| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |

১২ থেকে ১৪ মে'২০২০ —এই তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে বজ পাতে যত মানুষ মারা যায়, তার এক-চতুর্থাংশই বাংলাদেশে। হাওর, বাঁওড় ও বিল এলাকার জেলাগুলোয় বজ্রপাতে মৃত্যু বেশি। ঝড়-বৃষ্টির সময় খোলা মাঠ, নৌকা ও পথঘাটে যারা চলাচল করে তারাই এর শিকার। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে বজ পাতের ঘটনা ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়া নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় দেশের বেশির ভাগ গ্রাম এলাকায় বড় বড় গাছ থাকত। তাল, নারকেল, বটসহ নানা ধরনের বড় গাছ বজ্রপাতের আঘাত নিজের শরীরে নিয়ে নিত। ফলে মানুষ বেঁচে যেত। এ ছাড়া দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে এখন মুঠোফোন থাকছে। দেশের অধিকাংশ এলাকায় মুঠোফোন ও বৈদ্যুতিক টাওয়ার রয়েছে। দেশের কৃষিতেও যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। তা ছাড়া সন্ধ্যার পর মানুষের ঘরের বাইরে অবস্থান বাড়ছে। আর বেশির ভাগ বজ্রপাতই হয় সন্ধ্যার দিকে। ফলে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা গেলেও সরকারি নথিতে এটিকে দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করা হয়নি। বজ্রপাতের মতো এমন প্রাণসংহারী ঘটনাকে দুর্যোগ হিসেবে গণ্য না করা এসব মৃত্যুকে অবহেলা করার শামিল। এখন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করে িনহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে সহায়তা করা উচিত। এ ছাড়া বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমাতে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল যুগান্তরকে বলেন, বিশ্বে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু বাংলাদেশে। ‘আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম’ (প্রাক-সতর্কীকরণ ব্যবস্থা)ও লাইটেনিং অ্যারেস্টর (বজ্রপাত নিরোধক) স্থাপনের মাধ্যমে মানুষকে রক্ষার পদক্ষেপ নেয়া যায়।
২|
১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:১৯
নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: যতটুকু জানি, বজ্রপাতকে এখন দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করা হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ভাইরে আল্লাহপাক যেভাবে মরন লিখে রেখেছেন সেভাবেই হবে। সাবধান হয়ে লাভ কি?