নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাম্প কি নিজেকে এবং নিজ সন্তানদেরকে ক্ষমা (Indemnity ) করতে পারবেন? (আমেরিকার নির্বাচন পরবর্তী ফলোআপ পোস্ট -১০ )।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৬



আনুষ্ঠানিকভাবে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনকে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির ইলেকটোরাল কলেজ। স্থানীয় সময় সোমবার (১৪/১২/২০২০ ) ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটরদের বৈঠকের মাধ্যমে জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জয় পাওয়ার পর দেওয়া ভাষণে জো বাইডেন বলেন, "মানুষের ইচ্ছার জয় হয়েছে"।

তারপরেও আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছেন নির্বাচন বাতিলের চেষ্টায়। কিন্তু শিক্ষিত জনগোষ্ঠী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও কোর্ট-আদালত নির্বাচনের প্রশ্নে কঠিন অবস্থানে আছেন। শুধু ট্রাম্প নিজে নন তার দলের উগ্রপন্থীরাও চেষ্টা কম করেননি। কোর্টসমূহে একের পর এক তার নির্বাচনে কারচুপির আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে। ট্রাম্প শেষ সময়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারককে বিপুল বাধার মুখে নিয়োগ দিয়েছিলেন এ আশায় যে, তিনি সুপ্রিম কোর্টে তার সমর্থন পাবেন।তার সে আশা সফল হয়নি। সব বিচারক মিলেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট তার মামলা খারিজ করেছেন। তার নিজের মন্ত্রিসভা ও উপদেষ্টাদের কেউ কেউ তার ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করে নীতির প্রশ্নে পদত্যাগ করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিয়মবহির্ভূত হস্তক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে একজন শীর্ষস্থানীয় জেনারেল মার্ক এ মিলে ডিফেন্স সেক্রেটারির উপস্থিতিতে বলেন, "আমরা কোনো রানী, বাদশার কাছ থেকে শপথ নেইনি। আমরা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি অনুগত নই। আমাদের শপথ শাসনতন্ত্র মেনে চলার। তারা যেকোনো মূল্যে শাসনতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখা ও রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করবেন"।

নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেও নির্বাচনের ফলাফল বিতর্কিত করতে ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা সক্ষম হননি। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিন্তু জনগণের যথেষ্ট ভোট পেয়েছিলেন। তারপরও জো বাইডেন প্রচুর ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে জো বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ইলেকটোরাল ভোট। কোনো প্রমাণ ছাড়াই এবারের মার্কিন নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন বলা হচ্ছে, ট্রাম্প যে শুধু ক্ষমতা পাগল তাই নয়, ক্ষমতায় না থাকলে দুর্নীতির মামলায় তার জেলও হতে পারে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত ও শুরু হয়েছে।



তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য নির্বাচনে জয়-পরাজয়ই শেষ কথা নয়, তাঁর জন্য নানা রকম দুঃসংবাদ তাড়া করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বেশ কিছু মামলা মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে বেশ কিছু সিভিল মামলার সঙ্গে অপরাধজনিত মামলাও রয়েছে। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাওয়া আইনি সুবিধা হারানোর পর ট্রাম্পের নাজুক ভবিষ্যৎ নিয়ে এর মধ্যেই কথা উঠেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার না করলেও ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আগে তিনি নিজের তিন সন্তান, আইনজীবী, বন্ধুবান্ধবসহ আরো অনেককে ‘ক্ষমা’ ঘোষণা করতে পারেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। যাতে কোনো অপরাধের কারণে তারা আইনি জটিলতার মুখে না পড়েন।

কিন্তু কোনো অভিযোগে বিচার শুরুর আগে প্রেসিডেন্ট কাউকে ক্ষমা করতে পারেন কি না তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে ব্যাপক আলোচনা। কারণ সাধারণত ক্ষমা তাদেরই করা হয়, যাদের বিরুদ্ধে বিচার চলছে বা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ক্ষমতা ছাড়ার আগে ট্রাম্প নিজেকেও নিজেই ক্ষমা করার নির্দেশনায় স্বাক্ষর করতে পারেন। নিজেকে এমন ক্ষমা করার নির্দেশনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করতে পারেন কি না, এ নিয়েও সংবিধানে স্পষ্ট নির্দেশনা নেই বা ইতিহাসে এমন কোনো নজিরও নেই।

