নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমনওয়েলথ (ময়নামতি) যুদ্ধ সমাধি - যেখানে প্রকৃতির নির্মল ছায়ায় ঘুমিয়ে আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭৩৭ যোদ্ধা

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৬




সবুজ পাহাড়ের প্রকৃতির কোলে দাড়িয়ে আছে কমনওয়েলথ (ময়নামতি) ওয়্যার সিমেট্রি বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সমাধি ।প্রথমেই চোখে পড়বে সবুজ ঘাসের গালিচায় হরেক রংগের ফুল।গাছ-গাছালি ঘিরে সুনসান নিরবতা।এখানে শায়িত আছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকরা।কুমিল্লা জেলায় কমনওয়েলথ (ময়নামতি) যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্র অবস্থিত।১৯৪১-৪৫ সালে বার্মায় ( বর্তমানে মিয়ানমার ) সংঘটিত যুদ্ধে যে ৪৫ হাজার সৈনিক নিহত হন তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে বার্মা,আসাম এবং বাংলাদেশে মোট ৯ টি রণ সমাধিক্ষেত্র তৈরী করা হয়।বাংলাদেশে মোট ২ টি রণ সমাধিক্ষেত্র আছে।যার অন্যটি চিটাগাং শহরে অবস্থিত।

জানা যায় ,ময়ানামতি যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্র মূলত: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ভারতীয় ও বৃটিশ সৈন্যদের কবরস্থান।সমাধিক্ষেত্রটি প্রতিষ্ঠা করেছেন কমনওয়েলথ ওয়্যার গ্রেভস কমিটি।সেসময় ময়নামতি একটি ছোট গ্রাম হলেও পরে সেনাবাহিনীর বড় ঘাটিতে পরিণত হয় এবং একটি হাসপাতাল ও তৈরী করা হয়।এ ছাড়া কুমিল্লা ছিল যুদ্ধ সরঞ্জাম এর সরবরাহের ক্ষেত্র।বিমান ঘাটি এবং ১৯৪৪ সালে ইম্ফলে স্থানান্তুর হওয়ার আগে বৃটিশ সেনাবাহিনীর চর্তুদশ সদর দফতর ছিল এখানে।



কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের উত্তরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম পাশে বুড়িচং উপজেলায় এর অবস্থান।স্থানীয়দের কাছে এটি ইংরেজ কবরস্থান নামেই সমধিক পরিচিত।এ সমাধিক্ষেত্রটি দুটি স্তরে বিভক্ত ।মূল ফটক পেরিয়ে প্রবেশ করলে দেখা যায় দু'পাশে সাজানো সমাধি।সামনে সিড়ি বেয়ে কিছুটা উঠলে প্রার্থনা কক্ষ আর মাঝে শ্বেতপাথরের যিশুখৃষ্টের ক্রুসের চিহ্ন।তার উপরে অর্থ্যাৎ সমাধির পিছনের অংশে নিহত মুসলিম সৈনিকদের কবর।কুমিল্লার শহর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে সাড়ে চার একর উচু-নীচু টিলাভূমিতে এ সমাধিসৌধে ৭৩৮ জনকে সমাহিত করা হয়েছিল ।তবে ১৯৬২ সালে এক সমাহিত সৈনিকের দেহাবশেষ আত্মীয়-স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যায়।ফলে বর্তমানে এখানে ৭৩৭ টি সমাধিক্ষেত্র রয়েছে।

