নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য - কি ?

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

সম্মানিত ব্লগার রাজীব নুর ভাই গত ১২ ই আগস্ট উনার ব্লগ "রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে- ১৭৩ " মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে লিখেছেন "জীবনের কোন অর্থ বা যৌক্তিকতা নাই" এবং "আসলে জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই" ।রাজীব ভাইয়ের লেখার জবাব দিতে গিয়ে বইপত্র ঘেটে এবং কিছু জানার চেষ্টা করে যা জবাব দিয়েছিলাম ,তাই পোস্ট করলাম ব্লগ হিসাবে।

মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য - কি হওয়া উচিত -

মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব ।কাজেই সৃষ্টিকর্তা আমদের কোন লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য ছাড়া সৃষ্টি করেছেন ,এটা সাধারন দৃষ্টিভংগিতেও মেনে নেয়া যায়না ধর্মীয় দৃষ্টিতে ত নয়ই।ধর্মীয় দৃষ্টিতে "মুমিন জীবনের প্রতিটি আমল, প্রতিটি কাজ, প্রতিটি চিন্তা-চেতনা, প্রতিটি চেষ্টা, সাধনা, প্রতিটি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসও প্রতিটি চলাফেরার পেছনে আল্লাহপাকের সন্তোষ অর্জনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। কেননা, আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত তাঁর বান্দাহদেরকে কেবলমাত্র তাঁরই এবাদত বন্দেগি করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আল কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে: আর আমি জ্বিন ও মানুষকে কেবলমাত্র এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার ইবাদত বন্দেগি করবে।" (সূরা: যারিয়াত : আয়াত ৫৬)।

যদি আমরা ধর্মীয় দিককে পুরোপুরি নাও অনুসরন করি তারপরেও মানব জীবনের কিছু জীবনের লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য অবশ্যই আছে ।আর সেগুলি এক একজনের দৃষ্টিভংগীতে একেক রকম হতে পারে।তারপরেও আমার মনে হয় মানব জীবনের যে কয়েকটি লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য আছে সেগুলি মোটামুটি -

ধর্ম পালন— ধর্মীয় বিধি নিষেধ মেনে চলা। এখানে ‘ধর্ম’ মানে ‘রিলিজিয়ন’ নয়। এর অর্থ, কিছু নৈতিক কর্তব্য পালন করা। যেমন, সমাজের প্রতি কর্তব্য, পরিবারের প্রতি কর্তব্য, মানবের প্রতি কর্তব্য। এই কর্তব্য পালনই ‘ধর্ম পালন’। ।আর এসব কর্তব্য পালনের মধ্য দিয়ে ই মানুষ মুলত: ধর্ম ও পালন করে থাকে।

অর্থ উপার্জন — ‘অর্থ বলতে এখানে সম্পদকেই বোঝানো হয়েছে। ধর্ম বিত্ত বা সম্পদ আহরণকে কোনও খারাপ চেখে দেখেনা। বরং জীবন ধারণ ও জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় বিত্ত বা সম্পদ কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সকল ধর্মেই । কিন্তু সেই আহরণের পন্থা যেন কখনওই অসৎ না হয়। ধর্ম ও অর্থের মধ্য সংঘাত বাধলে ধর্মকেই প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে।আর মানুষ যখন তার জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করে তখন তাকে সকল ধর্মেই সাধ্য অনুপাতে দান সাদকা করতে বলা হয়েছে .যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাই এর প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট হয়, আল্লাহপাক তার প্রয়োজন পূরণ করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের কোনো অসুবিধা বা বিপদ দূর করে দেয়, আল্লাহপাক এর বিনিময়ে কিয়ামতের দিন তার কষ্ট ও বিপদের অংশ বিশেষ দূর করে দেবেন।

কাম নিয়ন্ত্রণ — ‘কাম’-এর স্বরূপ নির্ধারণ করা আজ খুবই কঠিন। তবু এ কথা বোঝা যায়, ‘কাম’ মানে কখনওই যৌনতা নয়। কাম বলতে এখানে পার্থিব জীবনের ‘সুখ’ কে বোঝানো হয়েছে। যৌনসুখও তার মধ্যে একটি। তবে ব্যাপক অর্থে কাম বলতে এখানে সাংস্কৃতিক কর্ম, ক্রীড়া, সৃজনশীল কাজ, সবকিছুকেই বোঝায়। আর এসব কাজ কর্মের মাধ্যমে মানুষে মানুষে সমাজিক সম্পর্ক গড়ে উঠে ।মানুষ একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হ্য় এবং ভাল কাজের আগ্রহ তৈরী হয়।

