নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" নামাজ " ইসলামের দ্বিতীয় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে পার্থক্যকারী সূচক হিসাবে বিবেচিত এবং মুসলমান মাত্রই দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।(ঈমান ও আমল - ৫)।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২৬


ছবি - istockphoto.com

ঈমান আনার পর ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা কাজ হল নামাজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন।পবিত্র কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।নামাজ প্রসংগে মহান আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন,"তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। আর নিঃসন্দেহে তা বড়ই কঠিন- বিনীতদের জন্যে ছাড়া"।( সুরা বাকারাহ ,আয়াত- ৪৫)।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ আরো বলেন,"তোমরা সালাত সমূহের প্রতি এবং ( বিশেষ করে ) মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি যত্নবান হও, এবং আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্যে একান্ত অনুগত অবস্থায় দাড়াও"।(সুরা বাকারাহ ,আয়াত - ২৩৮)।তিনি আরো বলেন,"এরপর যখন নামায শেষ করবে তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। যখন তোমরা নিরাপদ হবে, তখন যথাযথভাবে নামায আদায় করবে। নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরজ।" (সুরাহ নিসা,আয়াত - ১০৩)।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত তরক বা পালন না করাকে শিরক বলে অভিহিত করেছেন এবং একে মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে পার্থক্যকারী সূচক হিসাবে ঘোষণা করেছেন (তিরমিযী - ২৬২১)।হজরত উম্মি ফারওয়াহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, "নবী কারিম (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, সবচেয়ে মর্যাদাবান ‘আমল কোনটি? তিনি বলেন, ওয়াক্তের প্রারম্ভে সালাত আদায় করা"। (সুনানু আবী দাঊদ: ৪২৬, জামি’উত তিরমিযী:১৭০)।হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত -" তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, বান্দা (আনুগত্য) ও কুফরীর মধ্যে (পার্থক্য) হলো সালাত ত্যাগ করা"। (সহীহ মুসলিম - ৮২)।

প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পরে স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়দা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিস বর্ণনা করেছেন। হযরত আবূ হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, "মুনাফিকদের কাছে ফজর ও ইশা অপেক্ষা অধিক ভারী কোনো সালাত নেই। আর যদি তারা জানত যে, এতদুভয়ের মধ্যে কী (ফযীলাত) রয়েছে, তাহলে অবশ্যই তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এর জন্যে আসত"। (সহীহ বুখারী - ৬৫৭, সহীহ মুসলিম - ৬৫১) ।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, "আল্লাহ তাআলা মনোনীত সর্বোত্তম আমল হলো নামাজ (বুখারি ও মুসলিম) । অতএব যে বেশি বেশি নামাজ পড়তে সক্ষম, সে যেন বেশি বেশি নামাজ পড়ে"। (তাবারানি)।


ছবি - alamy.com

নামাজই একমাত্র ইবাদত, যার মাধ্যমে মানুষ দুনিয়ার সব কাজ ছেড়ে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নিবেদিত হয়ে যায়। এ নামাজই মানুষকে দুনিয়ার সব পাপ-পংকিলতা থেকে ধুয়ে মুছে পাক-সাফ করে দেয়। দুনিয়ার সব অন্যায়-অনাচার থেকে হেফাজত করে।

নামায, নামাজ বা সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদাত বা উপাসনাকর্ম। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক বা ফরজ। নামায ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মাঝে দ্বিতীয়। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যা দৈনিক আদায় করা বাধ্যতামূলক সকল মুসলমানের জন্য। নামাজগুলি হল -

১। ফজরের নামাজ - সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজের সময়। (মোট - ৪ রাকাত ) - ২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাকাত ফরজ।

২। যোহরের নামাজ - এটি ঠিক দুপুর থেকে আসরের পূর্ব পর্যন্ত আদায় করা হয় বা যায়। (মোট - ১২ রাকাত) - ৪ রাকাত সুন্নত,৪ রাকাত ফরজ,২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাকাত নফল।

৩। আসরের নামাজ -এটি বিকেলের সময় আদায় করা হয়।যোহরের পর পরই এর সময় শুরু হয় এবং সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত এর সময় থাকে।( মোট - ৮ রাকাত) - ৪ রাকাত সুন্নত এবং ৪ রাকাত ফরজ।

৪। মাগরিবের নামাজ - এটি সূর্যাস্তের পর আদায় করা হয়। মাগরিবের সালাত আদায়ের সুন্নাহ এবং গ্রহণযোগ্য সময় হচ্ছে, সূর্যাস্তের পরে কোনো রকমের দেরি না করে মাগরিবের সালাত আদায় করা।(মোট - ৭ রাকাত) - ৩ রাকাত ফরজ,২ রাকাত সুন্নত এবং ২ রাকাত নফল।

৫। এশার নামাজ - এটি রাতে আদায় করা হয়। মাগরিবের নামাজের সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ইশার নামাজের সময় শুরু হয় এবং রাতের তিনের এক ভাগ সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পড়া সর্বোত্তম।(মোট - ১৫ রাকাত) - ৪ রাকাত সুন্নত , ৪ রাকাত ফরজ,২ রাকাত সুন্নত,২ রাকাত নফল এবং ৩ রাকাত বিতর।


ছবি - deccanchronicle.com

৬।জুম্মার নামাজ - প্রতি শুক্রবারে যোহরের নামাজের পরিবর্তে জুম্মার নামাজ আদায় করতে হয়।মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ দিন শুক্রবার।এদিন যোহরের নামাজের পরিবর্তে দুই রাকাত জুম্মার নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ।

জুম্মার দিনে ফরজ নামাজের পূর্বে ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল অজু সুন্নত, ২ রাকাত দুখলুল মসজিদ সুন্নত,৪ রাকাত কাবলাল জুমআ সুন্নত তারপর খুতবা পাঠের পর ইমামের পিছনে জামাতের সাথে ২ রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়। তারপর ৪ রাকাত বা’দাল জুমআ,২ রাকাত ওয়াক্ত সুন্নাত এবং ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা উত্তম।( তবে, ফরজের আগে ৪ রাকাত কাবলাল জুম্মা ও ফরজের পরে ৪ রাকাত বাদাল জুম্মা আদায় করতে হয়) আর বাকী নামাজ গুলি নামাজ আদায় করা উত্তম।

ফরজ নামাজ - ফরজ অর্থ আবশ্যক, অপরিহার্য, জরুরি।যে সকল নামাজ পড়ার জন্য মহান আল্লাহ তাআলা নির্দেশ করেছেন তাকে ফরজ নামাজ বলা হয় ।কেউ ফরজ অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যাবে ।দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে সতেরো রাকাত (ফজর ২,যোহর ৪,আসর ৪,মাগরীব ৩ ও ইশা ৪) নামাজ ফরজ।

ফরজ নামাজ দুই প্রকার । যথা-

১। ফরজে আইন - যে কাজ প্রত্যেক বালেগ, বিবেকবান মুসলমান নর-নারীর উপর সমানভাবে ফরজ তাকে বলা হয় ফরজে আইন । যেমন, দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, রমযানে রোজা রাখা , ঈমান, হজ, জাকাত।

২।ফরজে কেফায়া - বলা হয়, যে ফরজ কিছু মুসলমান আদায় করলেই সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়। আর যদি একজনও আদায় না করে তাহলে সকলেই গুনাহগার হবে,তাকে বলা হয় ফরজে কেফায়া। যেমন, জানাযার নামাজ পড়া।

সুন্নত নামাজ - সুন্নত হল এমন আমল যা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমল করেছেন এবং তার প্রতি উৎসাহিত করেছেন কিন্তু তা ফরজ বা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে কোন দলীল পাওয়া যায় না।মহানবী (সাঃ) নির্দেশে অথবা তার আমলের উপর নির্ভর করে যে নামাজ আদায় করা হয়, তাকে সুন্নত নামাজ বলে।

সুন্নত দুই প্রকার : সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ ও সুন্নতে জায়েদা। চার ওয়াক্তে বারো রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ ,(ফজর-২,জোহর-৬, মাগরিব -২, ইশা -২) নামাজ এবং দুই ওয়াক্তে (আসর-৪,ইশা-৪) আট রাকাত সুন্নতে জায়েদা নামাজ ।

