নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীবাদী-প্রগতিবাদীদের দাবী-"স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে তাঁর সাথে মিলন করা স্বামীর জন্য ধর্ষন হিসাবে গন্য হবে "- কতটা যুক্তিসংগত?

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫



ছবি- গুগল

গত কিছুদিন যাবত একটি নিউজ প্রচার হচছে,"স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে তাঁর সাথে মিলন করা স্বামীর জন্য ধর্ষন হিসাবে গন্য হবে " -এর জন্য আইন প্রণয়ন করা বা করতে হবে।এ দাবী যৌক্তিক কি অযৌক্তিক সেটা নিয়ে বলার কিছু আছে বলে মনে হয়না বড় কথা হল স্ত্রীর সাথে মিলনের জন্য স্বামী অনুমতি নিয়েছে কি নেয়নি তার প্রমান কিভাবে করবে বা এই দাবী কতটা যুক্তি সংগত?

স্বামী- স্ত্রী মিলে একটি পরিবার গঠিত হয়। পরিবারে স্বামী ও স্ত্রীর আলাদা কোন সত্মা থাকেনা।তাদের দেহ দুইটি কিন্তু আত্মা একটি। দাম্পত্য জীবনে স্বামী ও স্ত্রীর রয়েছে নির্দিষ্ট অধিকার ও কর্তব্য। স্বামী ও স্ত্রী একে অন্যের সহায়ক ও পরিপূরক। সুতরাং উভয়েরই রয়েছে উভয়ের প্রতি বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য । আল্লাহতাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে স্বামী- স্ত্রী সম্পর্কে বলেন, "তারা তোমাদের আবরণ এবং তোমরা তাদের আবরণ।" (সুরা: ২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)।

এখন নজর দেয়া যাক একটি পরিবারের উপর। একজন নারী,একজন পুরুষ যখন বিবাহের পবিত্র সম্পর্কে আবদ্ধ হয় তখন তাদের একসাথে তাদের পথচলা শুরু হয়।তাদের মাঝে তখন আলাদা আলাদা কোন সত্মা থাকেনা।তারা উভয়েই তখন একে অন্যের পরিপূরক হয়ে যায় এবং সংসারের সকল কাজ একে অপরের সাথে সহযোগীতার মাধ্যমে সমাপ্ত করে।সুখে-দুখে, হতাশা-ব্যর্থতায় ,সংসারের জটিলতায় , অভাব কিংবা সুখে একে অন্যের ছায়া-সহযোগী হয়ে কাজ করে।আর সংসারের সুখ-শান্তি নির্ভর করে উভয়ের প্রতি উভয়ের সহযোগীতা,সহমর্মিতা তথা ভালবাসার উপর।



ছবি- গুগল

পৃথিবী শুরুর পর থেকে যে কয়টা প্রতিষ্ঠান আজও টিকে আছে তার মধ্যে পরিবার অন্যতম।যদিও সময়ের সাথে সাথে এবং নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ফলে পরিবারের অনেক বিবর্তন হয়েছে মানে যৌথ পরিবার ভেংগে একক পরিবারের তৈরী হয়েছে এবং সামজিক অস্থিরতা ,প্রতিযোগীতা মুলক জীবন ,স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব- সংঘর্ষ-মতবিরোধ এর ফলে ভাঙা পরিবার(Broken Family) নামে এখন আরেকটি পরিবারের তৈরী হচছে ।আর সেই ভাঙা পরিবারের নির্মমতার শিকার হচছে শিশু -নারী- পুরুষ তথা সমাজের সবাই।

ত্যাগ এবং আপসই হচছে পরিবারের সাফল্যের মুল সূর।যে পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে যত বেশী ত্যাগ এবং আপসের মনোভাব থাকে সেই পরিবার তত বেশী সুখের হয়।সংসারের নানা জটিলতা-অভাব অভিযোগ,দুঃখ,মানষিক টানাপোড়ন,দ্বন্দ্ব- সংঘর্ষ-মতবিরোধ থাকবেই।আর এ সব কিছু সহ্য করে স্বামী-স্ত্রীকে সামনে এগিয়ে যেতে হয় কর্তব্য এবং সামাজিকতার প্রয়োজনে। আর সংসারের এতসব দায়িত্ব-কর্তব্য ও জটিলতার মাঝে স্বামী-স্ত্রী সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরনা পায় যে কয়টি কাজের মাধ্যমে তার মধ্যে সফল যৌন মিলন একটি । যৌন মিলনই একমাত্র পথ যার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী র সকল দুঃখ-কষ্ট,মান-অভিমান দূর করে মানষিক প্রশান্তি আনে এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরনা পায়।আর এ যৌন মিলন স্বামী-স্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত ও চরম গোপনীয় একটি বিষয়।স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে যত মনোমালিন্য ও বৈপরিত্য ই তৈরী হোকনা কেন তারা কখনো এ বিষয়ে কারো সাথে কথা বলেনা বা শেয়ার করেনা।

তারপরেও প্রগতিবাদীদের এ দাবীর যৌক্তিকতা অস্বীকার না করে আসুন দেখি স্বামী-স্ত্রীর অধিকার ও কর্তব্য বিষয়ে কোরআন ও হাদিসে এ সম্পর্কে কি বলে।