এখানে সবাই এটাকে ইংরেজ কবরস্থান বললেও প্রকৃতপক্ষে এখানে শায়িত আছেন মুসলিম,বৌদ্ধ,হিন্দু,ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের সৈনিকরা।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কুমিল্লার ময়নামতিতে ছিল মিত্র বাহিনীর চিকিৎসা কেন্দ্র।যুদ্ধে আহত সৈনিকদের চিকিৎসা দিতে এখানে নিয়ে আসা হত।চিকিৎসাধীন অনেক সৈনিক মারা যাওয়া ছাড়াও ঢাকা,ফরিদপুর,সিরাজগঞ্জ,সৈয়দপুর প্রভৃতি স্থানে নিহত সৈনিকদের লাশও এখানে সমাহিত করা হয়।এখানে সমাহিত হওয়া ৭৩৭ জনের মধ্যে ১৪ জন সৈনিকের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।সমাধিতে সাধারন সৈনিক থেকে ব্রিগ্রেডিয়ার পদমর্যাদার অফিসারকেও সমাহিত করা হয়।



বছরে ২ ঈদের দিন ছাড়া সাপ্তাহিক ছয়দিন সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ১২ টা এবং দুপুর ১ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সর্ব সাধারনের জন্য খোলা থাকে।১২ টা থেকে ১ টা বিরতি।

এখানে সমাহিত হওয়া ৭৩৭ জনে সৈনিকের মধ্যে বাহিনী অনুযায়ী - ৩ জন নাবিক,৫৬৭ জন সৈনিক এবং ১৬৬ জন বৈমানিক সমাহিত আছেন। ১৪ জন সৈনিকের পরিচয় জানা সম্ভব হ্য়নি।

সমাধিক্ষেত্রের ৭৩৭ জনে সৈনিকের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ৩৫৭ জন ,কানাডার ১২ জন,অস্ট্রেলিয়ার ১২ জন ,নিউজিল্যান্ডের ৪ জন,দক্ষিন আফ্রিকার ১ জন ,বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের ১৭৮ জন,জিম্বাবুয়ের ৩ জন,পূর্ব আফ্রিকার ৫৬ জন ,পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন,বার্মার ১ জন এবং জাপানের ২৪ জন যুদ্ধ বন্দীর কবর রয়েছে।তাছাড়া ১ জন বেসামরিক ব্যক্তিকেও এখানে সমাহিত করা হয়।
প্রতিটি সমাধিতে নিহত সৈনিকের নাম,বয়স,পদবীসহ মৃত্যুর তারিখ ও জাতীয়তা লেখা রয়েছে।সমাধিক্ষেত্রটির চারদিকে প্রতিরক্ষা বেড়া রয়েছে।প্রতিটি সমাধির পাশে নানরকম ফুল ও পাতাহার গাছের দ্বারা সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে।ময়নামতি যুদ্ধ সমাধিতে শুধু মিত্রবাহিনীর সৈনিকদের সমাহিত করা হয়েছে এমনটি নয় এখানে জাপানী সৈন্যদেরও কবর রয়েছে।





সমাধিক্ষেত্রটির প্রবেশমুখে একটি তোরনণ রয়েছে।যার ভিতরের দেয়ালে সমাধিক্ষেত্রের ইতিহাস ও বিবরন ইংরেজী ও বাংলায় লেখা রয়েছে।তোরন ঘর থেকে সামনে প্রশস্ত পথ।যার দুই পাশে সারি সারি এপিটাফ।তাতে নিহতের নাম ,পরিচয়,মৃত্যু তারিখ লেখা রয়েছে।এপিটাফে প্রত্যেকের ধর্ম অনুযায়ী ধর্মীয় প্রতিক লক্ষ্য করা যায়। খ্রিস্টানদের এপিটাফে ক্রুশ আর মুসলমানদের এপিটাফে আরবী লেখা।এই প্রশস্ত পথ ধরে সামনে রয়েছে সিড়ি দেওয়া বেদি।বেদির উপর খ্রিস্ট ধর্মের ক্রুশ ।বেদির দুই পাশে আরও দুইটি তোরণ ঘর।এ দুটি তোরন ঘর দিয়ে সমাধির পেছনের অংশে যাওয়া যায়।



সমাধিক্ষেত্রের সামনের অংশের প্রশস্ত পথের পাশেই ব্যতিক্রমি একটি কবর রয়েছে যেখানে একসাথে ২৩ টি এপিটাফ দিয়ে একটি স্থানকে ঘিরে রাখা হয়েছে। স্থানটি মুলত: ২৩ জন বিমান সেনার একটি গণকবর।