১।সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ - সুন্নতে মুয়াক্কাদা ওই সুন্নত, যার ওপর রাসুলুল্লাহ (সা.) নিয়মিত এমনভাবে আমল করতেন যে তা ওজরবিহীন (বিশেষ অপারগতা) কখনো ছাড়তেন না। যথা - ফজরের ফরজের আগে ২ রাকাত, যোহরের ফরজের আগে ৪ আর পরে ২ রাকাত, মাগরিবের ফরজের পরে ২ রাকাত আর ঈশার ফরজের পরে ২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।

২।সুন্নতে জায়েদা - সেসব সুন্নত, যার ওপর রাসুলুল্লাহ (সা.) নিয়মিত আমল করলেও ওজরবিহীন মাঝে-মাঝে ছেড়ে দিতেন। সুন্নাতে জায়েদা হল অতিরিক্ত সুন্নাত নামাজ।তার বিধান হলো—তার ওপর আমল করা প্রশংসনীয় ও সওয়াবের কাজ। তবে অপ্রয়োজনে ওজরবিহীন ত্যাগকারীকে তিরস্কার করা যাবে না। যথা আসরের ৪ রাক'য়াত ও ঈশার ৪ রাক'য়াত সুন্নতে জায়েদা ।


ছবি - daily-sun.com

ওয়াজিব নামাজ সমুহ - ওয়াজিব অর্থ আবশ্যক, অপরিহার্য, জরুরি।কার্যত ওয়াজিব ফরজ বিধানের মতোই অবশ্য কর্তব্য। ওয়াজিব ত্যাগকারী কবিরা গোনাহগার হিসেবে গণ্য হবে।কিন্তু ওয়াজিব অস্বীকার করলে কাফির হবে না বরং ফাসিক হবে।এ নামাজের গুরুত্ব ফরজের পরই।যে সকল নামাজ পড়ার জন্য মহান আল্লাহ্ তাআলার নির্দেশ থাকলেও এ নির্দেশাবলী ফরজের মত এত জোরালো নয়।এ ধরনের নামাজ কে ওয়াজিব নামাজ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমনঃ- বিতর নামাজ।কেউ ইচ্ছাকৃত ও নিয়মিত না পড়লে গুনাহ হবে।দৈনিক তিন রাকাত বিতর নামাজ ওয়াজিব ।যা আলাদা ভাবে না পড়ে সাধারণত ইশার নামাজের পরে পড়া হয়।

নফল নামাজ - নফল নামাজ পড়লে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। অনেকের মতে, হাশরের মাঠে যদি ফরজ নামাজ প্রয়োজনের থেকে কম থাকে, তাহলে মহান আল্লাহ ফরজের পরে ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল ইত্যাদি থেকে নিয়ে সেই মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা করবেন। কাজেই আপাত দৃষ্টিতে এটা খুব একটা জরুরি মনে না হলেও প্রকৃত অর্থে অত্যন্ত জরুরি। এ নফল নামাজই রোজ হাশরে মানুষের জন্য বেহেশত-দোযখের সিদ্ধান্তকারী হয়ে যেতে পারে। দৈনিক ৬ রাকাত নফল (যোহর-২,মাগরিব-২,ইশা - ২) নামাজ পড়া উত্তম।

নফল নামাজের নিষিদ্ধ সময় -

সূর্যোদয়ের সময় সব নামাজ নিষিদ্ধ, সূর্য মাথার ওপর স্থির থাকা অবস্থায় নামাজ পড়া মাকরুহে তাহরিমি, সূর্যাস্তের সময় চলমান আসর ব্যতীত অন্য কোনো নামাজ বৈধ নয়। এ ছাড়া ফজর নামাজের ওয়াক্ত হলে তখন থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত এবং আসর ওয়াক্তে ফরজ নামাজ পড়া হলে তখন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো ধরনের নফল নামাজ পড়া নিষেধ। এই পাঁচটি সময় বাদে অন্য যেকোনো সময় নফল নামাজ পড়া যায়। (আওকাতুস সালাত)।
সূর্য উঠার শুরু থেকে হলুদ আলো পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত, সূর্য যখন মাথার ওপরে এবং সূর্য ডোবার সময় , এ তিন সময় নামাজ পড়া নিষেধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জ্ঞানীরা বলেন, সূর্য যখন ওঠে, যখন মাথার ওপর ওঠে এবং যখন ডুবে যায়- এ তিন সময় সূর্য পূজারিরা সূর্যকে সেজদাহ করে। তখন কেউ যদি নামাজ পড়ে তাহলে তাকেও সূর্য পূজারি মনে হতে পারে। এ জন্য এ সময় সব ধরনের নামাজ পড়া এবং সেজদাহ করা ইসলামী শরিয়ত মাকরুহে তাহরিমি তথা নিষেধ মনে করে।


কাযা নামাজ - ভুলবশত কিংবা অন্য কোনো বিশেষ কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ যথাসময়ে আদায় করতে না পারলে পরবর্তীতে এই নামাজ আদায় করাকে কাজা নামাজ বলা হয়। ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে তার কাজা আদায় করা আবশ্যক।সুন্নত কিংবা নফল নামাজ আদায় করা না গেলে কাজা আদায় করতে হয় না।কোন নামাজ কাজা হলে পরের ওয়াক্তের নামাজ আদায় করার পূর্বে তা আদায় করে নেয়া ভাল।অনেক বেশী ওয়াক্তের নামাজ কাজা হলে কাজা নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো প্রত্যেক নামাজের সময় একাধিক ওয়াক্তের কাজা নামাজ আদায় করে নেয়া। যেমন কোনো ব্যক্তি আসরের নামাজের আজানের পর সেদিনকার ফরজ নামাজ পড়ার আগে কাজা আসরের নামাজ আদায় করল পরে সেদিনকার নামাজ পড়ল। এভাবে কাজা নামাজ আদায় করতে করতে একসময় যখন মনে হবে তার আর কোনো নামাজ কাজা নেই, তখন কাজা নামাজ পড়া বাদ দিয়ে নফল নামাজের মনোযোগী হবে।

এ ছাড়াও আরো কিছু নামাজ রয়েছে ।যথা -


ছবি-tazakhobor24.com

১। তাহাজ্জুদ নামাজ - ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ নামাজ হলো তাহাজ্জুদ। পবিত্র কোরআনে তাহাজ্জুদ আদায়ের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।সালাতুল লাইল বা তাহাজ্জুদ এশার নামাজ আদায়ের পর থেকে সুবেহ সাদিকের আগ পর্যন্ত পড়া যায়। তবে অর্ধ রাতের পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ভালো। শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম।শেষ রাতের এ নামাজ অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। যাকে তাহাজ্জুদের নামাজ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ নামাজ সুন্নত।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়তেন।প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই দুই রাকাত করে এ নামাজ আদায় করতেন। যেকোনো সূরা দিয়েই এ নামাজ পড়া যায়। তবে তিনি লম্বা কেরাতে নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম।তাই প্রতি বার ২ রাকাত ২ রাকাত করে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়াই ভালো।সম্ভব হলে ১২ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজও আদায় করা যায়। তবে ৮ রাকাআত আদায় করা উত্তম। তাও সম্ভব না হলে নূন্যতম ৪ রাকাত আদায় করলেও হয়।তবে তাহাজ্জুদ নামাজের কোনো কাজা নেই এবং তা আদায় না করলে কোন গুনাহ নেই তবে পড়া উত্তম।

২। ইশরাকের নামাজ : সূর্য পরিপূর্ণভাবে উদিত হওয়ার পর ইশরাকের নামাজ আদায় করতে হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করতেন। এ সময় দোয়া, তাসবিহ পাঠ ও দ্বিনি আলোচনা করতেন। সূর্যোদয়ের পর তিনি দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। এই আমলের প্রতি রাসুলুল্লাহ (সা.) অন্যদেরও উৎসাহিত করেছেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করল এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর জিকিরে বসে থাকল; অতঃপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করল, সে একটি পরিপূর্ণ হজ ও ওমরাহর সওয়াব পাবে"। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস - ৫৮৬)।

