নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক চিলেকোঠার সেপাই!

বায়েস আহমেদ

আমার বাংলাদেশ, আমি তোমায় ভালবাসি!

বায়েস আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সততা ও শিক্ষা!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৮





কয়েক মাস আগে গেলাম ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে। উদ্দেশ্য- প্রভাতী শাখার আমার প্রিয় দুই শিক্ষক, গণিতের মঞ্জু স্যার এবং পরিসংখ্যানের ফিরোজ খান স্যারের সাথে দেখা করতে!



প্রথমে মঞ্জু স্যারের বাসায় গিয়ে চরমভাবে অবাক হয়ে গেলাম। স্যারের দেখি আমূল পরিবর্তন। মুখ ভর্তি লম্বা দাঁড়ি এবং সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পড়ে দাঁড়িয়ে আছেন। এই কি সেই মঞ্জু স্যার?? আমার তো বিশ্বাসই হতে চাচ্ছে না।



কথা প্রসঙ্গে স্যার বললেন যে উনি ২০১১ সাল থেকে প্রাইভেট পড়ানো ছেড়ে দিয়েছেন। আমি বললাম, "কেন স্যার?" জবাবে উনি বললেন, "প্রাইভেট পড়ালে আমি কুরআন শরীফ পড়ার সময় পাই না!"

_______________________



এইবার ফিরে আসি, পূর্বের প্রসঙ্গে। কেন আমি স্যারকে এই অবস্থায় দেখে অবাক হলাম?



মঞ্জু স্যারের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৯৯ সালে। ঐ সময় স্যার একটা কথা বলেছিলেন, "আমার কাছে যে টানা দুই বছর গণিত পড়ে, সে ‘এইচএসসি’তে দুই পেপারেই ৯০+ পেয়ে থাকে; গ্যারান্টি!"



স্যারের এই কথা আমি বিশ্বাস করেছিলাম এবং টানা দুই বছর উনার বাসায় গণিত পড়েছিলাম। আর উনার ঐ কথার চেয়েও ভাল ফলাফল পেয়েছিলাম!



স্যারকে আমার খুব ভাল লাগত, অসাধারণ পড়াতেন। সমগ্র ঢাকায় উনার সুনাম। ঢাকার বিভিন্ন নামি-দামি কলেজের ছাত্র-ছাত্রী পড়ানোর জন্য উনার আলাদা আলাদা ব্যাচ ছিল। কলেজ ছুটি হওয়ার পর থেকে রাত পর্যন্ত উনি প্রাইভেট পড়াতেন।



সবই ঠিক ছিল, কিন্তু আমি উনার একটা জিনিস খুবই অপছন্দ করতাম। আর তা হল, উনি মডেল কলেজের ক্লাসে কোন নোট দিতেন না। এমনকি ক্লাসে অংকটা খুবই ছোট করে করাতেন আর কোন সাইড নোটও দিতেন না। এর ফলে ক্লাসে অংকটার কিছুই বুঝা যেত না। ঐ একই অংক উনি প্রাইভেটে প্রায় ২ পৃষ্ঠা ধরে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বুঝিয়ে করাতেন।



অর্থাৎ একই অংক ক্লাসে কিছুই বুঝতাম না, কিন্তু উনার প্রাইভেট কোচিং-এ খুব ভালভাবেই বুঝতাম। আর প্রাইভেটে উনি গণিতের খুব সুন্দর সুন্দর নোটও দিতেন। এর ফলাফল ছিল, প্রায় সকলেই তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হত। শুধু গুটিকতক ছেলে, যাদের সামর্থ্য ছিল না তাঁরা পড়তে পারত না।

এমতাবস্থায় স্যারকে আমি একজন ভাল গণিতের শিক্ষক হিসাবে শ্রদ্ধা করতাম, কিন্তু উনার সততা ছিল আমার কাছে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ!!

_________________________



এইবার ফিরে আসি, আমার সবচেয়ে প্রিয় পরিসংখ্যানের ফিরোজ খান স্যারের প্রসঙ্গে। ফিরোজ খান স্যারকে নিয়ে আসলে লিখে শেষ করা যাবে না। উনার মত সৎ এবং ভাল মানুষ আমি মনে হয় আর দেখি নাই।



নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি- তৎকালীন প্রেক্ষাপটে যখন শিক্ষকেরা ব্যাচে ছাত্র পাওয়ার জন্য ক্লাসে ঠিকম পড়াতেন না, বা ক্লাসে প্রাইভেট পড়ার জন্য হুমকি-ধামকি দিতেন বা ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বর দিতেন; সেই আমলে ফিরোজ খান স্যার ছিলেন সবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা!