প্রতি বছর নভেম্বর মাসের ১১ তারিখে কমনওয়েলথ দেশসমুহের বাংলাদেশে নিয়োজিত হাইকমিশনার / কূটনীতিকগণ ছুটে আসেন ওয়ার সিমেট্রিতে । তারা সবাই সৈনিকদের প্রতি জানান ফুলেল শ্রদ্ধা আর সব ধর্মের ধর্ম গুরুদের সমন্বয়ে হয় বার্ষিক প্রার্থনা সভা ।

তথ্যসূত্র - সংগহীত ,ছবি - গুগল ।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

জুন বলেছেন: ময়নামতি সিমেট্রিতে আমি গিয়েছি বেশ অনেক বছর আগে। আপনার পোস্ট পড়ে মনে পরে গেলো অনেক কথা। চিটাগং এর টাতেও গিয়েছিলাম । থাইল্যান্ডের কাঞ্চনাবুরি যেখানে কাওয়াই নদীর উপর ব্রীজ বানিয়েছিল জাপানি সৈন্যরা মিত্র বাহিনীর বন্দীদের দিয়ে সেখানেও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের নিহত সৈনিকদের সিমেট্রিটাও আমি দেখেছি। তবে সবচেয়ে বিস্মিত হয়েছিলাম মিয়ানমার ভ্রমনে গিয়ে। যখন আমাদের হোটেলের সামনে বসে থাকা ট্যাক্সিআলাদের সাথে ফ্রি চা খেতে খেতে কথা প্রসঙ্গে পরদিন ওয়ার সিমেট্রিতে যাওয়ার কথা বলছিলাম তখন তাদের কাছে শুনলাম সেখানে যুদ্ধে নিহত জাপানি সৈনিকদের ও একটি সিমেট্রি আছে। মিত্র বাহিনীর টা তো অসাধারণ আর ওয়েল মেইন্টেন্ড কিন্ত জাপান যারা সৌন্দর্যের পুজারী তাদের কবরগুলো দেখে মায়া লাগছিলো কামরুজ্জামান। একবার মনে হয় কোন জাপানি পিএম ভিজিট করেছিল তাই একটা দিক অপরূপ।
মনে হচ্ছিল ওরা তো সাধ করে নিজের ইচ্ছায় যুদ্ধ করতে আসেনি, এসেছে সম্রাটের হুকুমে। অনাদরে অবহেলায় পরে থাকা কবরগুলো দেখে খুব মায়া লাগছিলো আমার। এ নিয়ে ব্লগে আমার ছবি + ইতিহাস পোস্ট আছে নাম মুদ্রার এপিঠ ও পিঠ।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
+

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন জুন, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপানার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

আমি রিম সাবরিনা জাহান কে লেডি বতুতা ( ইবনে বতুতার পরের এবং লেডি ভার্সন ) বলি কিন্তু ভূলে গেছি যে আমাদের আরেকজন লেডি বতুতা আছেন ( জুন বহিন)।আসলে দেশ ভ্রমণের মত মজার এবং দেখার ,জানার ও বোঝার সুযোগ বাকী কোথায় পাওয়া যায়না।আপনার এবং রিম সাবরিনা জাহানের কল্যাণে আমরা দেশ বিদেশের নানান জায়গা-ঘটনা দেখতে পাই আপনাদের কল্যাণে(ভূয়া ভাই - ভুইয়া নয় - আবার রাগ করতে পারে,কারন ভূয়া ভাইও দারুন ভ্রমণ কাহিনী আমাদের উপহার দেন )।তার জন্য আপনাদের সকল বতুতা ( লেডি/জেন্টস )দেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আসলে এটাই মানুষের জীবন। জীবনে আমরা এমন অনেক কিছু করি/ভোগ করি যে ঘটনায় আমাদের কোন হাত নেই অ্থচ তার জন্য জীবন ও দিতে হয়।সব নিহত সৈনিকদের যদি মতামত জানতে চাইত তাহলে মনে হয় কেউ একজনও যুদ্ধ করতে আসত না ।আর তাই কথায় আছে "রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে উলুখাগড়ার প্রাণ যায়"।