৩।চাশতের নামাজ বা সালাতুত দুহা - সূর্য মধ্য আকাশে স্থির হওয়ার আগ মুহূর্তে ‘দুহা’র নামাজ আদায় করা হয়। পৃথকভাবে আদায় করার অবকাশ থাকলেও অনেকেই এটাকে ইশরাকের নামাজ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, সময়ের শুরুতে আদায় করলে সেটা ইশরাক আর সময়ের শেষে আদায় করলে দুহা।চাশতের নামাজের ৪ রাকাত তবে সর্বনিম্ন ২ রাকাত পড়া যায়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, "তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয়তম (রাসুল সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন, যেন আমি তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ত্যাগ না করি। প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা, দুহার নামাজ ও ঘুমানোর আগে বিতর আদায় করা"। (সহিহ বুখারি, হাদিস - ১১৭৮)।

৪।আওয়াবীন নামাজ - মাগরিব ও এশার নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে আদায়কৃত ছয় রাকাত নামাজ ‘আউয়াবিন’ নামে পরিচিত। আল্লামা মাওয়ার্দি এই মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। (মুগনির মুহতাজ : ১/৩৪৩)। তবে কেউ কেউ ‘দুহা’ নামাজকেই আউয়াবিনের নামাজ বলেছেন। নাম নিয়ে মতভিন্নতা থাকলেও এই সময় নামাজ আদায়ের গুরুত্ব হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাত নামাজ আদায় করবে এবং এগুলোর মধ্যে কোনো মন্দ কথা না বলে, তার আমলনামায় বারো বছর ইবাদতের সওয়াব লেখা হবে"। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস - ১১৬৭) ।

৫।সালাতুত তাওবা - সালাতুত তাওবা বিষয়টি আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদসহ অনেক গ্রন্থেই রয়েছে। কোনো গোনাহ হয়ে গেলে - দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে, তাওবা ইস্তিগফার করে, দরুদ শরিফ পড়ে কান্নাকাটিসহ আল্লাহর কাছে দোয়া ও মোনাজাত করলে আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করবেন। এই নামাজকে সালাতুত তাওবা বা তাওবার নামাজ বলা হয়।

৬।সালাতুল হাজাত - সালাতুল হাজাত প্রসঙ্গটি বুখারি, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, মিশকাতসহ বহু হাদিস গ্রন্থে রয়েছে। পাক-পবিত্র হয়ে দোয়া, ইস্তিগফার ও কয়েকবার দরুদ শরিফ পড়ে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে হবে। নামাজ শেষে ১১ বার ‘ইয়া কাজিয়াল হাজাত’ (হে প্রয়োজন পূর্ণকারী) পড়বে এবং আরও কয়েকবার দরুদ শরিফ পড়ে ভক্তি ও মহব্বতের সঙ্গে উদ্দেশ্য পূর্ণ হওয়ার জন্য দোয়া ও মোনাজাত করতে হবে। ইনশা আল্লাহ মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবে।

৭।সালাতুত তাজবীহ - সালাতুত তাসবীহ "তাসবীহের নামাজ" নামেও পরিচিত। নবী মোহাম্মদ (সা.) তার অনুসারীদেরকে এ নামাজ পালনে উৎসাহিত করছেন। জীবনে একবার হলেও মুসলমানরা যেনো এ নামাজ পড়ে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।সালাতুত তাসবীহ চার রাকাত। প্রতি রাকাতে "সুবাহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার" তাসবীহগুলো ৭৫ বার পড়তে হয়। চার রাকাতে মোট ৩০০ বার পড়তে হয়।

রাসুল (সা.) তার চাচা হজরত আব্বাস (রা.)-কে বলেন, ‘চাচা, পারলে আপনি সালাতুল তাসবিহ নামাজ সপ্তাহে একবার, তাও না হলে মাসে একবার, তাও না পারলে বছরে একবার পড়বেন। তাতেও অক্ষম হলে অন্তত জীবনে একবার হলেও এ নামাজ পড়বেন। এ নামাজ দ্বারা জীবনের ছোট, বড়, স্বেচ্ছায়, অনিচ্ছায়, নতুন, পুরনো, গোপন, প্রকাশ্য সব রকম অপরাধ মাফ হয়ে যায়।’

৮।ইশতেখারার নামাজ - ইস্তেখারা শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো, কোন জিনিসের ক্ষেত্রে কল্যাণ কামনা করা। সালাতুল ইস্তেখারা হলো, আল্লাহর নিকট কোন জিনিসের ক্ষেত্রে কল্যাণ কামনা করা। কোন কিছু বা বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা থাকলে এই নামাজ পড়া হয়। এই নামাজ খুব নিয়ামতপুর্ণ । এই নামাজটির নিয়ম হলো, দুই রাকাত নামাজ পড়বে তারপর নামাজ শেষে আল্লাহর প্রশংসা করবে অর্থাত আল্লাহর হামদ পড়বে তারপর রাসুলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর দরূদ পড়বে। রাতে ঠিক শোয়ার আগে অযু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বেন। এটি স্বাভাবিক নফল নামাজের মতই। এতে বিশেষ কোন নিয়তের প্রয়োজন নেই। তবে সালাত কেন পড়ছেন তা আপনার অন্তরে জাগ্রত থাকাই যথেষ্ট।

৯।শবে মিরাজের নামাজ - রজব চাঁদের ২৭ তারিখ রাত্রে নবী কারিম (সঃ) মে’রাজ শরীফে গমন করেছিলেন। এই রাত্রে আল্লাহতালা তার অসীম কুদরতে মুহূর্ত কালের মধ্যে সপ্তম আসমান , বেহেস্ত, দোজখ ইত্যাদি এবং আরশে মোয়াল্লা আবলোকন করিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন।শবে মে’রাজ এর নামাজ পড়ার নিয়ম দুই, দুই রাকাত করে কমপক্ষে ১২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়।তবে কেউ চাইলে বিভিন্ন নফল ইবাদাত সহ আর বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে মনে আবশ্যক যে, এশার নামাজ আদায় করার সময় তিন রাকাত বিতির নামাজ আদায় করা যাবে না। এই তিন রাকাত নামাজ আদায় করবেন সকল নফল নামাজ এর পর।শবে মেরাজ এর নিয়ত অন্যান্য নফল নামাজের মতই।


ছবি - metro.co.uk

১০।শবে বরাতের নামাজ - মহান আল্লাহ তাআলা আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতদের জন্য ইবাদতের বিশেষ কিছু সুবিধা প্রদান করেছেন। এর মধ্যে পাঁচটি রাত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইবাদতের এই বিশেষ পাঁচটি রাত হলো: জুমার রাত, দুই ঈদের রাত, শবে বরাত বা মুক্তির রাত তথা নিসফ শাবান বা শাবান মাসের মধ্য রাত এবং শবে কদর বা কদরের রাত অর্থাৎ মর্যাদাপূর্ণ রজনী।

