নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাম্প কি মার্কিন সমাজের উদারনৈতিক রীতিনীতি ও সামজিক মূল্যবোধ এবং বিশ্ব পরিস্থিতি সব লণ্ডভণ্ড করে তবেই বিদায় নেবেন ? (আমেরিকার নির্বাচন পরবর্তী ফলোআপ পোস্ট -৪)

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬



ছবি - গুগল।

‘কর্তৃত্ববাদী আচরণের মধ্য দিয়েই ক্ষমতায় ট্রাম্পের উত্থান ঘটেছে এবং তার পুরো শাসনকাল জুড়ে সেই আচরণ অব্যাহত ছিল। এমন চরিত্রের একজন মানুষের জন্য নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করার চেয়ে কারচুপির অভিযোগ করাটাই সহজ’।

মামলায় জিতে নির্বাচনী ফল উল্টে দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্সি ধরে রাখতে পারবেন, তেমন সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে। সুতরাং তাঁর বিদায় নিশ্চিত। তবে সেই নিশ্চিত বিদায়টা ট্রাম্প ভীষণ গোলমেলে করে তুলবেন এবং এই লক্ষ্যে তিনি বাকি দিনগুলোতে নিজের ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করবেন, এমন ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

ঝড়ের শুরুটা এরই মধ্যে করেছেনও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এরই মাঝে তিনি তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করেছেন। এরপর হয়তো তিনি সিআইএ পরিচালক জিনা হাসপেল ও এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রেকে বরখাস্ত করবে। এসপারের বরাত দিয়ে সিএনএনকে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, যিনি এরই মধ্যে বরখাস্ত হয়েছেন এবং যাঁরা বরখাস্ত হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের সবার অপরাধ একটাই—ট্রাম্পের নির্বাচনী স্বার্থ রক্ষার পরিবর্তে তাঁরা জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছেন।

প্রেসিডেন্সি ক্ষমতার অন্যান্য অপব্যবহারও করছেন ট্রাম্প। প্রথা অনুযায়ী আসন্ন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সহযোগীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা থাকলেও উল্টো সেই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছেন তিনি। অথচ নির্বাচনে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্ধারিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের সেই প্রক্রিয়া শুরুর রেওয়াজ রয়েছে।


ছবি - গুগল।

ট্রাম্পের আরো বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগেই ট্রাম্প অস্থিতিশীল আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনাকে দেশে ফিরিয়ে আনবেন, এমনকি এশিয়াজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় মৌলিক পরিবর্তন আনবেন। সত্যিই তেমন কিছু ঘটলে পরিস্থিতি পাল্টানো জো বাইডেনের জন্য কঠিন হবে বলে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা।ঝামেলা যে শুধু ট্রাম্পই পাকাবেন, তা নয়। তাঁর অনুগত রিপালিকানরাও এতে অংশ নিতে পারেন। ট্রাম্প যেহেতু মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সুতরাং পরাজয় স্বীকার করে জনমনে স্বস্তি দিতে তিনি দেরি করবেন তা বলাই বাহুল্য। এ ছাড়া নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণাও এখনো অপেক্ষমাণ। চূড়ান্ত সেই দিনটির আগে রিপাবলিকানরা বাইডেনের জয়কে জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার চরম প্রয়াস চালাবে, এমন আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকরা।

এদিকে মার্কিন বাহিনী আবারো মধ্যপ্রাচ্যে বি-৫২ এইচ স্ট্রাটোফোরট্রেস বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাথে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংঘাত বাড়াতে পারেন বলে আশঙ্কা যখন জোরদার হয়েছে ঠিক তখনই মার্কিন বাহিনী মধ্যপ্রাচ্যে এই বিমান মোতায়েন করল। আর এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আবার সংঘাতের আশংকা জোরদার হচছে।

কয়েকদিন আগেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অভিযোগ করেছিলেন যে তিব্বতের বাসিন্দাদের ওপর চীনের সরকার অকথ্য অত্যাচার করছে চীন। আর তারপরই আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে হোয়াইট হাউজে ঘুরে এলেন তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান লোবসাং সাঙ্গে।জানা গেছে, প্রায় দীর্ঘ ৬০ বছর পরে হোয়াইট হাউজে গেলেন তিব্বতের কোনও নেতা। এই ঘটনায় এখনো চীনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এ দিকে পর্যন্ত হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।তবে এর ফলে যে চীনের সাথে নতুন করে আরো সমস্যা তৈরী হবে এটা নিশ্চিত।