ঘরের কাছে এর অবস্থান ।শৈশব থেকে সবসময় অসংখ্যবার / বার বার দেখি কিন্তু চোখের দেখা যে পরিপূর্ণ দেখা নয় এবং শৈশব থেকে দেখেও তা সম্পর্কে কত কম জানি - তা এ সম্পর্কিত দৈনিক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন পড়ে উপলব্ধি হ্য়।তার পর থেকেই ওয়্যার সিমেট্রি সম্পর্কিত - তথ্য, সিমেট্রির প্রাংগন / এ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং সর্বোপরী গুগল মামার সাহায্যে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জানার প্রচেষ্টা।আর এর পরিণতিতেই এই পোস্ট প্রসব।

সবশেষে, আপনার চমতকার মন্তব্য পড়ে নিজের লেখাটাকে সফল মনে হচছে।তার জন্য আবারো আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৮৯ সালে একবার গিয়েছিলাম। সিমেট্রিটা সুন্দর ও গোছানো। অনেক কিছু জানা গেলো আপনার লেখা থেকে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই (বোন ও অইবার পারেন কারন কাল্পনিক ভালবাসা ও ঢুকিচেপা কে আমি বোন বলেই জানতাম এবং B-)) -- হরনের দোষে দোষী), আপনার মন্তব্যের জন্য।

যদি সৌন্দর্যের কথা বলেন ,আসলে তার পরিবেশ এবং রক্ষনাবেক্ষন চমতকার।আপানকে কিছু জানাতে পেরে নিজের কাছে ভাল লাগছে।

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭

শায়মা বলেছেন: ময়নামতি সিমেট্রিতে আমিও গিয়েছিলাম।

এত সুন্দর একটা পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানা গেলো ভাইয়া।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: শায়মা বনি , কেমন আছেন আপনি? নতুন বছরের শুভেচছা রইল আপনার প্রতি।

আপনাকে /কবিতা পড়ার প্রহরকে সব সময় আমি খুজি । কেন জানেন? আমি প্রেমের গল্প ব্যাপোক বালা :P ভাই। তাই অপেক্ষায় কবে আসবে আর একখান সফল প্রেমের গল্প তার জন্য।

আপনি ময়নামতি সিমেট্রিতে গিয়েছিলেন - আহা ঘরের সাথে ।মিস করলাম আপনাকে।

আপনার বিদ্যালয় কবে খুলবে বা নতুন বছরে কিভাবে হবে পাঠদান ? তাকি অনলাইন ই থাকবে না বিদ্যালয় খুলবে ?

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: কোথায় কার দেশ আর কোথায় শুয়ে আছে!!!!!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আরে আরে আজ কি হল !!! সব প্রিয়জনরা যে এসে গেছে । কিভাবে যে আপ্যায়ন করি ??

ভাল লাগল ,ঢুকিচেপা ভাই । আপনাকে দেখে।

সেটাই ।জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ,আপন জন ছেড়ে আমরা সবাই কে যে কোথায় যাই আর কোথায় যে শুয়ে ( কবর হবে) থাকব কেউ আমরা জানিনা। এটাই মানুষের জীবন ,বড় নির্মম এই দুনিয়া ও জীবন।

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জুন বলেছেন: সেই দশ বছর আগে প্রথম থেকেই আমার ব্লগের উপরে প্রোফাইলেই লেখা আছে ইবনে বতুতার ব্লগ #:-S

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন জুন,আবারো ধন্যবাদ আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

খেয়াল করি নাই বনি।ব্যাপক :(( শরমিনদা।স্বাগতম লেডি বতুতা ,কাভি নেহি ভুলেংগা আপকো।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