মূলত ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বারাত’ অর্থ সৌভাগ্য। এ দুটি শব্দ নিয়ে ‘শবে বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে,(ইবনে মাজাহ)। ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ। মহান আল্লাহ এ রাতে বান্দাদের জন্য তাঁর অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এ রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুল-ভ্রান্তি, পাপ-তাপের জন্য গভীর অনুশোচনায় মহান আল্লাহর দরবারে সকাতরে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ।এই রাতে মুসলমানরা নফল নামাজ, জিকির-আজকার, কোরআন মজিদ তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে বিনিদ্র রাত কাটিয়ে বিনম্র প্রার্থনা করেন ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য। একইসঙ্গে মরহুম আত্মীয়-স্বজনসহ চিরবিদায় নেয়া মুসলিম নর-নারীর কবর জিয়ারত করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতেও সন্ধ্যার পর থেকেই মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থেকে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন। শাবান মাসের পরেই আসে পবিত্র মাহে রমজান। তাই শবে বরাত মুসলমানদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে। এ রাতের নিয়মিত নফল ইবাদতের মধ্যে রয়েছে - বাদ মাগরিব ছয় থেকে বিশ রাকাত আউওয়াবিন নামাজ। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত: যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর ছয় রাকাত নামাজ আদায় করবে; এসবের মাঝে কোনো মন্দ কথা না বলে, তার এই নামাজ ১২ বছরের ইবাদতের সমতুল্য গণ্য হবে। হজরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, "যে ব্যক্তি মাগরিবের পর বিশ রাকাত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন"। (তিরমিজি, মিশকাত, ফয়জুল কালাম, হাদিস - ৪৪৯-৪৫০)। তাছাড়া, এ রাতের শ্রেষ্ঠতম ইবাদত হলো তাহাজ্জুদ নামাজ।এ প্রসংগে মহান আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন, "এবং ভোর রাত্রির কিছু অংশ কুরআন তিলাওয়াত আর নামায কায়েম করার মধ্য দিয়ে জাগ্রত থাকো। এটা তোমার জন্যে অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমার রব তোমাকে ‘প্রশংসিত স্থানে’ প্রতিষ্ঠিত করবেন"।( সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত - ৭৯)। এ ছাড়া সালাতুস তাসবিহ এবং অন্যান্য নফল নামাজ আদায় করা যায়।দু‘রাকাত করে যত বেশী পড়া যায় তত বেশী ছওয়াব। এ নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়া অধিক ছওয়াবের কাজ। এই ভাবে কম্পক্ষে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম। এর বেশি যত রাকাত আদায় করা যায় ততই উত্তম।

সতর্কতা:
মনে রাখতে হবে ফরজ নফলের চেয়ে অনেক বড়। শবে বরাতের নামাজ যেহেতু নফল সেহেতু নফল পড়তে পড়তে ফরজ পড়া ভুলে গেলে বা ঘুমের কারণে পড়তে না পারলে কিন্তু সবই শেষ। অর্থাৎ নফল নামাজ পড়ে পড়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন আর এই দিকে ফজরের নামাজ পড়তে পারলেন না।এ যেন না হয় এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

১১।শবে কদরের নামাজ - রমজান মাসের শেষ দশ দিনের যেকোনো একটি রাত হল শবে কদর। এ রাতের ফজিলত অন্য যেকোনো রাতের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। বলা যেতে পারে- এ রাত হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে যত বেশি নফল নামাজ আদায় করবেন তত বেশি সওয়াব।

শবে কদরের রাতে যত বেশি পারা যায় নামাজ পড়া, আল কোরআন তেলাওয়াত করা, জিকির ও দোয়া করা ভাল। যেন আল্লাহ্‌ তা'য়ালা আমাদের আগের গুনাহ মাফ করে দেন এবং রহমত ও বরকত দান করেন। এ রাত নামাজসহ বিভিন্ন ইবাদতের মধ্যদিয়ে কাঁটিয়ে দেয়া
উত্তম।
দুই রাকআত করে সালাম ফিরিয়ে ন্যূনতম আট রাকআত থেকে যত সম্ভব পড়া যেতে পারে। সূরা ফাতেহার সাথে জানা যেকোনো সূরা মিলিয়ে পড়লেই চলবে। কিছু ব্যতিক্রম নিয়মে সূরা ফাতেহার সঙ্গে ৩৩ বার সূরা আল কদর, ৩৩ বার ইখলাস পড়লেও অসুবিধার কারণ নেই।“সুবাহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” এ দোয়া পাঠ করলে অধিক সওয়াব পাওয়া যাবে।


ছবি - thecognate.com

পরিশেষে…নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া মুমিন মুসলমানরে ঈমানের দাবি ও ফরজ ইবাদত। নামাজি ব্যক্তিই হলো সফল। যার সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন প্রিয়নবি। তিনি বলেছেন-"যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে; কেয়ামতের দিন ওই নামাজ তার জন্য নূর হবে এবং হিসেবের সময় নামাজ তার জন্য দলিল হবে এবং নামাজ তার জন্য নাজাতের কারণ হবে"।

পক্ষান্তরে----যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যত্নবান হবে না- কেয়ামতের দিন নামাজ তার জন্য নূর ও দলিল হবে না। তার জন্য নাজাতের কোনো সনদও থাকবে না। বরং ফেরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালফের সাথে তার হাশর হবে।’

নামাজ যথাযথ আদায়ে আমাদের সকলের যত্নবান হওয়া আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সহিহ তরিকায় সঠিক পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। ফরজ নামাজ আদায়ের পাশাপাশি বেশী বেশী নফল নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। নামাজকে পরকালের নাজাতের ওসিলা বানিয়ে দিন।‘হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না যার সামর্থ আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। আমিন।

চলবে -

** তথ্যসূত্র - উইকিপিডিয়া এবং আল কোরআন,হাদীস ।
===========================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -

ঈমান ও আমল - ৪ Click This Link
("ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ" - যার শুরুটা কালেমা বা ঈমানে। যা শুধু মুখে বলা নয়, অন্তরে বিশ্বাস ও কর্মে পরিণত করার বিষয়)।
ঈমান ও আমল - ৩ Click This Link
(তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব )।
ঈমান ও আমল - ২ Click This Link
("শুক্রবার - পবিত্র জুমা"- মুসলমানদের জন্য এক মর্যাদা ও ফজিলত পূর্ণ দিন এবং জুমার দিনের কতিপয় আমল )।
ঈমান ও আমল - ১ Click This Link
(যেসব আমলে মানুষের অভাব দূর হয় ও জীবন সুখের )।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আসুন নামাজ কায়েম করি। এক কথায় এক নীতিতে চলি

০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই ,আপনার প্রথম এবং প্রতিশ্রুতিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে যথাযথ ভাবে নামাজ আদায় করার এবং ওয়াদা রক্ষা বা ওয়াদা পূরণ করার তওফিক দান করুন।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর। তবে নামাজে বর্তমানে মানুষ সবচেয়ে গাফিলতি করে।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

সেটাই ।ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মায়ায় তথা দুনিয়ার কর্মব্যস্ততায় এবং আপনজনদের প্রয়োজন পূরনের চেষ্টায় সদা তৎপর আমরা ।অথচ যা আমাদের চিরকালের দুনিয়ার জন্য এবং যা সর্বোপরী সম্পূর্ণভাবে নিজের জন্য তাই আমরা ভূলে যাই বা পালন করিনা।এটাই সবচেয়ে আফসোসের বিষয় এবং নিজের ক্ষতির কারন।

মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে যথাযথ ভাবে এবং সঠিক নিয়মে যথাসময়ে নামাজ আদায় করার তওফিক দান করুন।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ১। সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ
২। সুন্নতে জায়েদা

এই দুইটি ভাগ আলাদা করে নবীজী সম্ভবতো বলে জাননি। মোল্লারা পরে নিজেদের সুবিধার জন্য আলাদা আলাদা নামকরণ করেছে। আমার জানায় ভুলও থাকতে পারে।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

নিশ্চিত হওয়া বা না জানার বিষয়টা আলাদা। এ ব্যপারে শরীয়ত খুব সহজ দৃষ্টি দিয়েছে।একজন সাধারণ মুসলিম যতটুকু জ্ঞান অর্জন করলে ইসলামের মোলিক বিধি বিধান গুলো পালন সম্ভব ততটুকু জ্ঞান অর্জন তার উপর ফরয। এতে অবহেলা করলে তার ইবাদতে অবশ্যই ত্রুটি থেকে যাবে। আর তখন সে জ্ঞান অর্জন ও ইবাদতের ত্রুটি দুদিক থেকেই গুনাহগার হতে হবে। কিন্তু,শরীয়ত সম্মত সীমাবদ্ধতা থাকলে সেটিকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন। তবে বান্দার উচিত জানার জন্য সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালানো।

কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক বান্দাকে প্রথমে ফরয নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাস করবেন। নামাজের প্রশ্নে বান্দা পার হয়ে গেলে বাকী সব প্রশ্নের উত্তর তার জন্য সহজ হয়ে যাবে।অর্থাৎ নামাজের প্রশ্নে পাশই তার পরকালীন জীবনের সফলতার দ্বার উম্মোচন শুরু হয়ে যাবে।(সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত) অন্যথায় এর বিপরীত অবস্থা হবে। আর তাই নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম।