প্রেসিডেন্সি ত্যাগের আগ পর্যন্ত ট্রাম্প এরকম নানা অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড চালালে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, কর্তৃত্ববাদী আচরণের মধ্য দিয়েই ক্ষমতায় ট্রাম্পের উত্থান ঘটেছে এবং প্রেসিডেন্সিকালজুড়ে সেই আচরণ অব্যাহত ছিল। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক রুদ বেন গিয়াট ট্রাম্পের মধ্যে ‘প্রতিশোধপরায়ণতা’ আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিদায়ী প্রেসিডেন্টের শেষ দিনগুলোর দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

বাল্টিমোরভিত্তিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জন গার্টনারের মতে, ট্রাম্প ‘মারাত্মক আত্মপ্রেমী’। আর তাই এমন একজন মানুষ পরাজয় মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সমর্থকদের কাছে নিজের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করবেন এবং সেটা তাঁর জন্য স্বাভাবিক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন বিজয়ী হলেও এতদিন তার জয় স্বীকার করতে চাননি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশেষে সেই অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসছেন বলে মনে হয়। গত রবিবার (১৫ নভেম্বর) বাইডেনের জয় স্বীকার করলেও নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। এক টুইটে এমন কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

টুইটে বাইডেনের নাম না উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, তিনি জিতেছেন নির্বাচনে জালিয়াতি করে। কোনও নির্বাচনি পর্যবেক্ষক ছিল না, ভোট গণনা করেছে কট্টর বামপন্থী ব্যক্তিমালিকানার প্রতিষ্ঠান ডমিনিয়ন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নাম রয়েছে। তাদের সরঞ্জামগুলো খুবই বাজে, যা টেক্সাসের ভোট গণনার জন্যও যথাযথ ছিল না।

নির্বাচনের পরপরই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মামলা করেছিলেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে তার প্রায় সব মামলাই খারিজ হয়ে যাচ্ছে বা গিয়েছে। ভোট জালিয়াতির কোনো প্রমাণ না থাকায় আদালতে দায়ের করা মামলায় বাস্তব কোনো সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে ট্রাম্প শিবির। তবে ভোট কারচুপির কোনো অস্তিত্ব নেই বলেই মত দিয়েছেন বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষক।চলতি সপ্তাহেই ট্রাম্প এবং তার রিপাবলিকান সমর্থকরা চারটি পৃথক রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল আটকানোর জন্য করা মামলায় পরাজিত হয়েছেন বা তাদের মামলা খারিজ করা হয়েছে।অ্যারিজোনা,জর্জিয়া,মিশিগান,নেভাদা,পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন রাজ্যে রিপাবলিকানদের নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ খারিজ হয়েছে বা খারিজ হওয়ার পথে।কারন ভোট জালিয়াতইর আবেদনের পক্ষে আদালতের সামনে কোনো সঠিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি রিপাবলিকানরা।



ছবি - গুগল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচিত-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ক্ষমতা গ্রহণ থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টায় সফল হবেন না ট্রাম্প। তবে তার এই ভিত্তিহীন দাবির পুনরাবৃত্তি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থা হ্রাস করছে এবং ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে এই ধারণা জাগিয়ে তুলেছে যে বাইডেন একজন অবৈধ প্রেসিডেন্ট হবেন।

এদিকে গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) মিশিগান রাজ্যের ডেট্রয়েট শহরের একটি সংগঠন ও তিনজন ভোটার ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল জেলা আদালতে নির্বাচনের ফল অনুমোদনে বারবার বাধা দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মিশিগান ওয়েলফেয়ার রাইটস অর্গানাইজেশন নামের ওই সংগঠন ও তিন ভোটার মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মিশিগানে নির্বাচনের ফল অনুমোদনে বাধা দেওয়ায় এবং আইনপ্রণেতাদের চাপ দেওয়া থেকে ট্রাম্পকে বিরত থাকতে আদালতকে আদেশ দিতে অনুরোধ করেন।সেইসঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের বঞ্চিত করা বিশেষ করে ওয়েইন কাউন্টির ভোটারদের বঞ্চিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