ফিরোজ খান স্যার ক্লাসে শুধু উনার সকল নোটই দিতেন না, বরং প্রত্যেকটি অংক ভেঙ্গে ভেঙ্গে করিয়ে দিতেন। আমাদের সময়ে উনি ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিসংখ্যানের শিক্ষক ছিলেন। উনার একটা নীতি ছিল, উনি আমাদের কলেজের প্রভাতী শাখার কোন ছাত্রকে বাসায় প্রাইভেট পড়াতেন না। এমনকি ‘এইচএসসি’ পরীক্ষার আগে, বিনামূল্যে আমাদেরকে মডেল টেস্ট দেয়ার ব্যবস্থাও করিয়েছিলেন।



স্যার ক্লাসে সকল নোট ফটোকপি করে নিয়ে আসতেন এবং আমাদের প্রত্যেককে একটি করে কপি দিতেন। কোনদিন ঐ ফটোকপির টাকাও চাননি। আমরা সবাই মিলে ফটোকপির টাকা দিতে গেলে উনি নিতেও চাইতেন না। এমন শিক্ষক আমি জীবনেও দেখি নাই। আশ্চর্য হয়ে যেতাম!



স্যার পরিসংখ্যানের প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর এবং অংক ব্ল্যাক বোর্ডে বিস্তারিতভাবে করিয়ে দিতেন। উনি ৩টি ভিন্ন রঙের চক-পেন্সিল ব্যবহার করতেন। আর আমরাও খাতায় তিনটি ভিন্ন রঙের কলম ব্যবহার করে সব নোট তুলতাম। আমার খাতাটাই যেন ছিল আমার মূল পাঠ্য-বই। আজ পর্যন্ত জীবনে আমি কোন বিষয়েরই নোট এভাবে তুলি নাই।



স্যার ক্লাসে সবসময় মাথায় টুপি এবং সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরিধান করে আসতেন। সত্যি বলছি স্যারকে দেখলে আমার মনে হত, এ যেন এক সাক্ষাৎ ফেরেশতা। স্যার একজন জ্ঞানী শিক্ষকই ছিলেন না, উনি যেন ছিলেন সততার মানদণ্ড। স্যারের এরমক অনেক গুণাবলি আছে, যা লিখে শেষ করা যাবে না।



স্যারের কাছে থেকে শুধু পরিসংখ্যানই শিখি নাই, উনার কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে একজন ভাল মানুষ হওয়া যায়। যদিও উনার ধারেকাছেও আমি যেতে পারি নাই, তবুও কেউ যদি আমাকে বলে- সততার সংজ্ঞা দাও, আমি শুধু বলব ফিরোজ খান স্যারের নাম।

______________________________________



“পরিসংখ্যান” এবং “সততা” - স্যারের দেয়া এই দুইটি অমূল্য শিক্ষা আমি আজও বহন করে চলেছি। আমার স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ‘পিএইচডি’- সকল পর্যায়েই পরিসংখ্যানের বিস্তর প্রয়োগ ছিল/রয়েছে। যখনই পরিসংখ্যানের কোন কাজ করি, স্যারকে খুব মনে পড়ে। আর জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই যেন সততার পরীক্ষা! জানি না, কতটুকু সফল হয়েছি/হব; তবুও আমৃত্যু আমি স্যারের মত একজন সৎ মানুষ হওয়ার চেষ্টা করব। উনার মত ১০% সৎ হতে পারলেও, আমার জীবন ধন্য! যেখানেই থাকেন আর যেভাবেই থাকেন স্যার, ভাল থাকবেন!!