স্বামীর কর্তব্য

- আল্লাহ তাআলা বলেন, "পুরুষগণ নারীদের প্রতি দায়িত্বশীল, যেহেতু আল্লাহ একের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং তারা তাদের সম্পদ হতে ব্যয়ও করে"। (সুরা: ৪ নিসা, আয়াত: ৩৪)। অর্থ্যাত স্ত্রীর প্রতি স্বামীর প্রথম দায়িত্ব বা কর্তব্য হলো মহর পরিশোধ করা।এ
সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক আরও বলেন ," স্ত্রী দেরকে স্পর্শ করার আগে তাদের দেনমোহর পরিশোধ করে দাও।আর পারস্পরিক সহযোগীতার কথা বিস্মৃত হয়োনা।নিশ্চিয়ই তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ সেইসব অত্যন্ত ভাল করে দেখেন । (সুরা বাকারা- ২৩৭।পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক আরও বলেন,"তোমরা স্ত্রীদেরকে মোহর দিয়ে দাও খুশিমনে,তারা যদি খুশি হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয় তবে তোমরা তা স্বাচছন্দে ভোগ কর" - (সুরা আন নিসা - ৪)

- বিয়ের পর স্বামীর প্রতি দায়িত্ব হলো স্ত্রীর প্রয়োজনীয় সকল মৌলিক চাহিদা পূরন করা। এই মৌলিক চাহিদার প্রথমটি হলো খাদ্য। স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী স্ত্রীর উপযুক্ত প্রয়োজনমতো খাদ্য যথাসময়ে নিয়মিত স্ত্রীকে দিতে হবে বা ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

- মৌলিক চাহিদার দ্বিতীয়টি হলো পোশাক। স্বামী স্ত্রীকে স্বীয় সামর্থ্য অনুসারে স্ত্রীর প্রয়োজনমতো তাঁর যোগ্য পোশাক দেবেন। প্রয়োজনীয় পোশাক প্রদান করা যেহেতু স্বামীর দায়িত্ব; তাই সে পোশাক প্রস্তুত করার ব্যয়ও স্বামীর ওপরই বর্তাবে।

- স্ত্রীর মৌলিক অধিকারের তৃতীয়টি হলো নিরাপদ বাসস্থান বা নিরাপদ আবাসন। অর্থাৎ, স্বামী স্ত্রীকে থাকার জন্য এমন একটি ঘর বা কক্ষ দেবেন, যে ঘর বা কক্ষে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া (স্বামী ব্যতীত) কেউই প্রবেশ করতে পারবেন না।

নারী-পুরুষের সম্পর্কে আল্লাহপাক আরও বলেন ," আর তোমরা আকাংখা করোনা এমন সব বিষয়ে যাতে আল্লাহতায়ালা একের উপর অপরের শ্রেষ্ঠত্ত্ব দান করেছেন।পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ।আর আল্লাহর কাছে তার অনুগ্রহ প্রার্থনা কর ।নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্ববিষয়ে জ্ঞাত" - (সুরা আন নিসা - ৩২)।

স্ত্রীর কর্তব্য

- বিয়ের পর স্ত্রীর যাবতীয় দায়িত্ব স্বামীর কাঁধে বর্তালেও স্ত্রীরও কিছু কর্তব্য রয়েছে। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, "নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজান মাসে রোজা রাখে, স্বীয় সতীত্ব ও সম্ভ্রম রক্ষা করে শালীনতা বজায় রেখে চলে এবং স্বামীর আনুগত্য প্রকাশ করে; তখন সে বেহেশতের যেকোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে"- (আবু দাউদ শরিফ)।

- স্ত্রী হিসেবে স্বামীর দেখভাল করা স্ত্রীর দায়িত্ব। স্বামীর সংসারের দেখাশোনা করা এবং স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করাও স্ত্রীর অন্যতম দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা বলেন, "তবে সৎকর্মশীলা নারী বা সাধ্বী রমণী তাঁরা, যাঁরা অনুগতা এবং লোকচক্ষুর অন্তরালেও তাঁরা তা সংরক্ষণ করেন, যা আল্লাহ হেফাজত করেছেন"- (সুরা: ৪ নিসা, আয়াত: ৩৪)।

- আল্লাহ তাআলা বলেন, "আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে অন্যতম হলো তিনি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের জন্য সঙ্গী জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করো এবং তোমাদের মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য"- (সুরা: ৩০ রুম, আয়াত: ২১)।
রসুল সঃ বলেন ," স্বামী যখন স্ত্রীকে দৈহিক প্রয়োজনে আহববান করে সে যেন স্বামী কাছে দ্রুত চলে আসে।এমনকি সে যদি রান্না ঘরে রুটি পাকানোর কাজেও ব্যস্ত থাকে (সুনানে তিরমিযি - ১১৬০)।

- স্বামীর সকল আদেশ-নিষেধ মেনে চলা স্ত্রীর কর্তব্য।এ প্রসংগে রসুল সঃ বলেন ,"যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দেয় এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্থায় সারারাত একাকী কাটায় ,সে স্ত্রীর উপর ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত লানত দিতে থাকে"-(ছহিহ বুখারী ৫১৯৩ )।
- প্রসংগে মহানবী সঃ আরও বলেন,"তিন ব্যক্তির নামাজ তাদের মাথা অতিক্রম করেনা বা কবুল হয়না । এর মধ্যে একজন হল অবাধ্য স্ত্রী যে স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়না এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্থায় ঘুমায়" - সুনানে তিরমিযি-৩৬০।
- মহানবী সঃ আরও বলেন,"পরকালে আল্লাহপাক স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ স্ত্রীর দিকে তাকাবেন না " - (বাইহাকী-১৪৪৯৭)। মহানবী সঃ আরও বলেন,"অবাধ্য স্ত্রীর জন্য জান্নাত হারাম "-(মুসনাদে আহমাদ - ১৯০০৩)।
- স্বামীর প্রতি স্ত্রীর গুরুত্ব বুঝাতে মহানবী সঃ আরও বলেন,"মা-বাবা সহ সকলের মৃত্যুতে শোক পালন হচছে ৩ দিন পর্যন্ত আর স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে হবে ৪ মাস ১০ দিন (বুখারী শরীফ -১২৮০