ট্রাম্প ১৯৬৫ সালের ভোটাধিকার আইনের ১১ (বি) ধারা লঙ্ঘন করেছেন বলেও মামলায় দাবি করা হয়। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মিশিগানের ভোটের ফল অনুমোদনে তাঁর দল, রাজ্য ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের চাপ দিচ্ছেন। ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা মূলত কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত শহরগুলোকে টার্গেট করে ভোটে জালিয়াতির মিথ্যা অভিযোগ বারবার করছেন এবং এসব অভিযোগ আদালত থেকে খারিজ হয়ে যাচ্ছে।এর আগে মিশিগানে ট্রাম্প শিবিরের করা মামলা খারিজ করে দেন স্থানীয় আদালতের এক বিচারক। গত ৬ নভেম্বর ওই আদালতের বিচারক সিনথিয়া স্টিফেনস মামলাটি খারিজ করে দেন।

ট্রাম্প প্রশাসনেরও কিছু কর্মকর্তা একান্তে বলেছেন, তারা বুঝতে পারছেন বাইডেন জিতেছেন। কিন্তু পরাজয় মেনে নিতে প্রেসিডেন্টের আরো সময় প্রয়োজন।সার্বিক অবস্থা দেখে যা মনে হয় পূর্ব নির্ধারিত সময়ে ( ২০২১ সালের জানুয়ারী ২০ ) তারিখেই ট্রাম্প যাবে কারন তার আবারো ক্ষমতায় থাকার মত নৈতিক বা আইনি কোন অবস্থানই আর নেই । তবে যাওয়ার আগে তিনি ঠিক কতটা ক্ষতি আমেরিকা তথা বিশ্বপরিস্থিতির করে যান সেটাই এখন দেখার বিষয়।

২০২০ আমেরিকার নির্বাচন পরবর্তী ফলোআপ পোস্ট ৩ - Click This Link

তথ্যসূত্র : এএফপি, সিএনএন এবং দৈনিক সংবাদপত্র।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: রাজনীতি সবার জন্য সুখবর না। আনন্দময় না।
ট্রাম্পের কপাল এতই মন্দ তাদের দেশে করোনার জন্য তাকেই দায়ী করা হচ্ছে।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

রাজনীতি মুলতঃ রাজার নীতি।আর সুষ্ঠু ভাবে রাজ্য পরিচালনার জন্য অনেক সময় নিয়ম নীতি বিরুদ্ধ কিছু কাজ ও করতে হয় ।দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এগুলি মেনেও নেয়া হয়।কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রায় সব কাজ -কর্মই সমাজের প্রচলিত নিয়ম নীতির বিরুদ্ধ।এটাই সমস্যা।
আর করোনা নিয়ে কি বলা যায় বলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমে একে চায়না ভাইরাস বলেছে।পরে বলেছে করোনা আসলে কিছু নয়। পরে আবারো বলেছে করোনা বিরোধী দলের প্রপাগানডা ।সে নিজেই করোনা থেকে অধিক বেশী এবং ক্ষনে ক্ষনে চরিত্র পালটাচছে।আর তাই জনগন অসহ্য হয়েই তাদের এ জাতীয় মতামত দিচছে বলে মনে হয়।

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



কি রকম আচরণযকে কর্তৃত্ববাদী আচরণ বালা হয়?

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

কর্তৃত্ববাদী আচরণ বলতে " নিজ মতাদর্শকে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়া এবং প্রচলিত নিয়ম নীতির তোয়াককা না করাকেই" বুঝায় বলে আমি মনে করি।
অভিবাসী ও বিদেশীদের হুমকি হিসেবে উপস্থাপনের মাধ্যমে জাতিবিদ্বেষ ছড়ানো,সহিংসতাকে স্বাগত জানানো,স্বাধীন ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেসব সুরক্ষাব্যবস্থা থাকে তা দুর্বল করে দেওয়া ,ধর্মীয় সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য ও প্রশ্রয় দেওয়া ,বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য ব্যবহার এবং সহিংসতা উস্কে দেওয়া,সংবাদমাধ্যমকে “জনগণেরর শত্রু” বলে আক্রমণ করা এসব রীতি-নীতি বিরোধী কাজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে পুরো শাসনকাল করেছেন বা এখনো করছেন ।