কিন্তু,ফরয নামাজে কারো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তখন বান্দার নফল নামাজ দেখা হবে। যদি সে সুন্নাত / নফল ভালো ভাবে আদায় করে তাহলে আল্লাহ পাক এর মাধ্যমে তার ফরযের ত্রুটির ঘাটতি পূর্ণ করে তার পার করিয়ে দেয়া হবে। আর সুন্নত / নফল নিয়মিত না থাকলে বান্দাহর অবস্থা বিপরীত হবে। মূলতইঃ ফরয নামাজকে ত্রুটি মুক্ত করে এর পূর্ণাঙ্গতার জন্যই ফরযের আগে পরে সুন্নতের বিধান করা হয়েছে।

আবার ফিক্‌হী দৃষ্টিকোণ থেকে - যদি হুকুমের দিকে তাকানো হয় তাহলে এর মধ্যে হানাফী মাযহাব এবং জামহুর [অন্যান্য সকল মাযহাবের] মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। হানাফী মাযহাবে শরীয়তের বিধানগুলো সাত প্রকার: ১।ফরয, ২। ওয়াজিব, ৩।সুন্নাত,৪।মুবাহ, ৫।মাকরূহ তানযীহী, ৬।মাকরূহ তাহরীমী, ৭। হারাম।
অপর দিকে জামহুর এগুলোকে পাঁচ ভাগে তুলনামূলক কম শক্তিশালী দলীলের মাধ্যমে সাব্যস্তগে বিভক্ত করেছেন: ১। ওয়াজিব, ২। নফল/ সুন্নত, ৩। মুবাহ, ৪।মাকরূহ, ৫।হারাম।
যে বিষয়টি এখনে লক্ষণীয় তা হচ্ছে-হানাফী ফুকাহারা ফরয ও ওয়াজিবের মধ্যে পার্থক্য করেছেন গুরুত্বপূর্ণ একটি যুক্তির মাধ্যমে। যে নির্দেশটি (ক্বাত্বড়ী) অকাট্য দলীলের মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়েছে তাকে ফরয। আর যেটি অকাট্য নয় এমন (জন্নী বা তুলনামূলক কম শক্তিশালী) দলীলের মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়েছে তাকে ওয়াজিব বলেছেন। অনুরূপভাবে হারাম ও মাকরূহ অকাট্য দলীলের মাধ্যমে সাব্যস্ত এবং মাকরহু তাহরীমী অকাট্য নয় এমন দলীলের মাধ্যমে সাব্যস্ত।

পক্ষান্তরে, জামহুর (শাফেয়ী, মালেকী, হাম্বলী ও অন্যান্য মাযহাব) দলীলের অকাট্যতার যুক্তির দিকে না তাকিয়ে কোরান হাদীসের নির্দেশ ভঙ্গির দিকে তাকিয়ে (অনেক দীর্ঘ হবে তাই বিস্তারিত উল্লেখ করলাম না কিন্তু; সেটিও নির্ভরযোগ্য) এগুলোকে পাঁচ ভাগ করেছেন। এতে ফরয ও ওয়াজিবকে এবং হারাম ও মাকরূহ তাহরীমীকে একই শ্রেণীভূক্ত করা হয়েছে।

আবার হানাফীগন সুন্নাতকে দুভাগে ভাগ করেছেন: সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ও সুন্নাতে গাইরে মুয়াক্কাদাহ। মুয়াক্কাদাহ হল তুলনা মূলক বেশী গুরুত্বের দাবীদার। আর সুন্নাতে গাইরে মুয়াক্কাদাহ হল তুলনা মূলক কম গুরুত্বের দাবীদার। পক্ষান্তরে জামহুর এমন বিষয়টি বিচার না করে অন্য যুক্তিতে উভয় প্রকারকে শুধু মাকরূহই বলেছেন।

সুন্নাতে গাইরে মুয়াক্কাদাহকে নফল, মুস্তাহাব, মুসতাহসান ইত্যাদিও বলা হয়।মুবাহকে জায়েজ, হালাল ইত্যাদিও বলা হয়।
ফলশ্রুতিতে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহের এবং মাকরূহ তাহরীমীর গুরুত্ব অন্য সকল মাযহাব থেকে একটু বেশী।সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহকে হানাফীগন ওয়াজিবের কাছাকাছি মনে করেন।

প্রাসঙ্গিক কথা: কোন বিষয়ে মাযহাবী মতানৈক্য পাওয়া গেলে যে কোন একটাকে গ্রহণ করার বিধান শরীয়তে রয়েছে। সুতরাং যিনি যে মতকে পছন্দ করেন তিনি সে মত গ্রহণ করলে গুনাহ হবেনা। কিন্তু , কেউ সু্যোগ সন্ধানীর মত সব সময়ই যদি শরীয়তের বিধানকে এড়ানোর জন্য এমন করে তাহলে সে গুনাহগার হবে। এটাকে তালফীক (সুযোগ গ্রহণের জন্য বিভিন্ন মাযহাবের মিশ্রণ) বলা হয় এবং এটা জায়েয নেই। তবে সুযোগ সন্ধানী মানসিকতা না থাকলে সহজ বিষয়কে গ্রহণ করাকেই আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন। এমনকি রাসূল (সাঃ) সহজ বিষয়কে গ্রহণের ব্যপারে উৎসাহিত করেছেন। পাশাপাশি যে সকল ইবাদতে বেশী কষ্ট কিংবা কষ্ট করে একটু বেশী ইবাদত করলে রাব্বুল আলামীনের বেশী নিকটবর্তী হওয়া যায় এবং এতে তিনি বেশী প্রতিদান দিবেন

এ ব্যাপারে করণীয় - নিম্নের বিষয়গুলো ভালভাবে অনুধাবন করলেই আশা করি আমাদের করণীয় নির্ধারণ হয়ে যাবে -

১-সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ পড়াই বাঙচনীয় যেহেতু , তা তুলনামূলক অধিক গুরুত্বপূর্ণ। (হানাফীদের যুক্তিতে)।
২-ফরয নামাজে কারো ত্রুটি হয়না এমন ব্যক্তি খুবই বিরল। তাই ফরযের ত্রুটি ও ঘাটতি পূরণ করে কিয়ামতের দিন প্রথম প্রশ্নেই সফলতার মুখ দেখতে হলে পড়া অতীব জরুরী।
৩-সুন্নাতকে আদায়ের ব্যপারে শরীয়তের নির্দেশ রয়েছে যদিও বেশী জোর পূর্বক নির্দেশ নয়। (জামহুরের মতে।
৪-আল্লাহর নিকট ফরয নামাজ সর্বাপেক্ষা প্রিয় ইবাদত। কিন্তু, বান্দা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হয় নফল/ সুন্নাত আদায়ের মাধ্যমে। (সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত)।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



@প্রিয় মরুভূমির জলদস্যু,

'মোল্লারা' কথাটা বিদ্রুপাত্মক। না বলে পারছি না বলে দুঃখিত! এই ধরণের আপত্তিকর শব্দ ইসলাম বিদ্বেষী চক্রকে ঢালাওভাবে সম্মানিত সকল আলেম উলামাদের ব্যাপারে ব্যবহার করতে দেখা যায়। যদিও আপনাকে তাদের মত করে কথা বলতে ইতোপূর্বে দেখিনি।

তাছাড়াও আপনার পুরো মন্তব্যটি দয়া করে আবার পড়ে দেখুন- ১। সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ
২। সুন্নতে জায়েদা
এই দুইটি ভাগ আলাদা করে নবীজী সম্ভবতো বলে জাননি। মোল্লারা পরে নিজেদের সুবিধার জন্য আলাদা আলাদা নামকরণ করেছে। আমার জানায় ভুলও থাকতে পারে।


নামাজ একটি অন্যতম ইবাদত। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আমল। এটির কোনো নাম কারও সুবিধার কথা ভেবে দিয়ে দেয়ার বিষয় নয়। বস্তুতঃ যে সুন্নত নামাজ প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গুরুত্বের সাথে সবসময় আদায় করতেন সেগুলোকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা (অর্থ- তাকিদপূর্ণ বা অধিক গুরুত্ববহ) বলা হয়।

