![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্লাস নাইন টেনের পদার্থ বিজ্ঞানের বইয়ে আমরা গ্যালিলিওর একটি সূত্র পড়েছি!পড়ন্ত বস্তুর গতির সূত্র!বিজ্ঞানী গ্যালিলিও ইতালির পিসার একটি হেলানো মানমন্দিরের ওপর থেকে বিভিন্ন ওজনের কয়েকটি বস্তুকে একসাথে ফেলে এ ব্যাপারে একটি পরীক্ষা করেছিলেন বলে বর্ণিত আছে বইয়ে!সূত্রটি হলোঃ"অভিকর্ষের প্রভাবে বিনাবাধায় পড়ন্ত সকল বস্তু সমান সময়ে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে।"
এই এক লাইনের কথাটা যেটা বলে সেটা হচ্ছে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে যদি বিনা বাধায় দুটো বস্তু একই উচ্চতা থেকে নিচে পড়তে থাকে তাহলে দুটো বস্তুই সমান সময়ে
মাটিতে এসে পড়বে। এক্ষেত্রে আমরা বায়ুর বাধাটা নগন্য ধরে নিচ্ছি।অর্থাৎ বায়ুর চেয়ে অনেক অনেক ভারীদুটা বস্তু নিয়ে এই পরীক্ষাটা করলে দেখা যাবে দুটো বস্তুই মাটিতে পড়তে সমান সময় নিচ্ছে।
এখানে সূত্রটি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই তবে সূত্রটি প্রমানের জন্য গ্যালিলিও যে পদ্ধতি এবং স্থান গ্রহণ করেছিলেন সমস্যাটি হলো সেই তথ্য নিয়ে!আসলে গ্যালিলিও পিসার হেলানো মানমন্দিরে নয় বরং একটি ঢালু রাস্তায় বলগুলো গড়িয়ে দিয়ে পরীক্ষাটি করেছিলেন!
এখন দেখা যাক বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং কি বলেছেন এ বিষয়ে!
"কথিত আছে পিসার হেলানো স্তম্ভ থেকে একাধিক ওজন ফেলে গ্যালিলিও প্রমাণ করেছিলেন এ্যারিস্টটলের ধারণা ভুল।কাহিনীটা যে অসত্য সেটা প্রায় নিশ্চিত!কিন্তু গ্যালিলিও এই ধরনের একটা কিছু করেছিলেন।তিনি একটা ঢালু মসৃণ পথে বিভিন্ন ওজনের বল গড়িয়ে দিয়েছিলেন।পরিস্থিতিটা ভারী বস্তুপিন্ডের উল্লম্বভাবে পতনের মত।কিন্তুু ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করা সহজতর।তার কারণ গতিবেগ তুলনামূলক কম।গ্যালিলিওর পরীক্ষায় দেখা গেলো ওজন যাই হোক না কেন প্রতিটি বস্তুপিন্ডেরই দ্রুতি এক রকম!উদাহরণ,একটি বলের ওজন যাই হোক না কেন সেটাকে যদি এমন ঢালু পথে ছেড়ে দেয়া হয় যেটার ঢাল প্রতি দশ মিটারে এক মিটার তাহলে এক সেকেন্ডের পর বলটির দ্রুতি সেকেন্ডে একমিটার হবে!দ্বিতীয় সেকেন্ডের পর দ্রুতি হবে প্রতি সেকেন্ডে দুই মিটার এবং এইরকম চলতে থাকবে!অবশ্য একটি সীসক নির্মিত ওজন একটি পালকের চাইতে দ্রুত যাবে।কিন্তু তার একমাত্র কারণ পালকটা বাতাসের বাধা পেয়ে মন্দগতি হয়!কিন্তুু যদি এমন দুটি বস্তুপিন্ড নিক্ষেপ করা যায়,যেগুলিকে বাতাস কোনো বাধা দেবেনা,যথা ভিন্ন ওজনের দুটি সীসক,তাহলে তাদের পতনের হার হবে একই! " (A brief history of time)
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: এবার লেখাটিকে সম্পাদনা করে পূর্নাঙ্গ করলাম। ধন্যবাদ ঢাকাবাসী!
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: অরিজিনাল সুত্র কি ছিল বুঝিয়ে লিখলে ভাল হত।