নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু মানুষ আছে যারা অনেক মানুষের মধ্যে থেকেও একা...আমি তাদের দলের.....\"আমি হিমু নই!তবে হিমু আমাকে মাঝ রাতে হাঁটতে আনুপ্রেরোণা জোগায়.....\"\"তোর বিয়ে হবে হাত ভর্তি কাঁচের চুড়িতে...আমি বাসর রাতে তোর সবগুলি চুড়ি ভাঙ্গবো.....

বিবর্ণ স্বপ্ন

পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা অনেক মানষের মধ্যে থেকেও একা... আমি তাদের দলের...

বিবর্ণ স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিউনিখ হামলাকারী উগ্রবাদী খ্রিস্টান !

২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১২

মিউনিখের হামলাকারী আলি ডেভিড সনবলি-

২০১১ সালের ২২ জুলাই নরওয়ের উগ্র খ্রিস্টান ডানপন্থি ব্রেইভিক ৭৭ জন বেসামরিক লোককে হত্যা করেছিল গুলি চালিয়ে। তার ঠিক পাঁচ বছর পর একই দিনে জার্মানিতে ঘটলো একই ধরনের ঘটনা। পুলিশ ধারণা করছে শুক্রবারের মিউনিখের হামলাকারী ব্রেইভিকের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকতে পারে।


শুক্রবার ২২ জুলাই সন্ধ্যায় জার্মানির মিউনিখ শহরের অলিম্পিয়া শপিংমলে ১৮ বছর বয়সী ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান এক তরুণ এ হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়। আহত রয়েছেন আরো অনেকে যার মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই তরুণের জার্মানি ও ইরান দুদেশেরই পাসপোর্ট ছিল। তবে তার নাম আলি ডেভিড সনবলি।

প্রথম দিকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসলামি জঙ্গিবাদকে দায়ী করা হলেও মিউনিখ পুলিশ এখন বলছে, ওই তরুণের সঙ্গে কোনো জঙ্গী গোষ্ঠির যোগাযোগ ছিল না। তরুণটি মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিল এবং তার চিকিৎসাও চলছিল বলে জানা যাচ্ছে। তার বাসায় তল্লাশি করে পুলিশ যেসব কাগজপত্র পেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায় বেড়নো হামলা সংক্রান্ত নানা খবরের কাটিং এবং ‘ছাত্ররা কেন হত্যা করে’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ।

পুলিশ বলছে, গুলি চালানোর আগে ওই তরুণ কিছু একটা বলে চিৎকার করছিল, কিন্তু তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত বের করতে পারেনি ওই তরুণ আসলে কী বলেছিল।

তবে মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতে ‘আমি জার্মান’ কথাটি কাউকে বলতে শোনা গেছে। আর এর পরই এমন ধারণা জোরালো হয়েছে যে উগ্র ডানপন্থি মতাদর্শের কোনো সমর্থক এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ বলছে, নরওয়ের গণহত্যাকারী অ্যান্ডারস বেহরিং ব্রেভিক ২০১১ সালের ২২ জুলাই ৭৭ জনকে হত্যা করেছিল, তার সঙ্গে এই তরুণের যোগাযোগের প্রমাণও তারা পেয়েছে।

ব্রেইভিক নরওয়ের রাজধানী অসলোতে বোমা মেরে আট জন এবং উটোয়া আইল্যান্ডে মধ্যবামপন্থি দলের গ্রীষ্মকালীন যুবসম্মেলনে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ৬৯ জনকে নির্বিচারে হত্যা করে। বর্তমানে তার বয়স ৩৭ বছর। ২০১২ সালে নরওয়ে আদালত তার ২১ বছরের সাজা দেন। সে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।

ব্রেইভিক উগ্র ডানপন্থায় বিশ্বাসী ছিল এবং তার ভাষ্যমতে, ইউরোপে মুসলিমদের অভিবাসন ঠেকানোই ছিল তার উদ্দেশ্য। পুলিশ মনে করছে, মিউনিখ হামলাকারী ওই তরুণ নরওয়ে গণহত্যার বার্ষিকীর দিনটি বেছে নেয়ার কারণ সে ব্রেইভিকের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকতে পারে।
সন্দেহভাজন হামলাকারী। তদন্তকারী পুলিশের সন্দেহ, একজন মেয়ের ছদ্মনামে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে খুন করার জন্য লোকজনকে ম্যাকডোনাল্ড-এর দোকানে ডেকে এনেছিল হামলাকারী।

এদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, হামলাকারীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে বিশেষ বাহিনী।

মিউনিখের কর্তৃপক্ষ বলছে, জনজীবন সেখানে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আজ অলিম্পিয়া শপিং মলের বাইরে ফুল ও মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের স্মরণ করার কথা রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এই গোলাগুলির ঘটনা শুরুর পর প্রথমে পুলিশ ধারণা করেছিল যে একাধিক হামলাকারী রয়েছে। তাই তাদের সন্ধানে বড় ধরণের অভিযানও শুরু করা হয়, যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

তবে হামলাকারী একজন বলে নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তাদের অভিযান বন্ধ করে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:২৬

বিদ্যুৎ চমক বলেছেন: জঙ্গীবাদ খ্রিষ্টান কেন নয়!!

২৪ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:২৯

বিবর্ণ স্বপ্ন বলেছেন: কোনো জঙ্গীবাদই গ্রহণযোগ্য নয়।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:৩৭

দুরন্ত বাতাস বলেছেন: নাম টার আলী, সে মুসলিম। তার উপর ইরান নামক দেশ থেকে আসছে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:২৮

বিবর্ণ স্বপ্ন বলেছেন: এটুকু বুজলাম যে, সে মুসলিম হইলে আপনি খুব খুশি হন।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২২

রাজীব বলেছেন: সে মুসলিম না হলে তার বাপ-মা মুসলিম।
সেটি না হলে তার প্রতিবেশী মুসলিম।
সেটি না হলে সে ইরানের নাগরিক সেটি মুসলিম দেশ।
তাও যদি না হয় তাহলে তাকে নিয়ে যারা ব্লগ লিখে তারা মুসলিম।
অতএব সব দোষ মুসলমানদের...

২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

বিবর্ণ স্বপ্ন বলেছেন: জী ভাই। ওরা হচ্ছে জঙ্গি সুরসুরি দাতা। ইনিয়ে বিনিয়ে মুসলমান নামটা রাখতে পারলেই এরা খুশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.