পক্ষান্তরে, যে সুন্নত নামাজ প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাঝে মাঝে আদায় করতেন, আবার কখনও ছেড়েও দিতেন- সেগুলোকে সুন্নতে জায়েদা (অর্থ- অতিরিক্ত) বা সুন্নতে গাইরে মুয়াক্কাদা বলে।

ফলতঃ নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি যিনি সম্মান এবং মুহাব্বত পোষন করেন, নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইনতিকালের পরে তাঁর রেখে যাওয়া দ্বীনের দায়িত্বপালনকারী উত্তরসূরী উলামায়ে কেরামগণের প্রতিও তিনি সম্মান এবং মুহাব্বত পোষন করবেন- এটাই স্বাভাবিক, এটাই ঈমানের দাবি, সত্যিকারের ঈমানদারের পরিচায়ক।

কথাগুলোয় কষ্ট পেয়ে থাকলে আগাম ক্ষমাপ্রার্থী। শুভকামনা।

@সম্মানিত পোস্টদাতা,

এত সুন্দর একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু এই ছবিগুলো ব্যবহার না করে অন্য কোনো ছবি যদি ব্যবহার করা যেত, খুশি হতাম।

কল্যান কামনা করছি।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন নকিব ভাই, আমার পোস্টে আপনার প্রথম এবং তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

আমি আপনার প্রায় সবগুলি পোস্টই পড়ি আর ধর্মীয় পোস্ট তথা ধর্মীয় জ্ঞান মহান মহান আল্লাহ পাক আপনাকে অগাধ দিয়েছেন এবং জানার-বুঝার জন্য আপনার পোস্টগুলি আদর্শ হিসাবে বিবেচিত আমার দৃষ্টিতে।

সেই আপনার কাছে পোস্ট ভাল লেগেছে এবং তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া ।আর ধর্মীয় বিষয়ে সঠিক জিনিষ জানার চেষ্টা করা আমাদের সবার ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।

সেই হিসাবে আমাদের প্রিয় মরুভূমির জলদস্যু ভাইকে ধন্যবাদ দেয়াই যায় যে জানার তথা বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করার জন্য।মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ধর্মীয় বিষয়ে সঠিক জিনিষ জানার এবং যথাযথ ভাবে ও সঠিক নিয়মে যথাসময়ে নামাজ আদায় করার তওফিক দান করুন।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন নকিব ভাই,ছবির ব্যাপারে আপনার পরামর্শের জন্য আবারো ধন্যবাদ । মহান আল্লাহ পাকের নিকট আপনার জন্যও সর্বাংগীন কল্যাণ ও মংগল কামনা করছি।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

রাজীব নুর বলেছেন: কত দিন নামাজ পড়ি না।!!!

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজীব নুর ভাই ,তা যদি সত্যি হয় তবে দুঃখের সাথে বলছি ,আমাদের সকলেরই আমাদের সাধ্য অনুসারে ,যথাসময়ে দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার চেষ্টা করা উচিত।

মহান আল্লাহ পাক আমাকে-আপনাকে-আমাদের সবাইকে যথাযথ ভাবে এবং সঠিক নিয়মে যথাসময়ে নামাজ আদায় করার তওফিক দান করুন। মহান আল্লাহ পাকের নিকট আপনার জন্য দোয়া ও সর্বাংগীন কল্যাণ ও মংগল কামনা করছি।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ্নামাজ সবচেয়ে ভালো ইয়য়াম। বেয়াম।

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজীব নুর ভাই,আপনি হয়ত নামাজ সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম ,তাই বলতে চেয়েছেন।

আসলেও ঠিক তাই। নামাজে আল্লাহর হুকুম মানার সাথে সাথে যথেষ্ট পরিমানে শারিরীক নড়াচড়া হয় ।তার ফলে ব্যায়াম ও হয়ে যায়।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: আগে ৫ ওয়াক্ত পড়ার চেষ্টা করতাম। কম করে হলেও ৩ ওয়াক্ত হতো, এক-দুই ওয়াক্ত কাজা হতো।এখন সপ্তাহে এক দিন পড়া হয়। বাকি সময়টা তো পরীক্ষার পড়া পড়তে পড়তেই শেষ। :((

০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ হাসান ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।

দুনিয়ার সফলতার জন্য যেমন পড়াশোনার দরকার আছে ঠিক তেমনি দুনিয়া এবং আখেরাতে কল্যাণের জন্য নামাজেরও দরকার আছে।
আর ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে বড়জোর ৩৫-৪০ মিনিট দরকার। আপনি চাইলে এবং আল্লাহর দয়া হলে ইনশাআল্লাহ আপনি পারবেন ।শুধু তার জন্য আপনার ইচছাশক্তি যথেষ্ট ।

আর যে কোন কাজের কর্মফল তার নিয়তের উপর নির্ভরশীল।আল্লাহ আপনাকে কামিয়াব করুন পরীক্ষায় আর সফল হউন জীবনের সকল দিকে এই দোয়া রইল।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রিয় মোহামমদ কামরুজজামান ভাই ও নতুন নকিব ভাই আপনাদের দুজনকেই অশেষ ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য।

আমার মন্তব্যটা ছিলো পরিষ্কার। নবীজী সুন্নত নামাজের এই ভাগ করে দিয়ে জাননি। তার অবর্তমানে মোল্লার এই ভাগ করে নামকরণ করেছেন। মোহামমদ কামরুজজামান ভাই তার দীর্ঘ প্রতিউত্তরে সেটাই বলেছেন। আমি বলেছি মোল্লারা আর উনি বলেছেন ইমামদের মজহাবের নাম করে। তফাত এইটুকুই।

নতুন নকিব ভাই মোল্লা শব্দটি নিয়ে আপত্তি করেছেন। এবং এই একটি মাত্র শব্দ ব্যবহারে কারণে উনি আমাকে আংশিক ভাবে ইসলাম বিদ্বেষী চক্রের স্লিপিংসদস্য হিসেবে চিহ্নিত করে রাখছেন বলে মনে হচ্ছে।
আমি সেইভাবে নামাজি লোক না হলেও ইসলাম বিদ্বেষী নই ভাই। একটি হেফজখানার সাথে আমার সামান্য যোগাযোগ আছে, এলাকায় একটি এতিমখানা ও মাদ্রাসার নির্বাহী পরিষদের সদস্য আমি, এলাকার একমাত্র সামাজিক কবরস্থানের সহোকারী অর্থসচীব আমি, একটি মসজিদের সভাপতি আমি। ইসলাম বিদ্বেষী হওয়ার সুযোগ নেই।

সত্যি বলতে মোল্লা শব্দটি বিদ্রুপাত্মক হিসেবেই নয় বরং কিছুটা অবহেলা বা অবগ্যা করে লিখেছি বলা যেতে পারে। ঢাকার পূর্বরামপুরার মোল্লা বাড়ি একার নাম হয়তো কেউ কেউ জানেন। ওটি আমার নানা বাড়ি। বাড়ির নামেই এলাকার নাম- মোল্লা বাড়ি।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই আপনাকেও আবার ধন্যবাদ আবার আসার জন্য এবং প্রতিমন্তব্যের জন্য।

ভাই," মোল্লা বাড়ী " বা " মোল্লা " এটা শব্দটা খারাপ নয় বরং তা তার দ্বারা ধর্ম জ্ঞান বা যাদের ধর্মীয় বিষয়ে অগাধ বা ভাল জ্ঞান আছে তাদের বা তাদের বাড়ীকে বোঝায়।যেমন - চৌধুরী,উকিল,ডাক্তার,মাস্টার,সরকার ।এদের এক একটি শব্দ দ্বারা সেই পেশার মানুষ বা তাদের আবাস কে বুঝায়।