রামিসা রোজা বলেছেন:

অনেক ছোট থাকতে গিয়েছিলাম কিন্তু আপনার দেয়া পোস্ট
পড়ে নতুন করে জানলাম, তথ্যবহুল লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রামিসা রোজা বোন, আপনার মন্তব্যের জন্য।৷ আপনার মত আমারও একই অবস্থা। ঘরের সাথে এই স্থাপনা আর কতশত বার যে গিয়েছি তার কোন হিসাব নেই। কিন্তু একবার পত্রিকায় এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন পড়েই এর ব্যাপারে বিস্তারিত জানার আগ্রহ জাগে। আর তার চেস্টাই এ পোস্ট। আসলে আমরা যা প্রতিনিয়ত দেখি,সেই দেখা ও জানা যে সম্পুর্ণ নয় তাই বুঝা যায়।অথচ আমরা ভাবি,আমরা সব জানি।৷ আপনাকেও ধন্যবাদ কস্ট করে পড়ার জন্য।

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওখানে গেলে কোন দোয়া পড়তে হবে?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাদগাজী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।৷৷ যেহেতু এটা কবরস্থান এবং মুসলমানদের কবর ও আছে তাই আপনি চাইলে দোয়া করতে পারেন। কারন সকল মুসলমানদের ই কবরবাসীদের জন্য দুয়া করা উচিত।

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা। অনেকবার গিয়েছি ।তবে অনেক তথ্য এখন জানলাম

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল লাগলো, গিয়েছেন জেনে। পড়ার জন্য শুকরিয়া।

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৬

ওমেরা বলেছেন: অনেক তথ্যই জানা হল তাই সংগৃহীত হলেও লাইক দেয়াই যায় ।সাথে ধন্যবাদও রইল আপনার জন্য।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা বোন, আপনার মন্তব্যের জন্য। জানার চেষ্টাতেই সংগ্রহ। আর সংগৃহীত তথ্য আপনাদের সবার সাথে শেয়ারে জন্যই এ পোস্ট।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার এবং লাইকের জন্য।

১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৯

সোহানী বলেছেন: অনেকবারেই গেছি দেশে থাকতে। কারন চিটাগাং ওয়ার সিমেট্রিতে আমার বড় বাবা অর্থ্যাৎ আমার বাবার দাদার সমাধি আছে। উনি বৃটিশ নৈাবাহিনীতে ছিলেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধে শহীদ হোন।

ভালো লাগলো স্মরণ। অনেকদিন থেকেই উনাকে নিয়ে লিখার চিন্তা করছি কিন্তু দেশের বাইরে থাকার কারনে তথ্য জোগাড় কঠিন আমার জন্য। উনি বৃটিশ নৈাবাহিনী থেকে মেডেল পেয়েছিলেন। ছোটবেলায় দাদার বাড়িতে দেখেছিলাম সে মেডেল ও প্রশংসাপত্র। কিন্তু এর পরে তা হারিয়ে যায়।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী,আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য এবং ভাল লাগল এই জেনে আমাদের আপনজন( ব্লগারদের) দের মাঝেও শহিদদের পরিবারের সদস্য আছে। আপনার বড় দাদার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং আল্লাহ উনার বিদেহী আত্মার শান্তি প্রদান করুন।৷৷ বোন, চেস্টা চালিয়ে যান,ইনশাআল্লাহ সফলকাম হবেন।আর পূব' পুরুষদের ইতিহাস ঐতিহ্য যদি আপনার লেখার মাধ্যমে উঠে আসে তবে তা আপনার জন্য ও সম্মানের আর আমরা জানতে পারব এক শহীদের অজানা কাহিনী।৷৷৷৷৷ আশা করি আপনি চেস্টা করবেন আপনার সাধ্যনুসারে।