স্ত্রী হলেন সহধর্মিণী, অর্ধাঙ্গিনী, সন্তানের জননী; তাই স্ত্রী সম্মানের পাত্রী। স্ত্রীর রয়েছে বহুমাত্রিক অধিকার; সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য। স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে এবং উভয়ের পরিবার প্রত্যেকে নিজ নিজ অধিকারের সীমানা ও কর্তব্যের পরিধি জেনে তা চর্চা করে তাহলে তা সংসারের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

আমাদের আলোচ্য বিষয়, যৌন মিলন এমন একটি প্রক্রিয়া যা স্বামী-স্ত্রীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও প্রত্যক্ষ সহযোগীতা ব্যাতীত কখনো সফলভাবে সমাপ্ত করা সম্ভব না। আর বিবাহিত মানুষ মাত্রই জানে, যৌন মিলনের জন্য উভয়েরই যে একসাথে ইচছা জাগে এমন না।স্বামী-স্ত্রীর যে কারোর ই মিলনের ইচছা জাগতে পারে আর তারপরে একে অন্যকে নানা ভাবে প্ররোচিত বা নানা ক্রিয়া কর্মের মাধ্যমে মিলনে আগ্রহী করে তুলে এবং শেষ পর্যন্ত উভয়ের মিলনের মাধ্যমে তার সমাপ্তি হয়।এখানে কে আগে আগ্রহী হয়েছে বা কে কাকে প্ররোচিত করেছে তা বিবেচ্য বিষয় নয় এবং স্বামী-স্ত্রী সাধারনতঃ এটা নিয়ে মাথা ঘামায়ও না।তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই পুরুষ ই সবসময় একাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে তাহলে এটাও দোষের কিছু নয়।কারন প্রকৃতিগত ভাবে পুরুষ বর্হিমুখী আর নারী অর্ন্তমুখী। স্বামী-স্ত্রীর যেই আগে আগ্রহী বা উদ্যোগী হোক না কেন উভয়ের মিলিত প্রচেষ্টায় ই একটি সফল এবং আনন্দদায়ক যৌন মিলন সম্পন্ন হয় এবং এ দুনিয়াতে স্বর্গীয় সুখ লাভ করে।স্বামী-স্ত্রীর এ সম্পর্ক একান্ত ব্যক্তিগত ও চরম গোপনীয়।আর একান্ত ব্যক্তিগত ও চরম গোপনীয় বিষয় বাহিরে এনে জ্ঞানপাপীরা কি অর্জন করতে চাচছে তা বোধগম্য নয়। অস্থিতিশীল এ দুনিয়ায় এমনিতেই মানুষে মানুষে ভালবাসা-সহযোগীতা-সহানুভূতি কমে যাচছে বা নেই বললেই চলে সেই ক্ষেত্রে সমাজের নানা রকম অস্থিরতা তথা হাজারো সমস্যার প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত একটা মুহূর্তকে সর্বসমক্ষে টেনে বের করে এনে তথা আইন প্রণয়ন করে কি অর্জন হবে তাই জিজ্ঞাসা।

এ দাবী এক ধরনের অপকর্ম ।যারা আইনের দোহাই দিয়ে এ ধরনের অপকর্মকে বৈধতা দিতে চায় তাদের সম্পর্ক আল্লাহ তাআলা বলেন,"তোমরা কি তাদের পথ প্রদর্শন করতে চাও যাদের আল্লাহ পথভ্রষ্ঠ করেছেন? আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ঠ করেন তুমি তার জন্য কোন পথ পাবেনা"-(আন নিসা - ৮৮)।
এ প্রসংগে আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, - "তারা চায় যে ,তারা যেমন কাফের তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও।অতএব,তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরুপে গ্রহন করোনা ।যে পর্যন্ত তারা আল্লাহর পথে হিযরত করে চলে আসে" - (আন নিসা - ৮৯ )।
আল্লাহতাআলা আরো বলেন,"আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হতে চান এবং যারা কামনা বাসনার অনুসারী তারা চায় যে তোমরাও পথ থেকে অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়" - (আন নিসা - ২৭)
আল্লাহতাআলা আরো বলেন - "আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল। তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের বিষয় অবিশ্বাস করে, তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে"।(সুরা মায়িদাহ - ৫)।

মহান আল্লাহপাক আমাদের সকল ফেতনা ফ্যাসাদ থেকে হেফাযত করুন এবং এ ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার তওফিক দিন এবং যারা এ ধরনের ফেতনা ফ্যাসাদ তথা অপকর্মের চেষ্টা করে তাদের হেদায়াত নসিব করুন।

"দূর্জন বিদ্ধান হইলেও পরিতাজ্য"

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইসলামিক দৃষ্টিতে ধর্ষণ না,মানবিক দৃষ্টিতে ধর্ষণ।অসভ্য সমাজে ধর্ষণ না সভ্য সমাজে ধর্ষণ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

স্বামী / স্ত্রীর যৌন মিলন ইসলাম-মানবিক-অসভ্য-সভ্য কোন সমাজেই কখনো ধর্ষন হিসাবে বিবেচিত হ্য়নি বা এভাবে কেউ কখনো
চিন্তাই করেনি। মানুষ এখন বেশী সচেতন এবং দুনিয়াতে আর কোন সমস্যা নেই এ ছাড়া ।তাই এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন জরুরী হয়ে পড়েছে।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