মানষিক প্রশান্তি বা মোক্ষ লাভ — ‘মোক্ষ’ শব্দের অর্থ ‘মুক্তি’। কামনা-বাসনা ও ভোগ-লালসার কারণে জীব কর্মবন্ধনে আবদ্ধ হয়।কর্ম-পদগুলের কারণেই জীবের বদ্ধাবস্থা লাভ হয়। এই বদ্ধাবস্থায় আত্মার স্বরূপ আবৃত থাকে। সুতরাং এই বদ্ধাবস্থা থেকে মুক্তি তথা পদগুলের বিযুক্তিই হচ্ছে মোক্ষ।চিত্ত শুদ্ধির দ্বারা ত্রিরত্ন অর্থাৎ সম্যক্ দর্শন, সম্যক্ জ্ঞান ও সম্যক্ চরিত্রের মাধ্যমে আত্মার মোক্ষপ্রাপ্তি বা মানষিক প্রশান্তি লাভ হয়। এরূপ অবস্থায় আত্মা তার স্বরূপে অধিষ্ঠিত হয় অর্থাৎ অনন্ত জ্ঞান, অনন্ত শক্তি, অনন্ত দর্শন ও অনন্ত আনন্দ লাভ করে এবং সঞ্চিত ও সঞ্চীয়মান কর্ম-পদগুল বন্ধন বিচ্ছিন্ন করে। এই ‘পদগুল’ বন্ধন বিচ্ছিন্ন করার সাধনাই হলো মোক্ষসাধনা এবং ‘পদগুল’ বন্ধন-মোচনই মুক্তি। মোক্ষ প্রাপ্ত আত্মা অনাবিল ও অনন্ত সুখের অধিকারী হয়। তাই‘মোক্ষ’-কেই জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য বলে বর্ণনা করেছেন শাস্ত্র-প্রণেতারা।

সকল ধর্মেই জীবনের কিছু লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য নির্ধারিত আছে । আমরা যদি ধর্ম নাও মানি তারপরেও আমাদের মানব জীবন লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য বিহীন নয়। মানুষ হিসাবে আমাদের সকলের ই কিছু কিছু সামাজিক ,নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে । আর এসব কিছুর মূলে আছে মানব সেবা। আমাদের প্রত্যেকের সাধ্য ও সামর্থ অনুযায়ী যথাযথ ভাবে সেসকল দায়িত্ব পালন করা উচিত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভালো লিখেছেন। পোষ্ট পড়ে ভালো লাগলো। এবং আমি দুঃখিত পোস্ট পড়তে দেরী করে ফেললাম।

সম্ভবত আপনার পোষ্ট প্রথম পাতায় আসছে না। আশা করি শ্রীঘ্রই আপনার পোস্ট প্রথম পাতায় দেখতে পাবো।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, পোস্ট পড়া ও আপনার মন্তব্যের জন্য।

এটি আমার তৃতীয় পোস্ট।

আমি সামুর সব নিয়ম / পোস্ট সম্পর্কে জানিনা অনেক কিছুই।আসলে আপনাদের লেখা পড়তে পড়তে কিছু লিখতে ইচ্ছা করে ।তাই লেখার এ প্রচেষ্টা ।আর পোস্ট এর সময় পোস্টটি প্রথম পাতায় প্রকাশিত হবে তা যদিও সিলেকশন করে দেই তারপরেও আমার মনে হয় আমি সম্মানিত মডারেটদের পর্যবেক্ষণে আছি ।তাই প্রথম পাতায় আসেনা (এটা আমার ধারনা) ।

আপনাদের গঠনমূলক মন্তব্য কিছু লিখতে উৎসাহ যোগাবে।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১০

রাজীব নুর বলেছেন: এডমিন এর সব দিকে নজর আছে। যথাসময়ে আপনি প্রথম পাতায় চলে আসবেন। আমরাও এসবের ভিতর দিয়ে গিয়েছি।

২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই,দেরীতে হলেও আমার সমস্যার দিকে আপনার দৃষ্টির জন্য।

আসলে প্রথম পাতায় লেখা আসলে অনেক বেশী পাঠক / ব্লগারের দৃষ্টিগোচর হয়।আর এতে কষ্টকরে কিছু লিখলে আর বেশী বেশী পঠিত হলে নিজের একটা মানষিক প্রশান্তি অনুভব হবে বলে বিশ্বাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.