১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঐতিহাসিক একটা স্থানকে চাক্ষুষ করানোর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। বেশ ভালো লাগলো।ফিরে গেলাম যেন সেই অতীতে। এক নম্বরের জুনাপুর মন্তব্যটিও খুব ভালো হয়েছে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনাকেও ধন্যবাদ কস্ট করে পড়ার জন্য এবং আপনার সাথে সাথে আমিও ফিরে গেলাম সেই ভাললাগার অতীতে। যদিও আজ প্রায় ৫ বছর যাওয়া হয়না, তারপরও চোখ বন্ধ করলে এবং এই লেখা পড়ার পর আমার ও মনে হচ্ছে আমি যেন সেখানেই। জীবন আসলে এমনই ভাই। ভাল থাকবেন।

১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই তথ্য যেনে কার কি উপকার হবে,সমাজ বা জাতিরই বা কি উপকার হবে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম০৬০৪ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাই এই তথ্য জেনে কারও কোন উপকার হওয়ার সম্ভাবনা নাই এবং দেশ বা জাতির কোন উপকারের ও আশা নাই। কারন এই যে,আমরা কেউ হয়ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বা কেউ অতিবুদ্ধিমান প্রজাতির।( আর এটা কবিরাজের/ হকারের সবরোগের ঔষধ ও না যে সবার জন্য কাজ এবং সব জায়গায় কাজ করবে)। তবে কারো কারো কাছে ভাল লাগবে হয়ত যারা আঁতেল না মানে কম বুদ্ধিমান বা আমার মত যারা বোকা তাদের নিকট। আর মনের কাছে সবসময় লাভ-লোকসানের হিসাব চলেনা ভাই। ---- এ মনের শুধু মনের জন্য, লাভের জন্য নয়। ধন্যবাদ ভাই,ভালো থাকবেন।

১৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪২

আল ইফরান বলেছেন: ওয়ার সিমেট্রিতে বেশ কয়েকবার গিয়েছি একা একা এবং পরিবার নিয়ে। নেইমপ্লাকগুলো পড়লে খুব মন খারাপ হয়। এত অল্প বয়সের যোদ্ধারা বাড়ি ছেড়ে মায়ের কোল ফেলে এই ভিনদেশে এসে নিষ্ঠুর মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছেন। কবরগুলোর সামনে দাড়ালে এমনিতেই মন আর্দ্র হয়ে ওঠে।
এইজন্যই বোধকরি রুজভেল্ট বলেছিলো 'War is young men dying and old man talking'

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আল ইফরান ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য। প্রথমে কুমিল্লায় ঘুরতে গেলে এটা একটা কমন বেড়ানোর জায়গা। প্রথম দেখাতে তার পাকৃতিক সৌন্দয' যে কারো ভাল লাগে। কিন্তু যদি মন দিয়ে এবং মনের চোখ দিয়ে দেখা হয় এবং এপিটাফ গুলো পড়া হয় তখন মন খুব খারাপ হয়ে যায়। কে কোথায় জন্মেছে আর কোথায় ঘুমিয়ে আছে ভেবে।আসলে এ এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধি হয় যা আসলে কাউকে বলে বুঝানোর নয় অনুভবের ব্যাপার।

১৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ময়নামতি আমি গিয়েছি।
পোষ্টে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য আছে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ময়নামতি যাওয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ এবং পোষ্টের সামন্য তথ্যও যদি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ন মনে হয়ে থাকে এবং কাজে লাগে তাহলে আমার লিখা সফল।

১৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:২৯

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ার সৈনিকদের বিস্তারিত কিভাবে জানা যাবে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কবিতা ক্থ্য , আপনার মন্তব্যের জন্য।

এমনিতে প্রতিটা কবরের এপিটাফের উপর সাধারন তথ্য যেমন - নিহতের নাম,পরিচয়,বয়স,ধর্ম,জাতীয়তা ইত্যাদি লেখা রয়েছে।তবে আমার মনে হয় - আরো দুই ভাবে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যেতে পারে । কবরস্থানের অফিস থেকে এবং অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস থেকে(যদিও এ ব্যাপারটায় আমি একদম সিউর না)।

১৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তথ্যবহুল পোস্টে +++++। ইতিহাসের গোপন গলিপথ ধরে কত কিছুই আমাদের সামনে চলে আসে।

যারা মরতে চায়নি, যুদ্ধ চায়নি তারাই যুদ্ধে রক্তাক্ত হয়ে পরে আছে দূর পরবাসের বিরানভূমে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্যের জন্য ও +++।

সেটাই ,ইতিহাস এক দিকে নির্মম এবং অন্যদিকে শিক্ষনীয়ও। জীবনের সাধারন নিয়মে আমরা কোন বাবা-মায়ের ঘরে জন্মেছি , জীবন জীবিকার প্রয়োজনে আমরা কোথায় যাচছি এবং জীবনের শেষ পরিণতিতে আমরা কোথায় মরব বা শেষ শয্যা (কবর ) হবে,তা আমরা কেউ জানিনা। তারপরেও মানুষ হিসাবে আমাদের পথচলা বহমান।এটাই জীবন। মানব জীবন।

১৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কয়েকবার গেছি এখানে।
ইচ্ছে থাকলেও এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামেরটাতে যাওয়া হয় নি।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

নিঃসন্দেহ ভাললাগার মত প্রাকৃতিক দৃশ্য সেখানে এবং মন খারাপ হয়ে যাবার মত যখন এফিটাফের লেখাগুলি পড়া হয় এবং দেখা যায় একেকজন দুনিয়ার একেক জায়গার।শুধু জীব-জীবিকার জন্য এসে আজ এ বিদেশ বিভুয়ে শুয়ে আছে।

কবরস্থান যদিও আমাদের জীবনের শেষ পরিণতির কথাই মনে করিয়ে দেয়,তারপরেও জীবনের জটিলতা থেকে কিছু সময়ের জন্য হলেও মুক্ত করে দেয় এর প্রাকৃতিক পরিবেশ।

১৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছে। সেটা জানতে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজিব নুর ভাই,জীবনের জটিলতা থেকে কিছু সময়ের মুক্তির জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই কবরস্থানে যাওয়া উচিত বিশেষতঃ আপনজনদের কবরের নিকট আর তাদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য এবং জীবনের শেষ পরিণতি উপলব্ধি করার জন্য।

১৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: চিটাগাং এর ওয়ার সিমেট্রিতে যাওয়া হয়েছে। খুবই পরিকল্পিতভাবে গোছানো একটা জায়গা। ময়নামতিরটায় যাইনি। ছবি দেখে মনে হচ্ছে এটা আরো বেশি গোছানো।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কল্পদ্রুম ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

কুমিল্লায় ঘুরতে গেলে এটা একটা কমন বেড়ানোর জায়গা। প্রথম দেখাতে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য যে কারো ভাল লাগবে। এর রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের নয় বাইরের। এজন্য পরিবেশ এবং রক্ষণাবেক্ষনের গুণে যে কারোরই নজর কাড়ে।আর এ থেকেই আমাদের দেশের এবং বিদেশীদের প্রশাসনিক দক্ষতা বা ব্যর্থতার পার্থক্য খুব ভাবে লক্ষ করা যায়।

সময় সুযোগ পেলে দেখার আমন্ত্রণ রইল । কিছুটা সময় ভাল-খারাপ মিলিয়ে কাটানো যাবে এটা নিশ্চিত।

২০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫১

জুন বলেছেন: ওয়ার সিমেট্রি বিশেষ করে জাপানী সৈনিকদের সিমেট্রির ছবিগুলো দেখেন । আপনার সাথে লেখার লিংক শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না কামরুজ্জান :)
মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ( ছবি + ইতিহাস )

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে নিলাম এবং অসংখ্য ধন্যবাদ চমতকার এ পোস্ট শেয়ারের জন্য।+++।

আপনি বেশী বেশী দেশ ভ্রমণ করুন আর আমরা আপনার চোখেই বিশ্বভ্রমণ করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.