"নারীবাদী" নামে একটা ভুল শব্দ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে; গড়ে, বাংলাদেশী মেয়েরা ভালো স্বামী পায় না; বাংলাদেশের ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে কম ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার,আপনার মন্তব্যের জন্য

আসলে বাংলাদেশে অনেক কিছুর ই অভাব আছে ।তারপরেও আমাদের দেশের পুরুষদের একটা বড় অংশই নারীদের সম্মান করে ।অবশ্য অভাব একটা ফ্যাক্টর যা ভাল স্বামী এবং ব্যক্তিত্বের অধিকারী হবার পথে বাধা।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৩

নতুন বলেছেন: গত কিছুদিন যাবত একটি নিউজ প্রচার হচছে,"স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে তাঁর সাথে মিলন করা স্বামীর জন্য ধর্ষন হিসাবে গন্য হবে " -এর জন্য আইন প্রণয়ন করা বা করতে হবে।এ দাবী যৌক্তিক কি অযৌক্তিক সেটা নিয়ে বলার কিছু আছে বলে মনে হয়না বড় কথা হল স্ত্রীর সাথে মিলনের জন্য স্বামী অনুমতি নিয়েছে কি নেয়নি তার প্রমান কিভাবে করবে বা এই দাবী কতটা যুক্তি সংগত?

আপনি ম্যারিটাল রেপে জিনিসটাই বুঝতে পারেন নাই। স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে বা স্ত্রীর যদি যৌন মিলন করতে ইচ্ছা না করে তবে জোর করে স্বামী যদি যৌন মিলন করে সেটা ম্যারিটাল রেপ বলে। স্বামী যদি বদ্ধ ঘরে জোর করে যৌন মিলন করে, শারীরিক ভাবে হয়তো কোন প্রমান স্ত্রী দেখাতে পারবেনা কিন্তু মানুষিক ভাবে যে অত্যাচারিত হলো সেটা কি ইসলাম স্বকৃতি দেয়?

যৌন মিলনই একমাত্র পথ যার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী র সকল দুঃখ-কষ্ট,মান-অভিমান দূর করে মানষিক প্রশান্তি আনে এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরনা পায়।আর এ যৌন মিলন স্বামী-স্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত ও চরম গোপনীয় একটি বিষয়।স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে যত মনোমালিন্য ও বৈপরিত্য ই তৈরী হোকনা কেন তারা কখনো এ বিষয়ে কারো সাথে কথা বলেনা বা শেয়ার করেনা।

তারপরেও প্রগতিবাদীদের এ দাবীর যৌক্তিকতা অস্বীকার না করে আসুন দেখি স্বামী-স্ত্রীর অধিকার ও কর্তব্য বিষয়ে কোরআন ও হাদিসে এ সম্পর্কে কি বলে।


যদি স্বামী স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসা থাকে তবে স্ত্রী যৌন মিলনে আনন্দ পায় এবং দুজনই ভালোবাসে।

যখন স্বামী স্ত্রীর অমতে তাকে জোর করে সেটা কিভাবে স্বামীর অধিকার হয়???

- স্বামীর সকল আদেশ-নিষেধ মেনে চলা স্ত্রীর কর্তব্য।এ প্রসংগে রসুল সঃ বলেন ,"যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দেয় এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্থায় সারারাত একাকী কাটায় ,সে স্ত্রীর উপর ফেরেশতারা সকাল পর্যন্ত লানত দিতে থাকে"-(ছহিহ বুখারী ৫১৯৩ )।

ইসলামে স্বামীর কথা মানার জন্য অনেক হাদিস আছে, ধর্ম স্ত্রীর মনের অবস্থা জানতে চায়নি কখনো। স্ত্রী যদি যৌন সম্পক করতে না চায় তবে ফেরেস্তারা লানত দিতে থাকে???

আপনার কি মনে হয় যে নারীদের অধিকার আছে স্বামীকে না বলার, এবং স্বামী যদি জোর করে সঙ্গম করে সেটাকে আপনি সমর্থন করেন?

১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই ,ধন্যবাদ ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

- প্রথমেই আসি ম্যারিটাল রেপের বিষয়ে।স্বামী যদি বদ্ধ ঘরে জোর করে স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করে সেটা কি ইসলাম স্বীকৃতি দেয়? জবাব হল না।ইসলাম ধর্মে কোন জোর-জবরদস্তির স্থান নেই।এ প্রসংগে ধর্মের উপদেশ হল তাকে বোঝানো এবং প্রয়োজনে বিছানা পৃথক করে দেয়া।
- যৌন মিলন জোর করে করা সম্ভব ন।তর্কের খাতিরে যদি বলা হয় পুরুষ জোর করে তাও ঠিক না ।কারন মিলনের আগে একে অন্যকে মিলনের জন্য আগ্রহী করে তুলতে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরন করে ।তাকে জোর করা বলা যায়না।
- ইসলামে একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান।এতে মানব জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে।
- নারীদের স্বামীকে না বলার পূর্ণ অধিকার আছে এবং স্বামী যদি স্ত্রীকে মিলনের জন্য প্রস্তুত না করে পশুর ন্যায় জোর করে সঙ্গম করে সেটা সমর্থন যোগ্য নয়।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুধু শিরনাম ছাড়া আর কিছুই পড়ি নাই।
হে বা না শব্দে একটা প্রশ্নের উত্তর পাইলেই চলবে।
অনুমতির জন্য কি লিখিতো দরখাস্ত দিতে হবে?

