নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক চিলেকোঠার সেপাই!

বায়েস আহমেদ

আমার বাংলাদেশ, আমি তোমায় ভালবাসি!

বায়েস আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেকি উল্লাস!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫১





"যে ব্যক্তি এতো গোপনভাবে দান-খয়রাত করে যে, তার ডান হাত কি দান করলো, বাঁ হাতেও তা জানতে পারলো না"__ এ শ্রেণীর লোকদের মহান আল্লাহ সেদিন তাঁর সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিবেন, যেদিন তাঁর ছাড়া অন্য কোন ছায়াই থাকবে না [বুখারী ও মুসলিম]!



একদা আমি বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে চাকরি করতাম। আমাদের কাজ ছিল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে প্রায় ২০০+ টি সাইক্লোন-শেল্টার বানানো। আমি 'GIS' ব্যবহার করে কিছু লোকেশন-ম্যাপ তৈরি করে দিতাম।



আপনারা জানেন যে ২০০৭ সালে সাইক্লোন সিডরে বাংলাদেশে প্রায় ১০,০০০ মানুষ মারা যায়। মানুষের এই দুঃখ দেখে একজন "আরব"; বাংলাদেশ সরকারকে প্রায় ১,০০০+ কোটি টাকা একবারে দান করে দেন। এই দান করার সময় উনি উনার নাম প্রকাশ করেননি; সম্পূর্ণ বেনামে উনি দান করেন এই টাকা। আজও উনার টাকায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে একের পর এক সাইক্লোন-সেন্টার গড়ে উঠছে; কিন্তু উনার নাম কেউ জানেন না। এই না হলে ইসলামিক রীতিতে দান-খয়রাত!

________________________________________



এইবার আসি বাংলাদেশের কথায়! সাম্প্রতিক সময়ে একটি ইভেন্ট চালু হয়েছে - আপনি এক কেজি চাল একজন গরীবকে দিবেন এবং সেই ছবি তুলে আবার ফেইসবুকে আপলোড করবেন! এ ছাড়াও আছে - গরীবদেরকে পড়াচ্ছেন কিংবা ঈদের দিন একটি জামা দিচ্ছেন কিংবা কাউকে আইসক্রিম খাওয়াচ্ছেন; বা ফুল দিচ্ছেন ইত্যাদি নানা ধরনের অপ্রাসঙ্গিক ছবি তুলে ব্লগে কিংবা ফেইসবুকে নিজের দানশীলতার প্রচারণা করা!



হায়রে বাঙ্গালি! এ দেশে যে এতো মহৎ হৃদয়ের সৎ ও নীতিবান লোক আছেন; তা ফেইসবুক না থাকলে আমি আগে জানতামই না। এতো দানবীরদের ভিড়ে বাংলাদেশ যে কেন আজও পৃথিবীর সবচেয়ে গবীর দেশগুলোর অন্যতম; তাও আমি বুঝতে পারি না!

________________________________________



আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন জার্মান মহিলাকে চিনি; উনার PhD'র সময় আমি উনার সাথে বস্তিতে কাজ করতাম। বস্তির মানুষের দুর্দশা দেখে; উনি একটি গরীব মেয়ের সকল ব্যয়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন। উনার 'PhD' অনেক আগেই শেষ; কিন্তু আজও প্রতি মাসে মেয়েটির পড়ালেখা থেকে শুরু করে সকল খরচ উনি দেন; এই ঘটনা উনি আমাকে/কাউকেই বলেন নাই। মেয়েটির মার কাছ থেকে আমি জেনেছি!



** এক কেজি চাল একটি গরীব পরিবারের সর্বোচ্চ এক দিনের খাওয়া (যদি উনাদের খাওয়ার মেন্যু শুধু সাদা ভাত হয়ে থাকে)। বছরের বাকি ৩৬৪ দিন উনারা কি খাবেন; এই নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নাই! কিন্তু গরীবদেরকে নিয়ে বড়লোক পোলাপাইনদের এইসব মিডিয়া ব্যবসা কিংবা একদিনের দানবীর হওয়ার উল্লাসে মত্ত হওয়া ছবিগুলা দেখে আজ নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না! নিপাত যাক গরীবের দুর্দশা নিয়ে এই বর্বরতার খেলা, নিপাত যাক সব ভণ্ডামি; নিপাত যাক তোদের ঐ মেকি উল্লাস!!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

রবিউল ৮১ বলেছেন: ধর্মিয় কোন বিষয়ের সাথে এই ইভেন্ট কে না জড়ান ই ভালো কারণ আমার মনে হয় এই প্রক্রিয়া যারা ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করছেন তারা ধর্মিয় কোন চিন্তা থেকে করেছেন বলে মনে হয় না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

বায়েস আহমেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০১

তূর্য হাসান বলেছেন: ভাই একদম আমার মনের কথাগুলো বলেছেন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪১

বায়েস আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫১

মাসূদ রানা বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে ভাই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.