_____________________________



পরিশেষে ফিরে আসি মঞ্জু স্যারের প্রসঙ্গে। প্রথমেই বলেছি, মঞ্জু স্যার আমার অনেক প্রিয় একজন শিক্ষক। অতীতে উনি কিছুটা অসৎ-পন্থা অবলম্বন করলেও, আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আজকে স্যার ন্যায়ের পথে ফিরে এসেছেন। এইটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।



মুখ ভর্তি দাঁড়ি, পরনে সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা, প্রাইভেট পড়ানো বাদ দিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ করা – এই অবস্থায় স্যারকে দেখে মনে হল; এ যেন আমি ফিরোজ খান স্যারের প্রতিবিম্ব দেখছি। অসাধারণ! স্যারের প্রতি যে সামান্য ক্ষোভ ছিল, স্যারকে ঐদিন দেখার পর সেটাও আর নেই।



আজ আমি নিজেও নিজের প্রতি অনেক খুশি। আগে বার বার ভাবতাম, কেন আমি মঞ্জু স্যারকে এতো পছন্দ করি? কোথায় মঞ্জু স্যার আর কোথায় ফিরোজ খান স্যার! কিন্তু মঞ্জু স্যারকে নতুন রুপে দেখে ঐদিনই এই প্রশ্নের উত্তরটা পেয়ে গেলাম – শুধুমাত্র মানুষের ভালবাসায় মানুষকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারে!!



কথিত আছে যে, হযরত উমর (রাঃ) ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে হত্যার উদ্দেশ্যে মুক্ত তরবারী হাতে ঘর থেকে বের হন; কিন্তু পরবর্তীতে উনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং ইসলামের চার খলিফার এক খলিফা নিযুক্ত হন (আলহামদুলিল্লাহ্‌)! তাই আসুন, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে মানুষকে ভালবাসতে শিখি!!



© বায়েস আহমেদ

লন্ডন, ইংল্যান্ড

রবিবার, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২০

রাত ১ টা ৫২ মিনিট।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: খুবই ভাল লাগলো,,,,,,,,,এমন শিক্ষকইতো চাই,,,,,,,,শিক্ষকগণ মানুষ গড়ার কারিগড়,,,,,,,স্যারদের প্রতি শ্রদ্ধা,,

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯

সরকার আলী বলেছেন: ফিরোজ খান স্যারদের নাম মানুষ জানুক বা নাই জানুক উনাদের জন্যই দেশের শিক্ষাটা টিকে ছিল, আছে এবং থাকবে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০০

নস্টালজিক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো! আমরা ইন্টার ৯৪ ব্যাচ ছিলাম! ম্যাথ এর মঞ্জু স্যারকে পেয়েছিলাম!

স্কুল-কলেজের দিনগুলো অদ্ভুত স্মৃতি জাগানিয়া!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০০

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: মনকে ছুয়ে চলে যাবার মত পোস্ট । +++++++++++++++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

দিশার বলেছেন: সুন্দর মনের মানুষের কথা পড়ে ভালো লাগলো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

পাগলামৃদুল বলেছেন: রেসিডেন্সিয়াল এর অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা এখনো আমার আদর্শ। কলেজ ছাড়ার ১৩ বছর পরও তাদের দেখলে সেই ছাত্র হয়ে যাই। পোস্ট টা অনেক কথা মনে করিয়ে দিলো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আমি ইংরেজীর এক শিক্ষক কে জানি যিনি অনেক প্রাইভেট পড়ান এবং আমাকেও একসময় টিউশনি করার জন্য ছাত্র দিয়েছিলেন...কিন্তু তিনি পরে অবৈধ ভাবে বিদেশি বই অনুবাদ ও প্রকাশের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল...যা সত্যিই দুঃখজনক;

অনেক দিনপর আবারও সেই স্কুল এন্ড কলেজ এর নাম শুনে ভাললাগলো এবং ০২জন স্যারদের প্রশংসা শুধু নয়; জাতীয়ভাবে তাঁদের উদাহরণ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি তুলে ধরা উচিত।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: ফিরোজ খান স্যারের মত মানুষদের স্যালুট জানাই, উনাদের জন্যই দেশের শিক্ষাটা টিকে আছে। ফিরোজ খান স্যারদের কারনে আমরা মানুষের মত মানুষ হতে পেরেছি

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

নীলমামুন বলেছেন: বায়েস ভাই ... ভালো লাগল ...
এমন আদর্শ স্যার ... আসলেই আমাদের জীবনের জন্য আদর্শ ...
লেখাটা পড়ে ভালো লাগল

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

বায়েস আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন!