১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু :P ধন্যবাদ ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।তবে ডর লাগতাছে আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে ।কারন জলদস্যু তাও আবার মরুভুমির।দেখা গেল জবাব পছন্দ না হলে হামলা হতে পারে জলে কিংবা ঘরে।

ভাই,যেহেতু আইন আদালতের ব্যাপার সেহেতু অনুমতির জন্য লিখিত দরখাস্ত দিতে হবে বলে মনে লয়। কারন আইন আদালতে ত মৌখিক কোন কিছু গ্রহন যোগ্য হওয়ার কথা না।

আর একটু সময় নিয়ে পুরো লেখাটা পড়লে কি পরবর্তী দস্যুতার সময় পিছিয়ে যেত?

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। তবে মন্তব্য থেকে বিরত থাকলাম।

১০ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজিব ভাই ,পড়েছেন এরজন্য ধন্যবাদ।

কিন্তু, কেন :(( কোনও মন্তব্য নেই। একজন অ্যাক্টিভ ব্লগার হিসাবে আপনার মতামত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

নতুন বলেছেন: - নারীদের স্বামীকে না বলার পূর্ণ অধিকার আছে এবং স্বামী যদি স্ত্রীকে মিলনের জন্য প্রস্তুত না করে পশুর ন্যায় জোর করে সঙ্গম করে সেটা সমর্থন যোগ্য নয়।

যদি করে স্ত্রী বাধা দেয় এবং স্বামী জোর করে করে তবে ইসলামী নিয়মে স্ত্রী কি বিচার দাবি করতে পারে???

১০ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই,ধন্যবাদ আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

স্বামী যদি স্ত্রীর উপর প্রতিনিয়ত জোর করে বা স্ত্রীর সুবিধা - অসুবিধার দিকে লক্ষ্য না রেখে শুধু তার সুবিধার দিকেই লক্ষ্য রাখে তাহলে স্ত্রীর পূর্ণ অধিকার আছে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার এবং স্বামীকে ত্যাগ করার তথা তালাক দেয়ার।আর ধর্মে এসব ব্যাপারে উভয়ের অধিকার ও কর্তব্যের সীমারেখা পরিষ্কারভাবে নির্ধারন করে দেয়া আছে।

৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

সপ্তম৮৪ বলেছেন:
//স্ত্রীর পূর্ণ অধিকার আছে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার এবং স্বামীকে ত্যাগ করার তথা তালাক দেয়ার।আর ধর্মে এসব ব্যাপারে উভয়ের অধিকার ও কর্তব্যের সীমারেখা পরিষ্কারভাবে নির্ধারন করে দেয়া আছে।//

স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেয়ার ধর্মীয় বিধান কি ?


১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সপ্তম ভাই,ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে এবং স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সুস্পষ্ট নিয়ম দেশের প্রচলিত আইন এবং ধর্মীয় বিধানে রয়েছে । এ ব্যাপারে বিবাহবিচ্ছেদের আইনজীবী বা বিবাহ-বিবাহবিচ্ছেদ রেজিস্টার / কাজী র নিকট সঠিক / প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।

৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নতুন ভাই,ধন্যবাদ আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

স্বামী যদি স্ত্রীর উপর প্রতিনিয়ত জোর করে বা স্ত্রীর সুবিধা - অসুবিধার দিকে লক্ষ্য না রেখে শুধু তার সুবিধার দিকেই লক্ষ্য রাখে তাহলে স্ত্রীর পূর্ণ অধিকার আছে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার এবং স্বামীকে ত্যাগ করার তথা তালাক দেয়ার।আর ধর্মে এসব ব্যাপারে উভয়ের অধিকার ও কর্তব্যের সীমারেখা পরিষ্কারভাবে নির্ধারন করে দেয়া আছে।


স্বামী যদি স্ত্রীর অমতে পেশী শক্তি বলে সঙ্গম করে তবে স্ত্রী তালাক দিলেই হবে?
স্বামী স্ত্রীর গায়ে যে হাত তুললো তার সাজা ইসলামে কি আছে?

১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, আবারো ধন্যবাদ আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

আসলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক যতটা না আইনি ততটাই মানবিক।যার মুল সূর আপোষ ও সহযোগীতা। ধর্মে সীমা লংগন করতে নিষেধ করা হয়েছে।আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "সীমা লঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।" (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯০)।

৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

সপ্তম৮৪ বলেছেন: হাইকোট দেখাইয়েন না প্লিজ। পোস্টে যে রকম ওয়াজ করেছেন আপনাকে দ্বীনি মাসয়ালা সম্পর্কে বিজ্ঞ মনে করেছিলাম। আপনার কাছে হাদিস কোরান থেকে কোনো বিধান থাকলে দেন কাজীর কাছে যাওয়ার ইচ্ছা নাই। আর দেশের আইন জানা আছে সেটা ডিভোর্স। কিন্তু ডিভোর্স তো ধর্মীয় বিধান না।

১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সপ্তম ভাই,ধন্যবাদ আপনার জানার আগ্রহের জন্য।

আপনি জানতে চেয়েছেন - "স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেয়ার ধর্মীয় বিধান কি?"

দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত।আসলে তালাক অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়।তাই বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা উচিত না ।আর তাই আপনার মত আমিও জানার চেষ্টা করেছি। আর এ বিষয়ে যা জেনেছি তা আপনার সাথে শেয়ার করলাম মন্তব্যের মাধ্যমে।

নির্দিষ্ট কিছু আইনানুগ উপায়ে একজন স্ত্রীও তালাক প্রদান করতে পারেন। বিয়েবিচ্ছেদে স্ত্রীর এই অধিকারকে মুসলিম আইনে তিনভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে তালাক-ই- তৌফিজ, খুলা ও আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ।

১।তালাক-ই-তৌফিজ

তালাক-ই-তৌফিজ হলো স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রদত্ত তালাক প্রদানের ক্ষমতা। স্বামী দি স্ত্রীকে বিবাহ রেজিস্ট্রির তথা কাবিন নামার ১৮ নাম্বার কলামে বিয়েবিচ্ছেদের ক্ষমতা অর্পণ করে থাকেন এবং সে ক্ষমতার বলে স্ত্রী যদি স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ চান তাহলে সে বিচ্ছেদকে ‘তালাক-ই-তৌফিজ’ বলে। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী আদালতের আশ্রয় ছাড়াই স্বামীকে তালাক দিতে পারেন। তালাক-ই- তৌফিজের ক্ষেত্রে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশের ৭ ধারায় বর্ণিত নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। স্ত্রী তালাকের নোটিশ-কপি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাবেন ও এক কপি স্বামীর কাছে পাঠাবেন। নোটিশ প্রাপ্তির পরবর্তী ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে। এজন্য নিকাহনামার ১৮ নাম্বার ঘরটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পূরণ করা উচিত। অনেক সময় দেখা যায়, বিয়েতে প্রশ্নকারীরা কনেকে এই প্রশ্নটি করেন না এবং ঘরটি শূন্য থাকে। কাজীদের অবশ্যই দুই পক্ষকে এই ঘরটি সম্পর্কে অবগত করা উচিত এবং বর ও কনেপক্ষ উভয়েরও বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত।

২।খুলা তালাক

খুলা হলো স্বামী এবং স্ত্রীর আলোচনা সাপেক্ষে বিয়েবিচ্ছেদ। স্বামীকে খুলার মাধ্যমে বিয়েবিচ্ছেদে রাজি করানোর দায়িত্ব হচ্ছে স্ত্রীর। অর্থাৎ বিচ্ছেদের উদ্যোগ অবশ্যই স্ত্রীর কাছ থেকে হতে হবে। প্রয়োজনে স্ত্রী স্বামীকে কোনো কিছুর বিনিময় প্রদান করবেন। সাধারণত বিনিময় বা ক্ষতিপূরণ হিসেবে স্ত্রী তার আর্থিক দাবির কোনো অংশ ত্যাগ করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে স্বামী রাজি থাকলে এভাবে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। খুলা তালাকের ক্ষেত্রে অন্য কোনো চুক্তি না থাকলে স্ত্রী মোহরানা পাওয়ার অধিকারী হবেন না; কিন্তু ইদ্দত পালনকালে স্ত্রী তার গর্ভের সন্তানের জন্য স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী হবেন। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবক যেহেতু স্ত্রী, সেহেতু তালাকের নোটিশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ সিটি করপোরেশন বরাবরে স্ত্রীই পাঠাবেন।

৩।আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ

স্ত্রী যদি তালাক-ই-তৌফিজ ও খুলার মাধ্যমে বিয়েবিচ্ছেদ ঘটাতে ব্যর্থ হন এবং বিয়েবিচ্ছেদ হওয়া একান্ত প্রয়োজন মনে করেন তাহলে তাকে ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিয়েবিচ্ছেদ আইনে বর্ণিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে (ধারা ২)। সেই আইনে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে কোন কোন কারণে একজন স্ত্রী আদালতে বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীকে পারিবারিক আদালতে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তালাকের জন্য আবেদন করতে হবে। আদালতের ডিক্রিমূলে তখন স্ত্রীর তালাক কার্যকর হবে। আইন অনুযায়ী স্ত্রী যেসব কারণে আদালতে তালাক চাইতে পারেন সেগুলো হলো