ক্ষমতা ছাড়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যে মামলাগুলোর মুখোমুখি হতে হবে সে মামলাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হচ্ছে "ট্রাম্প অর্গানাইজেশন" নিয়ে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের তদন্ত। ব্যক্তি ট্রাম্পের ব্যবসার আড়ালে আর্থিক অব্যবস্থাপনা এবং কর ফাঁকি দেওয়ার তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে এ তদন্তে।

২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা নারীর মুখ বন্ধ করার জন্য অর্থ প্রদানের মামলাটিও জেগে উঠতে পারে। আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে দিয়ে নির্বাচনের প্রচার তহবিল থেকে এমন অর্থ দিয়ে অভিযোগ আনা নারীর মুখ বন্ধ করিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ মামলার তদন্ত ব্যাপক হতে পারে। ব্যাংক জালিয়াতি, বিমা জালিয়াতি, জালিয়াতি করে কর ফাঁকি দেওয়া, ব্যবসার নথিপত্রে জালিয়াতি নিয়ে তদন্ত বিস্তৃত হবে বলে সংবাদ বেরোচ্ছে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন ডিসি এবং ম্যারিল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেলরা ব্যক্তিগত স্বার্থে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছেন এবং এসব নিয়েও তদন্ত শুরু হবে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক নারীর ক্ষতিপূরণ মামলাও চাঙা হয়ে উঠবে। এ ছাড়া ট্রাম্পের ভাইয়ের মেয়ে মেরি ট্রাম্পের একটি মামলাও ঝুলে আছে তাঁর বিরুদ্ধে। জালিয়াতি করে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করে আসছেন মেরি।

ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নানা আইনি সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ নিজের বিরুদ্ধে আনা আইনি অভিযোগ মোকাবিলার জন্য ব্যবহার করে আসছিলেন। মার্কিন সংবিধানে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে অপরাধ থেকে পূর্ণ দায়মুক্তি দেয় কি না, এ নিয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা নেই। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন সুবিধা ব্যবহার করে আসছিলেন।

এরই মধ্যে ট্রাম্প তার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। যিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তে এফবিআইকে মিথ্যা বলে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কিন্তু যে অপরাধ হয়নি বা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই তাদের আগেভাগে ক্ষমা করা যায় কি?

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ১৮৬৬ সালে স্পস্টভাবে জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্টের ক্ষমা করার ক্ষমতা আইনত সব অপরাধের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে। এই ক্ষমতা অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর চর্চা করা যেতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিচার হয়েছে এমন মানুষদের ক্ষমা করা হয়। এই ক্ষমা নিয়ে সরকারের কোনো শাখা পর্যালোচনা করতে পারবে না। আর প্রেসিডেন্টের কারণ ব্যাখ্যা করার কোনো প্রয়োজনও নেই। তবে এই ক্ষমা করার ক্ষমতা "অ্যাবসোলুট" নয়। ফেডারেল অপরাধের ক্ষেত্রেই কেবল এই ক্ষমতার চর্চা সম্ভব।

খবরে বলা হয়েছে, অবশ্যই ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ লোকদের এমনকি পরিবারের সদস্যদের ক্ষমা করতে পারেন। ২০০১ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তার ভাইকে ক্ষমা করেন। যিনি কোকেন রাখার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু দেখার বিষয় হলো—ট্রাম্পের সন্তানরা কোনো অপরাধে অভিযুক্ত নন। ট্রাম্প কেন তাদের ক্ষমা করতে চান সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। যদিও ট্রাম্প এবং তার প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ নিয়ে সন্তানদের যেন বিচারের মুখোমুখি হতে না হয় হয়তো সেটিই নিশ্চিত করতে চাইছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক নিজের লোকজনকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছেন। ট্রাম্পঘোষিত সাধারণ ক্ষমার সবশেষ তালিকায় তাঁর বেয়াইও আছেন। গত বুধবার (২৩/১২/২০২০ ) ট্রাম্প আরও ২৬ জনকে সাধারণ ক্ষমা করে তাঁদের দণ্ড মওকুফ করেছেন। কাউকে কাউকে ভবিষ্যৎ বিচার থেকেও দায়মুক্তি দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ট্রাম্পের সাবেক প্রচার ব্যবস্থাপক পল ম্যানাফোর্ট, দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা রোজার স্টোন, জামাতা জ্যারেড কুশনারের বাবা চার্লস কুশনার প্রমুখ