সর্বোপরী তার- গণতান্ত্রিক শাসনের রীতিনীতি অগ্রাহ্য ,রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আইনি বৈধতাকে অস্বীকার,সহিংস পরিস্থিতিকে প্রশ্রয় দেওয়া বা সেটি আরো উস্কে দেওয়া,প্রতিপক্ষের (যার মধ্যে সংবাদমাধ্যমও আছে) নাগরিক অধিকার কমিয়ে আনার
চেষ্টা করা এসব কিছুর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কর্তৃত্ববাদী আচরণই প্রকাশ পাচছে।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ট্রাম্প একজন নোংড়া জোকার মানুষ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাদা মনের মানুষ ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

জোকারি আসলে খুব কঠিন একটা কাজ। সবাই এটা করতে পারেনা। জোকাররা ভাল মনের মানুষ হয়।কারন ,মানুষ হাসানো খুব কঠিন কাজ।আর জোকাররা এই কঠিন কাজটাই করেন অবলিলায় ।
আর ট্রাম্প !!! আসলেই একজন নোংড়া মানুষ যিনি আসলে আশেপাশের সবাইকে তার ক্ষমতার বলয়ে রাখতে এবং সবার উপর তার প্রভাব ব্স্তিার করতে চেষ্টা করেন।

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আগে আধ পাগলা মনে হতো, এখন ফুল।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

পাগলায় সবসময় নতুন ধরনের বা আলাদা কিছু করার চেষ্টা করেন।তবে এটা যে সবসময় ভাল ফল বয়ে আনেনা এ ধারনা তার নাই।আর তার মাত্রাজ্ঞান নেই বললেই চলে। চলার পথে যে কখন কোথায় থামতে হয় এটাই তার জানা নেই বা থামার চেষ্টা করেনা । মাঝে মাঝে যে থামতে হয় নতুন করে চলার জন্য এটা তার ধারনাতেই নেই।

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যা করার করা হয়েগেছে।বাকি কয়দিন বড় একটা কিছু করার নেই।এখন যাকিছু করবে সেটা তার ঝুলিতেই যাবে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুলইসলা০৬০৪ ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

মরন কামড় বলে একটা কথা আছে ।যাবার আগে এটাই সে করতে চাইবে।আর সে যে আচরন করছে তাতে আমাদের দেশের প্রচলিত একটা কথাই মনে করিয়ে দেয়,"আমি খাবনা তোকেও খেতে দিবনা" টাইপের । মানে আমি ক্ষমতায় না থাকতে পারলে এমন হাল করে যাব যে ,তোকেও শান্তিতে ক্ষমতায় বসতে বা থাকতে দিবনা ।
এমনিতেই সে আমেরিকা তথা পুরা পৃথিবীর অনেক ক্ষতি করেছেন এখন বাকি দিনগুলি বড় কোন ঘটনা না ঘটালেই ভাল ।অবশ্য সে যদি চায় তাহলে অনেক কিছুই করতে পারবে।কারন এখনো ৫৮ দিন বাকি।আর ম্যাসাকার করার জন্য ৫৮ দিন অনেক সময়।

৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পুরাই দেখি পাগল হয়ে উঠেছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কবিতা পড়ার প্রহর বহিন ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

খুবই প্রীত হইলাম যে আপনি লেখা পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন এই জন্য।

পাগলা ট্রাম্প বরাবরই পাগল।আর মেধাবী তথা সৃষ্টিশীল মানুষেরা বরাবরই পাগলা টাইপেরই হয়ে থাকে।আর তার পাগলামির নমুনা তার পরিবার তার জীবনব্যাপী দেখেছে আর বিশ্ব দেখেছে তার পুরো শাসনকাল জুড়ে।
তার পুরা শাসনকালই নানা ঘটনা-দূর্ঘটনায় ভরপুর । আর তার বেশিরভাগ কার্যকলাপই সুপার পাওয়ার আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সাথে মানানসই নয়।তারপরেও সাংবিধানিক বাধ্যকতার কারনে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হবার কারনে আমেরিকার জনগন তাকে এতদিন সহ্য করেছে। আবার তার পাগলামীপূর্ণ কাজকে দেশের অনেক মানুষ পছন্দও করেছে যার প্রমান নির্বাচনে পাওয়া গিয়েছে।
তার আত্মঅহমিকা বেশী।আর এই আত্মঅহমিকার কারনেই সে জনগনের রায় মেনে না নেয়ার চেষ্টা করছে। তবে পাগলায় পুরা পাগল হয়ে শেষ পর্যন্ত কিছু করেতে পারবে বলে মনে হয়না তবে কিছুটা ভজঘট করতে পারবে এটা এবং করবে এটা নিশ্চিত।

