ইলম (জ্ঞান) শিক্ষা দেয়া যা মানুষের জন্য উপকারী এবং কল্যাণকর। যে ইলম মানুষকে হেদায়েতের দিকে নিয়ে যায়। মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয় এবং জান্নাতের পথে চলতে নির্দেশ করে। এ ধরনের ইলম শিক্ষা দেয়ার কারণে মৃত ব্যক্তি কবরে এর সওয়াব পাবেন। কোরআন, হাদিস, তাওহিদ, আথেরাত, হালাল-হারাম, বিভিন্ন মাসয়ালা-মাসায়েল শিক্ষা দেয়া, মানুষের কল্যাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান শিক্ষা দেয়া এবং দুনিয়া পরিচালনা বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা দেয়া এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়ে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে মানুষকে কোনো ইলম শিক্ষা দিবে, সে ওই ইলম অনুযায়ী আমলকারীর সমতুল্য প্রতিদান পাবে; অথচ আমলকারীর প্রতিদানে কোন কমতি হবে না। - ইবনে মাজাহ

সু-সন্তান রেখে যাওয়া : সু-সন্তান বলতে ঈমানদার সন্তান রেখে যাওয়া। যারা মাতা-পিতা বেঁচে থাকা অবস্থায় তাদের অনুগত যেমনটি ছিল, তাদের মৃত্যুর পরও তারা মাতা-পিতার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আবু উমামাতা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর ৪টি আমলের সওয়াব অব্যাহত থাকে- ১. যে ইসলামি রাষ্ট্রের সীমান্ত পাহারা দিল তার সওয়াব, ২. ভালো কাজ চালু করার ফলে তাকে যারা অনুসরণ করল তার সওয়াব, ৩. যে ব্যক্তি এমন সদকা করলো, যা প্রবাহমান থাকে তার সওয়াব, ও ৪. এমন নেক সন্তান রেখে যাওয়া- যে তার জন্য দোয়া করে। -মুসনাদ আহমাদ : ২২২৪৭

মসজিদ নির্মাণ ও কোরআনে কারিম বিতরণ করা : কোরআনে কারিমে মসজিদকে হেদায়েতের কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মসজিদ তৈরি করল, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করবেন। -সহিহ মুসলিম : ১২১৮

অনুরূপভাবে কোনো ব্যক্তি যদি কোরআনে কারিম কোনো মসজিদ, মাদরাসা বা কোনো প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করে, ওয়াকফ করে এবং সেগুলো পড়ে তবে তার সওয়াবের একটি অংশ সে পাবে। অন্য এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর কবরে ৭টি আমলের সওয়াব অব্যাহত থাকে- ১. যে ইলম শিক্ষা দিল, ২. যে পানি প্রবাহিত করল, ৩. কূপ খনন করল, ৪. খেজুর গাছ লাগালো (গাছ রোপন), ৫. মসজিদ তৈরি করল, ৬. কোরআনে কারিম বিতরণ করল ও ৭. এমন নেক সন্তান রেখে গেল- যে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। -মুসনাদুল বাজ্জার :৭২৮৯

গাছ লাগানো : হজরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলিম যদি কোনো বৃক্ষরোপণ করে, আর তা থেকে কোনো ফল ব্যক্তি খায় তবে সেটি তার জন্য সদকা, কোনো হিংস্র প্রাণী খেলেও তা তার জন্য সদকা, যদি কেউ চুরি করে খায় তাও তার জন্য সদকা, কোনো পাখিও খায় তাও তার জন্য সেটি সদকা। এমনকি যদি কেউ তা কেটে ফেলে তাও সেটি তার জন্য সদকা। -সহিহ মুসলিম : ৪০৫০

এছাড়া অভাবগ্রস্তদের জন্য ঘর তৈরি করে দেয়া, খাওয়ার পানির ব্যবস্থা করা, সীমান্ত রক্ষা করা, প্রবাহিত পানির ব্যবস্থা করা, আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়া দ্বীনী কিতাবাদী রচনা করা।

মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকার বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, যে মানুষকে হেদায়েতের দিকে আহ্বান করবে, এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ সওয়াব তার আমলনামায় যুক্ত হতে থাকবে। অথচ তাদের সওয়াব থেকে কোনো কমতি হবে না। -সহিহ মুসলিম : ৬৯৮০

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মুসলমানদের এক টুকরা সাদা কাপড।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


১) আপনি বই লিখেছেন, এটা জ্ঞান বিতরণ, আপনার পক্ষে আছে। তবে, ভুত প্রেত্নীর বইপত্র হিসেবে নেয়া হবে কিনা দেখেন।
২) ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত পাহারা দেয়ার জন্য আপনাকে ইরান যেতে হবে ভলনটিয়ার হিসেবে, এটাও সম্ভব।
৩) মসজিদ বানানোর জন্য টাকা, পয়সা দেন।
৪) গুলিস্তানে কিংবা পার্লামেন্টের ঐদিকে কয়েকটা গাছ লাগায়ে দেন।

আপনার বেলায় সবই পজেটিভ মনে হচ্ছে।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:২৯

জুন বলেছেন: শিরোনামে সঙে যাবে কে না হয়ে সঙ্গে হবে । ঐ সঙ জোকার বোঝায় ।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: সবার চিন্তা ভাবা এক না। তবে আমি আপনার মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.