তবে এটা ঠিক কালের বিবর্তনে , সমাজ-সংসারের জটিলতায় এবং কিছু মানুষের ভূল বা মাত্রাধিক্য আচরনের কারনে " মোল্লা,মৌলভী,হুজুর "শব্দগুলি শুনলে মানুষের মনে একটা বিরুপ ধারনা বা ছবি ভেসে উঠে।এটা একদিকে সঠিক আবার আরেক দিকে সঠিক নয়। কারন সব পেশায়,সমাজে ভাল-খারাপ মানুষ বিদ্যমান।তবে তারা যেহেতু একটা ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে বা ধর্মগুরু ,কাজেই মানুষ তাদের দোষ-গুন গুলিকে বেশি বেশি মনে রাখে আর তাদের কাছে সবসময় একটা ভাল কিছু আশা করে ।আর তা না পেলে মানুষ আশাহত হয় এবং তারা হারায় তার সম্মান এবং তার সাথে সাথে সাধারন মানুষের কাছে ধর্ম
সম্পর্কে যায় খারাপ বার্তা। এটাই সমস্যা।
জীবনের জটিলতায় আমরা সবাই হয়ত আমরা যথাযথ ভাবে সব নামাজ আদায় করতে পারিনা বা ধর্মীয় বিধি নিষেধ মেনে চলতে পারিনা তার মানে এই না যে আপনি-আমরা কেউ ধর্ম বা ইসলাম বিদ্বেষী ।আর জানার চেষ্টা আছে বিধায় মানুষ নতুন নতুন জিনিষ জানতে-শিখতে-বুঝতে পারে।

ভাল লাগল জেনে আমাদের ভাই মোল্লা বাড়ির ছেলে ।আর তাইত মোল্লা বাড়ির ছেলে হিসাবে আপনার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে গভীর সম্পর্ক থাকবে এটাই ঠিক এবং আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন এবং আরো বেশী বেশী ধর্মের খেদমত করার তওফিক দিন এবং মোল্লা বাড়ি'র বউ-নাতি-নাতনি দের নিয়ে সুখে-শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করার তওফিক দান করুন।

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৪

ওমেরা বলেছেন: নামাজ যথাযথ আদায়ে আমাদের সকলের যত্নবান হওয়া আবশ্যক। কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব নেয়া ।যে নামাজের হিসাবে পাশ করবে তার অন্য হিসাব গুলো সহজ হবে। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোষ্ট ।আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদওমেরা , আপনার মন্তব্যের জন্য ।

একদম সঠিক।নামাজ যথাযথ ভাবে আদায়ে আমাদের সকলের অধিক যত্নবান হওয়া আবশ্যক কারন এক নামাজ যদি ঠিক-ঠাক মত আদায় করা যায় তাহলে ধর্মের বাকী বিষয় গুলি আদায় বা পালন করা খুব সহজ হয়ে যায়।আর নামাজের জন্য আমাদের সর্ব প্রথম জবাব দিতে হবে এবং তার সফলতার উপরই পরবর্তী সফলতাগুলি নির্ভরশীল।

পোস্ট আপনার ভাল লাগলো জেনে আমারো ভাল লাগলো ।আল্লাহ আপনাকে-আমাকে-আমাদের সবাইকে যথাযথ ভাবে এবং সঠিক নিয়মে, যথাসময়ে নামাজ আদায় করার তওফিক দান করুন। মহান আল্লাহ পাকের নিকট আপনার জন্য দোয়া, সর্বাংগীন কল্যাণ ও মংগল কামনা করছি।

১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: সব কাজই করা হয়। শুধু নামাজটাই পড়া হয় না।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজীব নুর ভাই আপনাকে আবার ধন্যবাদ, আবার আসার জন্য এবং প্রতিমন্তব্যের জন্য।

দুনিয়ার সফলতার জন্য এবং জীবন ধারনের জন্য যেমন কাজের দরকার আছে ঠিক তেমনি দুনিয়া এবং আখেরাতে কল্যাণের জন্য নামাজেরও দরকার আছে।আর ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে বড়জোর ৩৫-৪০ মিনিট দরকার। আপনি চাইলে এবং আল্লাহর দয়া হলে ইনশাআল্লাহ আপনি পারবেন ।শুধু তার জন্য আপনার ইচছাশক্তি যথেষ্ট ।

আর আপনার কাজ-কর্ম আপনার পরিবার তথা সুরুভী ভাবী-পরী এবং তার বোন (ছোট কন্যার নাম জানিনা) এর জন্য অনুকরনীয়।কাজেই আপনি যদি নামাজ আদায় করেন বা করতে চেষ্টা করেন তাহলে তারাও এ ব্যাপারে সচেষ্ট হবে এবং পরিবারের সবার দুনিয়ার সাথে সাথে আখেরাতের কল্যাণ ও নিশ্চিত হবে।মহান আল্লাহ পাকের নিকট আপনার এবং পরিবারের জন্য দোয়া, সর্বাংগীন কল্যাণ ও মংগল কামনা করছি।

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


খুবই মুল্যবান তথ্য সম্বলিত পোষ্ট ।
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দৈনিক
পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ আদায়
খুবই জরুরী । নামাজ ইহলোকিক
ও পারলোকিক উভয় দিক দিয়েই
উপকারী । এর কোন ক্ষতিকর দিক
নেই, শুধুই উপকার আর উপকার ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী স্যার,আপনার মন্তব্যের জন্য ।

সেটাই স্যার , দুনিয়া এবং আখেরাতের কল্যাণের জন্য প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্তে নামাজ আদায় খুবই প্রয়োজন।যদি মানুষ নামাজ যথাযথ ভাবে আদায় করে তাহলে নামাজ মানুষকে বাকী সকল ধর্মীয় কাজ তথা জীবন ধারন সহজ করে দেয়।
আর নামাজ মানুষকে ধৈর্যশীল হতে শিখায় যা মানব জীবনে চলার পথে সবচেয়ে জরুরী। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ধর্মীয় বিষয়ে সঠিক ভাবে জানার এবং যথাযথ ভাবে ও সঠিক নিয়মে, যথাসময়ে নামাজ আদায় করার তওফিক দান করুন।

১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৫৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ৫০ ওয়াক্ত নামাজ আল্লাহ ভেবেই দিয়েছিল।তাহলে সওয়াবও বেশি হত উপকার ও বেশি হত।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুলইসলা০৬০৪ ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য ।

মানুষ যতটুকু ভার বহন করতে পারবে তথা যতটুকু করার সামর্থ্য আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন তততুকুই করতে আদেশ দিয়েছেন।তবে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব আপনার-আমার জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজেই নিহিত করে রেখেছেন বা দিয়েছেন।

একজন মুসলমান যদি ৫ ওয়াক্ত নামাজ প্রতিদিন জামাতের সাথে আদায়ের সওয়াব করে বা করতে পারে তাহলে সে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব বা তার থেকেও বেশী সওয়াব লাভ করবে।

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। এই নামাজগুলো জামাতে পড়ার প্রতি বিশেষভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। জামাতে নামাজ আদায় করার তাগিদ দিয়ে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত - ৪৩)।

জামাতে ২৭ গুণ বেশি সওয়াব - রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, " জামাতে নামাজের ফজিলত একাকী নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি।" (সহিহ বুখারি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) সারা জীবন জামাতের সঙ্গেই নামাজ আদায় করেছেন। এমনকি ইন্তেকালপূর্ব অসুস্থতার সময়ও জামাত ছাড়েননি। সাহাবায়ে কেরামের পুরো জীবনও সেভাবে অতিবাহিত হয়েছে।

১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



জলদস্যু ভাই, আমার পূর্বের মন্তব্য পড়ে আপনি উত্তর দিয়েছেন দেখে খুশি হলাম। আমার মন্তব্যটি দয়া করে আরেকবার পড়ে দেখলে খুশি হব। বিশেষ করে আপনাকে আমি মোটামুটি জানি এবং আপনি যে এই টাইপের নন, সেটাও অবহিত ছিলাম বলেই আপনি যে তাদের মত নন সে কথাও সেখানে উল্লেখ করেছি। দেখুন আমার মন্তব্যের সেই অংশটি- 'মোল্লারা' কথাটা বিদ্রুপাত্মক। না বলে পারছি না বলে দুঃখিত! এই ধরণের আপত্তিকর শব্দ ইসলাম বিদ্বেষী চক্রকে ঢালাওভাবে সম্মানিত সকল আলেম উলামাদের ব্যাপারে ব্যবহার করতে দেখা যায়। যদিও আপনাকে তাদের মত করে কথা বলতে ইতোপূর্বে দেখিনি।