মার্কিন সংবিধানে প্রেসিডেন্টকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা এবং কোনো অপরাধের দায়মুক্তি দেওয়ার অবাধ ক্ষমতা দেওয়া আছে। বিচার বিভাগে এমন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। সেখান থেকেই এসবের সুপারিশ করা হয়ে থাকে।সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাধারণ ক্ষমা পাওয়া ৬৫ জনের মধ্যে মাত্র পাঁচজনের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের এমন সুপারিশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হার্ভার্ডের আইনের অধ্যাপক জ্যাক গোল্ডস্মিথ।



আর এ সব ঢামাঢোলের মাঝেই ট্রাম্পের জন্য এলো আরও এক দুঃসংবাদ। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। টুইটারের একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার ফোর্বস ম্যাগাজিনকে একথা জানিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ট্রাম্প টুইটারে করোনাভাইরাস নিয়ে লাগাতার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও নির্বাচনে জালিয়াতি সম্পর্কে মিথ্যা দাবি প্রচার করেছেন। তার এসব দাবি দেশটির নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং বিচার বিভাগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। যে কারণে টুইটারকে 'সত্যতা যাচাই করতে' এবং নির্দিষ্ট টুইটের ওপর সতর্কতার লেবেল লাগাতে বাধ্য করছে।

টুইটারের "ওয়ার্ল্ড লিডার পলিসি"র আওতায় পড়ায় এতোদিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। ওয়ার্ল্ড লিডার নীতির আওতায় সাধারণত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যেমন- প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য শাসকদের গণ্য করা হয়। এদের মধ্যে যাদের যথেষ্ট সংবাদ-মূল্য আছে তারা টুইটারের কিছু নিয়ম ভঙ্গ করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সেই সুবিধাই ভোগ করে আসছেন ট্রাম্প। যদিও গত কয়েক মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ কিছু টুইটে সতর্কতা চিহ্ন যোগ করে গোপন করে রাখে টুইটার। সতর্কতা পড়ার পর আগ্রহীরা চাইলে ক্লিক করে সেসব পোস্ট দেখতে পেতেন। কিন্তু তাতেও ট্রাম্পকে থামানো যাচ্ছে না।

"জানুয়ারির ২০ তারিখের পর থেকে ট্রাম্প আর ‘ওয়ার্ল্ড লিডার নীতি’র আওতায় পড়বেন না। সাধারণ নাগরিকদের মতোই তাকে টুইটারের বিধিমালা মেনে চলতে হবে", টুইটারের ওই মুখপাত্র বলেন ফোর্বসকে।

ফক্স নিউজের একটি নতুন জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট হিসাবে মনে রাখবেন। উপরন্তু ৮ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তারা ট্রাম্পকে তালিকায় গড়পরতার আরো নিচে স্মরণ করবেন। অবশ্য এই জরিপের ২২ শতাংশ ভোটার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সর্বকালের সেরাদের একজন হিসাবে মনে রাখবেন। তাছাড়া আরো ১৬ শতাংশ ভোটার তাকে ওই গড়ের উপরের দিকে এবং ১০ শতাংশ গড়ের নিচের দিকে রাখবেন বলে ওই জরিপে বলা হয়েছে। এই জরিপ বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন সিএনএন।

মূলত প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ট্রাম্পের ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় যত এগিয়ে আসছে, সেই সঙ্গে আমেরিকার জনগণ এবং ইতিহাসবিদরা তাকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণে দেখতে শুরু করেছেন। তারা ট্রাম্পকে এখনকার এবং কয়েক বছরের মধ্যে কীভাবে দেখবেন সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন। আর সেটা নিয়েই এখন আলোচনা হচ্ছে সেখানকার জনগণের মধ্যে। তবুও এটি খুব স্পষ্ট যে, ইতিহাসবিদরা এবং অনেক ভোটার এটা মনে করেন যে, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেই তারা সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট হিসাবে স্মরণ করবেন"।

এদিকে কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ক্ষমতা ছাড়ার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকেও ক্ষমা করতে পারেন। ২০১৮ সালে তিনি বলেছিলেন নিজেকে ক্ষমা করারও "পরিপূর্ণ অধিকার" তার রয়েছে। এ বিষয়ে মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ব্রিয়ান কাল্ট বলেন, যদি কেউ প্রশ্ন করেন প্রেসিডেন্ট কি নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন, আমি বলব সেটা সব সময় সম্ভব। ট্রাম্প এটি করতে পারেন। কারণ সংবিধানে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর নেই।