১।চার বছর পর্যন্ত স্বামী নিরুদ্দেশ থাকলে।
২।দুই বছর স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে ব্যর্থ হলে।
৩।স্বামীর সাত বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি জেল হলে।
৪।স্বামী কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া তিন বছ যাবত দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে।
৫।বিয়ের সময় পুরষত্বহীন থাকলে এবং তা মামলা দায়ের করা পর্যন্ত বজায় থাকলে।
৬।স্বামী দুই বছর ধরে অপ্রকৃতিস্থ বা পাগল থাকলে অথবা কুষ্ঠরোগে বা মারাত্মক যৌন ব্যধিতে আক্রান্ত থাকলে।
৭।বিয়ে অস্বীকার করলে। অর্থাৎ যদি কোনো মেয়ের বাবা বা অভিভাবক মেয়েকে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে দেন এবং সেই মেয়েটি ১৯ বছর হওয়ার আগে বিয়ে অস্বীকার করে বিয়ে ভেঙে দিতে পারে। তবে শর্ত হলো, মেয়েটির সঙ্গে স্বামীর দাম্পত্য সম্পর্ক (সহবাস) যদি স্থাপিত না হয়ে থাকে তখনই কেবল বিয়ে অস্বীকার করে আদালতে বিচ্ছেদের ডিক্রি চাওয়া যাবে।
৮।স্বামী একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করলে। অর্থাৎ স্বামী ১৯৬১ সালেরমুসলিম পারিবারিক আইনের বিধান লঙ্ঘন করে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করলে।
৯।স্বামীর নিষ্ঠুরতারকারণে। নিম্নলিখিত আচরণগুলো ‘নিষ্ঠুরতা’ হিসেবে গণ্য হবে। (ক) অভ্যাসগত আচরণে স্ত্রীকে আঘাত করা, (দৈহিক আঘাত ছাড়াও মানসিক আঘাতও এর অন্তর্ভুক্ত, যা তার জীবন শোচনীয় বা দুর্বিষহ করে তুলেছে), (খ) অন্য কোনো খারাপ নারীর সঙ্গে জীবনযাপন বা মেলামেশা, (গ) স্ত্রীকে অনৈতিক জীবনযাপনে বাধ্য করা, (ঘ) স্ত্রীর সম্পত্তি নষ্ট করা, (ঙ) স্ত্রীকে নিজস্ব ধর্মপালনে বাধা দেয়া, (চ) যদি স্বামীর একাধিক স্ত্রী থাকে, তাদের সঙ্গে পবিত্র কোরআনের নির্দেশ অনুসারে সমান ব্যবহার না করা, (ছ) এছাড়া মুসলিম আইনে বিয়েবিচ্ছেদের জন্য বৈধ বলে স্বীকৃত অন্য যে কোনো কারণে স্ত্রী পারিবারি আদালতে বিয়েবিচ্ছেদের দাবি করতে পারবে।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, ‘নিষ্ঠুরতা’ বলতে শুধু শারীরিক নির্যাতনকে বোঝাবে না বরং যে কোনো মানসিক নির্যাতনও নিষ্ঠুরতার অন্তর্ভুক্ত হবে। ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিয়েবিচ্ছেদ আইনে ‘নিষ্ঠুরতা’ শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন: হাসিনা আহমেদ মামলায় আদালত মন্তব্য করেছেন যে স্ত্রীর অন্য কারো সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে প্রতিনিয়ত দোষারোপ করা হলে স্ত্রী আদালতে বিয়েবিচ্ছেদ চাইতে পারবে। এছাড়া হোসনে আরা বেগম মামলায় আদালত ‘নিষ্ঠুরতা’ শব্দের একটি ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, ‘নিষ্ঠুরতা’ বলতে শুধু শারীরিক নির্যাতন বোঝাবে না বরং সচ্ছল কোনো পরিবারে কোনো স্ত্রীকে (যার অভ্যাস নাই) যদি প্রাত্যহিক গৃহকর্ম করতে বাধ্য করা হয় তাহলে সেটিও নিষ্ঠুরত বলে গণ্য হবে।’ ওপরে যে কোনো এক বা একাধিক কারণে স্ত্রী আদালতে বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন করতে পারেন। অভিযোগ প্রমাণের দায়িত্ব স্ত্রীর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্ত্রী বিচ্ছেদের পক্ষে ডিক্রি পেতে পারেন। যদি আদালত বিচ্ছেদের ডিক্রি দেয় তাহলে তার পরের সাতদিনের মধ্যে একটি সত্যায়িত কপি আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউপি/ পৌরসভা/সিটি করপোরেশনের চেয়ারম্যান বা মেয়রের কাছে পাঠাবেন। স্বামীর অবস্থান জানা না থাকলে মুসলিম বিয়ে-বিচ্ছেদ আইন ১৯৩৯-এর ধারা ৩ অনুসারে তার উত্তরাধিকারদের কাছে নোটিশ দিতে হবে।

১৯৬১ সালের মুসলি পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ অনুযায়ী তালাকের নোটিশ পাওয়ার পর চেয়ারম্যান আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন এবং চেয়ারম্যান যেদিন নোটিশ পাবেন সেদিন থেকে ঠিক নব্বই দিন পর তালাক চূড়ান্তভাবে কার্যকর হবে। গর্ভাবস্থায় বিয়েবিচ্ছেদ হলে সন্তান ভূমিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না। এ ক্ষেত্রে ৯০ দিন এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার মধ্যে যেদিনটি পরে হবে সেদিন থেকে তালাক কার্যকর হবে। স্ত্রী গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না।

১০| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নতুন ভাই, আবারো ধন্যবাদ আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।
আসলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক যতটা না আইনি ততটাই মানবিক।যার মুল সূর আপোষ ও সহযোগীতা। ধর্মে সীমা লংগন করতে নিষেধ করা হয়েছে।আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, "সীমা লঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।" (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯০)।


যখন স্বামী অন্যায় করে স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে তখন সেটা আইনি বিষয় হয়ে দাড়ায়। সেখানে পুরুষের দিকটাই দেখেছে ইসলাম সেটা স্বিকার করেন কি?

স্বামী যদি স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে তার কি সাজা আছে ইসলামে?

১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই,ধন্যবাদ আপনার জানার আগ্রহের জন্য।

আপনি জানতে চেয়েছেন, - "স্বামী যদি স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে তার কি সাজা আছে ইসলামে"।

আসলে ভাই এ বিষয়য়ের ব্যাখ্যার জন্য ধর্মের নিয়ম কানুন পুঙ্খানুপুঙ্খ রুপে জানা জরুরী।যা ফকিহ ও আলেমগনের দ্বারাই সম্ভব।তারপরও আপনার মত আমিও জানার চেষ্টা করেছি। আর এ বিষয়ে যা জেনেছি তা আপনার সাথে শেয়ার করলাম মন্তব্যের মাধ্যমে।

বর্তমানের ইসলামবিদ্বেষীদের ইসলামের বিরুদ্ধে বিবিধ অভিযোগের মধ্যে সাধারণ একটি অভিযোগ হল, ‘ইসলাম পুরুষদেকে স্ত্রী-নির্যাতনে দায়মুক্তি দিয়ে রেখেছে। মূলত কুরআন মাজীদের সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াত থেকে তারা এই বিষয়টি নিয়ে কূটতর্ক করে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,"পুরুষেরা নারীদের অভিভাবক। কারণ, আল্লাহ তাদের একের ওপর অপরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং পুরুষেরা নিজের ধন-সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সতী-সাধ্বী স্ত্রীরা অনুগত এবং বিনম্র। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তারা তাঁর অধিকার ও গোপন বিষয় রক্ষা করে। আল্লাহই গোপনীয় বিষয় গোপন রাখেন।যদি স্ত্রীদের অবাধ্যতার আশংকা কর তবে প্রথমে তাদের সৎ উপদেশ দাও। এরপর তাদের শয্যা থেকে পৃথক কর এবং তারপরও অনুগত না হলে তাদেরকে শাসন কর৷ এরপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তবে তাদের সাথে কর্কশ আচরণ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমু্ন্নত-মহীয়ান।" (সূরা নিসা - ৩৪ )