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

লাবনী আক্তার বলেছেন: আসুন, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে মানুষকে ভালবাসতে শিখি!!


খুব ভাল বলেছেন। আল্লাহ যেন আমাদের এমন তৌফিক দান করেন। আমিন।

আর সকল আদর্শ শিক্ষকদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

জনাব মাহাবুব বলেছেন: এইরকম সাদা মনের মানুষদের গল্প শুনতে ভাল লাগে।


তাদের দেখেই আমরা বুঝতে পারি আল্লাহ পাক কেন এখনও পৃথিবীটা টিকিয়ে রেখেছেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

অনিকেত রহমান বলেছেন: স্যালুট ফিরোজ খান স্যার।।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

মশিকুর বলেছেন:
আহ দের সব শিক্ষকরা যদি ফিরোজ খান স্যারের মত হত:(

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

অদৃশ্য বলেছেন:





এমন শিক্ষকের ছাত্ররা ভালো না হয়েই যায় না... ভুল থাকলেও জীবনের কোন না কোন দিন তারা ঠিকই সঠিক ও সত্যের পথে চলে আসবে...

বাবা মায়ের পরেই শিক্ষকের স্থান... ভালো পিতা-মাতার সন্তান ভালোই হয়ে থাকে সাধারণত... তেমনি ভালো শিক্ষকের ছাত্র ছাত্রিরাও তার মতো হয়ে যায় বা হতে চায় একটা সময়ে...

আপনার সাবলীল লিখা ও উপস্থাপনা খুবই আকর্ষনীয় ছিলো তাই লিখাটিতে দারুন একটা ফিলিংস তৈরী হলো...

শুভকামনা...

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

১৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন:
পড়ে ভালো লাগলো।
আমি কিন্তুক ডে শিফটে ছীলাম। :-B

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

১৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সাবলীল লিখা ও উপস্থাপনা খুবই আকর্ষনীয়। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: ফিরোজ খান স্যারদের মত কিছু আদর্শ শিক্ষক এখনও আছেন, আর এ জন্যই দেশ এবং সমাজ থেকে সততা পুরো হারিয়ে যায় নি ।

উনাকে সশ্রদ্ধ সালাম!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আদম_ বলেছেন: প্রতিটা অক্ষর যেন গিলে গিলে খেলাম। ফিরোজ স্যারদের সালাম। আপনি কোথায় আছেন এখন ?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

** আমি এখন লন্ডনে পিএইচডি করছি!

২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

কাল্পনিক মন বলেছেন: স্যারের প্রদর্শিত সততার পথ আপনিও অনুসরণ করছেন জেনে ভালো লাগল।শুধুমাত্র শিক্ষকরা নন সব মানুষই যেন ফিরোজ স্যারের মত সত্‍ চরিত্রের অধিকারী হতে পারে।এরকম শিক্ষকদের প্রতি ভালবাসাসমেত শ্রদ্ধা জানাই।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

২১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। আমিও ফিরোজ স্যারের মতো হবার চেষ্টা করছি। আমি ক্লাসে সম্পূর্ণ গণিতটি করে দেই এবং প্রতিটি ছাত্র না বোঝা পর্যন্ত, বোড থেকে কিছু মুছি না কিংবা সময় দেখি না। যা পড়াবো বিস্তারিত। আর মঞ্জু স্যারদের জন্য আজ শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে। ভালো থাকবেন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১০

জাগতিক ভালবাসা বলেছেন: এমন শিক্ষকই চাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

২৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

zaki642 বলেছেন: ফিরোজ স্যারের কাছে ২০০২ এ পরিসংখ্যান পড়তাম। আমি পড়তাম ঢাকা কলেজে ইন্টারমিডিয়েট। এখন বুঝলাম, স্যার কেন নিজের কলেজের ছাত্রদের বাদ দিয়ে আমাদের পরাতেন !!

ফিরোজ স্যারের মুখে লম্বা দাঁড়ি আছে এবং সাদা পাঞ্জাবি পরেন। অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ একজন মানুষ। উনি মডেল কলেজের কোয়ার্টারে থাকতেন। মনে হয় এখনো থাকেন। অনেক মিষ্টি স্বরে কথা বলেন, কথা শুনেই মন ভালো হয়ে যেতো।
-------------------------------------------------------------

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৮

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.