অতএব, আমার উদ্দেশ্য অনুধাবন করতে সক্ষম হলে আপনি মনোঃক্ষুন্ন হবার কথা নয়, তাছাড়া আপনার পরবর্তী মন্তব্যে আপনিও স্বীকার করেছেন যে, মোল্লা কথাটা কিছুটা অবহেলা বা অবগ্যা করে লিখেছেন

তো, বিদ্রুপ, অবজ্ঞা, অবহেলা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা, অসম্মান করা এসবের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য থাকে কি না, কিংবা শব্দগুলোর প্রায়োগিক উদ্দেশ্যে কোনো সাযুজ্য থাকতে পারে কি না- আপনাকে বিজ্ঞ ব্যক্তি বলে যেহেতু বিশ্বাস করি, সে কারণে আপনার উপরেই তা উদঘাটনের ভারটুকুও ছেড়ে দিচ্ছি।

ও আচ্ছা, আপনার সাথে চা খাওয়ার ওয়াদা কিন্তু এখনও পূরণ করতে পারিনি। মনে আছে তো? আপনার এলাকা, মানে, বাডডার দিকে যাওয়া হলে ঐ যে বলেছিলাম, জানাবো। ইনশাআল্লাহ, জানাবো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন নকিব ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

আশা করি আমাদের দস্যু ভাই তার অবস্থান এবং আপনার ব্যাখ্যা বুঝতে পেরেছেন।কোন মানুষ ই সব কিছু জানেনা বা জানার ঘাটতি মানুষ মাত্রই আছে। আর জানার চেষ্টার মাঝে কোন ভূল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই।জানার ইচছায় যে কোন প্রশ্ন করা যায় এবং খোলা মনেই তার জবাব দেয়ার চেষ্টা এবং জবাব গ্রহন করা উচিত ।

আর আপনারা দু'জন চা খেতে গেলে আমি কেন বাদ পরব বলেন ভাই? আমিও ঐদিেকই (বসুন্ধরা) থাকি।তাহলে আমরা সবাই একদিন বৈকালিক জলযোগ করতে পারি একসাথে যদি আল্লাহ চাহেন এবং আমাদের সময়-সুযোগ মিলে। কি বলেন ভাই?

১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম শুধু মন্তব্য গুলো পড়তে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আপনাকে আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আবার আসার জন্য এবং প্রতিমন্তব্যের জন্য।

পোষ্টের মন্তব্যের মাধ্যমে আসলে সবার মতামত জানা যায় যা পোষ্টে হয়ত সবসময় ফুটে উঠেনা বা এমন অনেক বিষয় মন্তব্যের মাঝে উঠে আসে যা পোষ্টের বিষয়ের সাথে প্রাসংগিক। আর এতে করে জানা-বুঝার ভাল সুযোগ থাকে।

১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আর আপনারা দু'জন চা খেতে গেলে আমি কেন বাদ পরব বলেন ভাই? আমিও ঐদিেকই (বসুন্ধরা) থাকি।তাহলে আমরা সবাই একদিন বৈকালিক জলযোগ করতে পারি একসাথে যদি আল্লাহ চাহেন এবং আমাদের সময়-সুযোগ মিলে। কি বলেন ভাই?

-ধন্যবাদ। আপনি বাদ পড়বেন কেন? ঠিকই বলেছেন। যাক, আপনার স্বেচ্ছায় অংশগ্রহনের আন্তরিক প্রত্যাশা ব্যক্ত করায় খুশি হলাম। আচ্ছা, তিনজন মিলেই চা খাব ইনশাআল্লাহ। অবশ্য যদি জলদস্যু ভাইয়ের আপত্তি না থাকে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন নকিব ভাই এবং খুশিও ।

আশা করি দস্যু ভাইয়ের কোন আপত্তি থাকবেনা এবং ভাবতেই ভাল লাগছে হয়ত কোন একদিন আপনাদের মত জ্ঞানী মানুষদের সাথে একদিন সশরীরে মিলিত হতে ,কথা বলতে এবং কিছুটা সময় কাটাতে পারব।

তবে সেদিন কোন দস্যুতা :P হবেনা ।শুধুই মজা হবে মজা।

১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪২

নতুন বলেছেন: বর্তমানে মুসলমানেরা নামাজ কম পড়ছে কেন?

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার প্রশ্নেটি ছোট তবে এ প্রশ্নের জবাব দেয়া বা দিতে গেলে অনেক কিছু বলতে হয় যার জন্য একটি পোস্ট প্রয়োজন।তার পরেও আমার যা মনে হয় সে কারনগুলি এমন হতে পারে -

১। প্রতিযোগীতা মূলক জীবন যাপন তথা জীবন যাপনের জটিলতা ।
২।যথাযত ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব।
৩।যথাযথ পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার অভাব।
৪।আখেরাত তথা মৃত্যু পরবর্তী জীবন জীবন সম্পর্ক উদাসীনতা।
৫।আল কোরআন এবং হাদীস যথাযথ অনুসরন না করা।
৬।সব কিছুর উপরে পার্থিব বা দুনিয়ার লাভ-লোকসান তথা সুখ-দুঃখ কে প্রাধান্য দেয়া।

এসব কিছু কারনে মানুষ হয়ত ধর্মীয় রীতি-নীতি পালনে উদাসীন তথা শৈথিল্য প্রদর্শন করে তবে এসব কারন সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



বর্তমানে মুসলমানেরা নামাজ কম পড়ছে কেন?

-@নতুন ভাই,

এর পেছনে আপনার অসহযোগিতাকে একটি কারণ বলে মনে হয়। :)

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: নতুন নকিব ভাই,বলেছেন -

নতুন ভাই, এর পেছনে আপনার অসহযোগিতাকে একটি কারণ বলে মনে হয়।

আমি কি বলব ভাই বলেন?

অবশ্য আমি নতুন ভাইয়ের প্রশ্নের জবাব দিতে চেষ্টা করেছি তবে জানিনা ভাই তাতে তৃপ্ত বা খুশি হবে কিনা।

১৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: পরীক্ষা শেষ হলে নিয়মিত নামাজ পড়বো। আর দুইটা পরীক্ষা আছে। সেই সাথে রমজানও চলে আসবে।
নামাজ ও রোজা দুইটা একসাথে চলবে। ;)

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ হাসান ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্য এবং প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকারের জন্য।

মহান আল্লাহ আপনাকে প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার পূরনের তওফিক দান করুন এবং নামাজ-রমজান-পরীক্ষা সবগুলিতে কামিয়াব বা সফলতা অর্জনে সহায়তা করুন।

১৯| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

নতুন বলেছেন: @নতুন নকিব ভাই আমি এখন পযন্ত কোন মানুষকে নামাজ পড়তে নিষেধ করিনি। এটা তার ব্যপার।

কিন্তু যারা মুখে ধর্ম মানে কিন্তু কাজে ভন্ডামী করে তাদের দেখিয়েছি যে তারা ভন্ডামী করছে ;)

আপনারা বাস্তবতাটা বুঝতে পারছেন না কেন মানুষ নামাজ কম পড়ছে.... ;)

০৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

একজন মুসলমান হিসাবে নিজে ধর্মের বিধি-বিধান হয়ত সব কিছু যথাসময়ে-যথাযথভানে পালন না করার ব্যর্থতা এক আর কাউকে ধর্মের বিধি-বিধান পালনে নিষেধ করা বা বাধা দেয়া আরেক ব্যাপার।আমার মনে হয়না কোন মুসলমান এ জাতীয় কাজ করে তবে পালনের রীতি-নীতি বা অনুসরন-অনুকরন নিয়ে কিছুটা মতভিন্নতা থাকতে পারে বলে আমার মনে হয়।

আর আমাদের সমাজে অনেক মানুষ ই আছে যারা মুখ ও মনে বা বলা এবং করায় দ্বি-মুখী নীতি অনুসরন করে।ধর্মে এ জাতীয় মানুষকে মোনাফিক বলা হয়েছে যাদের স্থান জাহান্নামের সবচেয়ে নিচু জায়গায় হবে বলা আছে।আর মোনাফিক রা শুধু ধর্মের নয় তারা দেশ জাতি-সমাজের ও দুশমন।আর তাদের এড়িয়ে চলা সবার উচিত।আর তারা নিজেরা তাদের কাজের জন্য জবাবদিহী করবে ,আপনি-আমি নই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.