প্রকৃতপক্ষে, ইসলামবিদ্বেষীদের ভুল অর্থ গ্রহণ করে তা নিয়ে অহেতুক বাড়াবাড়ির শিকার কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের এই আয়াতটি অন্যতম। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে যে সহিংসতার সুযোগ নেই, কুরআন হাদীসে তাঁর অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে।

১. বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে ইসলাম ভালোবাসা ও দয়াকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। কুরআন কারীমে বলা হয়েছে,"আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।" (সূরা রুম, আয়াত: ২১)

২. ইসলামে সকল প্রকার নিষ্ঠুরতা ও অবমাননার বিরোধী। রাসূল (সা.) বলেছেন,"ক্ষতির প্রতিদানে ক্ষতির চেয়ে ক্ষতিকারক কিছু নেই।" (ইবনে মাজাহ)।

৩. গৃহ নির্যাতনকে ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন হাদীস থেকে এই বর্ণনা পাওয়া যায়।সুনানে আবু দাউদ ও দারেমীতে বলা হয়েছে,-"আল্লাহর বান্দীদের আঘাত করোনা।আবু দাউদে আরো বলা হয়েছে,"“তাদের আঘাত করোনা এবং গালি দিওনা।"

৪. কুরআনের সূরা নিসার আয়াতটি যথেচ্ছা ব্যবহারের সুযোগ নেই। এর দ্বারাই স্ত্রীদের গায়ে হাত তোলার লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হয়নি। মক্কার প্রাথমিক যুগের কুরআন বিশেষজ্ঞগণ এই আয়াতটি ব্যাখা করতে গিয়ে বলেন,"কোন পুরুষ তার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতে পারেনা, বরং শুধু প্রয়োজনে তার রাগ দেখাতে পারে।" (আতা ইবনে আবি রাবা)

৫. রাসূল (সা.) কখনোই তার কোন স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেননি। হযরত আয়েশা (রা.) বলেছেন,"“তিনি (রাসূল (সা.) কোন চাকর, নারী কাউকেই তার হাত দ্বারা আঘাত করেননি।" (সুনানে ইবনে মাযাহ)

১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৭

নতুন বলেছেন: বুঝতে পারলাম নিষেধ করা হয়ছে কিন্তু যদি স্বামী অত্যাচার করে তার জন্য স্বামীর কি সাজা ইসলামে বলা আছে? কোন হাদিস আছে যেখানে স্বামীর সাজা দিয়েছেন স্ত্রীকে মারার জন্য?

উপরে আপনি অনেক পেচিয়েছেন কিন্তু আমার প্রশ্নের কোন জবাব দেন নাই।

নিষেধ আছে আমি জানলাম কিন্তু এই অপরাধের সাজা কি?

স্বামী যদি স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে তার কি সাজা আছে ইসলামে?

১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই,ধন্যবাদ আপনার আরো জানার আগ্রহের জন্য।

আবারো আপনি জানতে চেয়েছেন, স্বামী যদি স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে তার কি সাজা আছে ইসলামে?

আপনার সদয় অবগতির জন্য বলছি ,আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি ১০ নং মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে দিতে চেষ্টা করেছি ।আমার এই বিষয়ে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য হ্য়ত আপনার জানার আগ্রহ আমি পরিপূর্ণ করতে পারিনি। এই জন্য আমি দুঃখিত ।

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নতুন ভাই,ধন্যবাদ আপনার আরো জানার আগ্রহের জন্য।

আবারো আপনি জানতে চেয়েছেন, স্বামী যদি স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে তার কি সাজা আছে ইসলামে?

আপনার সদয় অবগতির জন্য বলছি ,আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি ১০ নং মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে দিতে চেষ্টা করেছি ।আমার এই বিষয়ে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য হ্য়ত আপনার জানার আগ্রহ আমি পরিপূর্ণ করতে পারিনি। এই জন্য আমি দুঃখিত ।


উত্তরটা কি খুব কঠিন?

যদি সাজার কথা থাকে তবে কি সাজা সেটা বলবেন। হাদিসের রেফারান্স দেবেন যে স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার জন্য এই সাজা হয়েছিলো।
যদি না থাকে তবে বলবেন নাই।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন ভাই, ধন্যবাদ। অনুমান এর উপর ভর করে কোন মন্তব্য করা ঠিক নয়। আর এই ব্যাপারে আমি আসলেই কিছু বলতে পারছিনা আমার জানার অভাবে। অপরাধ ক্ষমা সুন্দর দৃস্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

নতুন বলেছেন: ভাই ইসলামে স্বামীকে স্ত্রীর উপরে স্থান দিয়েছে। তাই স্বামী যদি আঘাত করে তার জন্য সাজার কথা বলা হয় নাই।

তেমনি যদি স্বামী স্ত্রীকে ধর্ষন করে সেখানেও তার সাজার কথা ইসলামে বলা হয় নাই।

সম্ভবত একটা হাদিস আছে যেখানে এক স্ত্রীকে খুব বেশি মারধোরের জন্য নারীর বাবা Qisas বিচারের কথা বলেছিলো এবং রাসুল সা: সেটাকে নিষেধ করেছিলেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.