যদিও অনেক আইনজীবী বলছেন, নিজেকে ক্ষমা করা হবে অসাংবিধানিক। কারণ এটি মৌলিক নীতির লঙ্ঘন। কেউ নিজে তার অভিযোগের বিচারক হতে পারেন না। বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছে, ট্রাম্প নিজেকে আগাম ক্ষমা করতে পারেন যাতে দায়িত্ব ছাড়ার পর তাকে সম্ভাব্য বিচারের মুখে পড়তে না হয়।




পূর্ববর্তী পোস্ট - Click This Link
(আমেরিকার নির্বাচন পরবর্তী ফলোআপ পোস্ট -৯ )।




তথ্যসূত্র - ফক্স নিউজ,সিএনএন, সংবাদপত্র, নিবন্ধ ,সম্পাদকীয় এবং ছবি - গুগল।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ট্রাম্পের কাছে বাংরাদেশের সম্পর্কে কেউ একজন অখভযোগ করেছিলেন - বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের অভিাশাপে ট্রাম্প, হারু ট্রাম্প হয়ে গেছেন।

এই পোস্টে কোনো মন্তব্য নাই কেনো?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ঠাকুর মাহমুদ ভাই, আপনার প্রথম এবং একমাত্র মন্তব্যের জন্য।

প্রিয়া সাহা নামের একজন বাংলাদেশী অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্পের নিকট।তার পরাজয়ের ব্যাপারে আপনার ধারনা :P সঠিক হতে পারে তবে আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষের অভিশাপে নয় নির্বাচনে হার-জিত হবেই - একজন হারবে আরেকজনকে জিতাবার জন্য। আর তাই সে হেরেছে। তবে হারার আগে সে গো হারা হারেনি । লড়াই করেই হেরেছে বীরের মত।যদিও সে এখনো এই হারকে মেনে নিতে পারছেনা। তিনি একজন প্রকৃত যোদ্ধা । তবে কখনো কখনো যে থামতে হয় ,হারতে হয় এটাই সে বুঝতে চাচছেনা।

আর ,প্রত্যেকেরই মন্তব্য না করার ব্যাপারে পছন্দ /অপছন্দ আছে।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমেরিকা আসলে খুবই শক্তিশালী দেশ এবং দেশের জন্য দেশের আইন ও প্রশাসন পরিচ্ছন্ন। সমগ্র বিশ্বের জন্য আমেরিকা ভালো মন্দ সে ভিন্ন বিষয়। কিন্তু আমেরিকানদের জন্য আমেরিকা একটি ভালো দেশ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ঠাকুর মাহমুদ ভাই,আবারো আসার জন্য। ৷ আমেরিকা অনেক গুলি কারনেই ভাল অবস্থানে আছে। আর যে সমস্ত উপাদান গুলি থাকলে একটি দেশ বা জাতি ভাল চলে তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। আর তার সাথে শক্তি শালী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনিক জবাব দিহীতা।আর এ সব গুলি উপাদান ই চমতকার ভাবে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে। আর তাই তারা চমৎকার একটি দেশ। এখন এটাই কোটি টাকার প্রশ্ন- তারা সারা দুনিয়ার জন্য কতটুকু ভাল।৷৷ আসলে একজন মানুষ বা একটি দেশ শতভাগ ভাল হতে পারে না। কারোর জন্য আমেরিকা ভাল আর কারোর জন্য খারাপ হবে। এটাই সত্যি।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: টেরাম কাক্কু সবই পারে নিজেকেও ক্ষমা করতে পারে!

কাক্কুর ২য় ছবিটা জোসস :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেদি হাসান ভাই,আপনার রসিক মন্তব্যের জন্য। পাগলা ট্রাম্প আসলে অনেক কিছুই নতুন করেছে, যেগুলো আগে কেউ করেনি বা করার চিন্তা ও করেনি।আর এটাও করবে,নিজেকে নিজে ক্ষমা। তার কারন, পাগলেও নিজের ভাল বুঝে।৷ ৷ ৷৷৷ ৷৷
আর পাগলার সব কিছুই |-) জোস

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচনে হেরে ট্রাম্পের জীবনটা বদলে গেলো।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

ট্রাম্প বিলিওনিয়ার এবং ভিন্ন চরিত্রের মানুষ। সে ব্যবসায়ী হিসাবে ও সফল। তার শাসনকালের কিছু ঘটনার জন্য তাকে হয়ত জবাবদিহী করতে হবে পরে এটা ঠিক।
তবে আমার মনে হয় সে সবকিছু,সব ঝামেলা সফল ভাবেই মোকাবেলা করতে পারবে তার কারিশমা দিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.