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পৃথিবীর এক নাম্বার রাষ্ট্রের এই প্রথম এক নাম্বার পাগল প্রেসিডেন্ট দেখলাম

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

ট্রাম্প বরাবরই পাগলা ।আর পাগলার আচরন সুপার পাওয়ার আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সাথে মানানসই নয় এটা ঠিক।তার পরেও এ জাতীয় পাগলেরা যুগে - যুগে ,কালে - কালে তাদের পাগলামীর দ্বারা ভাল কাজও করেছে দুনিয়ার কল্যাণে।তার মাঝেও সৃজনশীলতা আছে যার প্রমান তার ব্যবসায়িক সাফল্য এবং সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক মানুষ হয়ে প্রথমবারেই আমেরিকার মত সুপার পাওয়ার রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হয়ে।

মেধাবী তথা সৃষ্টিশীল মানুষেরা বরাবরই পাগলা টাইপেরই হয়ে থাকে।আর তার পাগলামির নমুনা তার পরিবার তার জীবনব্যাপী দেখেছে আর বিশ্ব দেখেছে তার পুরো শাসনকাল জুড়ে।তারপরেও সে "জাতে মাতাল তালে ঠিক" টাইপের পাগল বলেই রক্ষা পেয়েছে দুনিয়া বড় কোন দুর্ঘটনা থেকে ।এখন তার শাসনকালের বাকী কয়দিন বড় কিছু না ঘটালেই পাগলার জন্য এবং পাশাপাশি দুনিয়ার জন্য মংগল।

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার এমনি মনে হচ্ছে, মার্কিনিদের চিন্তা ধারায় কিছু পরিবর্তন আসবে আগামিতে, বিশেষ করে অভবাসিদের নিয়ে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই ,আপনার মন্তব্যের এবং দেরীতে জবাব দেয়ার জন্য দুঃখিত।

আমেরিকা অভিবাসীদেরই দেশ। আর এই অভিবাসীরাই আমেরিকার গঠন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।আর আমেরিকার উন্নয়নের স্বার্থেই অভিবাসীদের আমেরিকায় নেয়া হয়।কারন ,তারা সস্তায় যে শ্রম দেয় তা স্থানীয়দের পক্ষে সম্ভব না ।

তবে করোনা পরবর্তী বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে বা কমে গেছে ।সেই প্রভাব আমেরিকা তথা সারা দুনিয়ার অর্থনীতিতেই পড়বে বা পড়ছে।মানুষের আয় কমে যাওয়ার ফলে কেনা কাটা কমে যাবে আর এর প্রভাবে উৎপাদন মুলক কার্যক্রম কমে যাবে ।আর কেনা কাটা ও উৎপাদন কমে গেলে স্বাভাবিকভাবেই শ্রমের চাহিদা তথা শ্রমিকের চাহিদা কমে যাবে । ফলে সারা দুনিয়াতেই অভিবাসী শ্রমিকের চাহিদা কমে যাবে বলে মনে হয়।

তবে পাগলা ট্রাম্প যেভাবে অভিবাসীদের প্রতিপক্ষ ভেবে তাদের উপর খড়ঘহস্ত হয়েছে ,এটা আশা করা যায় যে নতুন প্রশাসন হয়ত এতটা কঠিন হবেনা অভিবাসীদের ক্ষেত্রে

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: হিটলারের মতোই যেনো তার পতন না হয়। তার এখনো সময় রয়েছে মিনিমাম ইজ্জত নিয়ে কেটে পড়ার।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মুজিব রহমান ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

আসলে মার্কিন নির্বাচনে হেরে গিয়ে অনেকটাই এলোমেলো ডোনাল্ড ট্রাম্প যদিও সে আগে থেকেই এই রকম । একবার পরাজয় মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে পরক্ষণেই তার উল্টো টুইট করছেন। সবশেষ টুইটে ফের ইউটার্ন নিলেন ট্রাম্প। কখনও পরাজয় মানবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। অথচ এর কয়েক ঘণ্টা আগে টুইটে ট্রাম্প হার মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দেন।

আসলে পাগলা ট্রাম্প যে কখন কি করবে তা আগে থেকে কেউ বলতে পারবেনা বা অনুমান করতে পারবেনা।তবে কিছু একটা করতে চাইবে এবং অসম্মানিত হয়েই বিদায় নিবে এটার সম্ভাবনাই বেশী বলে মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.